
জন্মদিন আমাদের জীবনে এক বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ দিন। শিশু হোক বা বৃদ্ধ, এ দিনে প্রিয়জনদের উপহার মানুষকে আনন্দিত করে। তবে, কবে থেকে জন্মদিনে উপহার দেওয়ার প্রথা শুরু হলো?
প্রাচীন যুগের জন্মদিন ও উপহার
প্রাচীন মিসর ও মেসোপটেমিয়ায় রাজাদের জন্মদিনে বা সিংহাসনে আরোহণ উপলক্ষে উপহার দেওয়া হতো। গ্রীকরা দেবী আর্টেমিসকে সম্মান জানাতে চাঁদাকৃতি কেক দিতেন। প্রাচীন রোমে সাধারণ মানুষের জন্মদিনও উদযাপন করা হতো, যেখানে উপহার হিসেবে সৌভাগ্য বয়ে আনার ছোট টোকেন দেওয়া হতো।

চীনের হান রাজবংশে (২০২ খ্রিস্টপূর্ব - ২২০ খ্রিস্টাব্দ) হং বাও বা লাল খামে অর্থ উপহার দেওয়া হতো, যা এখনো এশিয়ায় প্রচলিত। হিন্দু সংস্কৃতিতেও জন্মদিন পালন ছিল আত্মিক ও প্রতীকী উপহারের মাধ্যমে।
মধ্যযুগ থেকে রেনেসাঁ পর্যন্ত
মধ্যযুগে রাজা-রাজড়ারা উপহার-ভিত্তিক জমকালো জন্মদিন পালন করলেও সাধারণ মানুষের উদযাপন ছিল সহজ ও হাতে তৈরি উপহারে সীমাবদ্ধ। রেনেসাঁ যুগে ব্যক্তিক গুরুত্ব বাড়ায় জন্মদিনে উপহার দেওয়া আরও প্রচলিত হয়। শিল্প ও সাহিত্যে জন্মদিনের চিত্রায়ন দেখা যায়। উচ্চবিত্তদের মাঝে দামি অলঙ্কার ও শিল্পকর্ম উপহার দেওয়া হতো।

আধুনিক যুগে জন্মদিন ও উপহার
১৮শ ও ১৯শ শতকে শিল্পবিপ্লব ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির উত্থানে উপহার আরও সবার নাগালে আসে। হাতে তৈরি জিনিসের পাশাপাশি বানানো খেলনা, খাবার বা ব্যবহার্য জিনিস জনপ্রিয় হয়। শিশুর জন্মদিন তখন আলাদাভাবে উদযাপিত হতে শুরু করে।

আজকের জন্মদিন সংস্কৃতি
বিংশ শতকে জন্মদিন উদযাপন হয়ে ওঠে আরও বাণিজ্যিক। গ্রিটিং কার্ড, র্যাপিং পেপার, অনলাইন গিফট ও ডিজিটাল উপহারের প্রচলন বাড়ে। সাম্প্রতিক সময়ে পরিবেশবান্ধব ও অভিজ্ঞতা-ভিত্তিক উপহার জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।
উপহারের অর্থ ও প্রভাব
জন্মদিনে উপহার দেওয়া ভালোবাসা ও সম্পর্কের প্রতীক। যুগে যুগে মানুষ এ অনুভূতির প্রকাশ ঘটিয়েছে উপহারের মাধ্যমে।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই মে, ২০২৫ রাত ৮:১৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



