
আমার শ্বশুর মরহুম দিদারুল আলম চৌধুরীর মৃত্যুর পরে তাঁর এই বইটি আমাকে তাঁর স্মৃতিস্বরূপ দেওয়া হয়। যত দূর জানতে পারি, তিনি তাঁর বাবার নিকট থেকে এই বইটি পেয়েছিলেন। আমার শ্বশুর বাংলাদেশের হাতে গোনা কয়েকজন নাগরী ভাষার পুথিপাঠকদের মাঝে একজন ছিলেন। আমার কাছে সংরক্ষিত যে কয়েকটি প্রাচীন জিনিসপত্র রয়েছে, সেগুলোর মাঝে এই বইটি অন্যতম।
সিলেটি নাগরী লিপি মধ্যযুগে বাংলা ভাষা চর্চায় ব্যবহৃত হতো। আনুমানিক ১৩০৩ খ্রিস্টাব্দের দিকে এই লিপিটি সিলেট, ময়মনসিংহ, ঢাকা, নোয়াখালী, পশ্চিমবঙ্গ (বাঁকুড়া) এবং আসাম (বরাক উপত্যকা)-এ জনপ্রিয় ছিলো।
আমার শ্বশুর খুব ভালো শ্লোক ও ধাঁধা বলতে পারতেন। আমার বিয়ের পরে তাঁর সাথে প্রথম সাক্ষাৎকারেই তিনি আমাকে ধাঁধা জিজ্ঞাসা করেছিলেন, যার মাথামুণ্ডু কিছুই আমি বের করতে পারি নাই।
আমার শ্বশুর আমাকে একবার জানিয়েছিলেন, তাঁর পূর্বপুরুষ কয়েকশত বছর আগে ইরান থেকে আসার সময়ে সাথে করে সেদেশের চিহ্নস্বরূপ এক ধরণের স্পেশাল 'বাঁশ' নিয়ে এসেছিলেন। সেই স্মৃতি ধরে রেখে আমার শ্বশুরালয় প্রতি বছর শীতে 'বাঁশের পিঠা' উৎসব করেন। এই বাঁশের পিঠাকে সিলেটি ভাষায় 'চুঙা পিঠা' বলে।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৩:১২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




