
আমি সামুতে অদ্ভুত সব বিষয় লিখি। এটা ব্লগার চাঁদগাজী বলতেন। আমার আর্ট গ্যালারীর যাত্রাও রেয়ার কালেকশন দিয়ে শুরু হয়েছে। বাসার রিডিং রুমটাকে একটি ব্যক্তিগত আর্ট গ্যালারীতে পরিণত করেছি, এটি আগের পোস্টেই বলেছি। নতুন কথা হচ্ছে - কিভাবে আর্ট দেখে চিনতে হয় এবং সেটা ভেলুয়েশন করতে হয় তা শিখতে পেরেছি। তাই, বেশ আনদন লাগছে।
একটি পুরনো পেইন্টিং আসল না রেপ্লিকা, তা চেনার বেশ কিছু ট্রিক্স আছে। সেগুলোর একটি হচ্ছে - নামকরা শিল্পীদের শিল্পকর্ম নিয়ে ক্যাটালগ আছে। সেই ক্যাটালগের সাথে যদি মিলে যায়, তাহলে বুঝতে হবে শিল্পটি ঠিক থাকার সম্ভাবনা ৯০%। এছাড়াও, আপনি কোন আর্টিস্টের উপরে স্পেশালিষ্টের সাহায্য নিতে পারেন। তাছাড়াও, যেখানে থেকে কিনেছেন, তাদের সার্টিকিকেটটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। এইভাবেই, আপনি আপনার কেনা শিল্পকর্ম আসল কি না তা বের করতে পারেন। তাছাড়া, প্রত্যেক আর্টিস্টের পেইন্টিং-এর আকার স্ট্রোক দেখে বুঝা যায়, চিন্ত্রকর্ম আসল কি না। এটা একজন স্পেশালিষ্টই বুঝতে পারেন।
এবারে জানা যাক, একটি শিল্পকর্ম-এঁর ভ্যালু কতটুকু তা কিভাবে জানবেন, সেই বিষয়ে। ক্যাটালগে পাওয়া চিত্রকর্ম-এঁর দাম আর্টিস্টের অন্যান্য চিত্রকর্মের চেয়ে বেশি। কেন? কারণ, পেইন্টিং আসল কি না তা জানতে চাইলে যে টেস্ট করতে হয়, সেই মেশিন বাংলাদেশে নেই। থাকলেও, তা বাংলাদেশ জাদুসঘরের কাছে থাকতে পারে। এখন সেই টেস্ট করতে গেলে ছবির ক্ষতি হবার সম্ভাবনা বেশ! তা কেউই সহজে হতে দিতে চাইবেন না। এর পাশাপাশি এই টেস্ট করতে খরচও আছে। তাই, আপনি যদি একজন কালেক্টর বা আর্ট ডিলার হতে চান, তাহলে ক্যাটালগে থাকা পেইন্টিং কেনাই ভালো।
এছাড়াও, ছবির সাইজ, রঙের ব্যবহারে বৈচিত্র্যতা, ছবির বিষয়, ছবির কন্ডিশন, পেপার না ক্যানভাসে করা এবং কোন সালে কেনা হয়েছে - এসবের উপরে দাম নির্ভর করে। যেমন- ছবির সাঁইজ যত বড় হলে, দামও গড়পড়তায় বেশি হবে। পেপারে করা আর্ট-এঁর দাম অন্যান্যগুলোর তুলনায় বেশি হাঁকা হয়।
আমার জন্যে এ এক নতুন ভূবন! যত দিন যাচ্ছে, এই সম্পর্কে আমার জ্ঞানের পরিধি বাড়ছে, ঘটে বুদ্ধি বিস্তৃতি হচ্ছে। চাঁদগাজী ভাই ব্লগে থাকলে হয়তো বলতেন - "আপনার ঘটই নেই, আবার বুদ্ধি আসবে কোথা থেকে!"
সবাই ভালো থাকুন নিরন্তর।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৩৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




