"দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ" প্রিয় নবীজী (সাঃ) বলেছেন। হ্যাঁ, তাইতো দেশকে ভালোবাসি। কিন্তু আমাদের এই প্রিয় দেশ এখন কোথায় গিয়ে ঠেকছে? প্রতিদিন শুধু দুঃখের খবর, খারাপ খবর, মন খারাপ করা খবর। আর কত কাঁদবো। চোখের জল তো শেষ হয়ে গেলো। শুধু একজনের চোখের জল না। কোটি কোটি চোখের জল। চোখের জলের বন্যা বয়ে যাচ্ছে কিন্তু তারপরও আমার প্রিয় দেশের কোনো পরিবর্তন হয় না।
গতকালের দিনটি ছিল কান্নার দিন। তবে আমি কেঁদেছি আজকে। কারণ যতই এধরনের বিষয়বস্তু এড়াতে চাই সেটা ততোই আমার চোখের সামনে চলে আসে। কালকে দেখতে না চাইলেও আজকে সামনে চলে এসেছে।
চট্টগ্রামের ফ্লাইওভারের দুর্ঘটনার শিকার একজন বলেছেন ঘটনার আধা ঘন্টার মধ্যে তার নিশ্চিত জেনেছেন কমপক্ষে ৭০ জন নিহত। এটা আধাঘন্টার পরিসংখ্যান। তাহলে উদ্ধার কাজ সমাপ্ত হওয়ার পর সেটা নিশ্চয়ই বাড়বে বই কমবে না।
আর গার্মেন্টসে অগ্নিকান্ডে নিহতের সংখ্যা বলা হচ্ছে ১১১!!!! হায় আল্লাহ এইটা কেমনে সম্ভব। মাত্র ১১১! আমরা কখনও শুনিনা গার্মেন্টেসের অফিসার লেবেলের কেউ নিহত বা আহত হয়েছে। কারন তারা আগুন লাগলে নিজেরা আগে বের হয়ে যায় তারপর নিরাপত্তা কর্মীদের বলে গেট লাগিয়ে দিতে যাতে মালামাল চুরি না হয়। এদের কাছে মানুষের জীবনের চেয়ে মালামালের মূল্য বেশি। ওই গার্মেন্টসেরই এক কর্মী বলেছেন আগুন লাগার পর নাকি তাদের বের হতে দেয়া হয়নি। কেন দেয়া হয় না? তারা কি চুরি করে নিয়ে যাবে? নিক না। কয় টাকারইবা নিবে। আগুন লাগার সময় মানুষ জীবন বাজাবে নাকি তোদের মত ছোট মন নিয়ে চুরির ধান্ধায় থাকবে? আর তোরা বছরের পর বছর প্রতিদিন ১২-১৪ ঘন্টা কলুর বলদের মত খাটিয়ে মাসে ৩-৫ হাজার টাকা দিস আর নিজের পকেটে, ব্যাংকে বালিশের ভেতরে, বিছানার নিচে শুধু টাকা আর টাকা রাখিস। তোরা আসলে কুত্তার বাচ্চাও না। কারণ কুত্তা কখনো মনিবের সাথে বেঈমানি করে না। তোদেরকে কুত্তা বললে কুত্তাকে অপমান করা হবে।
আগুনে পুড়ে, ভবন বা ফ্লাইওভার ধসে, নদীতে ডুবে, সড়ক দুর্ঘটনায়, জাকাত নিতে গিয়ে পায়ের তলায় পিষ্ট হয়ে শুধু মৃত্যু আর মৃত্যু।
আর রাজনীতিবিদরা আছে ক্ষমতা দখল নিয়ে কামরা কামরি তে। তাদের কথা বলার রুচি পাচ্ছি না। কিন্তু না বললেই নয়। যুদ্ধাপরাধ ইস্যু, জামাত - শিবির নিয়ে শুনতে শুনতে বিরক্ত হয়ে গেছি। আজকের পত্রিকাতেও সরকারী দলের লোকদের এ নিয়ে লেখা দেখেছি। কিন্তু কেউ বলল না যে একটা দিন জাতীয় শোক ঘোষনা করা হোক।
কোনো মুজিব আর জিয়াকে চাই না। শান্তি চাই। আল্লাহ আপনি আমাদের একটু শান্তির ব্যবস্থা করে দিন। এখন মনে পড়ছে মাওলানা ভাসানীর কথা, শের-এ-বাংলা একে ফজলুল হকের কথা। তারা কী আর এই বাংলায় আসবে না। নাকি বাংলার মায়েরা আর তাদের জন্ম দিতে চান না। কারণ তাদের জন্ম দিলেই তো সেসব পাচাটা কুত্তার বাচ্চারা ষড়যন্ত্র করে পরপারে পাঠিয়ে দিবে। কারণ তাদের ম্যাডামরা যদি ক্ষমতায় না থাকে তাদের পকেট ভরবে কিভাবে?
হে বাংলার জনতা এই মৃত্যু শুধু সেসব মানুষের না। এগুলো আমাদের সকলেরই মৃত্যুর মহড়া।
(এতকিছু লেখার পরও মনের ভাষা পুরোপুরি প্রকাশ করতে পারিনি। কারণ আমি নিতান্তই একজন পাঠক, লেখন নই। শুধু আজকের দিনের আমার অনুভূতির কথাটাকে অনলাইন ডাইরির পাতায় লিখে রাখলাম যাতে স্মৃতি থেকে মুছে না যায়।)

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




