উক্ত রাস্তায় মিনিটে ১৫/১৬ রিকশা আসা যাওয়া করে;হয়তো বেল চাপতে চাপতে প্রতিটি রিকশাচালকের আঙুল অসাড় হয়ে যেতে পারে।
দুইটি রিকশা চলাচলে ব্রেক কষতে হয় বারংবার, লেগে যাবার ভয় থাকে; তার মধ্যে রিকশা সাইডে রেখে তাবিজ বিক্রয় করছে ৭০ বছরের বয়স্ক একজন মুরুব্বি; চলেছে রেকর্ডার ক্রমাগত বলে যাচ্ছে ৭/৮ পদের সমস্যা থেকে মুক্তির উপায়। তাবিজ কিনতে গিয়ে ভীড় লেগে গেলো, কেউ গলায় তাবিজ পড়ছে,কেউ হাতে, কেউ নিয়ে যাচ্ছে ব্যাগে বাসায় গিয়ে পড়বে; আশপাশ থেকে অনেকের মেজাজ খারাপ হয়ে গিয়ে রিকশা সরিয়ে নিতে বলছে।মুরব্বি ভ্রুক্ষেপ নেই তেমন।
চা স্টলে কেউ চা খেতে আসলে কুশল বিনিময় করার সময় মিনিটে ৫/১০ বার আল্লাহ উচ্চারণ করে; একজন ফোনে কথা বলতে বলতে অপর প্রান্তে বললো, আমাকে ডাক্তারি শিখাবে না, এন্টিবায়োটিক খেতে বলো, কথা বলার প্যার্টান দেখে মনে হলো এন্টিবায়োটিকে পিএইচডি সম্পন্ন।
আপনি সৌভাগ্যবান হলে দেখবেন, ১০০ মিটার পর পর জটলা,তর্কাতর্কি ; গতকাল দেখলাম কিশোর বয়সী একজন নাকি এক বিবাহিত মহিলাকে ফোনে ডিস্টার্ব করে, সেজন্য মহিলার ছোট ভাই ও বন্ধু সহ ছেলেকে এলোপাথাড়ি চড় থাপ্পর মারছে ফুটপাতে।২-৩ মিনিটের মাথায় ভীড়, সবাই ৪০-৭০ বছরের; একজন এসেই কিছু না বুঝেই শুরুতে বললো " সমাজটা নস্ট হয়ে গেছে"। সবাই মিলে ঝামেলা মীমাংসা করে চলে যাবার সময় একজন আমাকে যেতে যেতে বলে,ভাই বলেন, এই পিচ্চির কোনো দরকার আছে মহিলাকে ডিস্টার্ব করার। শুনে ঘাড় ঘুরিয়ে দেখতে গিয়ে দেখলাম,ছেলেটা রাস্তা পার হবার সময় মাস্ক ছিড়ে আকাশে ছুড়ে মারলো; ভাবলাম, কিশোর গ্যাং এর সদস্য হলে হয়তো ঝামেলা এখানেই মীমাংসা হয়নি।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:১৯