আমরা সবাই জানি, বাংলার মেয়েরা ফুটবলে সাফল্য পেয়েছে, দেশের সবাই খুশি, সালাউদ্দিনও খুশি ; উনি নেপাল যাননি,বিমানবন্দরে যাননি অফিসের চেয়ারে খুশি উদযাপন করেছেন, মিডিয়া কভারেজে আমরা জেনেছি উনি অনেক কথাবার্তা ছেড়েছেন।উনার একমাত্র সাফল্য উনি ঢাকায় মেসির আর্জেন্টিনাকে খেলিয়েছে। শেষ বাশি বাজার পর সময়ে যেতেই দেশের সবাই নড়ে চড়ে বসেছে, কয়েক সেকেন্ডের জন্য হলেও ভেবেছে, দেশের মেয়েরা এটা কি করলো!
সাফল্য এসেছে, অবহেলিত অন্ধকারে থাকা দল আলোতে এসেছে তাই বানের মত টাকা আসছে। কোটি টাকার অর্থ চলে এসেছে, অধিনায়কের আশা পূরণ হয়েছে। যদি অধিনায়ক ছাদখোলা বিমান চাইতো ' তখন ফুটবলের কর্মকর্তাগণ কি চাইতো,কি বলতো?
ফুটবলারদের বেঁড়ে উঠায় বাস্তবতার স্পর্শ পেয়েছে, সংগ্রাম করেছে, টিকে থেকেছে এমনকি এত ভালোভাবে টিকে থেকেছে যে, সাফের প্রতি ম্যাচের রেজাল্টই স্পষ্ট। ওরা ফুটবল খেলেছে, জিতেছে অথচ দেশে এত বড় উম্মাদনা বয়ে গেলো ওরা কেউ পূর্বে কখনো ভাবেনি। এখন ওরা টাকার মুখ দেখবে, সুন্দর জীবন পাবে সুতরাং ননীর পুতুল হয়ে ফুটবলের ফোকাস থেকে না সরলেই হয়।
ছেলেদের ফুটবলে লাস্ট ম্যাচ দেখেছিলাম মালয়েশিয়ার সাথে, খেলা পাঁচ মিনিট দেখার পর প্রেডিক্ট করেছিলাম ৫ গোল খাবে,হজমও করতো ৫টাই গোল পোস্ট বাঁচিয়ে দিয়েছিলো; তার আগে এক ম্যাচ দেখেছিলাম আফগানদের সাথে সম্ভবত,খেলায় শুধু একটা জিনিসই চেয়েছিলাম তা হলো " তোরা ১১ জন মিলে ৬/৭ পাস অন্তত খেল। না ওরা সেটাও পারেনি। কে জানে? সাবিনা আজ দেশে যে ইউরোপীয় ফুটবল কালচার ডুকিয়েছে, জামালরা এজন্মেও এ আবদার করতে পারবে কিনা?
উদযাপন,সম্মেলন, হাসিখুশি নিয়ে যা ছবি চোখে পড়েছে তা দেখে মনে হয়েছে মাঠে খেলেছে বাফুফের কর্মকর্তারা, অনেক কস্টে মাঠ থেকে উঠে এসে সাহেব সেজেছে ; নিজেকে সান্তনা দিয়েছি এই ভেবে যে ছোট দেশ, মানুষ বেশি তাই হয়তো কোচ/ক্যাপ্টেনের জায়গা হয়েছে একটু দূরে, হাতের বাঁ দিকে, যেখানে পৌছাতে ক্যামেরার মোচড় প্রয়োজন। তবে ছবি তোলার এইসব প্যার্টান ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ভালো আভাস দিচ্ছে না।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৫০