
ঢাকায় টুর্নামেন্ট শুরু যখন হয়েছিলো তখন গ্যালারীতে ছিলো শুধু অসহায় হয়ে পড়ে থাকা নীল/সবুজ চেয়ার সমূহ ; আশপাশ থেকে উচু দালানের ছাদ থেকে ছায়া এসে পড়ার সম্ভাবনাও ছিলো না। দর্শকখরায় ক্রিকেট শেষ হতে চললো বোধহয় এমনটা ভেবেছিলো বহু মানুষ,আগ্রহে ভাটা পড়েছিলো চট্রগ্রামের গ্যালারীতেও, তবে তা আশা হয়ে আসে সিলেটের পাহাড়ী টিলায়। কিছু মানুষ এসেছে ব্যাট-বলের যুদ্ধ দেখতে।
আজ ফাইনালে দর্শক উপচেপড়া সবই ঠিক আছে, আনন্দ করেছে, উল্লাস করেছে, ক্যামেরাম্যানের কাজ বেড়ে গিয়েছে আয়নার সামনে বসে ঘন্টার পর ঘন্টা মেকআপ করা সুন্দরীদের ফোকাস করতে। খেলার মাঝে বিসিবি হর্তাকর্তাদের সাথে কথা বলা হয়েছে ; সবার একই সুর "ক্রিকেট উন্নতি করছে,অনেক চড়াই উতরাই পেরিয়ে আয়োজন করেছি, আমাদের পাইপলাইন এত বড় যে ঢাকা থেকে নর্থ আমেরিকায় গিয়ে ঠেকবে।প্রথম দিক থেকে প্লেঅফ পর্যন্ত টুর্নামেন্ট জীবিত রেখেছিলো পাকিস্তানী প্লেয়াররা, পরে যোগ দিয়েছে ক্যারীবিয়ান প্লেয়াররা। ম্যাচের শেষে যা বুঝলাম, যদিও আমার থেকে মাশরাফি ভালো বুঝেছে তা হলো, ক্যারীবিয়ান কেউ পিচে সেট হলে ঐ ম্যাচ বের করা এভারেস্টে উঠার মতই কস্ট যদি ওয়ার্ল্ড ক্লাস বোলার না থাকে।অন্যদিকে মুশফিককে কখনো আমার পছন্দ হতো না,ব্লগে জেনেছিলাম প্লেয়ারদের মধ্যে কেউ কেউ নাকি টাইগার লোগোতে টেপ মেরে নামায আদায় করে, অথচ আমরা কাপড় বানাই এটা আমাদের বড় ব্যবসা, উনাদের কেউ অন্য কাপড় কেনো দিলো না কেউ। এ টূর্নামেন্টে মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পারি, বাংলাদেশ ক্রিকেটে জিনিয়াস দুজন "সাকিব ও মাশরাফি ;যদিও উনারা কেউ এই ট্যাগ নিতে চায় না। একজন অন্যজনকে দিতে চায়।
আপনাদের কি মনে হয়, বিপিএল থেকে প্রাপ্ত কোন প্রোডাক্ট কমপক্ষে এশিয়া কাপ এনে দিতে পারবে? এবার অনেকের নাম বলেছে বিসিবি কর্তারা, উনারা কতটুকু পারবে? নাকি আফগান রশিদ খান বলে কয়ে আউট করতে পারবে ; ইন্ডিয়ান ক্রিকেট সবদিক থেকে সলিড থাকার চেষ্টা করে, ২/৩ ক্যাপ্টেন থাকে, বিভিন্ন জায়গায় টিম পাঠায়, ওদের ইয়ং ট্যালেন্ট সহসাই ডবল সেন্চুরী করতে পারে।তবে আইসিসির টুনার্মেন্টে সফলতাই ধরা দিচ্ছে না।বৃটিশদের ক্রিকেট দেখলে মনে হয়, ক্রিকেট খেলা কত সহজ। পাকিস্তান সবদিক থেকে পিছিয়ে থাকলেও ক্রিকেটে এগিয়ে, যুদ্ধ না হলে বোধহয় সাকিব বাদে পূর্ব পাকিস্তান থেকে কেউ সুযোগ পেতো না।অস্ট্রেলিয়াকে মিরপুরে এনে সিরিজ হারিয়ে আমরা খুশি হয়েছিলাম,তবে অস্ট্রেলিয়া খুশি হয়েছিলো টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে। এই হচ্ছে পার্থক্য, বুঝেছেন? অন্যশের সাথে মাঠে নামলেই বাঙালীদের স্কিল,অভিজ্ঞতা, টেকনিক দূর্বলতা চোখে পড়ে।মনে হয়, আমাদের টাইগার চিড়িয়াখানায় বন্দি তাই হয়তো পারছে না, ছেড়ে দিলে বিশ্বকাপ জিতবে। আদৌ এত বড় পাইপলাইন ফুল/ফুল দিবে? বিশ্বক্রিকেটের শক্তিধররা কেউ কখনো বাংলাদেশকে গোনায় ধরে না,মিডিয়ায় জ্বালায় হয়তো সমীহগিরি দেখায়, যা দেখে বাঙালী খুশি হয়, বাঙালী খুশি করতে আহামরি কিছু করবার দরকার হয়না।।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:০৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




