
দেশব্যাপী পালন করা হচ্ছে মাতৃভাষা দিবস,রাস্ট্রপতিকে ফুল দিতে দেখা গেলো শেষবারের মতন।একুশে বইমেলা ভিড় বেড়েছে, রাস্তাঘাটে কিশোরীকে দেখা গিয়েছে বর্ণমালা খচিত শাড়ীতে।সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্য মনে হয়েছে শিশুদের হাতে ফুল, পতাকা থাকার দৃশ্য। ফুল দিয়ে শ্রদ্ধার পর্বে যারা যায়নি, ছুটি পেয়ে বাসায় আরাম করে নিচ্ছে।জেলখানা থেকেও শহীদ মিনারে ফুল এসেছে দেখলাম।একুশ নিয়ে অনেক কবিতা পড়লাম ব্লগে।
তবে কবিতার জগৎের বাইরে একুশ মানেই ভাষা শহীদদের জন্য নির্মিত পাঠাগার /যাদুঘর অযত্নে, অবহেলায় পড়ে থাকার দৃশ্যপট ;ফুল দেয়া নিয়ে মারামারি ও শহীদ মিনার থেকে ফুল চুরি। ২০১০ সালে জন্ম নেয়া আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট গবেষণায় এক টাকাও ব্যয় করেনি, পরিচালক বলছে জোর দেয়া হচ্ছে।জোর করে অনেক কিছু আদায় করে নিবে এই ইনস্টিটিউট ৫২ সালের মতই।এমনকি জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা করতে এখনই শত শত কোটি খরচ করতে চায় না বাংলাদেশ, এটা কোনো ভাবেই যুক্তিসংগত নয়,বলেছেন পররাষ্ট্র সচিব।
বাসা থেকে বের হয়ে আশপাশ দেখতে গেলাম,সবকিছু চলছে আগের মতন ;তবে কয়েকজনকে দেখলাম " আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো গান নিয়ে "যেমন অবজ্ঞার সুরে কথা বলছে, আমার বিরক্ত লাগলো ; উনাদের মাথায় টুপি ছিলো, একটু পরেই নামাযে যাবে।চা খেতে বসলাম এক দোকানে, হঠাৎ কানে আসলো 'একজন বলছে এবস্যালুট সুখ/দুঃখ মানে জান্নাত, জাহান্নাম, দুনিয়াতে এসব কিছু নেই। ঘাড় ঘুরিয়ে দেখা মাত্রই বুঝলাম ঢাকা ভার্সিটির গুম হয়ে যাওয়া রবীন্দ্রনাথ কথা বলছে,ভেষভুষায় তাই মনে হলো,পাশে একজন রবীন্দ্রসংগীত শুনছে ও নিকোটিনের ধোয়ায় আচ্ছাদিত করে রেখেছে। আমার যখন উনাদের ঠিক সংস্কৃতিমনা মনে হচ্ছিলো, এমন সময় উনি বলে উঠলেন এই গানের শেষে শিরকের কথা আছে , পূজা নিয়ে লিখেছে তো তাই এমনটা করেছে রবীন্দ্রনাথ।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




