পদদলিত হয়ে মৃত্যু নিশ্চই কেউ চায় না, কিন্তু কোনো নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য সাধনের জন্য বহু মানুষ একত্রিত হলে, কিছু বিশৃঙ্খলতা ভয়াবহতায় রুপ নিলেই মৃত্যুর মত ব্যাপার ঘটে যায়।যেমন: গুজব ছড়িয়ে দিলে,নিজের ভাগ বুঝে নিতে তাড়াহুড়ো করলে,প্যানিক পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারলে। বিশৃঙ্খলা মৃত্যুতে রুপ তখনই নেয় যখন মানুষের ভাবনায় নিজকে পরাজিত হিসেবে দেখতে চায় না। আপনারা দেখবেন- ধর্মীয় কোনো অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে নিহতের পরিমাণ, বিভিন্ন কনসার্ট, ও অন্যান্য সামাজিক সম্মেলন থেকে বহ গুণ কম
ইয়েমনে যাকাত নিতে গিয়ে ৮০ জনের বেশি মৃত্যু হয়েছে, ইয়েমেন ঐ এলাকার নিয়ন্ত্রণ ছিলো হুতি বিদ্রোহীদের। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা যাকাত দেবার জন্য মনস্থির করলে, যাকাত দেবার জন্য এলাকার এক স্কুল ঠিক করা হয়।পরিমাণ হচ্ছে ৯ ডলার /বাংলাদেশি টাকায় ১০০০ টাকার একটু বেশি। ৯ ডলার পাবার জন্য ভীড় বাড়তে বাড়তে পরিস্থিতির বাইরে চলে গেলে 'হুতি বিদ্রোহীরা ফাকা গুলি ছেড়েই আসল বিপদ নিয়ে আসে, আতংকে নিজেকে বাঁচাতে পায়ের নিচে মারা পড়ে ৮০ জনের বেশি।ঠিক কতজন ডলার হাতে পেয়েছিলো, জানা যায়নি।
সৌদিতে হজ্ব পালনের সময়েও হাজারের বেশি মানুষ পদদলিত হয়ে নিহতের ঘটনাও আছে। দেশে ২০১৫ সালে যাকাত নিতে গিয়ে ২৫ জন মানুষ পদদলিত হয়ে নিহতের রেকর্ড আছে ; যা মনে হয় এখনো টপকানো যায়নি। গত ৪০ বছরে মাত্র ৩০০ জন মারা গিয়েছে পদদলিত হয়ে যাকাত নিতে গিয়ে।যেখানে ইয়েমনে একদিনেই প্রায়ই ১০০ জন মারা যায়।তাহলে তো বলতে হয়, আমরা যথেষ্ট সুশৃঙ্খল, নাকি ফ্যাক্ট অন্য জায়গায়?
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:৫৩