জুল ভার্নের লেখার ভক্ত অনেকেই আছেন ব্লগে, গতকালও একজন উনাকে নিয়ে লিখেছেন।উনি অনেক কিছু নিয়েই লিখতেন ' নিজের ভাবনা ও আশাপাশের ধার করা ভাবনার সংস্করণও থাকতো। উনার লেখা পড়লে অজানা কিছু জানা যেতো। যেমন- চন্ডীদাস /রজকীনি প্রেমোপাখ্যান এ বাংলার বরিশালেরই ঘটনা, পুরোহিত বড়শী পানিতে ফেলে রেখেই ঘটনার জন্ম দিয়েছিলো,উনি এই পোস্ট লিখে সবাইকে তা জানাতে পেরেছিলেন ব্যাপারটা।তাছাড়া উনি ছিলেন সবসময় পজিটিভ ফিডব্যাকার, সবার পোস্ট পড়ার হয়তো চেষ্টা করতেন, কমেন্ট থাকতো; মনে হতো হিমালয়ের পাদদেশে ধ্যান করা বুদ্ধ, কোনো রাগ/অভিমান থাকতে পারে না।
উনি বিদায় নিয়ে, ব্লগের পরিবেশ নিজের দখলে নিয়েছিলো নিজের অজান্তেই;সবাই নিজস্ব কমিটি গঠন করে কারণ অনুসন্ধান করেছে। কোর্টে মামলা তুলে বিচার করতে চেয়েছে, কিন্তু বিচার হয়তো ঝুলে আছে। যাদের সাথে উনার পরিচয় আছে, যোগাযোগের মাধ্যম আছে উনারা চেষ্টা করছে যেন উনি ফিরে। আমিও চাই উনি ফিরুক,বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষ কিসে সময় ব্যয় করে এখন? আজ যদি ঢাকার এক গলিতে উনাকে ছিনতাইকারী এট্যাক করে, এবং নিজস্ব বুদ্ধিমত্তায় যদি বেঁচে ফিরে, ঐ ঘটনা লিখে প্রকাশ করার প্লাটফর্ম আছে উনার এখন?
আপনারা যারা উনার ঘনিষ্ঠ, উনাকে সঠিক ভাবে বুঝতে পারেন উনাকে বলবেন ব্লগে রেখে যাওয়া উনার পদচিহ্ন নিশ্চিহ্ন হবার আগেই যেন ফিরে আসে। উনি চাঁদে পদচিহ্ন রাখেননি যে কখনো মুছে যাবে না, উনি রবীন্দ্রনাথের ফটিকও নয়, বা নুরু সাহেবের অবন্থায়ও যাননি যে ফিরতে পারবেন না। ফিরতে বলুন, এসে যেন প্রথম পোস্টেই লিখে যে : কেন চলে গিয়েছিলাম? কেন ফিরে এসেছি।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:৪১