মানুষ সবুজের সাথে বেড়ে উঠেছিলো, হোক সেটা আদম হাওয়ার গল্পের প্লটে বা ডারইউনের বির্বতনবাদে।অভ্যস্ততার কারনে মানুষে আশেপাশে সবুজ রাখতে চায়, দেখতে চায়, সবুজ নষ্ট রোধ করতে ব্যবস্থাও নিতে চায়।শুধু দেশ নয় বিশ্বব্যাপী সবুজ বিলুপ্ত হচ্ছে।তৈরী পোশাক কারখানার অভিজ্ঞতা আছে আপনাদের? যদি থাকে তাহলে কি সবুজ কারখানার অভিজ্ঞতা আছে?
আমেরিকার গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল বিভিন্ন মানদন্ডে (কার্বন নিঃসরণ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ব্যবহার সীমিতকরণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, কারখানার অভ্যন্তরের পরিবেশ উন্নত) বিভিন্ন ট্যাগ জুড়ে দিয়ে কারখানাকে রেটিং দেয় ; যেমন- প্লাটিনাম,গোল্ড। দেশে নাকি এখন সবুজ কারখানার সংখ্যা ২০০। তবে দেশে মোট কারখানার সংখ্যা ২৫০০-৩০০০ হবে সর্বসাকুল্যে। ২০০ সবুজ কারখানা পরিবেশকে স্বাস্থ্যকর কতটা রাখবে, কারণ অন্যদিকে যেখানে ২০০০ কারখানা পরিবেশের বিপক্ষে কাজ করছে। কিছুদিন আগে দেখলাম ইপিজেডের বিভিন্ন কারখানায় জরিমানা করা হয়েছে,সাভারে আমি একবার ব্রীজের উপর দাড়িয়ে দেখেছি কয়েকমিনিট কীভাবে বর্জ্য পানির সাথে মিশে পানি কালো বানিয়ে দিচ্ছে,যা কারখানায় কাজ করা ৯৫ ভাগ ভাবে না,৫ ভাগ ভাবে যারা ইটিপি প্লান্টে আছে। শুধুমাত্র ২০০ সবুজ কারখানার শতভাগ ভাবে মনে হয়,নাকি?
কারখানার ভেতরের কর্মপরিবেশ পলিটিক্স, অসদাচরণ, গালিগালাজ, ক্ষমতার শোঅফ,যৌনতার গন্ডিতে আটকে আছে। যা পরিবর্তিত হবার সুযোগ নেই,কালচারে পরিণত হয়েছে। একবার এক ফ্যাক্টরির পিকনিকে একজন হিন্দুটেবিলে বসে কেন খাবার খেলো, সে নিয়ে পরদিন বেহাল দশা : সবাই একজোট হয়ে পারে না 'যীশুর মত ক্রুসে ঝুলায়। কারখানার মানুষগুলো কোনো বিষয়ে স্পেশাল দক্ষ নয় ; যার ফলে ক্যাচাল লেগেই আছে।যা যেভাবে চলছে, সেভাবেই চলতে দেয়া উচিত -এমন ভাবনাই চলছে অর্ডার,প্যাকেজিং, জাহাজে উঠানো,রিজার্ভ বেড়ে যাওয়া,মিডিয়ার মুখোরোচক উপস্থাপন।