কবিতার নিশাচর।রাতের নৈঃশব্দে চরাচরে আসে তারা। ঘুমের চাদরে ঢাকা জনপদে ঘুরে বেড়ায় তারা একান্ত সঙ্গোপনে। আবেশী ঘুমের মখমলে মোড়া জনপদে তবু কিছু নিভৃতচারী মানুষ প্রতীক্ষার প্রহর গোনে নিশুতি রাতের কবিতাদের জন্য। কবিতারা তাদের মায়াবী ডানা গুটিয়ে আশ্রয় নেয় কবিদের হৃদয়-কাননে। এমনি এক অনির্ণয়- ঘারনার স্বল্প বিতর্কাহত কবির বাণীবিহঙ্গ-
নৈঃশব্দ্যকে বলি
আমি দিনকে জ্ঞান বলি। রাতকে প্রেম।
কোলাহলকে প্রয়োজন। আর কবিতা নৈঃশব্দ্যকে।
দহনের নাম বুঝি ভালোবাসা
প্রাপ্তির আসল নাম প্রতারনা নাকি
যন্ত্রস্রোত বেয়ে নামে নাগরিক নিশ্বাসের ধোঁয়া
ধাতব সভ্যতার পায়ে পিষ্ট হয় তৃণগুল্মরাজি।
ধানের ক্ষেতের চিহ্ন মুছে যায়
জাগে কালো রাজপথ বহুতলবিশিষ্ট ভবন
শ্রুতি হন্তারক শব্দে শুরু হয় খনন ক্ষরণ
রক্তিত সময়ে তবে কবিতার কিবা প্রয়োজন?
অনেক গভীর রাতে হঠাৎ কখনো যদি জাগি
যখন চলেনা কোন আন্তজেলা ট্রাকের বহর
নিশাচর পুলিশের পদশব্দ, কুকুরের ডাক
গলির কলের কাছে শূণ্যতারা ঘেরাফেরা করে
মনে হয় নিস্তব্ধতা হ’য়ে যাবে এখনই কবিতা-
সামান্য সময় বাকী, ভোরের বিলম্ব আর নেই
গলা খাঁকরায় বাস-ফার্মগেট শ্যামলী শ্যামলী
রেলগেটে হুইসেল, গলির কাছে কাশি
প্রত্যুষ প্রার্থত নয়- এরকম বলে নাকি কেউ
প্রেমপন্থি কবি ছাড়া কোলাহলে ঝ’রে পড়ে যারা।
প্রয়োজনীয় আয়োজন সময়ের পুরো দেহে প্রায়
নৈঃশব্দ্যের রাতটুকু বড় বেশী অপ্রতুল দাহ।
আমি তাই দিনকে জ্ঞান বলি- কান্ডজ্ঞান
প্র্রেম বলি রাতকেই- নৈঃশব্দ্যকে কবিতার প্রাণ।
(বিশ্বাসের বৃষ্টিচিহ্ন)
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:৩০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




