somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অপেক্ষা (৯ম পর্ব)

২৭ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আড্ডাটা জমে উঠেছিলো ভালোই। পঁচিশ-ত্রিশ জন মানুষের উপস্থিতি, তারাও নানা বর্ণের, নানা পথের যাত্রী। কেউ ডাক্তার, কেউ ইঞ্জিনিয়ার, কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, কেউবা কবিতা লেখে, আবার কেউ ভবঘুরে। দশ-বারোজন মেয়ে—তারা কেউ লালনের গান গায়, কেউ চোখ মেলে শুধু শোনে। এত স্তরের মানুষের সমাগম লালনের একটি আড্ডায়—এমনটা আমি ভাবিনি কখনো।

আমার মনে হচ্ছিলো, সাধুরা সত্যিই আলাদা এক জগতে বাস করে। ওদের কাছে মানুষ তার পরিচয়ে ধরা পড়ে না, ধরা পড়ে আত্মায়। কে ধনী, কে গরিব, কে কোন পাড়ার সেটা যেন মুছে যায়—সবার মাঝখানে শুধু এক অনুভূতি: প্রশান্তি। অথচ দেখলাম নানান শ্রেণী পেশার মানুষ লালনের ভক্ত রয়েছে। একেবারে উচ্চশ্রেণির ধনী থেকে রাস্তার ভবঘুরে পর্যন্ত সব শ্রেণীর লোক লালনকে ধারন করে। বনানী-ধানমন্ডির শিক্ষিত উচ্চবিত্ত থেকে গ্রামের পথে প্রান্তরের লোক পর্যন্ত রয়েছে।

আড্ডার একপর্যায়ে কয়েকজন লালনের জীবন ও দর্শন নিয়ে কথা বললো। খুব গাঢ় ও সহজভাবে বলছিলো যেন তারা নিজের চোখে লালনকে দেখেছে। মাঝে মাঝে কেউ কেউ গান ধরছিলো—“সত্য বল সোনা রে, মনরে…”

ঘরটায় এক ধরনের প্রশান্ত, ধোঁয়াটে পরিবেশ তৈরি হচ্ছিলো। চা-নাস্তার পর্ব শেষ হলো রাত দশটার দিকে। বেশিরভাগ মানুষ তখন উঠে গেলো। কেবল আমির ভাইয়ের সঙ্গে আমরা ছয়-সাতজন রয়ে গেলাম। গোল হয়ে বসলাম। কেউ সিগারেট ধরালো, কেউ পান চিবোতে চিবোতে গল্প করতে লাগলো। আমি চুপচাপ সিগারেট জ্বালালাম, ধোঁয়াটুকু আকাশে ছুঁড়ে দিয়ে ওদের কথা শুনছিলাম। মাথার মধ্যে কেমন একটা ঘোর লাগা ভাব। যেন আমি কোনো সাদা কাপড়ে মোড়া ধ্যানঘরে বসে আছি।

যে বাসায় আড্ডা হলো তার মালিক আহসান কামাল—বিরাট রাজনৈতিক প্রভাবশালী মানুষ। আমির ভাই আমাকে তার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলেন। অবাক হয়ে দেখলাম, এমন একজন মানুষ কী শান্ত, কী বিনয়ী। রাজনীতির লোকদের আমি এতদিন কেবল চিৎকার করতে দেখেছি, কিন্তু কামাল সাহেব মৃদুভাষী, গভীর তাকানো। তিনি যেন কথা কম বলেন, অনুভব বেশি করেন।

কিছুক্ষণ পর ভেতর ঘর থেকে একটি কাঠের গোল বক্স এলো। কামাল সাহেব নিজেই সেটি খুললেন। ভিতরে ছিলো কিছু তামাকের পাইপ, চুরুট, আর হাতে তৈরি কয়েকটা তামাক বল। তিনি একটাকে প্রসেস করে নিজের হাতে আগুন জ্বালালেন। ঘরে ধোঁয়ার গন্ধ ছড়িয়ে পড়লো—আদিম, মাটির গন্ধময় ধোঁয়া। কারও কারও মুখে এক ধরনের আরাম ফুটে উঠলো, কেউ চোখ বুজে ফেললো, কেউ কেবল তাকিয়ে থাকলো আগুনের দিকে।

আমি সেই আগুনের দিকে তাকিয়ে ভাবছিলাম—মানুষ এত ভিন্ন, এত বিচিত্র, তবু আত্মার একটা সুরে বাঁধা। শহরের বনানী বা ধানমণ্ডির উচ্চতলায় বসে থেকেও মানুষ যদি লালনের প্রেমে পড়ে, তবে বোঝাই যায়—এই প্রেমটা দেহের নয়, ঠিকই আত্মার।

সেই রাতে বুঝেছিলাম, আড্ডা ছিলো না আসলে—ছিলো এক ধরনের তপস্যা। আমিও একসময় সেই বৃত্তের অংশ হয়ে গেলাম। কামাল সাহেব তামাক-ভরা চুরুটটা আমার দিকে বাড়িয়ে দিলেন, মৃদু হেসে বললেন,
— "নাও, একবার টেনে দেখো। ভয় নেই, এটা কেবল শরীরকে নয়, মনকে শান্ত করে।"

সত্যি বলতে, কিছুটা দ্বিধা ছিলো। কিন্তু তখনকার পরিবেশ, আলো-আঁধারিতে ভেসে থাকা মুখগুলো, ধোঁয়ার মধ্যকার নিঃশব্দতা—সবকিছু যেন আমায় আহ্বান করছিলো। আমি কয়েক টান দিলাম। ধোঁয়া বুকের ভেতর দিয়ে উঠতে লাগলো মাথার দিকে, যেন শরীরটা হালকা হয়ে যাচ্ছে। শব্দগুলো অস্পষ্ট লাগছিলো, মানুষের মুখগুলোও একটু ঝাপসা, কিন্তু মনটা কেমন পরিষ্কার। মুহূর্তেই অনুভব করলাম—আমি আর এই শহরে নেই। মনে হচ্ছিলো, কোনো নদীর পাড়ে বসে আছি, আকাশে রাঙা সন্ধ্যা, দূরে কোথাও বাউল গান বাজছে। আমি সেদিকে হাঁটছি, চেনা-অচেনা মুখ পেরিয়ে একটা অদ্ভুত আলোয় ভেসে যাচ্ছি।

আমি সেই আড্ডায় শরীর নিয়ে ছিলাম, কিন্তু মনটা যেন ভেসে গিয়েছিলো অন্য কোথাও। সময় থেমে গিয়েছিলো। চিন্তা আর বোধ মিলেমিশে একটা দোলাচলের মাঝে ডুবে গিয়েছিলাম আমি। একসময় বুঝতে পারলাম, এই ধোঁয়া কেবল নেশা নয়—এ এক দরজা। বাইরের নয়, ভেতরের দিকে খোলা এক দরজা। যে দরজা দিয়ে ঢুকলে মানুষ নিজেকে দেখতে পারে অন্য আলোয়। আমার পাশেই আমির ভাই বসেছিলেন, হালকা হেসে আমার দিকে তাকালেন। হয়তো বুঝতে পেরেছেন আমার চোখে নতুন কোনো পৃথিবীর ছায়া পড়েছে।

রাত বারোটার পরে আমরা ধীরে ধীরে উঠলাম। কামাল সাহেব সবার সাথে হাত মিলালেন, বিদায়ের আগে একরকম মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললেন,
— “মানুষ যখন নিজের ভিতরের জগৎকে জানতে চায়, তখনই মুক্তির পথ শুরু হয়।”

সেই কথা আমার ভেতরে যেন ঢুকে বসে রইলো। ঘরের বাইরে বের হতেই ঠাণ্ডা হাওয়া মুখে এসে লাগলো। ধোঁয়ামোড়া পরিবেশ থেকে হঠাৎ খোলা আকাশের নিচে আসায় কেমন একটা হালকা মাথাঘোরা ভাব।
আমার নেশা তখনও পুরোপুরি কাটেনি। সবকিছু যেন একটু ধোঁয়াটে, আলো-ছায়ার খেলা। আমির ভাই আমার কাঁধে হাত রাখলেন,
— “চল, তোকে বাসায় নামিয়ে দিই।”

গাড়িতে বসে আমি জানালার বাইরে তাকিয়ে ছিলাম—শাহবাগের আলো পেছনে পড়ে রইলো, রাস্তার ফাঁকা পথে রাতের ঢাকাকে মনে হচ্ছিলো এক ঘুমন্ত শহর। কেবল আমার ভেতরের শহরটা জেগে ছিলো, এলোমেলো ভাবনায়, দোলাচলে।
আমির ভাই কোনো কথা বলছিলেন না। শুধু গাড়ির মধ্যে হালকা লালনগীতি বাজছিলো—বোধহয় তার মোবাইল থেকে, কিংবা আমার কানে বাজছিলো, ঠিক বলতে পারছি না।

কিছু সময় পর গাড়ি মগবাজারে পৌঁছালো। বাসার নিচে এসে থামলেন তিনি। আমি দরজা খুলে নামতে যাবো, হঠাৎ মনে হলো—এই রাত, এই অনুভব, এই আড্ডা... সবকিছু আমার জীবনের খুব গোপন কোনো ঘরে জমা হয়ে যাচ্ছে। আমির ভাই বললেন,
— “ভালো ঘুম দিস। কাল কথা বলবো।”

আমি মাথা নেড়ে সাড়া দিলাম, কিন্তু কিছু বললাম না। আমার ভাষা তখন হারিয়ে গিয়েছিলো সেই ধোঁয়ার ভিতর। ধীরে ধীরে সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠতে লাগলাম। মনে হচ্ছিলো, আমি উঠছি না—আমি ডুবছি। এক গভীর চুপচাপ নদীতে, যার তলায় শান্ত কোন অদৃশ্য গান বাজছে...

রুমে ঢুকেই বিছানায় এসে ঝিম মেরে বসে রইলাম। চোখে ঝিকমিক আলো দেখছি, কিছুটা অন্ধকার আবার কিছুটা আলো ফুটে উঠে। অজান্তাকে হারিয়ে আজকে আমি যে পথে চলেছি তা বড় অনিশ্চিত পথ। বাবার সাজানো বিলাসী জীবন ছেড়ে এই যে একাকিত্বের পথ বেছে নিয়েছি তাতে নিজের মুক্তি কই পেলাম। অজান্তার জন্য বুক ফেটে কান্না আসে কিন্তু আমি একদিনও সেই বুক ফাটা কান্নাটা কাঁদতে পারিনি। মনে হয় ওকে পেলে আমার জীবনটা বদলে যেতো, স্বার্থক হতো। নিজের এই যে অনুভূতি সেটাও কাউকে বলতে পারিনি আজও, এমনকি অজান্তাকেও না।

চোখ মেলে সামনে তাকিয়ে দেখি হঠাৎ আবছা আলোয় অজান্তা দাঁড়িয়ে আছে। সে আমার পাশে বসে আমার হাতটি ধরে বলে;
— কেন এত ডাকছো? এলোমেলো জীবনটা অনেক কষ্টে গুছিয়েছি, আমাকে ছন্নছাড়া করে কি পাবে? আমাকে আর কষ্ট দিও না প্লিজ। তোমার থেকে বের হতে দাও।

অজান্তার গলায় অভিযোগের সুর, চোখে অশ্রু টলমল করছে, চেহারায় ক্লান্তির ছাপ। মনে হচ্ছে অনেকদিন সে নিজের সাথে যুদ্ধ করতে করতে ক্লান্ত। এখন সে মুক্তি চাইছে, আমার থেকে বের হতে চাইছে চিরতরে। কিন্তু আমি তো তাকে আটকাইনি। তার সাথে যোগাযোগ হয়নি বেশ কয়েক বছর, দেখা হয়নি, কথা হয়নি। আমি তো তাকে মুক্তি দিয়ে দিয়েছি। শুধু মনে লালন করে রেখেছি তার ভালোবাসাটা। তাকে হারাতে দেইনি আমার জীবন থেকে। এটা তাকে কিভাবে ছন্নছাড়া করছে? আমি তো তাকে জ্বালানো ছেড়ে দিয়েছি অনেক আগেই। এক পৃথিবী অভিমান আর অভিযোগ থাকার পরেও নিজের ঘাড়ে সব দায় নিয়ে তাকে মুক্তি দিয়েছি। এখনো তাহলে কেন আমাকে অভিযোগ শুনতে হচ্ছে?

প্রেমিকদের অভিযোগ থাকতে নেই, সব অভিযোগ প্রেমিকার হৃদয়ে জমা থাকে। আমার কষ্ট, আমার হতাশা কেউ তো দেখছে না। এই যে আমি এক ছন্নছাড়া জীবন বেছে নিয়েছি সেটাও তো অজান্তাকে ভালোবেসে। সে-তো ঠিকই স্বামী সংসার নিয়ে আমেরিকায় আরামের জীবন কাটাচ্ছে, নিজের জীবন গুছিয়ে নিয়েছে। তবুও আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ কেন? এই পৃথিবীতে আমি শুধু হারাতেই থাকবো? বাদই দিতে থাকবো? হারানো স্মৃতিগুলো নিয়ে নিজের মত বাঁচতেও পারবো না!

আমি অজান্তার হাত ছাড়িয়ে উঠে দাঁড়িয়ে বললাম;
— মুক্তিতো সেই কবেই দিয়ে দিয়েছি তোমাকে, আর কি মুক্তি চাও? আমার থেকে বের হওয়ার রাস্তাটাও...আমায় শিখিয়ে দিতে হবে?

অজান্তা বসে থেকে মাথা উঁচু করে উত্তর দিলো;
— আমাকে তো তুমি কেবল ভালোবাসতেই শিখিয়েছো। কিভাবে ভুলে যেতে হয় তাতো শেখাও নি। তোমার শেখানো প্রেম-ভালোবাসা কিভাবে মুছে ফেলতে হবে তাও শেখাও নি, এবার শিখিয়ে দাও প্লিজ।

— আমি তো কেবল তোমাকে মনে রেখেছি, বন্ধী করে রাখিনি, মুক্তি দিয়ে দিয়েছি।

— হ্যাঁ, মুক্তি তুমি ঠিকই দিয়েছিলে কিন্তু আমি কি মুক্তি পেয়েছি? যে আগুনে তুমি জ্বলেপুড়ে মরছো সেই একই আগুনে তো আমিও জ্বলছি। তুমি বলো...আমি সংসার গুছিয়ে নিয়েছি, হ্যাঁ-হয়তো নিয়েছি, কিন্তু নিজের ভেতরটা যে কতটা ছিন্নভিন্ন তা কে দেখে?

আমি এবার একটু নরম হয়ে অজান্তার দিকে মুখ ঘুরিয়ে দাঁড়াই। অজান্তার চোখের জল গড়িয়ে গড়িয়ে পড়ছে। আমার ভেতরটা ভেঙে যাচ্ছিলো। আমি মাথা নিচু করে বললাম;
— কিভাবে ভুলে যেতে হয় তা আমিও যে জানিনা অজান্তা। যদি তা জানা থাকতো...সবার আগে নিজেই তোমাকে ভুলে যেতাম। এভাবে প্রতিটা দিন, প্রতিটা মিনিট তোমাকে ভেবে ছারখার হয়ে যেতাম না।

অজান্তা এবার ফুঁফিয়ে ফুঁফিয়ে কাঁদলো;
— কেন এমন হলো অমিত। দুজন যখন দু'পারে এভাবে যন্ত্রনার জীবন কাটাবো তবে আমরা আলাদা কেন হলাম? কেন আমরা এভাবে তিল তিল করে শেষ হয়ে যাচ্ছি।

অজান্তা তার মাথাটা আমার কোমরের কাছে এনে জড়িয়ে ধরে শব্দ করে কেঁদেই যাচ্ছে। ওর এই প্রশ্নের উত্তর আমার কাছে নেই। আমি নিজে সিদ্ধান্ত নিয়ে আলাদা হয়েছি। অজান্তা চায়নি আমরা আলাদা হই, এর দায়ভার সম্পুর্ন আমার। নিজের এই সিদ্ধান্তের প্রায়শ্চিত্ত আমাকে আমৃত্যু করতে হবে। আমি খুব ভেবেচিন্তে আমার নিজ হাতে ভালোবাসার কোরবানি দিয়েছি।

আমি নিজের হাত মুষ্টিবদ্ধ করে শক্ত গলায় বললাম;
— আমার থেকে বের হতে চাও তো.... ওকে যাও, আমি সেই ব্যবস্থা করবো। তোমার গোছানো জীবন তুমি আরো গুছিয়ে রাখো, আপন মনের মত করে সাজাও। আমি তোমাকে আর ডাকবো না, মনে করবো না। আমার আত্মার যে ভালোবাসা তাকে কিভাবে বেঁধে রাখতে পারবো জানিনা তবে তোমাকে খুঁজে বেড়াবো না, যাও৷

— আর...আমি? আমি কিভাবে তোমাকে ভুলবো অমিত?

— ঘৃণায় আর অসম্মানে! কাউকে ঘৃণা আর অসম্মান করলেই কেবল তার প্রতি ভালোবাসা কমানো যায়।

— সেটা তো আমার পক্ষে সম্ভব না। যে তোমাকে আমি সবচেয়ে শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার আসনে বসিয়েছি তাকে কিভাবে ঘৃণা আর অসম্মান করি? তুমি তো আমার সাথে এরকম কিছু কখনো করো নাই যার জন্য তোমার প্রতি আমার বিন্দুমাত্র অসম্মান আসবে।

— আমি সে ব্যবস্থাই সামনে করবো। তুমি এখন যাও, আমার একা থাকতে ইচ্ছে করছে।

অজান্তা আমার কোমর শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বসে আছে। তার চোখের জলে আমার টি-শার্ট ভিজে গেছে। আমি শক্ত পাথরের মত দাঁড়িয়ে আছি সেই শেষদিনের মত। যেদিন আমি অজান্তাকে শেষবারের মত বিদায় জানিয়ে এসেছি।

মানুষের জীবনে চক্রের মত কিছু ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে। এটাও অনেকটা সেরকম, অজান্তা আমার জীবনের সবকিছুতে যত্ন করে জমে আছে। আমি কিভাবে তাকে আমার জীবন থেকে বের করবো সেই উত্তর এখনো জানিনা।

অজান্তা আমেরিকায় কেমন আছে, কিভাবে আছে তাও জানিনা। ওর সাথে আমার সরাসরি যোগাযোগ নেই তিন বছর। এই তিন বছরে সে একটিবারও আমার সাথে কথা বলেনি, ফোন করেনি। কিন্তু কেন? এমন তো হওয়ার কথা না। এর উত্তর দিতে পারবে একমাত্র ফকির আবদুল হাই সাহেব। উনি আর মাত্র একমাস পরে আসবেন। তার সাথে আমার মুখোমুখি হলে অনেক প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে।

(অপেক্ষা- ৯ম পর্ব © শামীম মোহাম্মদ মাসুদ)



সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৩
৩টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

Grameen Phone স্পষ্ট ভাবেই ভারত প্রেমী হয়ে উঠেছে

লিখেছেন অপলক , ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯



গত কয়েক মাসে GP বহু বাংলাদেশী অভিজ্ঞ কর্মীদের ছাটায় করেছে। GP র মেইন ব্রাঞ্চে প্রায় ১১৮০জন কর্মচারী আছেন যার ভেতরে ৭১৯ জন ভারতীয়। বলা যায়, GP এখন পুরোদস্তুর ভারতীয়।

কারনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কম্বলটা যেনো উষ্ণ হায়

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭


এখন কবিতার সময় কঠিন মুহূর্ত-
এতো কবিতা এসে ছুঁয়ে যায় যায় ভাব
তবু কবির অনুরাগ বড়- কঠিন চোখ;
কলম খাতাতে আলিঙ্গন শোকাহত-
জল শূন্য উঠন বরাবর স্মৃতির রাস্তায়
বাঁধ ভেঙ্গে হেসে ওঠে, আলোকিত সূর্য;
অথচ শীতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×