ড. জাকির নায়েকের লেকচারগুলো শোনার আগ পর্যন্ত ইসলাম ধর্মটাই ভালোভাবে বুঝতাম না।
ছোটবেলা থেকে বাপ দাদার আমলের নিয়ম অনুযায়ী ধর্মকে মেনে আসছি। ধর্মের নামে গ্রামগঞ্জে প্রচলিত নানান কুসংস্কারকে সত্য হিসেবে জেনে বিশ্বাস করেছি।
ওয়াজ মাহফিলগুলোতেও কত বানোয়াট অলৌকিক ঘটনা শুনেছি তার ইয়ত্তা নেই।
যুগ পাল্টেছে। প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় মানুষ অনেক কিছুই শিখেছে, শিখছে। সত্যমিথ্যা যাচাই করার সুযোগ তৈরী হয়েছে। মাহফিলের হুজুরদের এসব পৌরাণিক ঘটনা এখন আর বলতে দেখা যায়না সাধারণত।
২০০৭ সালে দুবাইতে জাকির নায়েকের নামটি প্রথম শুনেছিলাম।
ড. জাকির নায়েকের লেকচারগুলোর ভিডিও দেখার সময়ে এই উপমহাদেশে জন্ম নেয়া আরও একজন মুসলিম স্কলার আহমাদ দিদাতকে চিনেছি। ইউরোপ আমেরিকার দেশগুলো থেকে ধারণকৃত তাঁর মূল্যবান লেকচারগুলোও শুনেছি।
ইসলাম এবং অন্যান্য ধর্মগুলোর মধ্যকার পার্থক্য জেনেছি। পৃথিবীর বাঘা বাঘা ধর্ম বিশারদদের কাবু করে দিয়েছিলেন এই দুই মহান মনীষী। ড. আহমাদ দিদাত এর ছাত্র ছিলেন জাকির নায়েক, এই বিষয়টা অনেকেই হয়তো ঠিকভাবে জানেন না।
অতপর ধীরে ধীরে আব্দুর রাহীম গ্রিন, বেলাল ফিলিপ্স, খালিদ ইয়াসিনসহ বিশ্বসেরা ইসলামী লেকচারারদের চিনেছি। আল কুরআনের সত্যতার পক্ষে গোটা পৃথিবীর সমস্ত ধর্মকে যাঁরা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন।
তাঁদের দূরদর্শী জ্ঞান আর সাবলীল উপস্থাপনায় মুগ্ধ হয়ে হাজার হাজার নন মুসলিম মহিমান্বিত ইসলাম ধর্মের ছায়াতলে এসে জড়ো হয়েছে।
ড. জাকির নায়েক সারাবিশ্বের সকল ধর্মপ্রাণ মানুষের কাছে সম্মানিত এবং সমাদৃত একজন মুসলিম মনীষী।
ভারতের এনডিটিভি লাখনৌতে একজন প্রখ্যাত মাওলানার সামনে জাকির নায়েকের কয়েকটি কাটপিস ভিডিও দেখানোর পর তিনি এটাকে মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে সঙ্গে সঙ্গে জাকির নায়েককে অমুসলিম ঘোষনা দিয়ে বসেন। ষড়যন্ত্রের বীজবপন হয়েছিল সেখান থেকেই। এরপর এনডিটিভির আর পেছনে তাকাতে হয়নি। দেওবন্দ মাদ্রাসার কয়েকজন আলেমকে একই ধাঁচে বোকা বানিয়ে জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেয়া হয়। শুরু হয় নায়েক বিরোধী আন্দোলন। শিক্ষার্থীদের মধ্যে আধুনিকতার বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে এজন্য কওমি মাদ্রাসাগুলোতে প্রযুক্তির ছোঁয়া লাগতে দেয়া হয়না।
অপ্রিয় হলেও সত্য, মাদ্রাসায় ছাত্র শিক্ষকদের ইনকিলাব ব্যতীত অন্য পত্রিকা পড়া নিষিদ্ধ।
একদিকে নিজ দেশের উগ্রবাদী হিন্দুদের বিদ্রোহ, অন্যদিকে স্বীয় ধর্মের লোকদের বৈরী সমালোচনায় পর্যুদস্ত হয়ে পড়েন ড. নায়েক। ধর্মদ্বেষী নাস্তিকরা হাত তালি দিলো। যাদের পাকা ধানে মই মাড়িয়েছিলেন তিনি। এতোদিন তারা ষড়যন্ত্রের নানান জাল বুনেও বিচক্ষণ জাকির নায়েককে পরাজিত করতে পারেনি।
ভারতের সাথে সারা বিশ্বের নন মুসলিম দেশগুলোতে পিস টিভির সম্প্রচার বন্ধ করা হয়। জাকির নায়েক হেরে গেলেন নিজের মানুষদের কাছেই। যাদের পক্ষ হয়ে তিনি লড়েছিলেন গোটা পৃথিবীর তাগুত শক্তির বিরুদ্ধে। এমনকি তাঁকে কাফের ঘোষনা দেয়া হয়েছিলো একদল মুসলমানের পক্ষ থেকেই!
সেই তুলনায় মিজানুর রহমান আজহারীকেতো কিছুই করা হয়নি। জাকির নায়েকের জ্ঞানের সিঁড়ির একশো ধাপের এক ধাপ এখনও পার হতে পারেননি মাওলানা আজহারী। থোড়ামোড়া সমালোচনা, টিটকারি বিটকারি সহ্য করে নিতেই হবে। কুসংস্কারে আচ্ছন্ন একটি সমাজ একদিনে আলোকিত করা যায়না।