somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাড়িওয়ালির অশরীরি মেয়ে-(৪র্থ পর্ব)

১১ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



চিলেকোঠার ছাদে আরো দুই বন্ধু সহ আড্ডা দিচ্ছে শানু । কালকে উইকএন্ড, খবর দিয়ে দুই বন্ধুকে সাথে করে নিয়ে এসেছে। শানুর বাসা দেখেত ওদের মাথা খারাপ । এত পুরা ব্যাচেলর লাইফের জন্য স্বর্গ সমতুল্য । এত সুন্দর বাসা পাওয়া আসলে কপালের ব্যাপার- তারা ঘোষনা করল । শানুকে তারা পরামর্শ দিতে লাগল কখনোই এমন কিছু করিসনা যাতে তোর এই বাসা ছাড়া লাগে ।
রাত প্রায় বারটা বেজে গেছে তখন । পূব আকাশের অসাধারন সুন্দর একাদশী চাঁদ ততক্ষনে মাঝ আকাশে চলে এসেছে । চাঁদের এই রুপ দেখে তিন বন্ধুর পুরোনো এক ঘটনা মনে পড়ে গেল ।

স্টুডেন্ট লাইফের ঘটনা । তিন বন্ধু আড্ডা দিচ্ছিল মহাখালী মোড়ে বসে । সন্ধ্যার কিছু সময় পর হবে , তখন পূব আকশে হঠাত করে তাদের চোখে পড়ল বিশাল চাঁদ , হালকা লাল আভা তার গায়ে । কি মায়াকাড়া চাঁদ, ইচ্ছে হচ্ছিল যদি একে ছুয়ে দেখা যেত । হঠাত শানু বলে উঠছিল ইশ যদি বিলের মাঝখনে নৌকায় বসে এই চাঁদ টাকে দেখা যেত কি জোশ ইনা হত । অমনি একজন বলেছিল চল কুমিল্লায় যায়, আামর নানা বাড়ির পাশে বিল আছে, সেখানে নৌকাও পাওয়া যাবে । নৌকা নিয়ে বিলের মাঝ খানে বসে এই চাঁদ দেখব । যেতে ঘন্টা দুই সময় লাগবে, ততক্ষনে এই চাঁদ ধীরে ধীরে মাথার উপরে উঠে আসবে, আরো দারুন লাগবে ।
ভাবনা শেষ হবার আগেই তারা তিন জন একটা সিএনজিতে উঠে বসেছিল সায়দাবাদ যাবার জন্য । সেখান থেকে কুমিল্লার বাসে উঠে পড়ল তারা । অন্ধকার বাস, তারা এগিয়ে চলেছে, সেই সাথে পূর্ণিমার চাঁদও । দেখে মনে হচ্ছিল চাঁদ যেন তাদেরকে আহবান করছে । অপরূপা এই চাঁদ পুরোটা সময় তাদের সাথে ছুটে চলেছিল ঢাকা-কুমিল্লা হাইওয়ে ধরে ।

চাঁদের প্রতি তাদের এই মোহাবিস্টতা তৈরি করে দিয়েছিলেন হুমায়ুন আহমেদ । উফ কত রকম ভাবে যে জোছনা উপভোগ করা যায় তা মনে হয় হুমায়ুন না শেখালে তাদের জানা হতনা । হুমায়ুন পড়ে পড়ে তারা বুঝতে শিখেছে এই জোছনাও আসলে একটা নেশা । এটাকে উপভোগ করতে জানতে নয় । সেই থেকে আকাশে চাঁদ দেখলে তারা কেমন মন্ত্রমুগ্ধের মত তাকিয়ে থাকত । প্রতিবারই নতুন নতুন অনুভূতি এসে ভর করত ।
ময়নামতি সেনানিবাসের সামনে তারা বাস থেকে নেমে গেল । সেখান থেকে একটা ট্যাক্সি নিয়ে দ্বেবীদ্বার, সাইদ এর নানার বাড়ি । রাত প্রায় বারটা বাজে, তাদেরকে দেখেত নানা বাড়ির লোকজনের চক্ষুচড়কগাছ । এই মাঝ রাত্রিরে এরা কোন খবর না দিয়ে কই থেকে এসে হাজির হল। সাইদের খালা খাবারদাবারের আয়োজন করতে চাইলে তারা জানিয়েছিল আসার পথে তারা খেয়ে এসেছে । সাইদ তাদেরকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছিল যে তারা আসলে গ্রাম দেখতে এসেছে, একদিন থেকে চলে যাবে । বৈঠক খানার পাশের ঘরে তাদের থাকার ব্যবস্হা হল, যেটা মূল বাড়ি থেকে আলাদা ।

আসার পথে তারা আলোচনা করতে করতে এসেছিল নৌকা নিয়ে বিলের মাঝখানে চলে যাবে, সেখানে বৈঠা তুলে তারা নৌকার উপর শুয়ে শুয়ে চাঁদ দেখবে, নৌকা চলবে নিজের মত করে । এই আলোচনার সময় তাদের চোখে মুখের সেকি উচ্ছ্বাস, মনে হচ্ছিল এক একটা চাঁদ যেন তাদের মুখের উপর লেপ্টে আছে । নিজেরাই আবার আলোচনা করছিল ব্যাপারটা কতটুকু নিরাপদ হবে, তখন সাইদ অভয় দিয়েছিল ঐ গ্রামে ভয়ের কিছু নাই , কোন ধরনের সমস্যাই হবেনা । দরকার হলে তার ছোট মামা, যে তার বন্ধুর মতন, তাকে সাথে নিয়ে যাবে ।

জোছনা মাতাল হবার যে পরিকল্পনা নিয়ে তারা এসেছিল সেটা পুরোটাই মাঠে মারা গিয়েছিল। বর্ষার শুরু হওয়ায় বিলে তখনও নৌকা চলার মত যথেস্ট পানি আসেনি, তার উপর তাদের এই পরিকল্পনা শুনে তার মামা হেসেই উড়িয়ে দিয়েছিল । কারো মাথা খারাপ না হলে এমন পরিকল্পনা করা সম্ভব না বলে সে রায় দিয়েছিল ।
বিলে পানি নেই, এদিকে চাঁদ তখন মাঝ আকাশে, স্বপ্ন ভঙ্গের বেদনায় পুড়ে যাচ্ছিল তারা ভেতরে ভেতরে । কি ভেবে এসেছিল আর এখন কি হচ্ছে । আবোলতাবোল এই সব ভাবনা বাদ দিয়ে তাদেরকে ঘুমানোর পরামর্শ দিয়ে মামা ভেতরের ঘরে চলে গেল ।
কল্পনার আকাশে উড়ে চলা ফানুস আর বাস্তবতার মাঝে যে কত ফারাক সেটা যেন তখন তারা অক্ষরে অক্ষরে টের পেল । কত না ভাবনা ভেবে রাস্তা থেকে এক দৌড়ে বলতে গেলে তারা দেড়শ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে চলে এসেছে , আর এখন সে ভাবনায় কে যেন পানি ঢেলে দিয়ে চলে গেছে । টিনের ঘর, খোলা জানালা দিয়ে চাঁদের আলো দেখা যাচ্ছে । মন খারাপ করে তারা তিনজনই বসে আছে বিছানায় । জানালা দিয়ে জোছনা যেন তখনও তাদেরকে ডাকছিল । তিনজনই আস্তে আস্তে শব্দ না করে বাড়ির বাইরে চলে এল ।
পুকুড়পাড়ের রাস্তা ধরে তারা হাঁটতে লাগল । সামনে দিগন্ত বিস্তৃত ধান ক্ষেত । ভারী বর্ষায় এটাই পানিতে তলিয়ে যায়, বিলের আকার ধারন করে । বাকি দুইজন মিলে মোটামুটি সাইদকে একদফা গালাগালি সেরে নিল, কই বিল আর কই ধান ক্ষেত । সাইদ বলল, বুঝছি সারা জীবন তোরা এই নিয়ে আমাকে খোছা দিয়ে যাবি !! কি আর করা, আমি গতবছর যখন এসেছিলাম তখন এটা ছিল পানিতে টুইটুম্বুর, আমিত ভেবেছিলাম এখনও তেমনই হবে । গ্রামের মেঠোপথ ধরে তারা হেঁটে চলেছে । বিলের মাঝখানে যেতে না পারলেও ব্যাপারটা যে একেবারে খারাপ লাগছে তাদের তা না । পুরো গ্রামে সম্ভবত এইসময় তারা ছাড়া আর কেউ জেগে নেই । না জানি কেউ আবার তাদেরকে দেখে চোর টোর ভেবে চিতকার করে উঠে তারা এই সম্ভাবনার কথাও চিন্তা করল । যাই হবে হউক তারা গল্প করতে করতে হাঁটছে । চাঁদের আলো আর হালকা বাতাসে দুলতে থাকা ধানক্ষেত দেখতেও মন্দ লাগছিলনা ।

কত কত বিষয় নিয়ে যে তারা গল্প করে চলেছে তার ইয়ত্তা নেই । শেষমেষ আড্ডার টপিক হল জ্বীন । সাইদ জানাল তার নানা বাড়িতে নাকি জ্বীনের উপদ্রব আছে, অনেকেই নাকি জ্বীন দেখেছে । বাকি দুই জন এই সব গাঁজাখুরি গল্প বলে উড়িয়ে দেয়ার চেস্টা করল । তাতেও সাইদ থামেনা, কবে কে কোথায় জ্বীন দেখেছে সে সেই গল্প বলে চলে, বাকি দুজন তাকে নিবৃত্ত করার চেস্টা করেও কোন ফল পায়নি । সাইদ বলে চলে ঐ যে দূরে তাল গাছ দেখতেছস ঐটাতে জ্বীন থাকে । শানু তার পিঠে একটা কিল দিয়ে থামিয়ে দিয়েছিল , বলেছিল আমরা বাচ্চা পোলাপান না, চুপ থাক ।
তিনজনই দাঁড়িয়ে চুপচাপ সিগারেট টানছিল। সাইদের এমনিতেই দুস্টামি করার স্বভাব আছে । সে খুব সিরিয়াস ভঙ্গীতে বলল দোস্তরা জ্বীন কিন্তু বাঁশ গাছেও থাকে । বাকি দুই জন বলল তাই নাকি, তো সোজা ঝুলে থাকে না বাঁদুরের মত উল্টা হয়ে ঝুলে , নাকি দোলনা লাগিয়ে দুলতে থাকে । তিনজনই হাসতে থাকে । চাঁদ তখন পশ্চিম আকাশে হেলে পড়েছে । গ্রামের পরিবেশ তখন কেমন জানি ঘোর লাগানো , ঝি ঝি পোকা ডেকে চলেছে অনবরত । শহরের রাত গাড়ির শব্দ না থাকলে কেমন জানি নিরব হয়ে পড়ে, গ্রামে ঠিক তেমন না । মাঝে মাঝে নাম না জানা পাখির ডাক ভেসে আসছে । এই পরিবেশের বর্ণনা আসলে দেয়া সম্ভব না , কিংবা লিখে বুঝানো যাবেনা নিশুতি রাতের মেঠো পথে দাঁড়িয়ে থাকার অনুভূতি । হঠাত সাইদ বলে দোস্তরা আমরা কই দাঁড়িয়ে আছি দেখছস !
বাকি দুজনই সমস্বরে বলে কই ?
সে বলল ঠিক একটা বাঁশ ঝাড়ের নিচে । চাঁদের আলোয় সেখানে কেমন আলোআঁধারি ।
দুজন আবারও সমস্বরে কিছুটা ভারী গলায় বলল তো কি হয়েছে । ।
বাঁশ ঝাড়ে শুনছি জ্বীন থাকে , এইখানেও আছে কিনা কে জানে ।
এই বলে সে দৌড় শুরু করল । বাকি দুজন সাময়িক কিংকর্তব্যবিমুঢ় হয়ে চিতকার দিল কি হইছে । সাইদ বলল দৌড়া, যদি জ্বীন থাকে ।
শানুরাও উর্ধ্বশ্বাসে দৌড় শুরু করল সাইদের পেছনে পেছনে , কোন কিছু ভাবনা চিন্তার অবকাশ ছিলনা ঐ সময় ।
এক দৌড়ে হাঁপাতে হাঁপাতে তারা বাড়ির সামনে চলে আসল । দুজনেই ক্ষেপে গেল সাইদের উপর আর সে স্বভাবগত ভংগিতে হাসতে হাসতে বলল আমার কেন জানি মনে হইছে ঐ বাঁশ ঝাড়ে জ্বিন আছে । দুজনেরই ইচ্ছা করছিল সাইদকে ধরে মাইর দেয়, কিন্তু দৌড়ে তারা এমনভাবে হাঁপাচ্ছিল যে সে শক্তি আর ছিলনা । বাড়ির সামনে চাপাকলের সামনে এসে তারা পানি খবার জন্য দাঁড়াল । কল চাপতে চাপতে সাইদ আবারও বলে চলে এই যে কলের পাশ দিয়ে বাগানে যাবার যে রাস্তা দেখছস এইখানে জ্বিন থাকে ।
শানু বলে উঠল জ্বীন বিষয়ক আর একটা কথা বললে তোর কপালে দুঃখ আছে , মাইর একটাও মাটিতে পরবেনা । হাসতে হাসতে সাইদ থেমে যায় ।
এরপর তিনজনই রুমে চলে আসে । সে রাতে আর আড্ডাও জমেনি, বাইরেও আর বের হয়নি তারা । শুয়ে শুয়ে তিনজনই আসলে ভেবেছিল জ্বীন নিয়ে নানা কথা, দেখতে কেমন, কি করে তারা, আসলেই কি মানব সমাজের কাছাকাছি তারা থাকে , মানুষের পক্ষে কি তাদের দেখা সম্ভব ।

পরদিন সকালে নাস্তা করতে যখন বসে তখন সাইদের নানির সাথে দেখা হয় তাদের । সাইদ নানিকে জিজ্ঞাসা করে নানি এইখানে জ্বীন আছে এইটা কি আসলেই ঠিক । নানি বলেন তাত ঠিক, ঐ যে কল দেখছসনা , কলের পাশ দিয়া বাগানের রাস্তা দিয়া জ্বীন আসা যাওয়া করে । তোর নানা একবার দেখছিল, সাদা কাপড় পড়া, কলের পাশ দিয়া হেঁটে যাইতেছিল । তোর নানা কয়েকবার ডাক দিছে, একবারও পিছে ফিরে তাকায় নাই, সোজা হাঁইটা চলে গেছিল । এরপরত ভয়ে তোর নানার জ্বর আইসা গেছিল । আরো অনেকেই দেখছে, পুকুড় পাড়ে, ঐ তাল গাছের পাশে ।
শানুদেরতো আক্কেলগুডুম অবস্হা । নানি এইসব বলে কি, যেভাবে বর্ণনা দিলেন মনে হচ্ছে তিনি নিজে সামনা সামনি দেখেছেন , কি অবলীলায় বলে গেলেন ঐ কলের পাশ দিয়ে রাস্তাটা জ্বীনের আসা যাওয়ার রাস্তা ।
সাইদ তখন বলে দেখছস আমি বলছিলামনা, এইখানে জ্বীন আছে , এইদিক দিয়ে আসে যায় , তোরাত বিশ্বাস করস নাই ।
নানি আবার বলে উঠেন, বিশ্বাস না করার কি আছে, জ্বীনের সাথে কত জনের যে কত ঘটনা আছে ।
শানুরা আর কথা বাড়ায়নি, চুপচাপ নাস্তা খেয়ে গেছে, কিছু বললে দেখা যেত ডজনখানেক জ্বীন বিষয়ক গল্প এক বসাতেই তাদেরকে শুনতে হত ।
পুরোনো এই গল্প মনে করে তিন বন্ধু অনেকক্ষন হাসাহাসি করল । শানু সাইদকে বলল আমার এখনও ঐ দিনের যে দৌড়টা দেয়ায়ছিলি তার জন্য তোরে মার দিতে ইচ্ছা করে , শালা, কি ভয়টাই না পাইয়ে দিয়েছিলি । আরেকটু হলেত হার্ট বিটই বন্ধ হয়ে যেত । তার উপর তুই কি চিড়িয়া, তোর নানিত আরো ভয়ংকর । কি সুন্দর বলে দিল কলের পাশের রাস্তা জ্বীনের আসা যাওয়ার রাস্তা ! বলতে বলতে তিনজনই হাসতে থাকে ।
হঠাত করে শানুর মনে হল মূল ছাদের পূর্ব দিকে সে মনে হয় কিছু একটা দেখেছে । চিলেকোঠার ছাদ থেকে সে ঐ দিকে অপলক তাকিয়ে আছে, ঐখানে টবের উপর যে লেবু গাছটা আছে তার পাশে সাদা শাড়ি পড়া একটা মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে, সে শানুর দিকেই তাকিয়ে আছে । চাঁদ তখন পশ্চিমে হেলে পড়েছে, মেয়েটার মুখ চাঁদের আলোয় উদ্ভাসিত, মাঝে মাঝে মনে হচ্ছে চাঁদের আলোর সাথে সে মিশে যাচ্ছে, আবার ভেসে উঠছে । শানু ঠিক বুঝতে পারেনা মেয়েটা কি তার দিকে তাকিয়ে হাসছে কিনা ।
শানু বেশ জোরেই বাকি দুজনের উদ্দেশ্যে বলে উঠে দোস্তরা দেখ ঐ লেবু গাছের পাশে সাদা শাড়ি পড়া একটা মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে । এই কথা শুনে বাকি দুজন হাসতে হাসতে গড়াগাড়ি খায় ।
সাইদ হাসতে হাসতে বলে আমি কি তোর মত বেকুব নাকি যে তুই বললি আর অমি দৌড় দিব । বলে সে আরো জোরে হাসতে থাকে ।
অন্যবন্ধু পলাশ হাসতে হাসতে বলে এখন তো আর দৌড় দেয়া যাবেনা আই ছাদ থেকে লাফ দেই , বলেই সে বলে জীবনে জ্বীনের ভয়ে একবারই যে দৌঁড় দিছিলাম, সে কি দৌড়, আমারতো মনে হয় এখন কেউ পিস্তল নিয়ে দৌড়াইলেও আমি অত জোড়ে দৌঁড়াতে পারবোনা । সে বলতে থাকে, শুন আজকে বাদ দে, আমরা চলে গেলে তুই ঐ মেয়েকে ডেকে ঘরে নিয়ে যাইস । চাইলে প্রেম ট্রেম ও করতে পারিস । সাইদের নানির বাড়ির পাশেত কেবল জ্বীন আসা যাওয়া করে, তখন তুই বলতে পারবি যে আমিত জ্বীনের সাথ প্রেমই করি, হা হা হা হা ।

শানু একটু বোকা বনে যায়, সে ও ওদের সাথে হাসিতে যোগ দেয় । হাসতে হাসতে লেবু গাছের দিকে তাকায়, একি সে কি আবার মেয়েটাকে দেখতে পাচ্ছে । হাসি থেমে যায় তার, সে আাবর ভাল করে তাকিয়ে দেখার চেস্টা করে । না সেখানে কিছু নেই । এবার সে অট্টহাসিতে ফেটে পরে । তিনজনই আবার একসাথে হেসে উঠে ।
ছাদের উপর শুয়ে শুয়ে তারা আকাশ পানে চেয়ে থাকে, দুচারটা কথা মাঝে মাঝে হয়, সবাই নিজের মত করে ভাবনার জগতে হারিয়ে যায় জোছনা স্নান করতে করতে ।
হেসে উড়িয়ে দেয়ার চেস্টা করলেও শানু নিজের মন থেকে শাদা শাড়ি পড়া মেয়েটাকে উড়ি্যে দিতে পারছেনা । নিজেই নিজেকে বুঝানোর চেস্টা করে সে এইটা অসম্ভব, জ্বীনের গল্প করতে করতে হয়ত সে অনমনা হয়ে এমনটা ভাবছে ।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৮
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×