somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মরুর দেশে- আবুধাবী

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



চারজন ইমিগ্রেশন পার করে দাঁড়িয়ে আছি, হেলাল এর কোন খবর নেই । অবশ্য আমরাও জানতাম এমনটাই ঘটবে । নতুন পার্সপোর্ট নিয়ে কেউ টুরিস্ট ভিসায় প্রথমবার ইমিগ্রেশন অতিক্রম করবে আর এয়ারপোর্ট ইমিগ্রেশন পুলিশ কিছু সময় তাকে আলাদা রুমে নিয়ে জেরা করবেনা, এ সম্ভাবনা খুব কম । আমরা অবশ্য হেলাল কে পুলিশ কিছুক্ষন জেরা করবে এই নিয়ে খুব একটা চিন্তিত না । আমাদের চিন্তার কারন হলো ক্রেডিটকার্ডের বদলে পাওয়া ফ্রী লাউঞ্জে খাওয়াদাওয়ার সময় কমে যাচ্ছে । লাউঞ্জে ভাল করে খাব বলে দুপুরের লাঞ্চটা ও ঠিক মত করে করা হয় নাই । আর এই লাউঞ্জে গলা পর্যন্ত ভরে না খেলে ঐ ক্রেডিট কার্ড নিয়েই বা কি লাভ হলো, এমন একটা ভাবনা যাকে বলে আর কি । ফেসবুক দেখে আপনি ভাবতেই পারেন, লাউঞ্জে চেক ইন না দিলে সম্ভবত বিমানে চড়তে দেয়না , তাই আমরা ঠিক করলাম প্লেনে চড়তে না দিলে নাই, চেক ইন আমরা দিবনা, আমাদের কাজ হচ্ছে খাওয়া । অবশেষে তিনি আসলেন , কেন ডুবাই যাচ্ছেন সেটা বুঝিয়ে বলার পর তাকে ছাড়া হয়েছে , রুমে থাকা বড় স্যার নাকি জুনিয়েরকে বলেছে , নামের পাশে লিখে রাখ, ঢাকা ভার্সিটি , মাস্টার্স পাশ । আমরা হেলাল কে ধন্যবাদ দিলাম, ভাগ্য ভাল যে সে তখন বলে বসে নাই আমার মাস্টার্স করা হয় নাই । তাহলে আর প্লেনে চড়া লাগতোনা ! হাতে বেশি অপশন থাকাও একটা ঝামেলা, কোন লাউঞ্জে যাব সেটা ভাবতে ভাবতে আগে যাই নাই এমন একটাতে ঢুকলাম আমরা [ আগেও এয়ারপোর্টে গেছি, হাতে অনেক গুলা কার্ড আছে এটা বুঝানোর জন্য ঐ লাইন লিখা আরকি ;) ]

আল্লাহর নাম নিয়ে বিমানে চড়ে বসলাম আমরা, আমি জামিল, মিঠু, মনির আর হেলাল । একদিন আড্ডায় জামিল বলল দুবাইতে দুনিয়ার সবচেয়ে বড় টেকনোলজি শো জাইটেক্স গ্লোবাল এ পার্টিসিপেট করতে যাচ্ছি, তুই ও চল । পার্টিসিপেট ও করলাম, সাথে ঘুরাঘুরি ও করে আসলাম । চল বললেই কি আর হ্যাঁ বলে দেয়া যায় । গৃহকর্ত্রীর পারমিশন ছাড়া কবে কে কোথায় যাইতে পারছে । অনুমতি পাবার পর আমাকে আর কিছুই করতে হয় নাই । একসময় শুনলাম সব রেডি, ভিসা বিমান টিকেট হোটেল। এরপর আমার কাজ হলো ট্যুর প্ল্যান করা । কোথাও যেতে হলে সে জায়গার অতীত ইতিহাস জেনে গেলে কানেক্ট হতে অনেক সুবিধা হয় । ঘুরে ও আরাম পাওয়া যায় । কি কি দেখব কিংবা কই কই যাব আগে থেকে ঠিক করে রাখা যায় । কম পরিশ্রমে প্রয়োজনীয় তথ্য জানার জন্য উইকিপিডিয়াই সবচেয়ে ভাল ।
শেখসডোম নামে পরিচিত শেখ শাসিত মধ্যপ্রাচ্যের ৯টি অঞ্চল একসময় ছিল ব্রিটিশদের ট্রসিয়ালস্টেট । নিরাপত্তার বিনিময়ে ব্রিটিশ ছাড়া অন্যকারো সাথে ঐ রাজ্যগুলোর শাসক আমীররা কোন ধরনের চুক্তি করবেনা কিংবা ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যায়, এমন কিছু ও করবেনা - এই শর্ত মেনে চুক্তি হওয়া শুরু হয়েছিল ১৮২০ সাল থেকে । বিনিময়ে ব্রিটিশরা নিশ্চিত করেছিল আরব সাগরে তাদের নৌবহরের নিরাপত্তা । ১৯৭১ সালে এসে এই চুক্তি বাতিল করে ব্রিটিশরা, আর গড়ে উঠে নতুন দেশ, ৭টি শেখ শাসিত আঞ্চলের জোট ইউনাইটেড আরব আমীরাত । কাতার ও বাহরাইন এ জোটে না ঢুকে নিজেদের স্বাধীন রাস্ট্র হিসেবে ঘোষনা দেয় । ইউএই গঠনের পেছেন মূল ভূমিকা রেখেছিল আবুধাবী ও দুবাই এর শাসক পরিবার । বাকি রাজ্যগুলা এমনিতেও তেমন একটা বড় আর শক্তিশালী ও না । প্রেসিডেন্ট হবে আবুধাবীর, আর প্রধানমন্ত্রী হবে দুবাই এর, মোটামুটি এমন আরো একগাদা রেফারেন্ডামের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছিল আজকের বিত্ত আর জৌলুশে ভরপুর আরব আমীরাত ।
সোজা পশ্চিমমুখী ছুটে চলেছি আমরা । বোয়িং ৭৮৭ এ কোন সিট ফাঁকা নেই । খাবার দাবারও মোটামুটি ভালই দিল বলা চলে ! এখনকার বিমানে আমার কাছে ভাল লাগে প্রতিনিয়ত জানা যাই যে আমরা কোথায় আছি, কত গতিতে ছুটে চলেছি। ডানে কি বামে কি, ম্যাপ এ মোটামুটি সব ই দেখা যায় । অস্ট্রেলিয়া সাউথআফ্রিকার খেলাও দেখে নিলাম কিছু সময় । ভারতের উপর দিয়ে আমরা আরব সাগরে গিয়ে পরলাম । ডান পাশে পাকিস্তান , ইরান কে রেখে একসময় আমরা পৌঁছে গেলাম দুবাই এয়ারপোর্টে ।

প্লেন থেকে নেমে আপনি হাঁটা শুরু করবেন, এরপর মেট্রোতে চড়বেন, আবার হাঁটবেন , সুবিধার জন্য হরাইজন্টাল স্কেলেটর ও বসানো, অবশেষে আপনি এসে পৌঁছাবেন ইমিগ্রশেন কাউন্টারে । কথাবার্তা ছাড়া একটা ছবি তুলে রেখে হাতে একখানা ট্যুরিস্ট সিম ধরিয়ে আপনাকে তারা বিদায় করে দিবে । হোটেল রুমে পৌঁছে আমরা যখন খেতে বের হব তখন রাত বাজে একটা । ডেইরা
দুবাই এর আশেপাশে খাবারের সব হোটেল ই দেখা যাচ্ছে খোলা তখনো । ঘুরাঘুরিতে খাবারের ব্যাপারে কোন আপোষ নাই, যত সম্ভব নতুন খাবার ট্রাই করে দেখতে হবে । ডেইরা এলাকার এই রাস্তা দেখে আমরা খুশি হয়ে গেলাম, কারন আশে পাশে নানান দেশের সাইনবোর্ড লাগানো নানা টাইপের রেস্তোরাতে ভরপুর । প্রথমদিন আমরা ইরাকি একটাতে ঢুকে পরলাম । এই মাঝরাতেও সরগরম আশেপাশের সব রেস্তোরা । এখানে খাবার বেশ ভাল পরিমানে সার্ভ করা হয়, যেটা আমাদের দেশি হিসেবে একজনের জন্য বেশিই হয়ে যায় । আমরা ৩ জনের হিসেবে খাবার অর্ডার করলাম , ওয়েটার উশখুশ করাতে তাকে বললাম, বাকি লাগলে পরে করব। আমাদের পাশের টেবিলে একজনকে যে পরিমান খাবার নিয়ে বসতে দেখলাম মনে হল সেটা দিয়ে আমাদের ৫ জনের খাবারই হয়ে যাবে । যাই হউক ৩ জনের যে খাবার আর নানা রুটি দেয়া হয়েছে মোটামুটি সেটা শেষ করতেও আমাদের বেশ বেগ পেতে হয়েছে ! কাবাব দেয়া হয় যথেস্ট পরিমানে আর নান রুটি গুলার সাইজ আমাদের দেশি নান রুটির ডাবল বলা চলে !

পোলাপান একত্র হলে ঘুমানো অত সহজ না, কিন্তু আমাদের ঘুমানো দরকার, সকাল থেকে ট্যুর প্ল্যান কার্যকর করতে হবে । প্রথমদিন শুক্রবার হওয়াতে আমরা ঠিক করেছিলাম এইদিন আবুধাবী চলে যাব আগে। সেখানে শেখ জায়েদ গ্র্যান্ড মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করব । সকালের ব্যুফে ব্রেকফাস্ট মন মত না হলেও ঠান্ডা তরমুজ খেয়ে মনটা ভাল হয়ে গেল । আমি যেহেতু আছি, আর আলসেমি যেহেতু আমার প্রিয় কাজ, সেহেতু সবকিছু সময় মেনে হবে এমন কোন কথা নেই ! জুমার নামায গ্র্যান্ড মসজিদে গিয়ে পাব কিনা আমরা দোটানায় পড়ে গেলাম। হোটেলের পাশেই একটা এজেন্টের অফিসে গিয়ে বললাম, আমাদের একটা গাড়ি দাও, আবুধাবী ঘুরব, তারচেয়ে জরুরি আমরা গ্র্যান্ড মসজিদে নামাজ পড়তে চাই । পাকিস্তানি ওয়াসিম কার কার সাথে কথা বলে বলল গাড়ি আসতেছে, ড্রাইভার সর্বোচ্চ চেস্টা করবে নামাজ ধরার । গাতি নিয়ে হাজির হল ইন্ডিয়ান ড্রাইভার তাবরিজ । আমরা যাত্রা শুরু করলাম তাবরিজ এর সাথে , ১৪০ কিলো যেতে হবে আমাদের।

দুবাই শহরের মাঝখান দিয়ে ছুটে চলেছি আমরা । চলতে চলতে আপনার মথায় শুরুতে যা আসবে তা হলো, এরা কোন কিছু ছোট করে করতে পারেনা । সেটা বিল্ডিং হউক, এয়ারপোর্ট হউক আর বিজ্ঞাপনের বিলবোর্ড হউক । এক একটা বিলবোর্ড ১০০ ফিটের চেয়ে বেশি হবে, বিল্ডিং গুলো দেখতে দেখতে আপনার ঘাড় ব্যাথা হয়ে যাবে । শহর ছেড়ে বের হয়ে আসার পর দুপাশে কিছুদূর পর্যন্ত চোখে পড়বে নতুন নতুন হতে যাওয়া সব ডুপ্লেক্স বাড়ি আর এপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স । বাংলাদেশ থেকে লুটে নেয়া অনেক টাকার ও শেষ গন্তব্য হয়ত হবে এইসব বিল্ডিং । এরপর দুপাশ কেবল ফাঁকা । যতদূর চোখ যাবে তেমন কিছুই চোখে পড়বেনা । একঅর্থে এগুলো সবই মরুভূমির অংশ , কারন আরব আমীরাত পুরোটাত আসলে মরুভূমির উপরেই গড়ে উঠেছে । এইসব কিছুই এরাবিয়ান ডেজার্ট এরই অংশ । আমরা ঘড়ি দেখছি, তাবরিজ ও মাঝে মাঝে ঘড়ি দেখছে, সে আশাবাদী যে আমরা সময় মত পৌঁছাতে পারব । ঘড়িতে যখন ১টা বেজে গেল তখন মনটা হালকা খারাপ হতে শুরু করল, আসলেই আমরা গিয়ে নামাজ পাব কিনা ।
আলহামদুলিল্লাহ আমরা যখন পৌঁছালাম তখন ইকামাত শুরু হবে । এক দৌড়ে ওযু করে মোটামুটি বেশ জোরে দৌড় লাগালাম। মনের ভেতরে একটা ভাললাগা কাজ করল, যাক নামাজটা ধরতে পেরেছি , আর ঐদিকে হাঁপিয়ে যাচ্ছি তখনো দৌড়ে দৌড়ে আসার কারনে । নামাজ শেষেই দেখলাম আশেপাশে অনেক পানির বোতল দেয়া আছে মুসল্লিদের জন্য । সেটা আমাদের দারুন কাজে লাগল!
প্রায় ৩০ একর জায়গা নিয়ে বানানো এই মসজিদ আবুধাবীর অন্যতম আকর্ষন । সিরীয় আর্কিটেক্ট টিম বিভিন্ন অঞ্চলের ইসলামি স্থাপত্য থেকে অনুপ্রেরনা নিয়ে এই মসজিদের ডিজাইন করেছে, পাকিস্তানের লাহোরে থাকা মুঘলদের বানানো বাদশাহী মসজিদ যার অন্যতম । এই মসজিদের ৬০ হাজার বর্গফুটের কার্পেট সম্ভবত পৃথিবীর বৃহত্তম আর সবচেয়ে বড় ঝাড়বাতিটা পৃথিবীতে তৃতীয় বৃহত্তম ! মন ভাল করে দেয়ার মত একটা স্থাপনা , কি শান্ত মনোরম । অনেকক্ষন সময় নিয়ে আমরা ঘুরে ঘুরে দেখলাম । সবার জন্যই উন্মুক্ত হওয়াতে দর্শনার্থীর ভীড় লেগেই আছে ।
প্রথম লক্ষ্যপূরণ হওয়ায় সবাই মোটামুটি ফুরফুরে, ঠিক হলো কোথাও বসে না খেয়ে গাড়িতে বসে খেতে খেতে আমরা চলে যাব লূভ্যর মিউজিয়ামে । মসজিদের পাশে বিশাল মলে গেলাম আমরা । খাবার অর্ডার দিয়ে ঘুরে বেড়াতে গিয়ে দেখলাম প্রায় ৩ কোটি টাকা মূল্যমানের ওয়ালমেট ! কে কবে কিনবে, কেনইবা কিনবে সেসব ভাবতে ভাবতে আমাদের খাবার রেডি হয়ে গেল !!
লূভ্যর আবুধাবী, ফরাসীদের সাথে চুক্তি করে নাম ব্যবহারের পারমিশন নিয়ে বানানো এই মিউজিয়াম আদতেই বিশাল । মোটামুটি কয়েক ঘন্টা ব্যয় করে হাজার বছরেরও পুরোনো অনেক কিছু দেখা শেষে হতাশই হলাম, কারন এত কিছু বানিয়েছে, লূভ্যর এর ট্রেডমার্ক হিসেবে পরিচিত গ্লাস পিরামিডটাই বানায়নাই তারা ! সেটা থাকলে ফেসবুকের একটা প্রোফাইল পিক হয়ে যেত ফ্রান্স না গিয়েও ।

আমার ইচ্ছা ছিল প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেস দেখতে যাবার, তাবরিজ আমদেরকে নিয়ে আসল এমিরেটস প্যালেস এ, গাড়িতে বসেই বলল গেইটে জিজ্ঞাসা করলে বলবা আমাদের ডিনার প্রোগ্রাম আছে । তখনো ব্যাপারটা বুঝি নাই, গাড়ি থেকে নামার পর বুঝলাম এইটাত আসলে হোটেল ! বিশাল , মানে বিশাল। এক লবিই যে সাইজের, সেটা দেখে বুঝা যায় এটা কত বড় হতে পারে । ফাস্ট এন্ড ফিউরিয়াস ৭ এ দেখানো হোটেল ।

আমরা সবাই একই রকম টিশার্ট পড়ে গিয়েছিলাম। কয়েক সেট সেম কালার টিশার্ট কেনা হয়েছে যেগুলা আমরা ঘোরার সময় পড়ব বলে ঠিক করা । হোটেল লবির বাইরে আমরা গাড়ির জন্য ওয়েট করছি এমন সময় এক ইন্ডিয়ান এসে বলল তোমরা কোন এজেন্সির লোক, কাজ খুজতে এসেছ নাকি ! তার এমনটা কেন মনে হল জানতে চাওয়াই বলল, সবাই একি রকম টিশার্ট পড়ে আছত তাই ! সবাই এরপর থেকে একি রকম পড়ার পরিকল্পনা ঐখানে ত্যাগ করলাম, যার যা ইচ্ছা পড়, এক রকম আর না !

কিছু সময় আবুধাবীর সৈকতে কাটিয়ে আমরা ফিরতি পথ ধরলাম। দুবাই গগনচুম্বী সব অট্টালিকা বানিয়ে ফেলেছে দেখে আবুধাবীও আর পিছিয়ে থাকতে রাজি না, সেখানেও চারপাশে চলছে আকাশ ছোঁয়ার আয়োজন । ফিরতই পথে হঠাত তাবরিজ সবাইকে বলল ডান পাশে দেখ, ড্রাইভারলেস ট্যাক্সি ক্যাব। কিছু সময় তারপাশে চলে আমরাও দেখলাম, কি সুন্দর গতি বাড়ছে কমছে, একসময় আমাদেরকে পাশ কাটিয়ে ডানে চলে গেল । দুনিয়ার যেকোন ইনভেনশনকে ট্রায়াল এর জন্য লুফে নিতে প্রস্তুত হয়ে বসে আছে এইসব শেখসডোম এর শাসকরা । অঢেল টাকা থাকলেই শুধু হয়না, এগিয়ে যাবার জন্য, সঠিক পরিকল্পনা আর স্বপ্ন ও দেখতে জানতে হয় ।

মরুবাসী এই বেদুইনরা একসময় সমুদ্রতল থেকে মুক্তা খুজে নিয়ে আসত। প্রসিদ্ধ ছিল মুক্তার জন্য এই আরব সাগর তীরবর্তী দেশগুলো । কৃত্রিম মুক্তা তৈরি হওয়া শুরু হবার পর তাদের সামগ্রিক বানিজ্যে এর প্রভাব ছিল ব্যাপক, সেই সাথে ভারতবর্ষ স্বাধীন হয়ে যাওয়াই ব্রিটিশদের কাছে এই অঞ্চলের গুরুত্বও কমে যায় । সাময়িক দারিদ্রতা ভর করলেও বিধাতার অপার করুনা ছিল সবসময় তাদের উপর। আর তাই পেয়ে যায় তরল সোনা তথা তেলের খনি । ৯২ বিলিয়ন ব্যারেল তেলের উপর ভাসতে থাকা আবুধাবী কে এরপর আর পেছেন তাকাতে হয়নি । কি নেই এখন তাদের.................শুধুমাত্র নিরিবিলি মনোরম ছুটি কাটানোর জন্যই তারা করে রেখেছে মাথা নস্ট সব আয়োজন । ।





সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১২
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেকোন বাংগালীর ইন্টারভিউর সময়, 'লাই-ডিটেক্টটর' যোগ করে ইন্টারভিউ নেয়ার দরকার।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৫ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



আপনার এনলাকার এমপি, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কামাল সাহেব, যেকোন সেক্রেটারী, যেকোন মেয়র, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিএনপি'র রিজভী, আওয়ামী লীগের ওয়ায়দুল কাদের, আপনার থানার ওসি, সীমান্তের একজন বিজিবি সদস্য, ঢাকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×