সংগীত ও শরীর চর্চা শেখানোর জন্য প্রাথমিকে ৫১৬৬ শিক্ষক নিয়োগের প্রস্তাব করা হয়েছিল !! কোন্ পাগলে বলে আর কোন্ ছাগলে এমন সিদ্ধান্ত নেয় !!! সারা বাংলাদেশ সুঁই দিয়ে খোটালেও কি ৫১৬৬ জন শরীর চর্চা আর সংগীতের শিক্ষক মিলবে ??? শরীর চর্চা শেখানো না হয় বুঝলাম কিন্তু সংগীত দিয়ে কি হবে ??!! যদি প্রতিটি স্কুলের 10 জন শিশু-ও সংগীত শিখতে চায় তাদের ভবিষ্যত কী ?? গত হয়ে যাওয়া সেই আব্বাস উদ্দিন, আব্দুল আলীম, ফিরোজা বেগম, আব্দুল জব্বার, শাহনাজ পারভীন, রুনা লায়লা, সাবিনা ইয়াসমীন, রথীন্দ্র নাথ, ফরিদা পারভীন, রেজওয়ানা চৌধুরী এমন কি হালের কুমার বিশ্বজিৎ এর গান- 60 বছরের উর্দ্ধে ছাড়া এ দেশে কেউ কি এখন শোনে ?? তারাও শোনে মাঝে-মধ্যে হয়তোবা। যে ভারতীয় বাংলা-হিন্দী গান এক সময়ে বাংলাদেশের বহু মানুষের হৃদস্পন্ধনের মতো ছিলো; বর্তমানে তারও প্রায় একই অবস্থা !! ব্যান্ড-রিমিক্স, উঠতি কিছু ভারতীয় শিল্পীর নকল করে গান গাওয়া ইত্যাদি ভারতীয় বাংলা-হিন্দী গানের তেইশ মেরে দিয়েছে !! কোথায় মান্না-জগজিৎ আর কোথায় শ্রীকান্ত !! রফি, মুকেষ, যশোদাস নেই, হেমন্ত-ও নেই; নেই লতা, প্রতিমা, আরতী !! নেই অন্তরের কথাগুলো হীরা-মুক্তা-মানিক্য দিয়ে সাজিয়ে গীত তৈরী করা সেসব গীতিকারেরা !! এ যুগে আর তৈরীও হচ্ছেনা অমন মোহময় গীতিকার-শিল্পী; না ও দেশে, না এ দেশে !! তবে হ্যা, এ দেশের অনেক যুবকরা-ই এখন এসব গান শোনে- ‘‘আমি পারিনা আর পারিনা, আমি কেন মরিনা, আজরাইল কি আমারে চিনে না’’!! তেমন শীল্পি আর গান হলে চলতেও পারে !! দেশ শিল্প-সাহিত্যে ইউরোপ-আমেরিকা-কে ছাড়িয়ে যাবে !! ইনভেস্টমেন্ট আসবে অঢেল !! আসলে প্রগতিশীলতার নামে কিছু বুড়ো বদমাইশ এ দেশের শিশুদেরও পঙ্গু করে দিতে চায় !!
বাংলাদেশে 6 বছর বয়স থেকে শিশুদের প্রাথমিক স্কুল শুরু হয়। 6-10 বছর পর্যন্ত চলে প্রাথমিক স্কুল। এ 6-10 বছর পর্যন্ত ছোট শিশুরা কি এমন শরীর চর্চা আর সংগীত শিখবে ?? এ দেশে কি কয়েক কোটি সংগীত ও নৃত্ত শিল্পী দরকার ?? সংগীত শেখার জন্য ওই শিশুদের ব্যক্তিগতভাবে কি হারমোনিয়াম-তবলা’র প্রয়োজন হবে না !!?? তার পয়সা অভিভাবকদের কি করে জুটবে ?? নাকি স্কুলে বসে 5-7শ শিশু নাচ-গান শিখবে !! স্কু্লের সে সময় কোথায় ?? ধরে নিলাম এক পর্যায়ে গিয়ে বাংলাদেশে সব মিলিয়ে বছরে 3 শ শিশু-কিশোর-যুবক শুধু সংগীত-কে পেশা হিসেবে নিলো; কিন্তু তাতে ওদের ভাত-কাপড় জুটবে কী ?? বাসায় বাসায় গিয়ে ওস্তাদেরা গান শিখাবে ?? ব্লক হেডেড ক্রিমিনালগুলোর এ কেমন চিন্তা ?? এ মূর্খের জাত আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্ংস করে দিচ্ছে !!!
এদেশের শিশুরা বদমেজাজী, লেখাপড়া বিমুখ, তার্কিক, অবাধ্য হয়ে যাচ্ছে। নোংড়া রাজনীতিবিদ গুলোর ন্যাকরা হয়ে, পরিশ্রম ছেড়ে, ঘরে-রাস্তায় বসে টাকা কামাতে চাইছে। তৈরী হচ্ছে ভয়ঙ্কর কিশোর গ্যাং !! এগুলো থেকে ফেরানোর কোনও প্রয়াস, গবেষণা শিক্ষা বিভাগের নেই। যেখানে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রয়োজন একজন ‘‘আচরন শিক্ষাগুরু’’ সেখানে এরা চাইছে সংগীত শিক্ষক !! নিজের সন্তান ছাড়া উঁচু উঁচু আসনে বসে থাকা ওই নরকের কীটেরা অন্যান্যদের সন্তান-কে গিনিপিগ বানিয়ে ব্রেনডেড করে দেয় !!!
কি করে এ দেশে ভালো মানুষ তৈরী হবে ??!! কবে ??
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:১০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


