স্লোগানটি ভুল ব্যাখ্যার চেষ্টা হচ্ছে, শুরুতেই প্রতিবাদ প্রয়োজন। স্লোগানটি মূলত
----তুমি কে আমি কে? রাজাকার রাজাকার!
-----কে বলেছে কে বলেছে? সরকার সরকার!
সংবাদ সম্মেলনে অবৈধ প্রধানমন্ত্রী উদ্ধৃত আচরণ করেন, যাকে তাকে গালাগাল করেন, এটি তার চরম বাজে স্বভাব। হয়ে এসেছিলো এমনই। যেন স্বাধীনতার পুরো চেতনা, মুক্তিযুদ্ধের পুরো চেতনার ঠিকাদারি আওয়ামী লীগের ও হাসিনা পরিবারের। বিশ্বিবদ্যালয়ে যাকে-তাকে মারা, এমন কি ছাত্রলীগেরও দূর্বল প্রতিপক্ষকে দমনেও রাজাকার শব্দ হরহামেশাই ব্যবহার হয়ে আসছিলো। এমন কি জঙ্গী ইস্যুও।
বরাবরের মতো চীন সফর শেষে কোটা আন্দোলনকারীদেরও সরাসরি রাজাকারের বাচ্চা বলে গালি দেয়া যেন ডাল-ভাত হয়ে গেলো অবৈধ সরকারের কাছে। এই ঔদ্ধত্য খালেদা জিয়ার মতো একজন সজ্জন এবং আপোষহীন গণতন্ত্রের সংগ্রামীর সাথেও করেছেন বহুবার। যেন হাসিনা আর আওয়ামী লীগ যা বলে তাই-ই সংবিধান।
বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের দাবি কোটার যৌক্তিক সংস্কার। ব্যবহার হলো আদালত, এ্যামিকাস কিউরি বললো তত্বাবধায়ক সরকার বহাল থাকতে পারে, আদালতের রায় ব্যবহার করে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হলো। যে কোন আন্দোলন দমন হলো শক্তি প্রয়োগ করে। যেন এটি স্বভাবে পরিণত হয়েছে। সময়, ইস্যু এবং কৌশল কাজে লাগাতে লাগাতে এক সময় ব্যাক ফায়ার করে। এবার আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের বলে দিলো রাজাকারের বাচ্চা। কি এক নিদারুণ ঔদ্ধত্য।
আর সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ এক সাথে গেয়ে উঠলো
তুমি কে আমি কে? রাজাকার রাজাকার
কে বলেছে কে বলেছে? সরকার সরকার।
দায় সরকারকে নিতে হবে। ভূয়া ৬০/৭০ হাজার মুক্তিযোদ্ধার দায়ও এ সরকারের। এ দায়ও নিতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৩:১৪