somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিদ্যানন্দকে সবচেয়ে বেশি সাপোট‍র্ দিবে সংখ্যা গরিষ্ঠরা এবং সেটা মুসলমান, হিন্দু, খ্রীষ্টান, আদিবাসী, বাঙ্গালি... সকল পরিচয়েই

০৭ ই মে, ২০২০ সকাল ৭:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বড় দেশ হতে হলে বড় রাজনীতি করতে হয়, ঠিক সময়ে করতে হয়
বিদ্যানন্দকে সবচেয়ে বেশি সাপোট‍র্ দিবে সংখ্যা গরিষ্ঠরা এবং সেটা মুসলমান, হিন্দু, খ্রীষ্টান, আদিবাদী, বাঙ্গালি... সকল পরিচয়েই

মানুষের পরিচয় তরল এবং রাজনৈতিক।

এটা নিজের উপর আমরা যেমন মাখি তেমনি বাকীরা আমাদের মাখায়। জন্মের পর থেকে আমৃত্যু এই মাখামাখি চলতে থাকে। এটি স্থির নয়, এটি চলমান, খুবই সক্রিয়। এটি রাজনৈতিক, কারণ পরিবারে, সমাজে, রাষ্ট্রে আপনার ভূমিকা কী হবে এবং আপনি নিজে কি কি করতে পারবেন বা পারবেন না সকল বিষয়ের সাথে এটি সম্পৃক্ত। আপনি বহু পরিচয় বহন করেন। আপনি বহুগামী। আপনি যখন যেই পরিচয়ের সাথে বেশি ঘনিষ্ঠ হন, আপনার সর্বসত্তা সেটার জন্য কাজ করতে থাকে। পরিচয় বিষয়ক সকল কিছুই তাই রাজনৈতিক। এই ফাঁকে প্রশ্ন তুলে রাখা ভালো যে আমাদের কোন অংশটুকু রাজনৈতিক না?

প্রসঙ্গ তাই বিদ্যানন্দ নাম এবং পরিচয়ের রাজনীতির। দুযর্োগকালীন কর্মকান্ডে যেসব গোষ্ঠী কাজ করবে তাদের রাজনৈতিক সম্ভাবনা থাকবে সেটা সকল প্রথাগত রাজনৈতিক মাত্রই জানেন। রাজনীতিতে পরিচয়ের ব্যবহার থাকবেই। ফলে করোনা রাজনীতিতে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মুসলমানদের ঢালাও নি‍র্বোধ প্রমাণের মধ্য দিয়ে সংখ্যা গড়িষ্ঠতার রাজনীতি এবং বিভেদকে জিইয়ে রাখা হল। সেটার রাজনৈতিক ব্যবহারের সম্ভাবনা দেখেই

এবার অনেকেই আসবেন "আমরা সবাই মানুষ", "মানবতাবাদী" পরিচয়ের কথা নিয়ে। সেটাও রাজনৈতিক। মানবতাবাদী একটি ঘোলা অবস্থা, পরিপ্রেক্ষিত নির্ভর। হিন্দু, মুসলমান যেমন। আর কে মানবতবাদী আর কেন নয় তার সংজ্ঞায়নের ক্ষমতা আপনার কাছে নয়। মানুষ তার পরিচয়ের কারণেই যখন মরে তখন মানবতাবাদীতা একটি পিছলা রাস্তা। ফলে আক্রান্তরা চিৎকার করেন যখন, "মুসলমান হিসেবে আমাদের মারছে", "হিন্দু বলে বাড়ী, মন্দির পুড়াইছে" তখন সেখানে পরিচয় রাজনীতিকে ভালোভাবে দেখতে হবে নৈতিকতার ভোঁতা গল্প দিয়ে নয়।
নিজের পরিচয়সমূহকে বুদ্ধিমত্তার সাথে ব্যবহার করতে হবে, বাকীদের করতে উৎসাহ দেয়া হবে।

এখন বিদ্যানন্দ নিয়ে মুসলমান সংখ্যা গড়িষ্ঠের রাজনীতিতে কি কি থাকতে পারে তা দেখা যাক,

১. হিন্দু নেতৃত্ব কেন ভালো কাজ করবে?
২. হিন্দু পরিচয়ে কেন জনপ্রিয় হবে?
৩. দেশটা কি ইন্ডিয়ার হয়ে যাচ্ছে?
৪. নতুন রাজনৈতিক দলের সূচনা?
৫. রোযার মাসে ধ‍র্ম নষ্ট হচ্ছে নাতো?
৬. ইহুদী নাছারা ডিসকোসর্ এবং আরো
.........

এই রাজনৈতিক প্রক্রিয়াটি কেন মুসলমানদেরই এগিয়ে এসে ঠেকাতে হবে? কারণ এক ব্যাড প্রেস। স্থানীয় রাজনীতি গ্লোবাল রাজনীতির সাথে যুক্ত, ফলে সেখানে কোন সুযোগ দেয়া যাবে না। দুই এই দেশে মুসলামান এবং হিন্দু সবাই নিজ নিজ পরিচয় নিয়ে সগর্বে মাথা তুলে চলবে সেটা দেশ হিসেবে রাজনৈতিক পরিচয়ের রাজনীতিতে খুব গুরুত্বপূণর্।

এবার আরো গভীরের গল্পে ঢুকি। ভিআইপি পরিচয় নিয়ে যারা সমালোচনা করেছেন তারা কি দেখলেন? দেখলেন সকল মরণ নয় সমান। গরীবি মরণ আছে বড়লোকি মরণ আছে। বড়লোকদের বাঁচার সম্ভাবনা বেশি। তো মানুষ মাত্রই বড়লোক হতে চাইবেন। কিন্তু সবাই বড়লোক না। তাহলে বড়লোকদের দায়িত্ব সেটা শেয়ার করা। সেটা সবাই করতে চাইবেন তা না, তবে করানো যায়।

মুসলমানের দেশের মুসলমান, হিন্দুদের দেশে হিন্দুরা এমন বড়লোক। এটা ভাবতে আমাদের অনেকেরই ভালো লাগে কিন্তু এটা ঠিক না। মনে করা যাক কোন এক সময়ে হিন্দু হওয়া খুব অজনপ্রিয় বানানো হইল, দেশে দেশে হীনতা ছড়ানো হইল তখন কিন্তু সিরিয়ার কান্না আর সো কলড ধমর্ীয় পরিচয় কেন্দ্রীক রাষ্ট্র খুব সুখের হবে না। আর আমাদের মত গণমানুষের মার খাওয়াও বন্ধ হবে না। ফলে সবাই সবার পরিচয়ে সসম্মানে থাকবেন, গুড মুসলিম, গুড হিন্দু হবার চাপ বোধ করবেন না, এটা বেটার রাস্তা।

এই রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে এটা মুসমানদের বেশি দায়িত্ব। সেটা কোন পরিচয়ের হীনমন্যতা বা অধিমন্যতা দিয়ে বা পরিচয় নিম‍র্ুল করে সম্ভব না। বরং পরিচয়কে একটু লাইনে এনে করা দরকার। এই রাজনীতির এক একজন সফল রাজনৈতিক হলেন জেসিন্ডা আরড্রেন, জাস্টিন ট্রুডো। তো তাদের দেখে আমরা খালি হাততালি দিবো? আর হতাশ হয়ে বলবো বাংলাদেশে সম্ভবই না?


জনসংখ‍্য্যায় বাংলাদেশ বিশ্বের চতুথ‍র্ শক্তিশালী রাষ্ট্র। এই রাষ্ট্রের রাজনীতি এত ছোট হলে কীভাবে হবে? বিশুদ্ধ মুসলমান রাষ্ট্রের বা হিন্দু রাষ্ট্রের বোকামী বাদ দেন। এটা তিনশ বছরের পুরাতন কৌশল।

ধমর্ীয় পরিচয়কে, সকল পরিচয়কে শক্তি বানান, দূর্বলতা না।

সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মে, ২০২০ সকাল ৭:৪৮
৫টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছবির গল্প, গল্পের ছবি

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:১৫



সজিনা বিক্রি করছে ছোট্ট বিক্রেতা। এতো ছোট বিক্রেতা ও আমাদের ক্যামেরা দেখে যখন আশেপাশের মানুষ জমা হয়েছিল তখন বাচ্চাটি খুবই লজ্জায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে আর বিরক্ত না করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×