




অরিজিন -

– ফাস ফার্মামেন্ট ছিল একদম প্রথম দিকের গড । যে কিনা ছিল স্বয়ং একটি ইউনিভার্স বা যে কিনা নিজের মধ্যে পুরো ইউনিভার্স ধারণ করতে পারতো । ফাস ফার্মামেন্ট নিজের একাকিত্ব দূর করার জন্য বা নিজের সেবার জন্য তৈরি করে সেলেস্টিয়ালস (Celestials) দের । সেলেস্টিয়ালস’দের মূল পাওয়ার ছিল নতুন নতুন লাইফ ফর্ম ক্রিয়েট, মোডিফাই ও ডিস্ট্রয় করা ।


এই কসমিক গডরা বিভিন্ন গ্রহের প্রাণ সৃষ্টি সহ বিদ্যমান প্রাণকে মোডিফাই করা শুরু করলো । মার্ভেল কমিক ইউনিভার্সে অ্যাসগার্ডিয়ান সহ যতগুলো প্রাণের দেখা পাওয়া যায় সবই মূলত সেলেস্টিয়ালস’দের গবেষণা ফসল । সমস্যা হচ্ছে সেলেস্টিয়ালস’রা প্রতিবার ফিরে আসে তাদের এক্সপেরিমেন্টের সাফল্য দেখতে । যদি তারা মনে করে তাদের এক্সপেরিমেন্ট ফেইল করেছে তাহলে তারা রাতারাতি পুরো সভ্যতা ধ্বংস করে ফেলত । এই রকম একটি দৃশ্য ‘গার্ডিয়ান অব দ্যা গ্যালাক্সি’তে দেখতে পারবেন ।








এভাবেই ইটারনালস’রা বিভিন্ন গ্রহে উপগ্রহে ছড়িয়ে আছে এবং একে অন্যের সাথে বা অন্য প্রজাতির সাথে নিরন্তর এক যুদ্ধে লিপ্ত।
সংক্ষেপে এতটুকু ।

সমস্যা হচ্ছে এই অরিজিন প্রতি টা নতুন প্রজন্মের হাতে এসে আস্তে আস্তে বদলাতে শুরু করে । তাই সবচেয়ে জনপ্রিয় কমিক অরিজিনটাই দিলাম ।
দিন শেষে কমিক দুনিয়া এখন কাগুজে পাতা ছেড়ে পর্দায় এসেছে । নতুন প্রজন্মের হাতে পড়ে স্বাভাবিকভাবে মার্ভেল কমিক ইউনিভার্স এর জায়গা নিয়েছে মার্ভেল সিনেমেটিক ইউনিভার্স । ফলে ইটারনালস- এর অরিজিনও বদলে গেছে । লিখা হচ্ছে নতুন রোমাঞ্চকর অরিজিন ।

ইটারনালস মুভির সংক্ষিপ্ত প্লট হচ্ছে - ‘পৃথিবীতে হাজার বছর থেকে এই সুপারহিরোরা মানবজাতিকে গোপনে নানাভাবে ইনফ্লুয়েন্স করে চলেছিল । এন্ডগেমের ঘটনার পর তাদের জন্ম শ্ত্রু ডেভিয়েন্টসরা ক্রমে তাদের অস্তিত্ব প্রকাশ করতে শুরু করে । তাদের রুখতে ইটার্নালস’দেরও অবশেষে নিজেদের অস্তিত্ব প্রকাশ করতে হচ্ছে ।

মার্ভেল সিনেমেটিক ইউনিভার্স (এম সি ইউ) থেকে ইটারনালস মুভির চরিত্রগুলোর সংক্ষিপ্ত পরিচয় দেওয়া হল -

মাকারি (Makkari)- মাকারি’র পাওয়ার হল স্পীড । তাকে এমসিইউ’র ফ্ল্যাশ বলতে পারি । একজন বধির সুপারহিরো । চরিত্রটি রুপদায়ন করেছেন ‘লরেন রিডলফ’ ।

গিলগামেশ (Gilgamesh) - মানব সভ্যতার প্রথম উপন্যাসের নায়ক ‘গিলগামেশ’ যেন এমসিইউ’তে উঠে এসেছে । শারীরিকভাবে অত্যন্ত শক্তিশালী গিলগামেশ তার কসমিক পাওয়ারের মাধ্যমে নিজের শরীরকে ঘিরে এক্সোস্কেলিটন তৈরী করতে পারে । চরিত্রটি রুপদায়ন করেছেন ‘ডন লি’ ।

ড্রুইগ (Druig) - মাইন্ড কন্ট্রোল পাওয়ার আছে । ইন্ট্রোভার্ট প্রকৃতির ব্যক্তি । বিভিন্ন বিষয়ে অন্য ইটারনালস’দের সাথে তার যায় না । চরিত্রটি রুপদায়ন করেছেন ‘ব্যারি কিওঘান’ ।

ফাসটোস (Phastos)- ইঞ্জিনিয়ার ইটারনালস । কসমিক এনার্জির ব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন টেকনোলজি তৈরি করে । এমসিইউ’র প্রথম ‘হোমোসেক্সুয়াল’ চরিত্র । চরিত্রটি রুপদায়ন করেছেন ‘ব্রায়ান টায়রি হেনরি’ ।

স্প্রাইট (Sprite)- ছোটখাট মানুষ হলে তার পাওয়ার চমকপ্রদ । ইলিউশন তৈরির ক্ষমতা আছে । চরিত্রটি রুপদায়ন করেছেন ‘লিয়া ম্যাকহিউ’ । চরিত্রটি রুপদায়ন করেছেন ‘Lia McHugh’ ।

কিংগো (Kingo)- একজন বলিউড স্টার । জনপ্রিয়তা পছন্দ করে । এনার্জি প্রজেক্টাইল ছুড়ে মারার ক্ষমতা আছে । চরিত্রটি রুপদায়ন করেছেন ‘কুমাইল নানজিয়ানি’ ।

সার্সি (Sersi) - সার্সি লেনিষ্টার থুক্কু সার্সি’র পাওয়ার হল- কসমিক পাওয়ারের সাথে মলিকিউল ও এটমিক লেভেল মেনুপুলেশন ও ইলেক্ট্রোম্যাংগনিজম - এর ক্ষমতা । মনুষ্য জাতি প্রতি খুবই দুর্বল । ইটারনালস ইকারাস - এর সাথে প্রেমের সম্পর্ক । মুভিকে মুলত তার দৃষ্টি থেকে দেখানো হবে বলে মনে হয় । চরিত্রটি রুপদায়ন করেছেন ‘গেমা চ্যান’ ।

এজাক (Ajak) - ইটারনালস’দের স্পিরিচুয়াল লিডার । হিলিং ও এনার্জি ব্লাস্ট এর ক্ষমতা আছে । এজাক হলে একমাত্র ইটারনালস যে কিনা সেলেস্টিয়ালদের দেখেছে । চরিত্রটি রুপদায়ন করেছেন আমার প্রিয় ‘সালমা হায়েক’ ।

থেনা (Thena) - ইটারনালস’দের মধ্যে প্রকৃত যোদ্ধা । রিজারেশন এনার্জি, এনার্জি ব্লাষ্ট, ম্যাটার ট্রান্সমুটেশন, টেলোপ্যাথী পাওয়ার আছে । চরিত্রটি রুপদায়ন করেছেন অতি পরিচিত ‘এঞ্জেলিনা জোলি’ ।


ব্ল্যাক নাইট (Black Knight) - মিস্টিক্যাল সোর্ডের অধিকারী একজন হিউম্যান ওয়ারিয়র । সার্সি’র সাথে প্রেমের সম্পর্ক আছে বা থাকতে পারে । চরিত্রটি রুপদায়ন করেছেন গেইম অব থ্রোনসের ‘জন স্নো’ থুক্কু ‘কিট হ্যারিংটন ’ ।

এখন শুধু অপেক্ষার পালা । আমি ও আমরা অপেক্ষা করছি শিহরিত হতে । সবার জন্য শুভ কামনা।


অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


