আপনি অনেক গুনী মানুষ। এ ব্যাপারে কারো দ্বিমত থাকার কথা নয়। বিভিন্ন বিষয়ে আপনার খোলামেলা বক্তব্য মতের বিরুদ্ধে গেলেও ভাল লাগত। ভাবতাম আপনি অন্তত চুপচাপ থাকবেন না হুমায়ুন স্যার এর মত। তাই হয়তো ভাল লাগে আপনার কথাগুলো। প্রতি বছর বইমেলাতে আমার ভাগ্নি আপনার অটোগ্রাফ নেবার জন্য কেমন পাগল হয়ে থাকে তা আমি দেখেছি। এবছর ও হয়তো সে আপনার কাছে আসবে। তাদের কাছে আপনি কতটুকু তা আমার পক্ষে হয়তো বুঝানো সম্ভব না। এই কারনে আপনার রাজনীতি বিষয়ক কোন লেখা তার হাত থেকে আমরা সরিয়ে রাখি। কারন আপনি জানেন স্যার। আপনি আমার শিক্ষক নন তারপর ও আপনাকে স্যার ডাকছি কেন জানেন? কারন প্রথম যেদিন ভাগ্নিকে নিয়ে আপনার কাছে গিয়েছিলাম ঐ দিন আমি আপনাকে স্যার ডেকে ফেলেছিলাম। এ ছাড়া অন্য কোন শব্দে আপনাকে ডাকার কথা আমার মাথায় আসেনি। সেই থেকে আপনি আমার স্যার। আপনার সাথে কথা বলার পর ই বুঝেছিলাম আপনাকে স্যার ছাড়া অন্য কিছু বলে সম্বোধন করা সম্ভব না।
ক্লাস ফাইভের ভাগ্নি এবার এসএসসি দিচ্ছে। আপনার লেখা তারপর থেকে রেগুলার ই পড়ি আমি। প্রবাসে এসেও তা বন্ধ হয়নি। কিন্তু প্রবাস জীবনে অনেক কিছু দেখার পর আগের সেই আমি আর নেই। অনেক তিক্ত/ভাল অভিজ্ঞতা অর্জন হয়েছে প্রবাসে এসে। ভাগ্নীর সেই স্বপ্নমাখানো সায়েন্স ফিকশন এখন আর আমাকে সাড়া দেয়না।
আমি দেখি মানুষ কিভাবে বদলে যায় বদলে দেয় সময় কে। কিন্তু গুনী মানুষজন যখন নিজেকে বদলে নেয় তখন আমাদের কষ্ট লাগে স্যার।
এখন যখন অনেক বিষয়ে আপনি নিরব থাকেন তখন সেই কষ্ট টা জেগে উঠে স্যার। কেন জানিনা তবে এমন ই অনিভব করি।
এতদিন আড়িয়াল বিলের মানুষ আন্দোলন করছিল একা একা ই হয়তো। কিন্তু এখন আর তারা একা নয়। বিরোধীদল ও এখন তাদের সাথে যোগ দিয়েছে। আন্দোলন এখন আরো তীব্র হবে সেটা গত দুই দিনের ঘটনা ই বলে দেয়। এখন তো বেগম খালেদার নামে মামলা ও হয়েছে।
এখন তো আপনাকে দেখব বেগম জিয়ার নামে ভাল মন্দ কিছু একটা লিখতে তাই না স্যার? তাহলেও ভাবব এই ব্যাপারে আপনি সরব ছিলেন সেই আগের দিনগুলোর মত।
আর যদি না পাই আপনাকে।। তাহলে...
স্যরি স্যার
আপনাকে আমি গুনী মানুষ ই মনে করতে পারবনা।
এবং এই ব্যাপারটা ও আমাকে কষ্ট ই দিবে শুধু।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



