গত ০২ এপ্রিল পদত্যাগ করেছেন দুদক চেয়ারম্যান সাবেক সেনাপ্রধান লে. জেনারেল হাসান মশহুদ চৌধুরী । তার এ অনাকাঙ্খিত পদত্যাগ অত্যন্ত দুখঃজনক এবং আমাদের অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারী সংস্হাগুলির গনতান্ত্রিক বিকাশের পথে আরও এক ধাপ পিছিয়ে যাওয়া বলে অনেকে মনে করনে ।
গত তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দুদক চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হাসান মশহুদ তার পদত্যাগের তেমন কোন কারন তিনি জানাননি । চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর দুরর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন এবং ভালই চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি । কিন্তু হঠাৎ তার এই পদত্যাগ জনমনে নানা প্রশ্ন জন্ম দিয়েছে ।
ইতোমধ্যে এক ব্যক্তি তার নামে একটি মামলাও দায়ের করেছিলেন । মামলায় অভিযোগের বিষয়বস্তু হলো- ডিওএইচএস এ তার নিজ বাড়ি নির্মানে অনিয়ম এবং দ্বিতিয়টি ট্রাস্ট ব্যাংক এর মানি লন্ডারিং বিষয়ক । প্রথম অভিযোগ সম্বন্ধে যতটুকু জানা গেছে ডিওএইচএস এর প্রচলতি নিয়ম অনুযায়ী সীমানা থেকে ৪ ফিট যায়গা ছেড়ে বাড়ি নির্মান কথা । বাড়ি নির্মান করার পর বাড়ির সানসেট ৪ ফিট এর মধ্যে চলে যায় । তিনি সেনাপ্রধান থাকাকালীন ক্যান্টনম্যান্ট বোর্ড কতৃক তার ক্ষতিপূরন নর্ধিারন পূর্বক সরকারী কোষাগারে ৩ লক্ষ টাকা জমা দিয়েছেন । আর ট্রাস্ট ব্যাংক এর মানি লন্ডারিং এর ব্যাপারেও বাংলাদেশ ব্যাংক তার কোন সংশ্লিষ্টতা খুজে পায়নি । এমতাবস্হায় তিনি মামলা দায়েরকারি ব্যক্তির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের না করে যথেষ্ট মহানুভবতার পরচিয় দিয়েছেন । ব্যক্তিগতভাবে তিনি অত্যন্ত সৎ এবং সাধারন জীবন যাপন করেন বলে জানা গেছে ।
শুধুমাত্র হাসান মশহুদ চৌধুরী কেন আমাদের নোবেল বিজয়ী ড. ইউনুস কে কতটুকু মর্যাদা দিতে পেরেছি আমরা? আমাদের কি নিজেদেরকে শুধরানোর সময় এখনো হয়নি ?
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৩:১০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




