আজ ১৫ আগষ্ট, জাতীয় শোক দিবস।১৯৭৫ সালের এই দিনে আমরা হারিয়েছিলাম বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। আমি জানি সাধারণ মানুষ হয়ে আমি যেমন জাতির পিতার জন্য শোকাহত থাকি, যারা এই দিনে কেক কেটে জন্মদিন উদযাপন করে তারাও অন্তত একটু হলেও দীর্ঘশ্বাস ফেলে। ৭১ দেখিনি, ৭৫ দেখিনি, কিন্তু কল্পনার দৃশ্যপটে সব ঘটনাতেই আমার উপস্থিতি প্রবল।তাইতো আমি আজ গভীরভাবে শোকাহত।
পত্রিকা - টিভির কল্যাণে ইতোমধ্যে শোক দিবস নিয়ে অনেক পজিটিভ - নেগেটিভ নিউজ বেরিয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় শোক দিবসকে কেন্দ্র করে হামলা পাল্টা হামলা অনেক কিছু দেখছি, বাড্ডায় ঝরে গেল তাজা কয়েকটি প্রান। এ সবই শহরের দৃশ্য। গ্রামের খোজ কি কেউ রাখে? হ্যা, ১৫ আগষ্টকে কেন্দ্র করে গ্রামে চলছে নীরব চাঁদাবাজি। ছুটিতে এসেই কাল থেকেই দেখছি চাঁদাবাজির মহোৎসব। জাতির পিতার মৃত্যুবার্ষিকী মানে আমার আপনার সবার বাবার মৃত্যুবার্ষিকী, তাই সবাইকে তার মৃত্যুবার্ষিকী পালনের দায়ভার বহন করতে হবে। আপনি চাকুরী করেন, বঙ্গবন্ধু না থাকলে তো চাকুরী করতে পারতেন না, তাই তার মৃত্যুবার্ষিকীতে ২০০০ টাকা, ১০০০ টাকা দিতে হবে। আপনি মোটামুটি গ্রামে ভালভাবে চলেন তাই আপনার নামে ২০ কেজি, ১০ চাউল ধার্য করা হয়েছে। তুইতো গরীব মানুষ, কি আর করবি, দে ১ কেজিই দে। এইসব কথার না বাচক কোন শব্দ নাই। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে থাকতে গেলে তার এজেন্টদের ট্যাক্স পরিশোধ করতেই হবে। তোমার সাধ্য থাকুক না থাকুক।
কি আর করা, এজেন্টদের তো আর মাসিক বেতন নেই। তাই ২-৪ মাস চলার ব্যবস্থা তো আমাদেরই করতে হবে, হাজার হোক তারা বঙ্গবন্ধুর এজেন্ট ।।।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:৪৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




