somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নারী স্বাধীনতা : পাশ্চত্য থেকে প্রাচ্য

০৫ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


অনুরোধ : লেখাটা সম্পূর্ণ না পড়ে কেউ মন্তব্য করবেন না। লেখাটা না পড়া বা মন্তব্য করার সম্পূর্ণ অধিকার আপনার আছে।
নারী আন্দোলন বা স্বাধীনতা বিষয়ক আমার সমস্ত শিক্ষা জীবনকে যদি দুই ভাগে ভাগ করা যায়, তার এক ভাগ প্রত্যক্ষ করা বা শ্রবণ করা আর অন্য ভাগ উপলব্ধি করার চেষ্টা করা। আমার কৈশোর কাল থেকে নিজের পরিবার বা প্রতিবেশী পরিবারের কল্যাণে নারী বিষয়ক দুটি মতবাদ বা প্রচলিত প্রবাদ আমার মাথায় জায়গা করে বসেছিল। প্রথমটা সন্মানের, যে নারী মায়ের জাত। আর দ্বিতীয়টা অনুকম্পার যে , নরীরা অন্যর উপর নির্ভরশীল। ছেলেবেলা থেকেই পাশ্চত্য দেশ গুলোর প্রতি একটা মোহ (মোহ শব্দটা কেন ব্যাবহার করলাম, তার ব্যাখ্যা একটু পরে দিয়) কাজ করতো যে, বিশ্বের সবচেয়ে সভ্য ও সুশীল সমাজের অধিবাসী তারা। তাদের সমাজে নারীর মর্যাদা সুপ্রতিষ্ঠিত। পশ্চিমা তাত্ত্বিকরা বলেন, যে সমাজে নারীর মর্যাদা যতবেশি সে সমাজ ততবেশি সভ্য।
মানব সত্ত্বাকে আড়ালে রেখে তথাকথিত সভ্যতার যখন থেকে ক্রমবিকাশ তখন থেকেই নারী স্বাধীনতার পথচলা। নারীর সেই স্বাধীনতার পথ কতটা মসৃণ হয়েছে সেটা বিশদ আলোচনার বিষয়। হায়রে নারী! কখন যে মানব সত্ত্বার থেকে আড়াল হয়ে গেল বুঝতেই পারলো না। যদি প্রশ্ন করেন কথাটা কেন বললাম। তাহলে এভাবে বলা যেতে পারে যে, জীব বিজ্ঞানের প্রধান দুটি ভাগ – প্রাণী বিজ্ঞান এবং উদ্ভিত বিজ্ঞান। জীব বিজ্ঞানের উন্নায়ন বা গভীর ভাবে জানার জন্য এই বিভক্ত। ঠিক যেমনটা মানব সত্ত্বার বিভক্তি। আজকের এই সভ্যতায় আমাদের মা-মেয়ে, বউ বা বোন এদেরকে আর মানুষ ভাবাহয় না। এরা এখন শ্রেফ নারী। আমার কথার অর্থ এই নয় যে পুরুষেরা সমাজে মানব সত্ত্বার মশাল জ্বালিয়ে রেখেছে। এখানেইতো পুরুষতান্ত্রিক সভ্যতার সার্থকতা যেখানে নারীরা ভুলে গেছে যে তারা মানুষ।
যাইহোক আলোচ্য বিষয়ের সঙ্গে অবিচার করা ঠিক হবে না, আলোচনায় আসা যাক। সাম্যবাদ সূচনালগ্ন থেকে নারীমুক্তির কথা বলে আসছে এবং সে সঙ্গে এও বলেছে যে, পুঁজিবাদী সমাজ নির্মূল না হলে নারী-অধঃস্তনতা দূর করা যাবে না। নারীবাদ ও সাম্যবাদের মধ্যে কিছু সাদৃশ্য থাকলেও দুই মতবাদের বিশ্বধারণা দুই রকম। এ ক্ষেত্রে মানবসমাজ লিঙ্গভেদে স্বতন্ত্র ও পৃথক, অন্য ক্ষেত্রে পার্থক্য বৈষম্য সামাজিক শ্রেণীবন্ধতার কারণে। নারীবাদ তার আন্দোলন স্বতন্ত্র রাখতে চায়। তার আশঙ্কা সাম্যবাদ পুরুষতন্ত্রের আরেক রূপ। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পূর্বে নারীবাদের প্রথম তরঙ্গ উচ্চশিক্ষা, সম্পত্তি ও ভোটাধিকার অর্জনের লক্ষ্যে চালিত হয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর নারীবাদের দ্বিতীয় তরঙ্গ ধাবিত হয় সমাজের মূল স্রোতে পূর্ণ অংশগ্রহণের দাবিতে।
পশ্চিমা সমাজ নারীর মর্যাদাকে কোন পর্যায়ে নিয়ে গেছে তা আমেরিকার লাসভেগাস শহরের দিকে তাকালে উপলব্ধি করা যায়। এ শহরটি কেবল প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য সংরক্ষিত। লাসভেগাস পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে নগ্ন রমণী শিকার অভিযানের জন্য। যারা জীবনেও কোনোদিন বন্দুক হাতে পশু-পাখি শিকার করে দেখেননি- তারাও অতি সহজে অংশ নিতে পারেন এই রমণী শিকারের খেলায়। এ জন্য অবশ্য পকেটে থাকতে হবে হাজার হাজার ডলারের নোট। এয়ারগান দিয়ে বেলুন শ্যুট করার মতোই যুক্তরাষ্ট্রের পুরুষরা রমণী শিকারের মজাদার পদ্ধতি বের করেছে। এ খেলায় শিকারি পুরুষের হাতে থাকে বন্দুক বা এয়ারগানের বদলে পেইন্ট গান। নগ্ন নারীদের গুপ্ত অঙ্গকে ধরা হয় টার্গেট। আর সর্বোচ্চ পরিধি থাকে বুক পর্যন্ত। কাঙ্ক্ষিত জায়গায় ঘণ্টায় দুই কিলোমিটার বেগে পেইন্ট গান দিয়ে বল ছোড়া হয়। লম্পট পুরুষদের জন্য 'মজার'- এ খেলায় টার্গেট মতো বলের আঘাত করার জন্য দিতে হয় ২ হাজার ৫০০ ডলার। শিকার হিসেবে ব্যবহৃত রমণীরা পেইন্ট গান দিয়ে ছোড়া গুলি বা বলের আঘাতে কিছুটা ব্যথা পেলেও টাকার জন্য তা নীরবে হজম করে।
পাশ্চত্যর সবচেয়ে সভ্য জাতীর মধ্য অন্যতম ইংল্যান্ডে ১৯ শতক পর্যন্ত নারীরা পৈতৃক সম্পত্তির উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত ছিল। নারী নির্যাতনকে পুরুষের অধিকার হিসেবে ভাবা হতো। ইউরোপে এক সময় অবিশ্বস্ত স্ত্রীর ওপর নির্যাতন চালানোর জন্য ব্যবহার হতো 'ব্রেস্ট কিপার' নামে লোহার নখওয়ালা হাত, যা দিয়ে অবিশ্বস্ত স্ত্রীর স্তন ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করে শাস্তি দেওয়া হতো। ইউরোপের ধর্মযাজকরা এক সময় কোনো নারীকে সন্দেহ করলেই তাকে ডাইনি বলে ঘোষণা করতেন। ডাইনি ঘোষিত নারীকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হতো। পাশ্চত্য সমাজ সাম্যতার দাবীতে আমাদের থেকে যোজন যোজন এগিয়ে। কিন্তু পাশ্চত্য সমাজ নারীদেরকে ভোগ্য পণ্যর বাইরে এনে তাদেরকে মানবতার বা নারীত্বের সন্মান কতোটা দিতে পেরেছে তা তর্কের বিষয়। সেদিকে না যাওয়া উত্তম।
অপরদিকে প্রাচ্য যেখানে আমার দীর্ঘ বসবাস। প্রাচ্যর সমাজ আবার ধর্মের বেড়াজালে বন্দী। প্রাচ্চের সভ্যতায় সাম্যের অভিমুখে মানবসমাজ অনেক এগিয়েছে। সাধারণভাবে সাম্য সকলের কাম্য হলেও, তার অবধি ইয়ত্তা সীমা ও শ্রেণীবিভাগ নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। মানবসমাজে বিরাজমান অবস্থায় অসাম্য এমন এক বাস্তবতা যার পরিবর্তনে কল্যাণকামী মানুষ সাম্যের কথা বলছে। সাম্য প্রতিষ্ঠায় যে আমূল পরিবর্তনের আশংকা রয়েছে সেইভাবে স্বার্থপর মানুষ দুশ্চিন্তাও করে। বঙ্কিমচন্দ্র সাম্যের ওপর যে বই লিখেছিলেন তা পরে তিনি প্রত্যাহার করে নেন। নজরুলের মতো দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলা সহজ নয়, ‘গাহি সাম্যের গান/মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান। ১২ ডিসেম্বর ১৮৬৮ সালে লুডভিগ কুগেলকে লেখা এক পত্রে কার্ল মার্কস বলেন, ”যে কেউ ইতিহাসে কিছু জানলে সে জানবে যে, নারী জাগরণ ছাড়া কোনো বড় সামাজিক বিপ্লব সম্ভব নয়।” উনবিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে বেগম রোকেয়া বলেছিলেন নারীদের ফ্রিডম অফ চয়েস এবং একোনমিক ফ্রিডমের কথা।
বিংশ শতাব্দীতে নারী স্বাধীনতা আজ একটা বড় বিজ্ঞাপন। কিছুদিন আগে বলিউড খ্যাত নায়িকা দীপিকা পাদুকোনের নারী-স্বাধীনতা বিষয়ক একটি বিজ্ঞাপন চোখে পড়লো। তার বক্তব্যে “শরীর আমার, চয়েশ আমার”। একটা কথা আমাদের মনে রাখতে হবে যে, শরীরকেন্দ্রিক চেতনা, তা সে যৌনশিক্ষাই হোক, অবাধ যৌনতা বা অকারন শরীর প্রদর্শন – কোনটাই কখনোই অসমতার অপরাধকে কমাতে সক্ষম হয়নি। বরং বৈষম্য-জনিত অপরাধকে বাড়িয়ে তুলেছে অনেক। নারীকে পুরুষের সমান মর্যাদায় স্থাপন করতেও এই চেতনা সম্পুর্ন ব্যর্থ হয়েছে। পাশ্চাত্য দেশগুলি এই বিষয়ে আমাদের কাছে শিক্ষা হতে পারে। তাই ‘শরীর প্রদর্শনে আমার অধিকার আছে’ , ‘বিবাহ বহির্ভুত শারীরিক সম্পর্ক রাখার আমার অধিকার আছে’ জাতীয় সস্তা কথাগুলি কখনোই ‘নারী স্বাধীনতার প্রকাশ’ হিসাবে মেনে নেওয়া যায় না।
চোখ ধাঁধানো চাকচিক্যে নিজেকে হারিয়ে ফেলা নারীর আজ বোঝা অত্যন্ত দরকার যে স্বাধীনতা আসলে কি । দর্শনের তথা নীতিবিদ্যার আধুনিক পাঠগুলি থেকে আমরা বুঝতে পারি যে, স্বাধীনতা মানে হল নির্বাচনের ক্ষমতা। একাধিক কর্তব্য বা বিষয়ের মধ্যে ইচ্ছামতো নির্বাচন করার সামর্থ্যই হল স্বাধীনতা। আর স্বাধীনতাই আমাদের অস্তিত্ত্বের প্রকৃত প্রকাশ। রাস্ট্রবিজ্ঞান বলে যে, স্বাধীনতা কখনো অবাধ হতে পারে না। প্রাচীন ভারতের মুনি-ঋষিরা মনে করতেন যে, স্বাধীনতা মানে স্ব-নিয়ন্ত্রন বা আত্মনিয়ন্ত্রন। নারীর আজ সেইটে শেখা উচিত। ‘আত্ম’নিয়ন্ত্রনের অধিকার – কেবল ‘ আপন শরীর নিয়নন্ত্রনের অধিকারমাত্র’ নয়। মনে রাখতে হবে শরীরটা যন্ত্রমাত্র তার খিদে আছে, বোধ নেই, নেই নিজেকে নিয়ন্ত্রনের ক্ষমতা। আজ তাই সমস্ত প্রভাবমুক্ত হয়ে নারীকে ধ্যানমগ্ন হতে হবে। নিজেকে খুঁজতে হবে। নিজের মধ্যের ‘নারী সত্তা’কে আবিষ্কার করতে হবে। তবেই সে নিজেকে বুঝতে পারবে, বুঝতে পারবে মানব সত্ত্বাকে, পারবে নিজেকে নিয়ন্ত্রন করতে । ঠিক-ভুলকে নির্ধারন করে নির্বাচন করতে পারবে। তবেই তো সে প্রকৃত স্বাধীন হবে। আজ নারীদের নিজেদের মুক্তির সঙ্গে বিশ্বের অন্যান্য বঞ্চিত-অবহেলিত সকল গোষ্ঠীর মুক্তির কথা ভাবতে হবে। এবং নারী-পুরুষ উভয়ের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর সকল বঞ্চিত-অবহেলিত মানবতার মুক্তি নির্ভর করছে।

অনুরোধ পত্র : আমার লেখাতে যদি ব্যক্তি অনুভূতি বা কনো গোষ্ঠীর অনুভূতি আঘাত পাই, তাহলে অনুরোধ রইল কোন এক আবালের কথা ভেবে ক্ষমা করবেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৩
৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০২



ইউটিউব হুজুর বললেন, মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে। তখন নাকি নিজ যোগ্যতায় ঈমান রক্ষা করতে হয়। আল্লাহ নাকি তখন মুমিনের সহায়তায় এগিয়ে আসেন না। তাই শুনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×