somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমের কথোপকথন নিয়ে যত কথা

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিচারপতির স্কাইপে সংলাপ সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে আলোচিত ইস্যু। লন্ডন থেকে প্রকাশিত ‘দ্য ইকোনোমিস্ট’ বিষয়টিকে প্রথম বাংলাদেশের মানুষের নজরে নিয়ে আসলেও চুড়ান্ত বোমাটি পাঠায় দৈনিক আমার দেশ। এই দৈনিকটি পরপর বেশ কয়েকদিন এই বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে গোটা বিচারিক প্রক্রিয়া এবং বিতর্কিত ঐ আলাপের আরো বেশ কিছু বিষয় পাঠকের সামনে উম্মোচন করে।

এই প্রতিবেদন প্রকাশের সবচেয়ে বড় যে প্রভাব তাতো আমাদের সামনে। আলোচিত চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম ইতোমধ্যেই পদত্যাগ করেছেন। আমি নিজে এতটা প্রতিক্রিয়া আশা করিনি। যাই হোক, বিষয়টির প্রতিক্রিয়া এতটাই তীব্র ছিল যে আর শেষ রক্ষা হয়নি বিচারপতি নাসিমের। আর তার নিয়োগদাতা বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার বা তার আলাপচারিতার আরেক সহযোগী ড: আহমেদ জিয়াউদ্দিন কিংবা সরকার পক্ষের প্রসিকিউটর- কেউই পাশে দাড়ায়নি বিচারপতি নাসিমের। এরা সবাই বিচারপতি নাসিমকে বিপদে ফেলে দিয়ে নিজেদের পিঠ বাঁচিয়ে চলে গেলেন।

আমি অবশ্য এই রিপোর্ট এবং বিচারপতির আলাপচারিতার অন্য কিছু মারাত্মক প্রভাব পাঠকের সামনে নিয়ে আসতে চাই। বিচারপতি নাসিমের ব্যপারে আসামী পক্ষ ইতোপূর্বেই রিকুইজাল আবেদন (স্বেচ্ছায় নিজেকে প্রত্যাহারের আবেদন) করেছিল। তাদের অভিযোগ ছিল নাসিম পক্ষপাতদুষ্ট। কেননা বর্তমান যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধেই তিনি গন তদন্ত কমিশনের সেক্রেটারিয়েটের সদস্য হিসেবে তদন্ত কার্যক্রম চালিয়েছিলেন। এ রকম অভিযোগ থাকলে স্বাভাবিকভাবেই যে কোন বিচারপতি বিব্রত বোধ করতেন বা স্বেচ্ছায় সড়ে দাঁড়াতেন।
আসামীপক্ষ তখন এই গ্রাউন্ডেই আবেদন করেছিল কিন্তু নাসিম তখন সড়ে দাড়াননি। তখন বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় আইনজীবিরা বিশেষত সুপ্রীম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের সভাপতি ও সিনিয়র সদস্যরা তার পদত্যাগ দাবী করেছিল। সরকার অবশ্য তখন বিচারপতি নাসিমের পক্ষে দাড়িয়েছিল। কারন প্রকৃতপক্ষে আসামীপক্ষের অভিযোগটি সরকারের জানা ছিল এবং সরকার মূলত গন আদালতের সাথে সম্পৃক্ততার কারনেই বিচারপতি নাসিমকে এই ট্রাইবুনালের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দিয়েছিল। ঐ কারনেই সে সময় নাসিম পদত্যাগ করতে চাইলেও সরকার তাকে যেতে দেয়নি।

কিন্তু এইবারের এই স্কাইপে বিতর্কের প্রভাব অনেক ব্যপক। এর প্রাথমিক প্রভাব মূলত মনস্তাত্বিক। শুধু বিচারপতি নাসিম নয়, এই কথাবার্তা প্রকাশ হয়ে যাওয়ায় ট্রাইবুনাল এবং যুদ্ধাপরাধ বিচারের সাথে সম্পৃক্ত সবাই চাপে পড়বে। বিচারপতি নাসিম খুব দুর্দান্ত প্রতাপের সাথে আইনী ও ট্রাইবুনালের প্রশাসনিক কার্যক্রম নিয়ন্ত্রন করতেন। তার পদত্যাগে নাসিমের সাথে জড়িত সবাই স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে পড়বে। সরকারের মন্ত্রীরা যতই বড় বড় কথা বলুক না কেন, এই পদত্যাগ সামগ্রিক বিচার প্রক্রিয়াকেই প্রভাবিত করবে, কিছুটা ধীরও করবে বিচারের গতিকে।

এই স্কাইপে কথোপকথন ট্রাইবুনালের কর্মকর্তাদের নিজেদের মধ্যেই সংকট তৈরী করবে। ইতোমধ্যেই বিচারপতি জাহাঙ্গীর এই কথাবার্তায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। বিচারপতি নাসিম তার ব্যপারে যে মন্তব্য করেছেন তাতেও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তিনি। এটাতো খুব স্বাভাবিক। কেননা নাসিম তাকে সোনা জাহাঙ্গীর বা দুর্নীতিবাজ বলায় তার পেশাগত জীবন নিন্দিত হয়েছে। নাসিম বলেননি কাকে নিয়ে? একইভাবে এই কথোপকথনে তিনি প্রসিকিউটর মালুমকে, প্রসিকিউটর হায়দার আলীকে নিয়েও বাজে কথা বলেছেন। তিনি তার সহযোগী বিচারপতি জাহাঙ্গীরকেও কটাক্ষ করেছেন। এই বিচারপতি মাত্র স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। ট্রাইবুনাল -২ এর চেয়ারম্যান ফজলে কবীরের ব্যপারেও নানা অসন্তোষের কথা জানা যায় ঐ আলাপচারিতা থেকে। ট্রাইবুনাল-২ এ কোন মামলার কার্যক্রমই এখনও শেষ হয়নি। সবচেয়ে এগিয়ে আছে আব্দুল কাদের মোল্লার কেস। এই কেসটির আর্গুমেন্টই এখনও শেষ হয়নি। অথচ নাসিমের কথোপকথন থেকে জানা যায় ঐ ট্রাইবুনালের ৩য় বিচারপতি শাহীনুর ইসলাম ইতোমধ্যেই এই মামলার রায় লিখতে শুরু করেছেন। ঐ ট্রাইবুনালের (ট্রাইবুনাল-২) ২য় বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকেও যোগ্য ও নিজেদের লোক বলে ড: আহমেদ জিয়াউদ্দিনের কাছে সাফাই গেয়েছেন বিচারপতি নাসিম। এখন ডিফেন্স যদি এই ট্রাইবুনালের বিপক্ষেও অনাস্থা দেয় কিংবা নাসিমের মত একই কারনে ঐ দুই বিচারপতির পদত্যাগ চায়, তাহলে কি হবে পরিনতি? ট্রাইবুনালের প্রসিকিউটর মালুম কিভাবে আরেক প্রসিকিউটর হায়দার আলীকে চোর বলে তাও উঠে এসেছে সেই কথোপকথোনে। আর প্রসিকিউটর মালুম যে বিচারপতি নাসিমের মতই নিয়মিতভাবে বিতর্কিত ব্যক্তি আহমেদ জিয়াউদ্দিনের সাথে স্কাইপে এবং এসএমএস দিয়ে যোগাযোগ রাখতেন তাও প্রকাশ পেয়েছে সেই স্কাইপে কথোপকথোনে। অর্থাৎ ডিফেন্স তার আগের রিকুইজাল আবেদনে ট্রাইবুনালের উপর যে প্রভাব ফেলতে পারেনি, এই এক স্কাইপে কথোপকথোন এই ট্রাইবুনালকে সেই বিপদের মুখে ফেলেছে। এক কথায় বলা যায়, সার্বিকভাবে ট্রাইবুনালের অস্তিত্বই এখন বিপন্ন। কেননা পুরো বিচার প্রক্রিয়াটিই একটি টিম ওয়ার্কের ব্যাপার। এই কথাবার্তা ফাঁস হয়ে যাওয়ায় ট্রাইবুনালের সদস্যদের মধ্যে মনোকষ্ট বা আস্থাহীনতা তৈরী হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। আর এই টিমে পরস্পরের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝি থাকলে কোন কাজ কখনোই সঠিকভাবে করা যায় না।

সাম্প্রতিক সময়ে অনেকেই বিভিন্ন টক শোতে বিচারপতি নাসিমের কথোপকথন কে নানা যুক্তি দিয়ে জাস্টিফাইড করার চেষ্টা করছেন। তারা বলছেন যে, নাসিমের কথাবার্তায় বোঝা যায় যে, তিনি সামগ্রিকভাবে খারাপ অভিপ্রায়ে কিছু করেননি। তিনি বিচারের ব্যপারে খুবই কমিটেড এবং এরকম একজন কমিটেড লোক ছাড়া ডিফেন্সের এত সব ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে এই রকম স্পর্শকাতর বিচার করাও যাবে না। আমার এখানে দুটি স্পষ্ট বক্তব্য রয়েছে। প্রথমত যারা এগুলোর কথা বলছেন, তাদের অনেকেই ঘাতক দালাল কমিটির সাথে সম্পৃক্ত। কিন্তু এরা সবাই যুদ্ধাপরাধের বিচারের ব্যপারে খুবই কমিটেড। কোন হত্যাকান্ডের জন্য বিচার দাবী করার মধ্যে অন্যায় কোন কিছু নেই। কিন্তু যেহেতু একটি বিচারিক প্রক্রিয়া চলছে, তাই যুক্তি কিংবা বাস্তবতা- দুই বিচারেই এদের অর্থাৎ এই বিচার দাবীকারীদের একটি পক্ষ ধরা যায়। ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি গত ২০ বছর বর্তমান অভিযুক্তদের বিচারের দাবীতে আন্দোলন করে আসছে। তাই তাদের এই বিচারের ব্যপারের ক্ষেত্রে আবেগ থাকাই স্বাভাবিক। অন্যদিকে ডিফেন্সের আইনজীবিরা আসামীদের পক্ষে অবস্থান নেবেন- এটাও খুব স্বাভাবিক। তাই এই বিচারে এরাও একটি পক্ষ। কিন্তু বিচারপতি কিন্তু ভিন্ন জিনিষ। তারা তৃতীয় পক্ষ। যারা প্রসিকিউশন বা ডিফেন্স উভয়ের কথা শোনে একটি নিরপেক্ষ বিশ্লেষন করে একটি মানসম্মত রায় দেবেন। তাই এখানে বিচারপতি নাসিমের কমিটমেন্টের কথা যদি আসেই তাহলে তা হবে ভিন্ন ধারার কমিটমেন্ট, তা নি:সন্দেহে ঘাতক দালাল কমিটির সদস্যদের মত একই ধারার কমিটমেন্ট হবে না।

যে কোন বিচারের দুটি স্বাভাবিক স্পিরিট আছে। একটি হলো, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমানীত না হওয়া পর্যন্ত তাকে নির্দোষ হিসেবেই বিবেচনা করতে হবে। আর অন্যটি হলো যে কোন বিচারেই কোন অভিযুক্ত আসামী দন্ডিত হতে পাওে আবার নির্দোষ প্রমানীত হয়ে খালাসও পেয়ে যেতে পারে। এই দুটিকেই যদি বিবেচনায় রাখি, তাহলে বিচারকের যদি কমিটেড হতেই হয়, তাহলে তা হতে হবে ন্যায় বিচার করার ব্যপারে। কাউকে দন্ডিত বা খালাস দেয়ার ব্যপারে নয়। কিন্তু বিচারপতি নাসিমের কথোপকথোনে খুব স্পষ্টতই বোঝা যায় যে, তিনি শাস্তি মোটামুটি ঠিক করেই বিচার করতে বসেছেন। আর এটাও বোঝা হয়, যতই ডিফেন্স যুক্তিতর্ক দিক না কেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করেন যে, এই অভিযুক্ত ব্যক্তিরা আসলেই অপরাধ করেছেন আর তাই তার কমিটমেন্টের ব্যপারটি ন্যায় বিচার করার চেয়ে দন্ড দেয়ার ক্ষেত্রেই বেশী প্রযোজ্য।

এতো গেলো ট্রাইবুনালের ভেতরকার লোকজনের কথোপকথন এবং এর জের নিয়ে আলোচনা। কিন্তু বিচারপতি নাসিমের স্কাইপে কথাবার্তার বড় প্রভাব পড়বে আওয়ামী ঘরানার বুদ্ধিজীবিদের মধ্যে, বিশেষ করে যারা যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য দীর্ঘদিন আন্দোলন করে আসছেন। যারা এতদিন বিচারপতি নাসিমকে নানা বিপদ থেকে রক্ষার জন্য ভুমিকা পালন করেছে, তারা যখন তাদের ব্যপারে নাসিমের মন্তব্য জানতে পারবে, নি:সন্দেহে কষ্ট পাবে তারা। ঐ বুদ্ধিজীবিদের মনেই হতে পারে যে, যার জন্য করি চুরি সেই বলে চোর। কত বড় পর্যায়ের ব্যক্তিত্ব নিয়ে নাসিমের সমালোচনা আছে, তা জানলে রীতিমত বিস্মিত হতে হয়। ড: কামাল হোসেনের মত সংবিধান প্রনেতা ও আইন বিশেষজ্ঞ নিয়ে নাসিমের মতামত হলো ড: কামাল ক্রিমিনাল কেস বুঝে না। আরেকজন সিনিয়র আইনজীবি ব্যারিস্টার আমীরুল ইসলামকে তিনি বলেছেন গ্যানজাইমা। আর বিলিয়ার সাবেক চেয়ারম্যান যিনি গত কয়েক বছর যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছেন, তাকে নাসিম আখ্যায়িত করেছেন চোর হিসেবে। বিচারপতি নাসিমের কটুক্তি থেকে বাদ যায়নি সরকারের আইনমন্ত্রী, আইন প্রতিমন্ত্রী, এমনকি সরকারের আরো কর্তাব্যক্তিরাও। জেলা জজদের ব্যপারেও নিজের দম্ভোক্তিমূলক উক্তি করতে পিছুপা হননি বিচারপতি নাসিম। বিচারপতি সিনহা তাকে আপীল বিভাগে নেয়ার অফার দিয়েছেন এটা প্রকাশ করে সিনহাকেও বিতর্কিত করেছেন তিনি।

জামায়াত ও বিএনপি বিগত সময়ে এই ট্রাইবুনালকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রনোদিত বলে আখ্যায়িত করলেও সাধারন অনেক মানুষ এই ট্রাইবুনালের ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও আস্থা রাখতো। এমনকি জামায়াতের অনেক লোককেও আমি বলতে শুনেছি যে ট্র্ইাবুনাল থেকেও ন্যায় বিচার আসতে পারে। অনেকেই মনে করেছিল হাইকোর্টের গোলাম আজমের মত জামায়াতের পক্ষেও রায় হতে পারে এই ট্রাইবুনালেও। তাই সাজানো বিচারের অভিযোগটি ডিফেন্স বরাবরই উত্থাপন করলেও সাধারন মানুষের মধ্যে কিছুটা আস্থা ছিলো এই ট্রাইবুনালের উপর। যুদ্ধাপরাধ বিচারের দাবীতে সোচ্চার ব্যক্তিরাও নানা ক্যাম্পেইন করে ডিফেন্সের এই সব অভিযোগকে উড়িয়ে দিতো। কিন্তু এই স্কাইপে আলাপ ডিফেন্সের দাবীকেই প্রতিষ্ঠিত করবে। গোটা বিচারটাই যে সাজানো, পুরোটাই যে নাটক এটা প্রমান হয়েছে স্কাইপে আলোচনায়। কেননা এই আলাপে দেখা যায়, বিচারের রায়ের স্কেচ বানানো, প্রসিকিউশন ডকুমেন্টস বানানো, ডিফেন্সের আবেদন বিবেচনা, ডিফেন্সের সাক্ষী সীমিত করন, কার মামলা আগে যাবে, কারটা পরে, কারটা থামিয়ে রাখা হবে, কোন মামলার রায় আগে হলে অন্য মামলার রায় দেয়া সুবিধাজনক, ট্রাইবুনালের গতি, দুই ট্রাইবুনালের মধ্যে প্রতিযোগিতা, ট্রাইবুনাল ২ যাতে ট্রাইবুনাল ১ এর আগে কোন মামলার রায় দিতে না পারে- এই সমগ্র বিষয়গুলোই আগে থেকে ঠিক হয়ে থাকতো। কি হবে না হবে তা আগে থেকে নির্ধারিত থাকার কারনে ডিফেন্সের সব আবেদন স্বাভাবিকভাবেই খারিজ হয়ে যেত। অর্থাৎ কোনটাই কিছু নয়, সব আসলে সাজানো নাটক- এটা স্কাইপে আলাপচারিতায় পরিস্কারভাবেই ফুটে উঠেছে। সামগ্রিকভাবে খারাপ যে প্রভাবটা পড়েছে তা হলো, মানুষের ভেতরে ট্রাইবুনালের ব্যপারে তীব্র অনাস্থা তৈরী হয়েছে এবং একই কারনে চলমান যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়াটিও প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। আর সে কারনেই টিভি টকশোতে ড: পিয়াস করিম সাম্প্রতিককালে আক্ষেপ করে বলেছেন যে, জামায়াত বিগত ৩৮ বছরে যুদ্ধাপরাধের বিচারকে যতটা প্রশ্নবিদ্ধ বা বিতর্কিত করতে না পেরেছে সেখানে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের দল হয়েও আওয়ামী লীগ এই যুদ্ধাপরাধের বিচারকে তার থেকে বেশী খেলো করে ফেলেছে।
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=আকাশে তাকিয়ে ডাকি আল্লাহকে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০১


জীবনে দুঃখ... আসলে নেমে
শান্তি গেলে থেমে;
আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে হই উর্ধ্বমুখী,
আল্লাহকে বলি সব খুলে, কমে যায় কষ্টের ঝুঁকি।

আমি আল্লাহকে বলি আকাশে চেয়ে,
জীবন নাজেহাল প্রভু দুনিয়ায় কিঞ্চিত কষ্ট পেয়ে;
দূর করে দাও সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

"ছাত্র-জনতার বেপ্লবের" ১৮ মাস পরে, আপনার ভাবনাচিন্তা ঠিক আগের মতোই আছে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৭



২০২৪ সালের পহেলা জুলাই "ছাত্র-জনতার বেপ্লব শুরু হয়, "৩৬শে জুলাই" উহা বাংলাদেশে "নতুন বাংলাদেশ" আনে; তখন আপনি ইহাকে ব্যাখ্যা করেছেন, ইহার উপর পোষ্ট লিখেছেন, কমেন্ট করেছেন; আপনার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

×