১৯৭১ সালে আমরা লড়েছিলাম পাকিস্তানী শাসকদের বিরুদ্ধে। এখনও স্কুলের বই-এ তারা কিভাবে আমাদেরকে ন্যায্য অধিকার থেকে বব্ঞিত করেছিল তা লেখা আছে পাতার পর পাতা। আর সেই অধিকার আদায়ে আমরা দিয়েছিলাম ৬ দফা। আর আজ ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজের মেয়েরা পূনরায় যুদ্ধে নেমেছে। আবারও দেওয়া হয়েছে সেই ৭ দফা দাবি। প্রতিটা মেয়ের এখন মূল দাবী পরিমল-এর ফাঁসি আর হোসনে আরা বেগম এর অত্যাচার থেকে স্কুলকে মুক্তি দেওয়া। কি হচ্ছে সেইটা মুখ্য না। দাবি মানা না হলে কি হবে সেইটাই প্রধান বিষয়।
আজ ১৩ জুলাই ২০১১। ভিকারুন নিসার গভর্নিং বডি ঘোষণা করল যে তারা হোসনে আরাকে অব্যাহতি এবং সেই সাথে আম্বিয়া খাতুনকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হ্য়। হঠাৎ করে সেই বরখাস্ত মহিলা কোথা থেকে মিডিয়াকে খবর দেন যে এই নিয়োগ অবৈধ। ভাল কথা। সে গত ৭ দিন কোথায় লুকিয়ে ছিল? কাজের সময় তাকে খুঁজে পাওয়া যায় নি কেন?গভর্নিং বডি দীর্ঘ ৭ দিন পর কেন এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিলেন যখন তাদের সিদ্ধান্তকে সরকার মানতে চাইছে না? তারা আজ বিবেকের দংশনে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ছাত্রীদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু যখন এই মহামান্য মহিলা স্কুলের যাবতীয় আনুসঙ্গিক বিষয়কে বাতিল করে দিয়েছিলেন সময় আর টাকার অপচয়ের দোহাই দিয়ে, তখন এই বডি কৈ ছিল, আজ বড়ই জানতে ইচ্ছে করছে।
গভর্নিং বডির এই প্রহসন কিসের জন্য? তারা দশ জন হয়ে কেন ঐক্যমত হতে পারছেন না যেখানে ভিকারুন নিসা স্কুলের বর্তমান ১৮০০০ ছাত্রীর দাবী এই হোসনে আরাকে তারা প্রিন্সিপাল হিসেবে চায় না? আজ যখন আম্বিয়া খাতুন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষা হিসেবে নিয়োগ পেলে সকল ছাত্রী খুশিতে আত্মহারা তখন তাদের খুশিতে আগুন ধরাতে এসেছে হোসনে আরা আর তার মিত্ররা। মনে আছে, মুসলিম লীগের সেই সংখ্যাগরিষ্ঠ নির্বাচন জয়? আজ আমরা সেই জয় পেয়েছি। কিন্তু এদেশ থেকে যেন ইয়াহিয়ারা এখনও মারা যায়নি।
মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। এর থেকে এখন কেউই আর পিছে ফিরে যাবে না। কখনোই না।আমরাই জিতবো, জিততে আমাদের হবেই।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




