রিজভী কেবল মাথা নেড়েছিল। আমি আর কিছু জিজ্ঞাসা করিনি। তামান্না অতি রুপসী নারী, বলতে পারেন ডানাকাটা পরী। কিন্তু, ডানাকাটা পরী যদি কদাচিত তার ডানা খুলে বেড়িয়ে আসে সে নিশ্চয়ই কিছু শুভকর হবে বলে ঠাওর হয়না।
যাহোক, ঘটনা চক্রে, রিজভীর দাম্পত্য জীবনের প্রতি আমাকে কিছুটা আগ্রহী হতে হলো। রিজভী আর তামান্না, পরস্পরকে ভালোবাসে এবং তা কেউ কারও চেয়ে কম নয়। আবার, একই সাথে তাদের প্রচুর অভিযোগ পরস্পরের প্রতি। দ্রষ্টা পাঠক, এই মর্মে বলা বাহুল্য, অভিযোগ মুলত তামান্নার। তামান্নার বক্তব্যঃ রিজভীর এতটা খামখেয়ালীপনা সহ্যাতীত। স্বামীর কাছে কিছু বিশেষ প্রত্যাশা স্ত্রীর নৈতিক অধিকার। অন্যদিকে, রিজভীর মতে, তামান্না ওর ভুলে যাওয়া রোগ সম্পর্কে আদ্যোপান্ত অবগত এবং তা জেনেই তো তামান্না তাকে বিয়ে করেছে; তামান্না কি আদৌ উপলব্ধি করেনা রিজভী তাকে কতটা ভালোভাসে?
রিজভীর মতো ভুলোমনা মানুষ প্রকৃতির স্বকীয় সৃস্টি। অন্যদিকে, তামান্নার রিজভীকে পছন্দ করার কারন হলো রিজভী তামান্নার ব্যক্তিগত বিষয়ে কখনও নাক গলাতে যায়না, সে তামান্নাকে চলতে দেয় তার আপন গতিতে। রিজভীর ভুলে যাওয়াটা যে খুব দোষের এও কিন্তু বলা যায় না। এই আমার কথাই ধরুন, মানুষ এ পর্যন্ত আমাকে যে পরিমান জ্ঞান দিয়েছে তা যদি আমাকে মনে রাখতে হতো, আমার মাথার ওজন কমসে কম আড়াই সেড় বেড়ে যেতো। বাস্তবিকই, আমি এসব গায়ে মাখিনা; সে অর্থে, বলা চলে, আমিও বেজায় ভুলোমনা।
কথামালার অন্য পাড়ে তামান্না, বেচারী তামান্না! স্বামীর কাছে কিছু চাওয়া-পাওয়া তার সাংসারিক অধিকার। ভুলোমনা রিজভীর এই মনে না রাখতে পারার সমস্যাটা আসলেই প্রকট। রিজভী প্রতিদিনই এত কিছু ভুলে যায় যে আমিও ভুলে যাই গতকাল সে কোনটা ভুলে গিয়ে গোল বাধালো।
রিজভী যে সবকিছুই ভুলে যায় তা নয়। যেমন, ঘটনাটি ঘটার মাস চারেক আগে, বাংলাদেশ-পাকিস্তান ক্রিকেট বাজীতে, রিজভী হারল আমি জিতলাম। পরদিন সন্ধায়, আমাকে আশ্চর্য করে দিয়ে বাজীর টাকা নিয়ে সে উপস্থিত। আমি বিস্ময় গোপন করতে না পেরে জিজ্ঞেস করলাম “এটা তোমার মনে আছে?” রিজভী এমনভাবে আমার দিকে তাকালো যেন আমি তাকে খুব একটা লজ্জার মধ্যে ফেলে দিয়েছি; বন্ধুর ঋণ সে ভুলে যাবে, এও কি হয়? আমি তাকে স্নেহের সুরে বললাম, “তুমি অন্তত একটি বিষয়-তো মনে রাখতে পেরেছ”"। ও দিগন্ত বিস্তৃত একটা গর্বিত হাসি দিল। “এখন আসল কাজ হলো, তোমার ম্যারেজ ডে সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় তারিখগুলোর একটা লিস্ট তৈরী করা, এতে কিছুটা কষ্ট হলেও ভবিষ্যতের অনেক ঝামেলার লাঘব হবে; এ কাজটা ভাই মনে করে করে ফেলো"”। এর বেশী আমার আর কিই বা বলার ছিল রিজভীকে! রিজভী এর উত্তরে কেবল মিনিট খানেক উদাস থাকলো।
এরপর অনেকদিন রিজভীর সাথে আমার যোগাযোগ নেই। হঠাত একদিন বেশ রাত্রিতে, সে হন্ত দন্ত হয়ে আমার বাসায় ছুটে এলো, খানিকটা তোতালাচ্ছিল
"ও চলে গেছে”
“কে?”
“তামান্না! চলে গেছে, আমাকে রেখে চলে গেছে।“
“কোথায় গেছে?”
“এটা পড়ে দ্যাখো”
একটা চিরকুট। তাতে লেখা “প্রিয় রিজভী, আমি চলে যাচ্ছি, এভাবে আর সংসার করা যায়না, যদি সত্যিই তুমি আমাকে ভালোবেসে থাকো, আমার জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিও; আমি চলে আসব। পোস্ট বক্স ৩৪১, .........পোস্ট অফিস”।
“তো তাই করনা কেন? শুভেচ্ছা জানাও, সে চলে আসবে।“
“কিন্তু ও যে জন্মদিনের কথা বলেছে “
“আচ্ছা, তো ভাবীর জন্মদিন কবে?”
“তুমি কি এখনো বুঝতে পারছনা? আমি ভুলে গেছি”
“ভুলে গেছো মানে কি? কাছাকাছি একটা কিছু বল; দেখি চেষ্টা করা যায় কিনা”
“আমার জানামতে তামান্নার জন্মদিন পহেলা জানুয়ারী থেকে ৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যে, এর বেশী কিছু আমার জানা নাই”
“ভাবো”
“ভাববো? তুমি কি মনে কর আমি ভাবিনি? এই চিঠি খোলার পর থেকে ভাবতে ভাবতে আমার মস্তিস্কের শিরা উপশিরা বিকল করে ফেললাম”
“কিছুই মনে করতে পারলেনা?”
“না”
আমার অবস্থা তখন এক আনাড়ী শার্লক হোমসের মতো। ক্লায়েন্ট এসে বলছে হেই শার্লক হোমস, আমার স্ত্রীর জন্মদিনটা খুজে বেড় করে দাও। এবার আমার মস্তিস্কের শিরা-উপশিরা বিকল করার পায়তারা হলো। যা ভাবতে পারলাম তা হলো একটা clue দরকার, প্রথমে। আমি রিজভীকে জিজ্ঞাসা করলাম,
“তোমার কি মনে আছে ভাবীর গত জন্মদিনে কি ধরনের weather ছিল? এতে হয়তো আমরা সিজন আর সিজন থেকে মাস-দিন বেড় করতে পারব”
“স্বাভাবিক weather ছিল বলেইতো মনে পড়ে”
“গরম?”
“কিছুটা গরমই বটে”
“কিংবা ঠান্ডা?”
“আ? ঠান্ডা? বোধহয়...হতে পার। আমি ভালোমত মনে করতে পারছিনা”
রিজভী বেজায় চিন্তিত হয়ে উঠল। প্রায় মিনিট দশেক পায়চারি করল আমার ছোট্ট ঘরের এ-মাথা থেকে ও-মাথা। তারপর হঠাৎ তারস্বরে চিতকার করে উঠল,
“পেয়েছি, পেয়েছি, গত জন্মদিনে আমি ওকে একটা বই কিনে দিয়েছিলাম, দোকানে গিয়ে ওদের পুরোনো সেল হিস্ট্রি খুজে তারিখটা বার করা যেতে পারে”
“একদম ঠিক, তো কি বই কিনেছিলে?” আমি জিজ্ঞেস করলাম।
“মনে করতে পারছিনা”
দীর্ঘক্ষণ নীরবতার পর রিজভী ব্র্যান্ড নিউ এক আইডিয়ার অবতারনা করল, বলল,“এক কাজ করা যাক, চল রাশিচক্রের বই কিনে তা থেকে খুজে বের করি”
আমি বললাম“তা কি করে সম্ভব?”
“ওতে মানুষের চরিত্র, রাশি ও জন্ম তারিখের বর্ননা থাকে। মানে, ধর যে তামান্নার চরিত্রের সাথে যে রাশি মেলে, তারপর আরও প্রিসাইস ভাবে..................চল না চেষ্টা করে দেখি”
দোকানে যেয়ে বারোমাসের জন্য প্রকাশিত এক ডজন রাশিচক্রের বই পাওয়া গেলো। আমি ছটা আর রিজভী ছটা; তারপর দুজনে মিলে চিরুনি তল্লাশি চালালাম। কিন্তু, কার্যক্ষেত্রে সমস্যা আসতে লাগল প্রচুর। রাশিচক্রের তথ্যের উদারতায় যে কোন রাশির সাথেই তামান্নার চরিত্র মেলানো সম্ভব। যেমন ধরুন, ডিসেম্বরে জন্মগ্রহনকারীরা গোপনীয়তা রক্ষা করে চলে এবং সুদুর-ভ্রমনে প্রত্যাশী হয়। সুতরাং এ মাসটি তামান্নার সাথে মিলে যায়, অন্তত, তামান্না রিজভীর ধরা ছোয়া থেকে যথেষ্ট দুরেই ভ্রমন করেছে। আবার অক্টোবরে জন্মগ্রহনকারীরা সৃজনশীল হয় এবং তারা ভ্রমন পিয়াসীও হয়। এওতো তামান্নার সাথে মেলে। যাহোক প্রবল খোঁজা-খুজির পর রিজভীর বিশ্বাস তামান্নার জন্মদিন মে মাসে, কেননা মে মাসে যারা জন্মগ্রহন করে তারা কিছুটা খামখেয়ালী হয় এবং বিবাহিত জীবনের প্রতি অশ্রদ্ধা পোষন করে থাকে অন্যদিকে আমার ধারনা ফেব্রুয়ারী, কারন ফেব্রুয়ারীতে জন্মগ্রহনকারীরা তাদের ভালোবাসার মানুষের কাছে প্রত্যাবর্তনে প্রত্যাশী হয় (শর্ত পুরণ হলেইতো তামান্না ফিরতে ইচ্ছুক)। তো আর কি? শেষ পর্যন্ত বইগুলো ছিড়ে কুটি কুটি করে সেইদিনের মত খোঁজাখুজির অভিযান মুলতবী ঘোষিত হলো।
পরের সপ্তাহে আবার রিজভীর সাথে দেখা হলো। এবার তাকে আগের চেয়ে অনেক বেশী আত্নবিশ্বাসী মনে হলো, বলল,
“আমি বিষয়টা নিয়ে ভাবছি এবং ধারনা করছি ঠিক জায়গামতো প্রায় হিট করে ফেলেছি......... একটা গুরুত্বপুর্ন জিনিস মনে করতে পেরেছি, খুবই গুরুত্বপুর্ন।
“তাই?” আমি বললাম
“আমার সম্পুর্ন মনে আছে, তামান্নার গত জন্মদিনে আমরা দুজনে লিংকন সেন্টারে একটা প্রোগ্রামে গিয়েছিলাম। কি?...... শুনে কেমন মনে হচ্ছে?”
“মনে রাখা হিসেবেতো অতিশয় ভালো......... কিন্তু এতে কি লাভ?”
“ আরে ভাই শোনো.........ওরা প্রত্যেক সপ্তাহেই ওদের প্রোগ্রামগুলো change করে। আর............আমরা গিয়েছিলাম একটা এশিয়ান ফেস্টিবলে। আমি অনলাইনে চেক করে দেখেছি ওটা ছিল মে মাসের ১৫ থেকে ২০। তারমানে ছ’দিন হাতে আসল।“
“আচ্ছা, তারপর?”
“আমার মনে আছে ওই দিন একটা হিন্দী থিয়েটার চলছিল, তার মানে ইন্ডিয়ান প্রোগ্রাম”
“ঠিক”
“চেক করে দেখলাম ইন্ডিয়ান প্রোগ্রাম ছিল সোমবার আর বিষ্যুদবার। তারমানে হাতে আসল দুদিন”
“রিজভী............”(আমার শিরদাড়া কাপছিল উত্তেজনায়)
“হুম.........কিন্তু......”
আমি বললাম, "দাড়াও! আমার একটা বিষয় মনে পড়েছে। যেদিন তুমি লিংকন সেন্টারে গিয়েছিলে সেদিন দুপুরে আমরা দুজনে একটা চায়নীজ রেস্টুরেন্টে লাঞ্চ করেছিলাম আর তুমি টাকা আনতে ভুলে যাওয়ায় ক্রেডিট কার্ডে পেমেন্ট করেছিলে"
“কিন্তু, আমি তো প্রায় সব সময়ই তাই করি.......মানে টাকা নিতে ভুলে যাই আর ক্রেডিট কার্ড ঘষি.........”
“হ্যা, কিন্তু.........মে মাসে ১৫ থেকে ২০ এর মদ্ধে চাইনীজ রেস্টুরেন্টে ক্রেডিট চার্জের হিস্ট্রি পেলেইতো আমরা তারিখটাও পেয়ে যাই”
“তুমি একটা জিনিয়াস, টোটালি জিনিয়াস!!............আমি এখনই যাচ্ছি, কাল কথা হবে”
পরদিন রিজভী এসেই নাচন-কোদন শুরু করল।
“পেয়েছি......আমি পেয়ে গেছি!!!”
“হুম?”
“এটা ছিল মে মাসের ১৭”
"বাহ্" আমি বললাম।
যা হোক, সেদিনের মতো আমাদের বিদায় নিতে হলো। এরপর, রাতে বাসায় ফিরে লং ডিস্টেন্স কলের জন্য কার্ড নিয়ে ফোনের কাছে বসলাম। কয়েকটা রিংয়ের পর ওপাশ থেকে ভারী কন্ঠে হোটেলের রিসেপশনিস্ট ফোন ধরে বলল "Hello........."
আমি বললাম, "Could you please put me through to Mrs. Tamanna Alam, Room no 305?"
“Its late” ভারী কন্ঠ উত্তর দিল।
আমি অধৈর্য্য হয়ে বললাম, “Its getting later every minute, Don’t worry, she knows me”
“কি ব্যাপার ধ্রুবদা, এত রাতে?” তামান্নার কন্ঠ।
“হ্যা, আমি আর দেরী করতে পারলাম না ভাবী, রিজভী শেষ পর্যন্ত মনে করতে পেরেছে”
তামান্না চিতকার করে উঠল.........”পেরেছে? পেরেছে শেষ পর্যন্ত?” একটু শান্ত হয়ে “আপনি বলে দিয়েছেন, তাই না?”
“না”
“ধ্রুবদা, ওকি খুব টেনশান করছিল?”
“টেনশান মানে-কি! রিজভীর মতো টেনশান করেছে এমন মানুষ বোধহয় এ কদিন পৃথিবীতে আর দুটো ছিলনা। সে তো প্রায় নাওয়া-খাওয়া বাদ দিয়ে কেবল এই ভেবেছে, আর.........”
পাঠক, আমাকে ক্ষমা করবেন। বন্ধুর সুখময় দাম্পত্য-জীবন প্রতিষ্ঠার জন্য বন্ধুপত্নীর সাথে গোপন সড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিলাম; কিন্তু, ঝড়টা যে উলটো আমার দিকে বইতে পারে তা ভাবার মতো দূর-দর্শিতা আমার কস্মিনকালেও ছিলনা। সে ঝড়ের দাপট আমি হাড়ে হাড়ে টের পেলাম যখন তামান্নার কথার চাবুক আমার মেরুদন্ড দিয়ে প্রবেশ করে সর্বকনিষ্ট কশেরুকাটিকে পর্যন্ত বিচুর্ন করে দিল। কোন নারী যখন প্রবল ঘৃনায় বলে “আহ্”, সে আহ্ পুরুষ কর্ণে গলিত শীষার মতো প্রবাহিত হয়।
“আহ্। পুরুষের জাত কতটা বর্বর, কতটা পাশবিক! কিভাবে আপনি পারলেন রিজভীর পাশে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ওর suffering দেখতে? যেখানে আপনার মুখের একটা শব্দ সবকিছু ঠিক করে দিতে পারত? আপনি.........”
“কিন্তু.........” আমি বলতে চাইলাম অস্ফুট স্বরে।
“আর আপনি নিজেকে রিজভীর বন্ধু বলে দাবী করেন! বন্ধু!!! আহ! আমিতো মনে করতাম আপনার ভেতরটা অনেক মহৎ...”
“কিন্তু”......আমি বললাম, “যখন আপনাকে আমি প্ল্যানটার কথা বলেছিলাম, আপনিতো ভালোভাবেই মেনে নিয়েছিলেন।“
“আমি মোটেই মেনে নেইনি”
“আপনি বলেছিলেন এটা একটা পারফেক্ট আইডিয়া”
“আমি এ ধরনের কিছুই বলিনি আর যদি বলেও থাকি তা আমি mean করিনি। দেখুন ধ্রুবদা আপনার মতো জঘন্য চরিত্রের লোক আমি আর দু’টো দেখিনি.........বন্ধুর স্ত্রীকে দুরে সরিয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তার ধুকে ধুকে কষ্ট পাওয়া দেখলেন.........ছিঃ”
“কিন্তু.........”
“যেখানে আপনার মুখের একটা মাত্র শব্দ.........”
“আপনি আমাকে promise করিয়েছিলেন যাতে আমি কিছু না বলি.........”
“হ্যা করিয়েছিলাম। কিন্তু আমি ভেবেছিলাম, সে Promise ভাঙ্গার মতো sense আপনার আছে”
আমার সকল বলা শেষ হলো, ফোনের রিসিভারটা নামিয়ে আস্তে করে কম্বলের নীচে ডুবে গেলাম। রিজভীর সাথে এখনও আমার বন্ধুত্ব রয়ে গেছে আগের মতোই তবে ওর বাড়ীর পথে আর ভুলেও ছায়াপাত করিনা। এক বিয়ের পার্টিতে আরেকবার দেখা হয়েছিল তামান্নার সাথে, ওর চোখ থেকে দুটো ছুটন্ত বুলেট ঠিকরে বেড়িয়ে আসতে দেখে মাথা নীচু করে ফেলেছিলাম তৎক্ষণাৎ।
(শেষ)
(ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার উপর প্রিয় লেখক P.G. Wodehouse এর প্রলেপ দিলাম। রিজভীর প্রতিঃ আমার অজান্তে যদি এই লেখাটি পড়ে থাকো,বন্ধুত্বের এই গোপোনীয়তা ভংগ করায় আমায় ক্ষমা করো------; আর ............বোধহয় ইতোমধ্যে Promise ভাঙ্গার মতো একটা sense আমার তৈরীও হয়ে গেছে)
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মে, ২০০৮ ভোর ৫:১৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




