আগের পর্বের জন্যঃ Click This Link
আমাদের গল্প চলে অনেক রাত অব্দি! সে তার অফুরন্ত ভান্ডার থেকে ভুত-প্রেমের গল্প বলে। ওদিকে আমার ভান্ডারের তলানীতেও তেমন কিছু নেই। সত্য মিথ্যেয় মিশেলে গাঁজা খুরি প্রেমের গল্প ফেঁদে তাকে বলি। কেঊ কারো অতীত নিয়ে জ্বলে পুড়ে ছাড়খার হই না। সারাক্ষন শুধু যে এটাই আমাদের আলোচনার বিষয় বস্তু থাকে তা কিন্তু নয়।
গল্প হয় পরিবার নিয়ে, দেশ নিয়ে , বন্ধু , সংস্কার, ধর্ম নিয়ে। মাঝে মধ্যে দু-চুমুক ওয়াইন, প্রজ্বলিত ধুম্র শলাকায় চুম্বন আর একটু আধটু নাচ। ওর পাশে থাকলে আমার হাত –ঠোট বশে থাকে না। সারাক্ষণ উদ্গ্রীব হয়ে থাকে একটুকু ছোঁয়া, আবেশী চুম্বন কিংবা প্রলোভনের।
অর্থনৈতিকভাবে ভিখেরিতো ছিলাম-ই। ঘনিষ্ঠ প্রেমের আকাঙ্ক্ষায় চেহারাতেও একটা ভিখেরী ভাব এসে গিয়েছিল বোধ হয়। না হলে দয়া-পরবশত হয়ে লিয়েনাই কেন এগিয়ে এল প্রথমে!
সে এক প্রগাঢ় চুম্বনে – আমার মাথার নিউরনের তার সব ছিড়ে ফেলল। আমিও কম যাই কিসে- সে যদি হয় তেজস্বিনী বাঘিনী, আমি নিদেন পক্ষে বাগডাসা তো হব। কিন্তু একি! খানিকটা ঘনিষ্ঠতা বাড়তেই- তার শুরু হল কাঁপুনি। প্রথমে মৃদু কাঁপন- খানিক বাদেই থর হরি কম্প! আমিতো বিস্ময়ে-ভয়ে নাই!
কিন্তু সে আমাকে সান্তনা দেয়- তেমন কিছুই নয়। এর আগে নাকি এমন আর হয়নি কখনো!
লারিসার বোন একদিন এসে মইনের কাছে বিয়ের দিন-ক্ষন ঠিক করতে চাইল।
আমি লারিসাকে চোখ টিপে বললাম, আরেকটু অপেক্ষা করতে। লারিসারও সেমত। সে এখন বিয়ে করতে চায় না। আগে অলিম্পিকের বাছাই পর্ব পার করা তারপরে বিয়ে। আমি মনে মনে বিলি বইন’রে তোমার ট্রেনিং এর যে হতচ্ছাড়া অবস্থা- তাতে বাছাই পর্বের গন্ডি এই জীবনে পার হওয়া হয়তো আর হবেনা। মইন অবশ্য চায় বিয়েটা তাড়াতাড়ি সেরে ফেলতে। সে এখন চলছে ফু-ফা দিয়ে –কদিন বাদে ফুসফুসের বাতাস মনে হয় থাকবে না। উপরন্তু সে চায় না লিয়েনা অলিম্পিকে যাক, তাহলে সে হাতছাড়া হবে নিশ্চিত। তাই সে বিয়েটা তাড়াহুড়ো করে সেরে নিয়ে নির্ভার হতে চায়।
কিন্তু আমার কু-মন্ত্রনায়, লারিসার একগুঁয়েমিতে ভেস্তে গেল সব! লারিসা এখন আমাদের হাতের রান্না খায়। ঝাল খেলে যে, শরিরে মেদ জমে না এই ফর্মুলা সে গিলেছে। এখন সে নিজের মায়ের হাতের রান্না বাদ দিয়ে- আমাদের রান্নার অপেক্ষা করে। বার বার ঢাকনা তুলে ঘ্রান শুঁকে বলে ‘ব্বকুছনা বুজ্বেত’?( মজা হবে-না?) এমন ধীরে ধীরে রান্না কর কেন? আমাদের মত ঝট পট করবে। আমরাতো ইদানিং রান্না করি সময় কাটানোর জন্য- দু জনের হাতেই অফুরন্ত সময়। এত অলস সময় আমরা কেমনে কাটাব- সেইটে ভেবে ভেবে অনেক সময়, সময় কাটাই! মইনের হাল হকিকত-তো ওর মালুম নাই! ওর সলতের আগুন জ্বলছে তেল ছাড়া।
এর মাঝেই আমরা একটা বিশেষ দাওয়াত পেলাম রাতের অভিসারের। লিয়েনার বাবা মা গিয়েছে ব্যাবসার কাজে অডেসা’তে দুদিনের জন্য। সে আমাদের আমন্ত্রন করেছে ওখানে রাত কাটানোর জন্য। আমারতো শুনেই জ্বর-জ্বর লাগছে। হে অদৃষ্টপুরূষ!এতো এক গ্লাস পানি চাইতেই পুরো বৈকাল হ্রদ ওষ্ঠাধরে এনে দিলে।
ওদিকে মইনের খুশি যেন ধরে না। সে নিজের মনে ফিক্ ফিক্ করে হাসছিল।এ বাসায় আন্দ্রে, ওর বাবা মা কেঊ না কেঊ সব সময় থাকে- তাই সব কিছুই চলে রাখ ঢাক করে। তাছাড়া রেতেতো কখনো ওরা একসাথে থাকেনি।
খানিক বাদেই আমাকে এসে জিজ্ঞেস করল, বড়লোকের মেয়ে, ওদের বাসায় গেলে-তো খালি হাতে যাওয়া যায় না! কি নিয়ে যাওয়া যায় বলেনতো?
আমি হেসে বললাম,- চলেন একখান গাড়ি নিয়ে যাই।
-ধুর মিয়া! পারলে তাই নিয়ে যাইতাম। এক কাজ করি ‘কসমস’ থেকে দামী একটা লিকিওর( লিকার), কিছু ফুল আর সালামী টালামি নিয়ে যাই-কি বলেন।
- এ তল্লাটে ওর থেকে ভাল জিনিস আর কোথায় পাবেন। তথাস্তু!
লারিসা ওর বাবা-মাকে কেমনে ম্যানেজ করেছিল জানা নেই। তবে আমরা গেলাম আলাদা দুই বন্ধু মিলে আর লারিসা গেল নিজের মত করে।
বেশ গোছানো ফ্লাট ওদের। দামী দামী আসবাব আর স্যুভেনিরে ঠাঁসা দেয়ালের তাকগুলো। ঘরে রক্ষিত সব কিছুতেই আধুনিকতা আর অভিজাত্যের ছোঁয়া।
লিয়েনা আদপে খাঁটি রুশীয় নয়। তার বাবা আর্মেনিয়ান আর মা অডেসার মেয়ে। সেজন্যই এ মেয়ে একদম অন্য আদলে গড়া। গেয়ের রঙ, চুল আর শারিরিক গড়ন রুশীয়দের সাথে মেলে না।
আমরা বাসায় ঢুকতেই আটপৌরে লিয়েনা নজরে এল। যদিও পড়নে লম্বা ঝুলের স্কার্ট আর ঢিলেঢালা লিনেনের শার্ট- তবুও এ পোশাকে তাকে মানিয়েছে বেশ! বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান সে, পুরো বাড়ির একচ্ছত্র অধিকার তার মুঠোয়। সারা বাড়ি ঘুড়িয়ে দেখিয়ে আমাকে আর মইনকে খাবার টেবিলে বসিয়ে সে আর লারিসা ব্যাস্ত হয়ে পড়ল রান্নায়। হাতে সিগারেট নিয়ে আমরা দু’জন অগত্যা লিকিওরের বোতল খুলে বসলাম-সাথে সালামি, পনির আর কালো রুটি।
আচমকা ডোর বেল বিকট শব্দে বেজে উঠল! সাথে সাথেই রোল্ডা’র চিৎকার। লিয়েনা হতবাক, কে আসল এই অসময়ে? আমাদের একদম নিঃশব্দে থাকতে বলে সে পা টিপে টিপে এগিয়ে গেল দরজা অভিমুখে। এর মধ্যেই আবার ডর বেলে শব্দ। লিয়েনা পিপ-হোলে চোখ রেখে বিস্ময়ে হতবাক! তার নাকি খালা এসেছে?! কিন্তু সে ডিটারমাইন্ড খুলবে না। ‘দরজা’ রোল্ডার চেঁচানি তখনো থামেনি- মালিকের হাতের ইশারায় সে থামতে নারাজ- তাকে ধমক দিয়ে থামাতে হবে।
কুকুরের চিৎকারেই ঝামেলা হয়ে গেল! কুকুর ভিতরে থাকা মানেই- লিয়েনা আছে। কুকুর রেখে একা সে বাইরে যাবেই না। ডোর বেল বেজেই চলছে – আমরা সবাই খানিকটা ভয়ে শংকায় মুখে কুলুপ এটে বসে আছি।
ভদ্রমহিলা নাছোড় বান্দা- হয়তো সে ভয় পেয়েছে, ভাবছে কোন অঘটন ঘটল কিনা। বেশ কিছু সময় পরে বেলে’র শব্দ বন্ধ হল। খানিক বাদেই শুরু হল- টেলিফোনের উৎপাত। একটানা ক্রিং ক্রিং করে বেজেই যাচ্ছে। ওর মা বাবা নাকি খালা ফোন করছে বোঝা মুশকিল।
ঘরের বাতি প্রায় সবগুলো বন্ধ- শুধু কড়িডোরের বাতির আবছা আলো চারিদিকে। রোল্ডা চুপচাপ আছে এখন-আমাকে সে বেশ ভাল চেনে। কাছে গেলেই তার থ্যাবড়া মুখ থেকে বিশাল জিভ-খানা বের করে চাটতে শুরু করে দেয়।
ঘন্টা খানেক বাদে টেলিফোনের শব্দ বন্ধ হলে- সবাই মনে হয়ে একটু হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম। ও মা কিসের কি! লিয়েনা খাবার রুমের ঝালরের পর্দা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখে, ওর খালা রাস্তার উপরে একটা গাছের নীচে দাড়িয়ে, বাড়িটাকে গভীর মনোযোগে নিরিক্ষন করছে।
গ্রীস্মের শেষ প্রায়! শীতের শুরুতে হেমন্তের আমেজ। রাতে বেশ ঠান্ডা পড়ে। জানালা দরজা সব এয়ার টাইট। আমাদের শ্বাস প্রশ্বাস বাষ্পীভূত হয়ে ভিতরের জানালার কাঁচের এই পাঁশটায় পাতলা জলের আবরন এঁকেছে।
প্রথমে কুকুরের শব্দ আর এখন ঘোলা জানালার কাঁচ। দু’ইয়ে মিলে তার সন্দেহ চরম আকার নিয়েছে। সে মনে হয় আজ সারারাত ওখানেই দাঁড়িয়ে থাকবে!!
অবশেষে ঘন্টা খানেক সেখানে অপেক্ষা করে- রাস্তার বুথ থেকে আরো কয়েকবার ফোন করে সে আমাদের মুক্তি দিল। রাত তখন প্রায় দশটা বাজে!
সবাই যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম! তবে লিয়েনার ডর তখনো কাটেনি।
খাবার রুম বাদ দিয়ে পেছনের লিভিং রুমের মোটা পর্দা টাঙ্গিয়ে রাতের ভোজ আর গল্পের পর্ব চলল! এরপরে ঘুম চোখে সু-সজ্জিত দুটো রুমে আমাদের দউজনের জুটি বেধে প্রস্থান, লিকিওরের গভীর নেশায় চুড় হয়ে- ওর শরিরের ভাজে আমার রসের খোঁজ। সেও ভীষণ উদার আজ- কোন কিছুতেই না নেই!
আচমকা মইনের দরজায় ঠক ঠক। মিশু ভাই কি ঘুমাইছেন? মোহ আর আসক্তির সপ্তম চুড়া থেকে সে যেন আমায় ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিল। আমি জোরে জোরে শ্বাস নিতে নিতে বিরক্ত কন্ঠে তাকে শুধালাম,
-কি হয়েছে?
-ভাইরে আবারতো প্যাচ লাগছে! সে-তো রাজী হয়না।
লে ঠ্যালা- এটাও কি আমার দ্বায়িত্বের মধ্যে পরে? তাকে আমি কি বোঝাব? তার প্রস্তাবে রাজী হতে বলব? এর পক্ষে এখন বেশ জোরাল যুক্তি তুলে ধরব?
আমি কি আর তখন আমাতে আছি- হারিয়ে গেছি কোথায়। বিছানায় শুয়ে আমার-ই প্রতিক্ষায় নিজেকে উজার করে দেবার বাসনায় আমার লালিত সপ্নের রানী! মেজাজ বিগড়ালেও মনকে শান্তনা দিলাম- সেতো হারিয়ে যায়নি!
লারিসাকে এই বিষয়ে বলা আমার রুচি বিরুদ্ধ। মইনকেই ভুজুং ভাজুং দিয়ে ফেরত পাঠালাম।
ফের ঘরে ঢুকে সিগারেট ধরাব বলে বাতি জ্বালালাম। উজ্জ্বল আলোয় খোলা বিছানায় চোখ পড়তেই আমি বজ্রাহত হলাম।
এতদিন বট-কড়ুই দেখা আমার শ্যাওলা ধরা চোখ সে দৃশ্যের তীব্রতা সইতে না পেরে যেন মুহূর্তের জন্য অন্ধ হয়ে গেল!
সেন্ট পিটারের যাদুঘরে রক্ষিত যেন রাফায়েলের হাতের ছোঁয়ায় জীবন্ত প্রায় শ্বেত-মর্মর মূর্তি। নাঃ এতো ফ্রান্সিসকো গয়া’র নিখুত চিত্রকর্ম ‘লা মাজা দেসনুদা’। হতেই পারেনা এ নিশ্চিত হ্যাগার্ড এর হারিয়ে যাওয়া আফ্রিকার ‘কোর’এর রানী – অগ্নীতে প্রজ্বলিত ‘শী’!
আমি চেয়ে আছি লিয়েনার অতি সুক্ষ অন্তরবাসে প্রায় নিরাভরন শরিরের দিকে । কি দারুন শৈল্পিক ভঙ্গিমায় শুয়ে আছে সে। ঈষৎ কুঞ্চিত কৃষ্ণকায় কুন্দল- রাশি এলোমেলোভাবে ছড়িয়ে আছে তার কপোল জুড়ে। এমন উজ্জলতর ত্বক আমার দৃষ্টিকে যেন ছাই-ভস্ম করে দিতে চায়।প্রায়ুন্মুখ তার ঈষৎ আনত ভারী বক্ষ, গভীর নাভিমুল, মোলায়েম নিটোল জঙ্ঘা আমার চিন্তা শক্তিকে বিবশ করে দিল। হারিয়ে গেলাম আমি অতীন্দ্রিয় সপ্নের এক অন্য ভুবনে।
নগ্নতা আর যৌনতায় মিলেমিশে থাকে স্থুলতা। সৃষ্টির প্রথম লগ্ন থেকেই পুরুষ তার সমস্ত নিপুণ শিল্পকে এক করে নারিদেহ আর প্রেমকে জড়াজড়ি করে কতই না কাব্য- সাহিত্য –সুর সৃষ্টির প্রয়াসে ব্যাস্ত। শত সহস্র শিল্পী বিভোর মনে জগৎসংসার কে তুচ্ছ করে পটে ক্যানভাসে দারূ আর শীলা খণ্ডে রঙের প্রলেপ, খোদাই আর ছেনীর আঘাতে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছে কতই না স্বর্গীয় অবয়বয়।
‘ছলনার মোহে ভালবাসা ভেবে ত্যাগেছি এ জীবন
দু’ফোটা নোনা অশ্রুর স্রোতে পৌরুষ সমর্পন
আমার হৃদয়ে নিয়ত রক্তক্ষরন,তোমার অট্রহাসি
ভেঙ্গেছি গড়িছি তবুও বলেছি
ওহে নারী আমি তোমায় ভালবাসি
তোমায় নিয়ে কত কবিতা লিখেছি- কতনা বেঁধেছি গান
কত গুলবাগ উজার করেছি তবু ভুলুন্ঠিত সে দান’।
রক্ত মাংসের অতি সাধারন নারীকে শিল্পী, সাহিত্যিক থেকে মায় আমার মত সাধারন মানুষ কল্পনার রাজ্যে কখনো দেবী কখনো অপ্সরা ভেবে মহাবিশ্বের সুউচ্চতর শৃঙ্গে ঠাই দিয়েছে।
পৃথিবীর সব বাধাকে তুচ্ছ করে ফুঁৎকারে উড়িয়ে দিয়ে কেঊ হয়তো তার মনের মানুষের সঙ্গ পেয়েছে- কিন্তু পরক্ষনেই স্বপ্ন ভঙ্গের বেদনায় হৃদয় চেড়া আর্তনাদ বিশ্ব সংসার বিদীর্ণ করে মহাবিশ্বের অসীমে মিলিয়ে গেছে। আমি চাইনা আমার হৃদয় থেকে সেরকম আর্তনাদ বের হোক।
আচমকা আঙ্গুলের ফাঁকে সিগারেটটা নিঃশব্দে জ্বলে আমার ত্বক স্পর্শ করল। সেই মুহূর্তে স্থির প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হলাম – এ সম্পর্ক আর প্রলম্বিত নয়।
এশিয়ার অতি দরিদ্রতম দেশের কোন এক অখ্যাত মফস্বলে জন্ম নেয়া, ময়লা গাত্রবর্ণের অতি সাদামাটা এই যুবকের শ্যাওলা ধরা চোখে চিরস্থায়ী হয়ে জমে থাকুক ওর অনিন্দ্য সুন্দর তিলোত্তমা(রাজ রবি বর্মার অঙ্কিত তিলোত্তমা চিত্র-ক্রমোলিথগ্রাফি) নগ্ন দেহের অতি সুক্ষ কারুকাজ।
বাতি নিভিয়ে অতি ধীর পদক্ষেপে আমি গিয়ে দাঁড়ালাম ঝুলন্ত ব্যালকনীতে। অতি দুরের আকাশের প্রত্যূষের আবছা আলো আধারির অপার্থিব দৃশ্যের মাঝে আমি ডুবে গেলাম- প্রকৃতির সেই সৌন্দর্যের মাঝে যেন আমি আমার সব মোহ আর স্থুলতাকে বিসর্জন দিলাম। আমার সন্তুষ্ট আত্মার চির মুক্তি মিলল যেন সেই দন্ডে।
আলকাশ প্রথম পর্বঃ Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৩২