হাতি নিয়ে সেরা বইয়ের জন্য একটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা ছিল।
ফ্রান্স "হাতিদের পরিবারে প্রেমের ত্রিভুজ" শিরোনামের একটি শালীনভাবে চিত্রাঙ্কিত বই জমা দিয়েছে।
ইংল্যান্ড একটি গ্রন্থ "হাতি এবং বিশ্ব বাণিজ্য" নামক বই উপস্থাপন করে।
জার্মানি "হস্তিবিদ্যার ভূমিকা" শিরোনামে ২৪ টি ভলিউম জমা দিয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি লটারি ঘোষণা করে একটি লিফলেটের এক মিলিয়ন কপি করে বই বাধাই করে শিরোনাম দিয়েছে "একটি হাতি জিতুন। লটারি কেনার প্রয়োজন নেই।"
ইউএসএসআর নিম্নলিখিত শিরোনাম সহ তিনটি খণ্ড পাঠায়,
ভলিউম ১. মহান অক্টোবর সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবে হাতির ভূমিকা।
ভলিউম ২. বিশ্বের সবচেয়ে প্রগতিশীল সোভিয়েত সংবিধানের সূর্যের নীচে হাতির সুখী জীবন।
ভলিউম ৩. রাশিয়া - হাতির আদর্শ মাতৃভূমি।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ক্রুশ্চেভ একটি শূকর খামার পরিদর্শন করেন এবং সেখানে ছবি তোলা হয়।
একটি সংবাদপত্রের অফিসে ছবির নিচে ক্যাপশন কী হওয়া উচিত তা নিয়ে আলোচনা চলছে;
"শুয়োরের মধ্যে কমরেড ক্রুশ্চেভ,"
"কমরেড ক্রুশ্চেভ এবং শূকর,"
"কমরেড ক্রুশ্চেভের চারপাশে শূকর," -- সবই প্রত্যাখ্যান।
অবশেষে সম্পাদক সিদ্ধান্ত নেন। ক্যাপশনটি হল ' বাম থেকে তৃতীয় - কমরেড ক্রুশ্চেভ।"
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
এবার একখান অন্যরকম কৌতুক ।
সামু ব্লগের সর্বকালের( ফের’কাল চলে আসল। ব্লগার জুলভার্ন বামার এক পোষ্টে মন্তব্য করেছিলেন। ‘কাল’ শত বর্ষে হয়। সামুর বয়েস মাত্র ১৬/১৭-এখানে সর্ব’কাল’ হয় কেমনে? তার কথায় যুক্তি আছে) না এযাবত কালের( ফের সেই কাল- যাহোক এটা নিজের দৃষ্টিতে) সেরা দশখানা কৌতুকের একটা পেশ করতে চাইছি;
আর একটা কথা; কৌতুকের মুল বিষয়টা শুধুমাত্র পুরুষরাই অনুভব(ফিল) করতে পারবেন।
ওয়ার্ল্ড রেসলিং ফেডারেশনের একটা রেসলিন ইভেন্ট আমেরিকায়/ না রাশিয়ার মস্কোতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সেখানে কি ভেবে এক রোগা পটকা বাঙ্গালী নাম লিখিয়ে ফেলল।
বাঙ্গালী রেসলিং লড়ছে আর প্রবাসী বাঙ্গালীরা ঘরে বসে থাকবে তা কি হয়! মস্কোর সব বাঙ্গালীরা জড়ো হল্ গিয়ে সেই রেসলিং রিঙের চারপাশে। গালে বাংলাদেশের ম্যাপ একে হাতে মিনিয়েচার পতাকা নিয়ে বাঘের গর্জন দিচ্ছে সবাই। কিছু মিডিয়ার সাংবাদিও উপস্থিত হল সেখানে।
কিন্তু সেই বাঙ্গালী রেসলার রিং-এ প্রবেশ করতেই সব বাঘ বিড়াল বলে গেল।
উল্টোদিকে বিশালদেহী জর্জিয়ান রেসলারকে সবার আত্মারাম খাঁচাছাড়া হবার দশা! ইস আজকে কি বেইজ্জতি না হতে হবে। সবাই দুরু দুরু বুকে ব্যাপক হতাশা নিয়ে বসে আছে ইভেন্ট শুরু হবার অপেক্ষায়…
ঘটনা যা ঘটবার তাই ঘটল। জর্জিয়ান রেসলার প্রথম দফাতেই বাঙ্গালী রেসলারকে হাতের মুঠোয় নিয়ে দলা পাকিয়ে ফেলল। আতঙ্কিত বাঙ্গালী দর্শকরা ভয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলেছে!
আচমকা ভয়াবহ এক দানবীয় চিৎকার। তারপরে ভারি কিছু ধপাস করে পড়ার শব্দ! দর্শেকেরা এক চোখ ফাঁক করে দেখে এক অভুতপূর্ব দৃশ্য!!! রিং-এর বাইরে মেঝেতে হাত পা ছড়িয়ে পরে আছে সেই জর্জিয়ান রেসলার আর বাঙালি রেসলার রিঙের মধ্যে খুশীতে লাফাচ্ছে।
ক্যামনে কি হইল? কেউ দিশা পায় না!!
অবশেষে সাংবাদিকরা ঘিরে ধরল; এইটা ক্যামনে হইল খুলে কন?
- ভাইরে আমারেতো ব্যাটায় লাট্টু বানায় ফেলছে। আমিতো শ্যাষ। দম যায় যায় অবস্থা! ইয়া নফসী ইয়া নফসী পড়ছি। আচমকা চোখের সামনে দেখি একজোড়া অণ্ডকোষ ঝুলছে। ভাবলাম মরছিতো যা হয় হবে- দিলাম বিষ কামড়…
(• সবাই ভাবছেন 'বেকুব’ এ কৌতুক আবার ব্লগের এযাবতকালের সেরা কৌতুক হয় ক্যামনে?
হয় হয় হবেনা কেন – লাস্ট পাঞ্চটাতো এখনো বাকি আছে)
~সে তখন দুই হাত মুষ্টিবদ্ধ করে ভীষন জোশের সাথে দাঁত কিড়মিড় করে বলল, -মামারে নিজের বিচ্চিতে নিজে কামড় দিলে কি যে অসুরিক শক্তি আসে রে…
সুপ্রিয় ব্লগার, আমার কেন যেন মনে হচ্ছে অসুরিক শক্তি লাভের জন্য ব্লগে আমরা অনেকেই এই কাজটাই করছি। আসুন সব রেষারেষি দ্বেষাদেষি ভুলে সবাই বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে ব্লগটাকে সচল রাখি।
হ্যাপি নিউ ইয়ার ও হ্যাপি ব্লগিং!!
( মুল কৌতুকের খোল-নলচে পালটে দিয়েছি খানিকটা। *অশ্লীল শব্দ ব্যাবহারের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।)
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৩