somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাঙ্গালী পুরুষ 'নারী মন' বুঝতেই দিশেহারা!

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


কৌতুকটা আধুনিক আলাদীনের চেরাগের, তবে বিষয়বস্তু সেই গুহামানবের কালের। কাঠখোট্টা আলোচনা বাদ দিয়ে শুরুটা করি এটা দিয়ে বরং;
~একদিন রান্নাঘরের চিপায় আলাদীনের চেরাগ পাইয়া গেলাম। ঘষা দিতেই দৈত্য আইয়া হাজির।
দৈত্য: ওস্তাদ, দিনকাল খারাপ। একটা মাত্র চাওয়া পূরণ করতে পারুম। বুইঝা চাইয়েন কইলাম ।
আমি কইলাম: ঢাকা থেকে দুবাই গাড়ি চালাইয়া যামু। ফ্লাইওভার বানাইয়া দেও।
দৈত্য নাকে খানিকক্ষণ আঙ্গুল ঘইষা কইলো এইডা বেশী হইয়া যায়। ছোট কিছু কন?
আমি কইলাম: তাইলে বৌয়ের মনের ভাবডা বুঝার ক্ষমতা দেও, আর কিছু লাগবো না।
দৈত্য কিছুক্ষণ মাথা চুলকায়া কইলোঃ বস- ফ্লাইওভারটা কয় লেনের লাগবো???

ওদিকে বাঙ্গালী নায়িকারা শরীরে লেপটে যাওয়া শাড়িতে বৃষ্টিতে কাক-ভেজা হয়ে গাইছে;
মনের ওই ছোট্ট ঘরে আগুন লেগেছে হায়রে
পানিতে নেভে না যে করি কি উপায়? বেঁচে থাকা হল দায় সজনী গো...

~ দেহের আগুন নেভানোর বন্দোবস্ত না হয় করা যায় কিন্তু এই মনের আগুন ক্যামনে নিভাইতে হয় এই ভেবে পৃথিবীর পুরো পুরুষজাতি ভেবে হয়রাণ!!
আবার গায়;
মার মনের মধ্যখানে মন যেখানে হৃদয় সেখানে~ লে হালুয়া মন খুঁজতে গেলে আরেক মনের মধ্যিখান দিয়ে এরপরে হৃদয়ের সাইড দিয়ে চিপাগলি ধরে- বহুত আন্ধার গলি আর বন্ধুর পথ বেয়ে যাইতে হবে!! ক্যামনে কি করি??

বিশ্বের তাবড় তাবড় পুরুষ সাহিত্যিক কবি শিল্পী দার্শনিক বিজ্ঞানীরা অদ্যাবধি যেই মনের ভাব বুঝতে না পেরে 'কাইত' হয়ে পড়ে গেছে- মহাবিশ্বের শেষ সীমা আবিষ্কারের মত সেই মনের ভাব বুঝে ফেলেছেন আমাদের দেশী এক ডাকতার সাহেব; ডাঃ এম এম জালাল উদ্দিন সাহেব। তিনি কিন্তু মানসিক রোগ, মাথা ব্যথা ও মৃগীরোগ বিশেষজ্ঞ(এইরকম টাইটেল আমি প্রথম দেখলাম, আপনারা কি দেখেছেন?) এই আবিষ্কার কিন্তু অতি গোপনীয়- সাবধানে হ্যান্ডেল করবেন। এই আবিষ্কারের কথা জানলে সারা বিশ্বের তাবৎ নারীদের মন ভেঙ্গে খানখান হয়ে যাবে!! ( সুত্রঃ মেডিক্যাল বিডি)

আমরা জানি নারী মন মানেই এক বিশাল জগত। নারী মন বোঝা কোন সহজ কাজ নয়, নারীর মন মানেই ভিন্ন জগত এরকম আরো অনেক কিছু শুনে থাকি। কিন্তু আসলেই কি তাই? তো চলুন একজন নারীর মন বুঝতে যা যা করবেন তা আজকে জানবো। গবেষকরা কিন্তু বিভিন্ন সমীক্ষার মধ্য দিয়ে কিছু তথ্য বের করেছেন, যা পুরুষকে সহায়তা করতে পারে নারীকে খুশি করতে৷
সুন্দর মুখ কে না চায় তাই না…
আপনার বান্ধবী বা স্ত্রীর কি প্রায়শই মুখে ব্রণ বা একটা না একটা কিছু ওঠে তার সৌন্দর্য নষ্ট করে? যদি তাই হয় তাহলে তাকে কলিজা, মাছ এবং বিভিন্ন পনির খাওয়া থেকে দূরে থাকতে বলুন, আপনার মুখে একথা শুনে পছন্দ না করলেও কিন্তু মনে মনে সে খুশি হবে৷ এই খাবারগুলোতে যথেষ্ট ভিটামিন বি-১২ থাকলেও ত্বকের সংক্রমণ সারতে দেরি হয়৷ এই তথ্য পাওয়া গেছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের কাছ থেকে৷
সঙ্গিনীর ওজন কমাতে
ব্রিটেনের লিভারপুলে করা এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত ওজন কমাতে যাঁরা ১২ সপ্তাহ নিয়মিত একবেলার প্রধান খাবার বাদ রেখে শুধু শুকনো আলুবোখারা খেয়েছেন তাদের ওজন কমেছে, কারণ এই ফল তাড়াতাড়ি পেট ভরায়৷ কাজেই যে পুরুষ তার সঙ্গিনীকে সরাসরি ওজন কমানোর কথা বলতে পারছেন না, তারা মাঝে মাঝেই শুকনো আলুবোখারা কিনে আনুন আর একটু হাসির ছলে তাকে কারণটি বলুন, দেখবেন কিছুদিন পরেই কাঙ্ক্ষিত ওজনে এসে গেছে আপনার প্রিয়া৷
পছন্দের রং জানবেন কিভাবে?
প্রিয়ার জন্য উপহার কিনবেন? ভালো কথা, কিন্তু তার প্রিয় রং কি জানেন? উপহার বা পোশাক কেনার আগেই কোনোভাবে তার পছন্দের রং অবশ্যই জেনে নিন৷ তা না হলে উপহার পেয়ে সে খুশির চেয়ে অখুশিই বেশি হবে৷ কারণ মেয়েদের কাছে কিন্তু রং-এর গুরুত্ব অনেক বেশি৷
পেট ভরে খাওয়ান! রোম্যান্টিক সঙ্গী যদি চান
আপনি যদি কোনো নারীকে রোম্যান্টিক মুডে পেতে চান তাকে রেস্টুরেন্টে আমন্ত্রণ জানান কিংবা তার জন্য নিজে মজার কিছু রান্না করুন৷ পেট ভরা থাকলে নাকি নারীদের মস্তিষ্ক সক্রিয় থাকে এবং তারা ভালোবাসার প্রকাশ ঘটায়৷ ‘অ্যাপেটাইট’ নামের এক ম্যাগাজিনে প্রকাশিত অ্যামেরিকায় করা এক গবেষণার ফলাফল থেকে জানা গেছে এই তথ্য৷
প্রথম নারী
যে কোনো পুরুষের জীবনে প্রথম নারী নিজের মা৷ আর মা’কে খুশি করতে ছেলের আসলে তেমন কিছুই করতে হয় না৷ তারপরও যদি ছেলে মা’কে ‘আমার মায়ের রান্নাই সবচেয়ে ভালো, তাঁর সর্ষে ইলিশের তুলনা হয় না’ বা এরকম কিছু বলে, তাহলে যতো আধুনিক মা’ই হোন না কেন ছেলের মুখে রান্নার প্রশংসায় পৃথিবীর সব নারীই খুশি হন৷ নারীদের নিয়ে করা এক সমীক্ষায় জানা গেছে এ তথ্য৷
গান গাওয়া
যে পুরুষ গান গাইতে জানেন তার কোনো অসুবিধা নেই, স্ত্রীর রাতে ঘুম আসতে অসুবিধা হলে গান গেয়ে সময়মত স্ত্রীকে ঘুম পাড়িয়ে খুশি করতে পারেন৷ যাদের ঘুমের সমস্যা ছিলো সেরকম ৭০ জন সুস্থ তরুণীকে নিয়ে সুইজারল্যান্ডের গবেষকদের করা সমীক্ষার ফলাফলে জানা গেছে এ তথ্য৷ যারা ঘুমের আগে বই পড়েছেন তাদের চেয়ে যারা গান শুনেছেন তারা আগে ঘুমিয়ে পড়েছেন৷

এইডা ক্যামনে নারীদের মন বুঝা হইল আল্লা মালুম! উনারে জিগাইতে হইবে?

ওদিকে বিখ্যাত লেখক এস এম জাকির হুসাইন ‘ নারীর মন’ নিয়ে গবেষণা করে প্রথম খণ্ড এর মধ্যে পাবলিশ করে ফেলেছেন, বিক্রিও হচ্ছে মার মার কাট কাট। এটা শেষ পর্যন্ত কয় খণ্ড যায় এবং তার জীবদ্দশায় পুরোটা লিখে যেতে পারবেন কিনা সেই নিয়ে আমি ভীষন সন্দিহান!
তবে অতি জ্ঞানী শিক্ষিত আমাদের জাকির সাহেব তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সে এম.বি.এ এবং এমফিল সম্পন্ন করেন। এছাড়াও তার ফলিত ভাষা-বিদ্যায় মাস্টার্স ডিগ্রী আছে, এম.এস.সি করেছেন কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইঞ্জিনিয়ারিংয়েও।~বাপুরে বাপু নারীদের মন বুঝতে হইলে এত শিক্ষা দীক্ষা থাকতে হয়!! তার জন্যইতো মূর্খ লোকেরা ‘মন’ বুঝতে না পেরে বৌ’রে পিটায়!
আমার সৌভাগ্য হয়নি এখনো সেই বইটা পড়ার তবে সামারি’তে যা বলা হয়ে তাই খানিকটা শেয়ার করি;

নারীর মন-প্রথম খণ্ড" বইটি সম্পর্কে কিছু কথা:
নারী মনস্তত্ত্বের রহস্যময় দিকগুলি নিয়ে একটি ব্যতিক্রমধর্মী তত্ত্বীয় গ্রন্থ এটি। নারী মনের আমরা যা রহস্য মনে করি সেগুলো কি আসলেই রহস্যময় নাকি তার কারণসমূহ আমাদের সমাজব্যবস্থার মধ্যে প্রথিত আছে সেটা খুঁজতে হবে। আর তারপর নির্ণয় করতে হবে সেইসব রহস্যময় দিকের যৌক্তিক কারণ। নারীকে অবশ্যই মুক্তি পেতে হবে রহস্যময়তার অন্ধকার থেকে।–
দুর্দান্ত!! এতদিন নারীরা এই পুরুষবাদী সমাজ ব্যবস্থা থেকে মুক্তি চেয়েছে, এবার চাইবে মুক্তি তবে ‘মনের রহস্যময়তার অন্ধকার থেকে’।
বইয়ের এক পাঠক লিখেছে;
‘নারীর মন প্রথম খন্দ প‌ড়ে‌ছি ২০১৪ সা‌লে খুব ভা‌লো লে‌গে‌ছে। দুঃখের বিষয় হ‌লো ২য় খণ্ড রংপ‌রের কোন লাইব্রেরিতে পাই নাই। ২য় খণ্ড কি লিখেছেন? ‌কোথায় পাওয়া যা‌বে???’
~অথচ দ্বিতীয় খণ্ড এখনো বের হয় নাই। ওই বেচারা বিরাট বেকায়দায় আছে। নারী মন বোঝার জন্য ‘প্রথম খণ্ডে’ কাম হয় নাই; অংপুরের নারীদের মন মনে হয় আরো জটিল! হায় বেচারা পুরুষ জাতি!

শুধু কি তিনি, নজীর আহমেদ আকাশ নামে আরেক সাহিত্যিক একই শিরোনামে আরেকখানা নিবন্ধ রচনা করেছেন। তবে তিনি অতি জটিল মন নিয়ে বিস্তর গবেষণা করার সময় পাননি, হয়তো ‘আটপৌরে’ নারী মন নিয়ে গবেষণা করেছেন শুধু;
‘নারীদের মন বোঝা পুরুষদের জন্য বেশ কঠিন একটি কাজ। আপনার নারী সঙ্গীটি কি কারণে হঠাৎ করে ক্ষেপে যাচ্ছে, অথবা কেন আপনার সাথে রাগ করছে তা যদি বুঝতেই পারতেন তাহলে তো সংসারে কিংবা সম্পর্কে এত সমস্যা থাকতো না। নারীর মন বোঝা কেন এত কঠিন? কিভাবে অল্পতেই বুঝবেন নারীর মন? নারীর মন. কিছু ব্যাপার রয়েছে যেগুলো জানতে পারলে নারীদের মন বোঝা বেশ সহজ।‘
~বইটি ২০ ভাগ ছাড়ে বিক্রি হচ্ছে- চাইলে এখুনি খরিদ করতে পারেন।
বই পড়তে চাননা’ কোয়ী বাত নেহি’ বাংলা সিনেমা আছে ‘শাবনুর,রিয়াজ আর শাকিল(শাকিব নয়) খানের’ সেই ‘নারীর মন’ নামে। ছুটির দিনে বাড়িতে বৌ না থাকলে টুক করে দেখে ফেলুন; এরপরে নারীদের মন বোঝা পানির মত সহজ হয়ে যাবে।
‘নারীর মন’ শিরোনামে ফেসবুকেও একটা গ্রুপ আছে। সেটা অবশ্য নারীরাই পরিচালনা করে; সাবধান সেইখানে ঢুকলে আরো জটিল ধাঁধায় পড়ে যাবেন।
আপনি কি মধ্যবিত্ত নাকি উচ্চ বিত্ত নাকি নিম্নবিত্ত? মধ্যিখানে থাকলে ঠিক আছে বাকি দুই বিত্তের জন্য করুণা। দেখুন মধ্যবিত্ত নারীর মন নিয়ে কি চমৎকার কবিতা রচনা হয়েছে( আসলে কি কবিতা? আমি ভীষণ দ্বিধান্বিত);
মধ্যবিত্ত নারীর মন
মধ্যবিত্ত বেশির ভাগ নারীই ভেতরে ভেতরে
লালন করে দুঃখ ও নিঃসঙ্গতা, তার জীবন
থাকে অবশাদে ভরা। আসলে নারীর
প্রধান দুঃখ তার মনের, শরীরের নয়।
সে মনকে যেভাবে মেলে ধরতে চায় ঠিক
সেভাবে পারে না। জন্মের পর থেকেই একজন
মধ্যবিত্ত নারীর বেড়ে ওঠা বড় হওয়া এর মধ্যে
বেশ কয়েকটি পারিবারিক ধাপ তাকে অতিক্রম করতে হয়।
নারী একেকটি ধাপ অতিক্রম করে আর
তার মন আরো একবার সঙ্কুচিত হয়ে যায়।~(এটা মধ্যবিত্তের মানসিকতার মতই ব্যাপক সেন্টিমেন্টাল) সেই মনটা সঙ্কুচিত হতে হতে একসময় ভীষণ রহস্যময় হয়ে অদৃশ্য হয়ে যায়- ঠিক ব্ল্যাক হোলের মত( আশে পাশের সবকিছু গিলে খায়। বোঝা যায় আছে কিন্তু দেখা যায় না।)

এদিকে অতি প্রজ্ঞাবান সাহিত্যিক ‘আবু সাইদ ওবায়দুল্লাহ’ ‘মুসলমান বাঙ্গালী নারীর মন’ নিয়ে ভীষণ জ্ঞানীগুণী(বুদ্ধিজীবী লেভেলের) ব্যক্তিদের জন্য আলোচনা করেছেন সারা বিশ্বের তাবৎ গুণী শিল্পী সাহিত্যিকদের বরাত দিয়ে বেশ খটমট শব্দ ব্যাবহার করে( এর ফলে নারীর মনকে বোঝা আরো বেশী কঠিনতর হয়ে গেছে)



‘বাঙালি মুসলমান নারীর মনকে ফ্রয়েডীয় এবং বিশেষ করে লাঁকান সাইকোএনালিসিসের ছায়ায় দেখলে আমরা দেখব তারা ঔপনিবেশিকতার কারণে পিতৃতান্ত্রিক পরিবেশে দীর্ঘদিন জীবন যাপন করার কারণে, এবং কালচারাল ও পলিটিক্যাল থিউরির মিথস্ক্রিয়ার ফলাফলে তাদের আনকনশাসে, ঐতিহাসিকভাবে ক্ষমতাহীনের ক্ষমতা লাভের হাহাকার জমা হইতে থাকে। তাদের এই ঘেরাটোপ হতে বের হয়ে যাওয়ার এই অভ্যন্তরীণ প্রসেসটাকে লাঁকার ভাষায় অজ্ঞান বা অভাব বলা যায়। এই অভাব পূরণের জন্য তারা লিবারেলিজমের পরাকাষ্ঠা ফেমিনিজমের ছায়াতলে আশ্রয় নেন ও তার ভাষায় কথা বলেন। বাঙালি মুসলমান নারীদের ক্রমশ মূল ইসলামের কাঠামো থেকে বার হয়ে নামমাত্র কালাচারাল ইসলামকে ধরে হাজির থাকা এবং তাদের সেক্যুলার সাইকো-বিকাশ ও নারীশক্তি হিসাবে প্রভাব-বিস্তার, তাদের অর্থনৈতিক মুক্তি বা বুদ্ধির মুক্তির কারণ হইছে বইলা যারা মনে করেন—তারা ভুল করেন। এইটা হইছে তাদের ইসলাম থেকে দূরে সরে যাওয়ার কারণেই।‘
~ ইহা পড়িয়া আমারতো পাগল পাগল দশা! আপনাদের কি অবস্থা? এখন ভানু’র মত কইতে হয়’ ‘যাঃ শালা যুদ্ধেই যামু না’! মাফ কইর‍্যা দ্যান ভাই আমার আর নারীদের মন বোঝার দরকার নাই। এর থেকে সন্ন্যাসী হওয়া অতি সহজ সাধনা।
আমাদের পর-দাদা তার দাদা সহ ‘রবি ঠাকুর’ এর মত মহাজ্ঞানী কবি সাহিত্যিকেরা সহজ জিনিসটারে ঘুরায় প্যাঁচায় জটিল বানাইছে!



পৃথিবীর তাবৎ বিজ্ঞ/বুদ্ধিজীবী/ ব্যবসায়ী পুরুষেরা তাদের সাহিত্যিক/ শৈল্পিক/ ব্যবসায়িক -বাণিজ্যিক সুবিধা বাড়াইতে মেয়েদের মনকে অধরা অস্পৃশ্য আর চরম রহস্যময় হিসেবে উপস্থাপন করেছে। এখানে মেয়েদের তেমন কোন হাত নেই।
আড্ডায় এক বন্ধু আরেক বন্ধুরে কইল, দোস্ত তুমি বড় জটিল মাল।‘ এর পর থেকে সে জটিল হইতে থাকল- এক সময় জট পাকাইয়া গিট্টু লাইগা গেল!
কিংবা মা সবার কাছে প্রশংসা কইরা কয়, আমার ছেলে বেশ- জ্ঞানী খুব কম কথা বলে।‘ এর পর থেকে ছেলে কথা আরো কমায়ে দিল-ভাবা শুরু করল বেশী। একদিন সে বোবা-ভাবুক হয়ে গেল!
নারী মন ও এমন; পুরুষ বলল নারীকে, ‘তুমি বেশ জটিল- তোমাকে বোঝা ভার’ – নারীরা জ্ঞানে অজ্ঞানে আরেকটু মন নিয়ে ভীষণ ছলা-কলা করতে শুরু করল। পুরুষ বলে, তোমার,’মনের নাগাল মেলা ভার।‘ নারীরা তাদের মনকে তখুনী অন্য সৌরজগতে পাঠিয়ে দিল। এইভাবে সেই মনের ‘বোঝা ভার’ ‘মেলা ভার’ এই টাইপের বিভিন্ন ‘ভার’ বইতে বইতে পুরুষজাতি ‘কাইত’ হয়ে গেছে।
আমি বলি কি হে পৃথিবীর পুরুষগণ, নিজের মনের দরজা দিবা-নিশি হাট করে খোলা রাখলে, চোরের আর সিঁদ কেটে ঘরে ঢোকার কি প্রয়োজন? নারীদের পরী,দেবী, অপ্সরা, চাঁদ, তাঁরা, নদী, পশু,পাখি, লতা, পাতা, ফুল, ঝর্ণা, সমুদ্র সহ আল্লাহর এই মহাবিশ্বে এমন কোন ভাল জিনিস নাই যার সাথে তুলনা করেন নাই। তারাতো নিজেরা আসলে কি এই ভেবেই দিশেহারা! নিজেদের মনের দুয়ার খুলবে কখন?
পুরুষের যন্ত্রণার কি শেষ আছে... নিজের যন্ত্রণা নিজে সেধে নিলে ঠেকাবে কে?
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:২৮
২৭টি মন্তব্য ২৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×