somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রোহিঙ্গা~ ভয়ঙ্কর বিষফোঁড়া!!! (সংবাদ বিশ্লেষন)

২৭ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আমার ধারনা;এখনো সময় আছে রোহিঙ্গাদের লাগাম টেনে না ধরতে পারলে কোন একদিন উখিয়া-তো বটেই কক্সবাজার টেকনাফ এমনকি পুরো পার্বত্য চট্টগ্রাম পর্যন্ত বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে হাপিশ হয়ে যেতে পারে। ওদের সশস্ত্র সংগঠনগুলো যেভাবে দিন দিন ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে তাতে ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে গিলে খেতে উদ্যত হলেও আশ্চর্যের কিছু হবে না।
আমার নিবন্ধের শিরোনামটা হাস্যকর মনে হচ্ছে অনেকের কাছে কিন্তু আমি নিশ্চিত ইতিহাসে বাংলাদেশ সবচেয়ে বড় ভুলটা করেছে রোহিঙ্গাদের শর্তহীনভাবে এদেশে জায়গা দিয়ে। মানবিক কারনে আমরা হয়তো তাদের উপেক্ষা করতে পারিনি কিংবা আশ্রয় দিতে না চাইলে যে কোনভাবেই হোক অবৈধভাবে ঢুকে পড়ত তারা তাহলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হোতো নিঃসন্দেহে। কিন্তু কেন যেন মনে হয় আমরা আটকে গিয়েছিলাম গ্যাঁড়াকলে- এছাড়া আমাদের উপায় ছিলই বা কি?
আশ্রয় দেয়া ও তাদের প্রাথমিক পুনর্বাসনের ব্যাপারটা আমরা হযবরল হলেও সামলেছি বেশ ভালভাবে। কিন্তু এরপরে দাতার সংস্থাদের মাতবরি, হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ( মনে হচ্ছিল মায়ানমার অন্য কোন গ্রহে, ওরা যতই মানবতাবিরোধি কাজ করুক এদের কোন মাথাব্যথা নেই) তড়পানি ও স্থানীয়দের অসহযোগিতা আর এদেরকে ঘিরে ভয়ঙ্কর সব ব্যবসায়িক জাল, রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও আন্তর্জাতিক গেম প্লানের জন্য অনেকগুলো ইস্যু তৈরি হয়েছে যার ফলে ওদের লাগামের দড়ি আমাদের হাতছাড়া হয়ে গেছে।
আমরা ধরে নিচ্ছি; মায়ানমার আর রোহিঙ্গাদের ফেরত নিবে না। নিলেও দশ বিশ পঞ্চাশ হাজার, তাঁর অধিক নয়। যদি সবগুলো রোহিঙ্গাদের না নেয় তবে কি হবে?
এরা কতদিন ক্যাম্পে থাকবে?
বিদেশি দাতারা যখন এদের সাহায্য সহযোগিতা বন্ধ করে দিবে তখন কি উপায়ে বাংলাদেশ তাদের দেখভাল করবে?
এরা কি বিহারিদের মত একসময় ক্যাম্প জীবন বেছে নিয়ে সাধারণের সাথে মিশে যাবে?
সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে এদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি পালটে যাবে- তখন পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নিবে?
নীচের সংবাদগুলো পড়ে দেখেন; রোহিঙ্গাদের এখন আর বিষফোঁড়া বিষকাঁটা মনে হবে না- এরা এখন মরণঘাতি ক্যান্সারে রূপ নিয়েছে।
***
মে ২০২৩ সালে সংবাদ বাংলাদেশ প্রতিদিন;
ক্যাম্পে ঘরে ঘরে অস্ত্র
নিয়ন্ত্রণে প্রতিদিনই খুনোখুনি, ছয় মাসে শতাধিক খুন
আধিপত্য বিস্তারে নিজেদের শক্তি বাড়াতে প্রতিযোগিতা করে অত্যাধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করছে কক্সবাজারের উখিয়া- টেকনাফের আশ্রয় শিবিরে সাধারণ রোহিঙ্গা হিসেবে ছদ্মবেশে থাকা রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। এসব সন্ত্রাসীর কাছে অত্যাধুনিক এম-১৬, একে-৪৭ ও মরণঘাতী গ্রেনেড পর্যন্ত রয়েছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, ক্যাম্পের ঘরে ঘরে এখন অবৈধ অস্ত্র। কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে সরেজমিনে অনুসন্ধানে এমন আশঙ্কাজনক তথ্য উঠে এসেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, ক্যাম্পের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সৃষ্ট দ্বন্দ্বে প্রায় প্রতিদিনই খুন-গুম ঘটছে।
***
রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের হাতে অত্যাধুনিক এম-১৬, একে-৪৭সহ মরণঘাতী গ্রেনেড -বাংলাদেশ প্রতিদিন
শরনার্থী শিবিরে অত্যাধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করছে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা
উখিয়া নিউজ ২০ মে ২০২৩ সুত্র: বিডি প্রতিদিন
সরেজমিনে জানা যায়, মিয়ানমারের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে ভারী অস্ত্র বাংলাদেশে ঢুকছে। কৌশলে সেসব অস্ত্র ঢুকে যাচ্ছে ক্যাম্পে। পাহাড় লাগোয়া ক্যাম্পগুলো অস্ত্রধারীদের অভয়ারণ্য। সেখানে বাংকার করে তারা অবস্থান নিয়ে থাকে। বিভিন্ন সুড়ঙ্গ তৈরি করে অস্ত্রৈর ভান্ডার করে রেখেছে তারা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত এখনো অরক্ষিত। এসব জায়গা দিয়েই ওই দুটি দেশ থেকে রোহিঙ্গাদের জন্য অস্ত্র আসে। তারপর বিভিন্ন কৌশলে সেগুলো পৌঁছে যায় ক্যাম্পে। তবে এসব অস্ত্রের প্রধান উৎস মিয়ানমার। এ ছাড়া কিছু স্থানীয় দুর্বৃত্তের সহায়তা নিয়েও পাহাড়ি এলাকায় অবৈধ অস্ত্রের কারখানা বানিয়ে তারা সংগ্রহ করছে আগ্নেয়াস্ত্র ছাড়াও নানা ধরনের দেশি অস্ত্র।

সীমান্ত ও ক্যাম্প নিয়ে কাজ করেন উচ্চ পর্যায়ের এমন একজন সরকারি কর্মকর্তা বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে মাদক চালানের সঙ্গে অস্ত্র আসছে এতে কোনো সন্দেহ নেই। মাদকের মূল হোতারা মাদক পাচারকালে ব্যবহারের জন্য তাদের বহনকারীদের হাতে তুলে দিচ্ছে অস্ত্রশস্ত্র। আবার অনেকে মাদক বহনকারী হিসেবে ব্যবহার করছে রোহিঙ্গাদের। সেই সুবাদে ক্যাম্পে তারা যে কোনো কর্মকান্ডে অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করছে। এতে প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। ’

সরেজমিনে গেলে স্থানীয়রা বলছেন, ‘ক্যাম্পে মাদকসহ নানা ধরনের অবৈধ ব্যবসার আধিপত্য কেন্দ্র করেই এ সংঘাত। এ গ্রুপগুলোর সঙ্গে মিয়ানমারের যোগাযোগ থাকার দাবি করেছেন কেউ কেউ। আবার অনেকে এর পেছনে মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর ইন্ধন থাকার অভিযোগ তোলেন। তাদের দাবি, রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর অস্ত্রের প্রধান উৎস মিয়ানমার। তা ছাড়া সহায়সম্বল ফেলে ছয় বছর আগে বাংলাদেশ আসা রোহিঙ্গাদের হাতে কীভাবে এত অস্ত্র এলো? সে সময় আমরা অনেকে বলেছিলাম, তারা মিয়ানমার থেকে আসার সময় ইয়াবার চালানের সঙ্গে অস্ত্রও এনেছিল। বর্তমানে ক্যাম্পের অবস্থা দেখলে বিষয়টি পরিষ্কার। ’ নাম না বলার শর্তে কয়েকজন রোহিঙ্গা নেতা বলেন, ‘অধিকাংশ রোহিঙ্গা ক্যাম্প পাহাড়ি এলাকায়। সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের গুদামও সেখানে। রাতে জনপদে নেমে আসে ডাকাতিসহ খুন-খারাবি করতে। এমনকি পেশাদার এসব খুনি চুক্তিতে খুন করে। হত্যা শেষে আবার চলে যায়। এমনকি একজনের কাছেই আছে ১০টি আগ্নেয়াস্ত্র। কিছু বিদেশি, কিছু দেশি। ক্যাম্পে অত্যাধুনিক অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র এখন সন্ত্রাসীদের হাতে হাতে। তবে তাদের সঙ্গে কিছু স্থানীয় লোকজনও জড়িত রয়েছে। ’ র‌্যাব ও পুলিশ জানায়, ‘ক্যাম্পে সন্ত্রাসী দলের অস্ত্র এগুলো। খুন-জখম, মাদক-মানব পাচার, চাঁদাবাজি, অপহরণ-দোকান বাণিজ্য এবং আধিপত্য বিস্তারের জন্যই এসব অস্ত্রের মজুদ গড়ে তোলে তারা। মূলত সমুদ্র, উপকূল, সীমান্ত জল-পাহাড়ি জনপদ দিয়ে ক্যাম্পে অস্ত্র ঢুকছে। তবে এক প্রকারে পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া গেছে মিয়ানমার থেকেও অস্ত্র আসে। পাশাপাশি অস্ত্র তৈরির কারিগর এনে ক্যাম্পসংলগ্ন পাহাড়ি জনপদে অস্ত্র নির্মাণ করছে তারা। বলতে গেলে সীমান্তের সব রুট দিয়ে মাদক চালানের সঙ্গে অস্ত্র ঢু্ফোড়া!!

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সরবরাহের জন্য গহিন পাহাড়ে গড়ে তোলা হয়েছে অস্ত্র তৈরির অস্থায়ী কারখানাও। সেখানে চারপাশে পাহারা বসিয়ে লেদ মেশিন ও অন্যান্য যন্ত্রাংশের সহায়তায় দেশি প্রযুক্তিতে আগ্নেয়াস্ত্রসহ নানা ধরনের দেশি অস্ত্র তৈরি করা হয়। গোয়েন্দাসূত্র জানিয়েছেন, বিভিন্ন এলাকার সীমান্ত দিয়ে ভারত ও মিয়ানমার থেকে অস্ত্র আসে। বিশেষ করে মিয়ানমারের কাছাকাছি কক্সবাজারের ক্যাম্পগুলো হওয়ায় নাফ নদ, সমুদ্র উপকূল ও পাহাড়ি এলাকা দিয়ে ক্যাম্পে অস্ত্র ঢুকছে। এ ছাড়া ক্যাম্পসংলগ্ন পাহাড়ি জনপদে কারিগর নিয়ে এসে তৈরি করা হচ্ছে দেশি অস্ত্র। বিশেষ করে সাতকানিয়া, বান্দরবান, রাঙামাটি, নাইক্ষ্যংছড়ি, লামা-আলী কদম, আনোয়ারা, বাঁশখালী, পতেঙ্গা, সীতাকুন্ড, ঘুমধুম, উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্ত হয়ে ক্যাম্পের সন্ত্রাসীদের হাতে পৌঁছে যাচ্ছে অস্ত্রগুলো। এসবের কিছু ধরা পড়লেও অধিকাংশই ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়।
***
রোহিঙ্গা শিবিরে অপরাধের সংখ্যা বাড়ছেই
দি ডেইলি স্টার
কক্সবাজারের বিশ্বের বৃহত্তম রোহিঙ্গা শিবিরে গত তিন বছরে বেড়ে গেছে হত্যা, অপহরণ, চাঁদাবাজি এবং মাদক চোরাকারবারের মতো অপরাধ।
২০১৭ সালের আগস্টে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এরপর থেকেই বেড়ে গেছে অপরাধের সংখ্যাও। সে বছরের শেষ প্রান্তিকে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অন্তত ৭৬টি ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
২০১৮ সালে এই মামলার সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২০৮ এবং ২০১৯ সালে ২৬৩টি। চলতি বছরের প্রথম সাত মাসের মধ্যেই রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার সংখ্যা ১৭৮টি।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দাবি, এই মামলার সংখ্যা রোহিঙ্গা শিবিরে ঘটে যাওয়া অপরাধের একটি ক্ষুদ্র অংশ মাত্র। সেখানে প্রচুর পরিমাণে হত্যা, অপহরণ এবং যৌন হয়রানিসহ নানা ধরনের অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। কিন্তু, এর জন্য কোনো মামলা করছে না ভুক্তভোগীরা।

আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়নের (এপিবিএন-১৬) কমান্ডিং অফিসার মো. হেমায়েতুল ইসলাম বলেন, ‘রোহিঙ্গা শিবিরে প্রতিদিন আমরা হত্যাসহ গড়ে ১০ থেকে ১২টি অভিযোগ পাই। কিন্তু, রোহিঙ্গারা কোনো মামলা করতে আগ্রহী হয় না বলে আমরাও কোনো ব্যবস্থা নিতে পারি না।’
***
এই সংবাদ প্রকাশের মাত্র দুদিন আগের সংবাদঃ
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৩০ মাফিয়া
বাংলাদেশ প্রতিদিন ১৮ মে,২০২৩



৩০ মাফিয়ার হাতে জিম্মি কক্সবাজারের টেকনাফ-উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প। মাদক ইয়াবা আইস কারকার, অস্ত্র চোরাচালান, অপহরণ, খুন, গুম, ডাকাতিসহ অন্তত ১২ ধরনের অপরাধের নেতৃত্ব দিচ্ছে এরা। রোহিঙ্গাদের ৩৩টি ক্যাম্পে এদের কথাই শেষ কথা। এদের নির্দেশে যেমন লাশ পড়ে, এদের নির্দেশেই অরাজকতা চলছে প্রতিটি ক্যাম্পে। মিয়ানমারের নিষিদ্ধ সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা), রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও), ইসলামী মাহাজ, জমিয়তুল মুজাহিদীন ও আল ইয়াকিনের নেতা এরা। মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশে এসে এরা এ সংগঠনের কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। এদের প্রত্যেকের রয়েছে অবৈধ অস্ত্রের ভান্ডার। অস্ত্রের ভান্ডারে রয়েছে অত্যাধুনিক একে ৪৭সহ চায়নিজ ভারী অস্ত্র। এরা প্রত্যেকেই অস্ত্র পরিচালনায় প্রশিক্ষিত। নিজেরাও তাদের সংগঠনের সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। আর এ প্রশিক্ষণ দিচ্ছে পাহাড়ের দুর্গমতম স্থানে- যেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনি কখনোই পৌছাতে পারেনি।

অথচ এ ব্যাপারে আজ থেকে ৬ বছর আগেই সতর্ক করা হয়েছে;

অপরাধে জড়াচ্ছে রোহিঙ্গারা
২০১৭ সালে ২৭ ডিসেম্বর- নিউজঃ ব্যানার নিউজ বাংলা
মিয়ানমার থেকে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী নানা ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ৪ মাসে ৬০৭ জনকে রোহিঙ্গাকে সাজা দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
একই সময়ে ৪৫ জন ইয়াবা পাচারকারীর কাছ থেকে প্রায় ১৬ লাখ ইয়াবা উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) খালেদ মাহমুদ বেনারনিউজকে জানান, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনের দেওয়া ৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা প্রশাসনের ২ জন কর্মকর্তা ও ৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উখিয়া ও টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাজ করছেন। তারা এ পর্যন্ত ৬০৭ জন রোহিঙ্গাকে নানা অপরাধে জড়িত থাকার দায়ে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্র জানায়, গত ৪ মাসে হত্যা, ইয়াবা বহন ও কেনাবেচা, চুরি, ডাকাতি, মারামারি ও মানবপাচারের অভিযোগে ২৮টি মামলায় ৪১ জন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া আগ্নেয়াস্ত্র, ছুরি ও দাসহ র‍্যাব আরও ১১ জন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে।
কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরাজুল হক টুটুল বলেন, ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার দায়ে ৫৫০ জন রোহিঙ্গাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সর্বোচ্চ দুই বছর থেকে সর্বনিম্ন ২ মাসের সাজা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ইয়াবা পাচার, মানব পাচার, খুন, মারামারি ও পুলিশকে নাজেহাল করার দায়ে বৈদেশিক আইনে ২৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় ৪১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নতুন আসা রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে গড়ে প্রতিদিন প্রায় আড়াই হাজার ইয়াবা করা উদ্ধার হয়েছে।
***
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যুক্তরাষ্ট্রের ভয়ঙ্কর অস্ত্র!
২০২২ সালের ১৭ জুন( খবর বাংলাদেশ ট্রিবিউনের)
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে এই প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি অটোমেটিক এসল্ট রাইফেলসসহ গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশের বিশেষায়িত সংস্থা আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। অভিযানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে এপিবিএনের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ আরসা কমান্ডার ও তার এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে এপিবিএন।
আরেকটি পৃথক অভিযানে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন-১৬) পুলিশ সুপার (এসপি) তারিকুল ইসলাম জানান, টেকনাফ নয়াপাড়া রেজিস্টার্ড ক্যাম্পের নুরালীপাড়া সংলগ্ন পাহাড়ঘেরা গহীন অরণ্যে রোহিঙ্গা ডাকাত ও সন্ত্রাসীদের আস্তানার সন্ধানে ড্রোনের সাহায্যে অভিযান চালানো হয়। অস্ত্র উদ্ধার করা হলেও কাউকে আটক করা যায়নি।
মহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে এতে সহিংসতা করার পরিকল্পনা ছিল কিনা জানতে চাইলে এসপি শিহাব কায়সার বলেন, এ বিষয়ে এখনও কিছু বলা যাচ্ছে না। এছাড়া কোনো গ্রুপ এই অস্ত্র নিয়ে আসছে সেটাও জানা যায়নি। তবে রোহিঙ্গারা আসার পর থেকে এ ধরনের ভারী অস্ত্র কখনো দেখিনি।
***
রোহিঙ্গা ক্যাম্প : অপরাধের অভয়ারণ্য
সংবাদ ১০ আগষ্ট ২০২২


রোহিঙ্গা ক্যাম্প নয় যেন অপরাধের অভয়ারণ্য। ৩২টি শিবিরে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের একটি বড় অংশ খুন, অপহরণ, ধর্ষণ, অস্ত্র, মাদক, স্বর্ণ পাচার ও ডাকাতিসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে। ক্যাম্পের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে উঠে আসছে রোহিঙ্গাদের নিত্য-নতুন এ অপরাধের চিত্র। এসব অপরাধ এবং আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত পাঁচ বছরে শিবিরগুলোতে প্রায় ১০১টি হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।

রোহিঙ্গারা শুধু নিজেদের মধ্যে খুনোখুনি নয়, রোহিঙ্গাদের হামলায় কয়েকজন বাংলাদেশিও নিহত হয়েছে। পাশাপাশি অপহরণের শিকারও হচ্ছে। সবচেয়ে উদ্বেগের জায়গা হলো উখিয়া এবং টেকনাফে এখন রোহিঙ্গারাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। বাংলাদেশিরা সেখানে এখন সংখ্যালঘু। সে কারণেই শরণার্থী ক্যাম্পের পরিস্থিতি কতদিন নিরাপত্তা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকবে সে উদ্বেগ রয়েই যাচ্ছে স্থানীয়দের মাঝে। তাই প্রত্যাবাসনে যত বেশি সময় লাগবে, ক্যাম্পের পরিস্থিতি ততই খারাপ হবে বলে ধারণা করছেন কক্সবাজারের সচেতন মহল।
কে বুধবার (১০ আগস্ট) উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফের সন্ত্রাসীদের গুলিতে ২ রোহিঙ্গা মাঝি নিহত হয়েছে। পুলিশ জানায়, বুধবার ১২টার দিকে জামতলী ১৫ নম্বর ক্যাম্পে অবস্থানকালে সি ব্লকের হেড মাঝি আবু তালেব এবং সি/৯ সাব ব্লকের মাঝি সৈয়দ হোসেনকে গুলি করে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। নিহত হেড মাঝি আবু তালেব জামতলী ১৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ব্লক সি/১ এর আবদুর রহিমের ছেলে এবং সাব মাঝি ব্লক সি/৯ এর ইমান হোসেনের ছেলে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে নিয়োজিত ৮ এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মোহাম্মদ কামরান হোসেন জানান, প্রাথমিকভাবে পূর্বশত্রুতার জের ধরে ৮ থেকে ১০ জন দুষ্কৃতকারী পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ক্যাম্পে ব্লক অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।
এছাড়া সর্বশেষ গত দুই-আড়াই মাসে মায়ানমারভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মির (আরসা) ২ নেতাসহ অন্তত পাঁচজন খুন হয়েছে। এদের মধ্যে ১ আগস্ট বিকেলে কক্সবাজারের উখিয়ার মধুরছড়া রোহিঙ্গা শিবিরে নুরুল আমিন (২৬) নামের এক রোহিঙ্গা যুবক খুন হয়। জানাযায়, ক্যাম্প-৪ এক্সটেনশনের আই ব্লকে এই হত্যাকান্ড ঘটে। মৃত নুরুল আমিন ওই ক্যাম্পের আবু শামার ছেলে।
গত বছর ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা ও তাদের অধিকার আদায়ের সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান মুহিব উল্লাহকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার পর থেকে নিহতের পরিবারের সদস্যরা রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসাকে দায়ী করে আসছিল। এরপর ২২ অক্টোবর ১৮ নম্বর ক্যাম্পের একটি মাদ্রাসায় সশস্ত্র হামলা চালিয়ে গুলি করে ছয়জন ছাত্র-শিক্ষককে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।
এসব বড় ঘটনার পরেও একের পর এক হত্যাকান্ড ঘটলেও তা ঠেকানো যাচ্ছে না। এমনকি রোহিঙ্গা শিবিরে রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মির (আরসা) উপস্থিতির বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে এলেও এতদিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা সরকারের পক্ষ থেকে তা অস্বীকার করা হয়। সর্বশেষ ১৩ জুন পুলিশের দেয়া রোহিঙ্গা নেতা মুহিব উল্লাহ হত্যাকান্ডের তদন্ত প্রতিবেদনে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে শরণার্থী শিবিরে আরসা সদস্যদের উপস্থিতি স্বীকার করে পুলিশ। ওই তদন্ত প্রতিবেদনে জানানো হয়, মুহিব উল্লাহকে আরসা প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনীর নির্দেশে হত্যা করা হয়। মুহিব উল্লাহ আরসা প্রধানের চেয়ে জনপ্রিয় নেতা হয়ে যাচ্ছিলেন বিধায় তাকে হত্যা করে আরসার সদস্যরা। মুহিব উল্লাহর সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের কারণে আরসার কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি হচ্ছিল বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
সাধারণ রোহিঙ্গাদের ভাষ্য, রোহিঙ্গা শিবিরে আরসা সন্ত্রাসীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ সাধারণ রোহিঙ্গারা। শিবিরে ডাকাতি, চাঁদাবাজি, খুন, ধর্ষণসহ এমন কোন অপরাধ নেই যেখানে আরসা জড়িত নয়। তাদের মতে, নানা অপরাধের পাশাপাশি আরসা সন্ত্রাসীরা রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে প্রত্যাবাসনের বিপক্ষে কাজ করে।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী ক্যাম্পগুলোর অপরাধের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানও সেদিকে ইঙ্গিত করছে। জেলার দুর্গম সব এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে ক্যাম্পগুলোতে পারিবারিক সংঘাত থেকে শুরু করে ডাকাতি যেমন হয়, তেমনি অপহরণ, মানবপাচার, ধর্ষণ বা পুলিশের ওপর হামলার মতো অপরাধের খবর হরহামেশাই আসছে। মামলাও হচ্ছে সংশ্লিষ্ট থানায়। অপরাধের তালিকায় মাদক ও অস্ত্রের আধিপত্য রয়ে গেছে আগের মতোই।
***
১০ ধরনের অপরাধে লিপ্ত রোহিঙ্গারা
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অস্ত্র কারবার, মাদক কারবার, মানবপাচার, কথায় কথায় খুন, অপহরণপূর্বক মুক্তিপণ, ডাকাতি, চুরি, আধিপত্য বিস্তার, সাইবার ক্রাইম, যৌন নির্যাতন, অবৈধ সিম বাণিজ্য, স্থানীয়দের জমি দখল, হুন্ডি, জাল টাকার কারবার, স্বর্ণ কারবার, বাল্য বিবাহ, চোরা কারবার, ভয়ংকর কিশোর গ্যাং, গ্রুপভিত্তিক আধিপত্য বিস্তার, ধর্ষণ, পুলিশের ওপর হামলাসহ অহরহ অপরাধ সংঘঠিত করছে রোহিঙ্গারা। তবে জেলা পুলিশের হিসাব বলছে, মূলত ১০ ধরনের অপরাধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে, অস্ত্র, মাদক, ধর্ষণ ও ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ, অবৈধ অনুপ্রবেশ, অপহরণ, পুলিশের ওপর হামলা, ডাকাতি ও ডাকাতির প্রস্তুতি, হত্যা ও মানবপাচার। অন্যদিকে, স্থানীয় তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে মে মাসে দেশব্যাপী শুরু মাদকবিরোধী অভিযানে কক্সবাজারে বিভিন্ন বাহিনীর সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে ২৭৯ জন। এদের মধ্যে রোহিঙ্গা ১০৯ জন। নিহত রোহিঙ্গাদের মধ্যে তিনজন নারী ছিলেন।
লম্বাশিয়া ক্যম্পের ওসমান গনি নামে এক যুবক বলেন, রাতের বেলায় ক্যাম্পের ভেতর অস্ত্রধারী লোকজনের ঘোরাফেরা দেখে এখানকার বাসিন্দারা অভ্যস্ত। এই অস্ত্রধারীদের অনেকেই নিজেদের আরসার উপদল আল ইয়াকিনের সদস্য হিসেবে পরিচয় দেয়। আবার কিছু স্থানীয় দলও আছে উল্লেখ করে তিনি জানান, তারা ক্যাম্পের ভেতরে যারা ব্যবসা বা অন্য উপায়ে উপার্জন করে তাদের কাছ থেকে চাঁদা নেয়। বাইরের দিক থেকে এই শরণার্থী ক্যাম্প আপাতত শান্ত মনে হলেও ভেতরে-ভেতরে অস্থিরতা কাজ করে।
***
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এত অস্ত্র কোত্থেকে এলো?



টনাস্থল উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি ছোট-বড় রোহিঙ্গা ক্যাম্প। এখানে দলগত সশস্ত্র তৎপরতা, মাদক-মানবপাচার, চাঁদাবাজি, অপহরণ বাণিজ্য ও দোকান দখল থেকে শুরু করে তুচ্ছ ঘটনায়ও ব্যবহার করা হচ্ছে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র। ক্যাম্পে নিজেদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও ক্ষমতা বিস্তারে দেশীয় নানা অস্ত্রসহ আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করছে একশ্রেণির রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী। গত ১-৮ অক্টোবর পর্যন্ত সবচেয়ে বড় আশ্রয়কেন্দ্র উখিয়া কুতুপালং ক্যাম্পে পাহাড়ি রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের দু'পক্ষের গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত আট জন নিহত হয়। তখনই নেমে আসে বড় আশ্রয় ক্যাম্পটিতে ভয়াবহ অশান্তি। এরপর যৌথ অভিযান শুরু হলেও সংঘর্ষ থেমে নেই। এমন হত্যার ঘটনা ঘটেছে গত তিন বছরেও। তাই প্রশ্ন উঠেছে, আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের পাহাড়ি ক্যাম্পে এত অস্ত্র-গোলাবারুদ আসছে কোত্থেকে? তা-ও আবার অত্যাধুনিক মারণাস্ত্র!
স্বাধীনতার আগে থেকেই রোহিঙ্গাদের অনেকের এ দেশে ব্যবসায়িক সূত্রে আসা-যাওয়া ছিল। তবে সামরিক নিপীড়ন শুরু হওয়ায় আশির দশক থেকেই হাজার হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পাড়ি জমাতে থাকে। ২০১৭ সালের আগে অন্তত সাড়ে তিন লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসে বসতি স্থাপন করেছিল। এরপর ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ভয়াবহ নিপীড়ন শুরু হলে মানবিক কারণে তাদের আশ্রয় দিতে রাজি হয় বাংলাদেশ সরকার। সে সময় এক বছরে চলে আসে সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা। বর্তমানে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় ৩৪টি স্বীকৃত ক্যাম্পে ১১ লাখ ১৮ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বাস করছে। এসব রোহিঙ্গাকে মানবিক কারণে জায়গা দেওয়ার সময় তাদের সঙ্গে আনা সামগ্রী সরকারের পক্ষে যথাযথভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। মানবিক কারণেই তখন মিয়ানমার সেনাবাহিনীর গুলি থেকে তাদের পিঠ বাঁচানোর বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে তাদের আশ্রয় দিয়েছে সরকার। তবে তারাই এখন হয়ে উঠেছে সরকারের মাথাব্যথার কারণ। একে তো তাদের ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে নানা কূটনৈতিক চেষ্টা চালিয়েও এখনও সফলতা মেলেনি পাশাপাশি তারা নষ্ট করছে উখিয়া-টেকনাফের শান্তিময় পরিবেশ। গোলাগুলি ও হামলায় প্রায় মাসেই রক্তাক্ত হয়ে উঠছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর পরিবেশ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০১৭ সালের আগস্টে মানবেতর পরিস্থিতির মুখে পড়া রোহিঙ্গাদের মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে জায়গা দেওয়ার সময় সরকারের পক্ষে তাদের সঙ্গে আনা ব্যাগপত্রের সব মালামাল পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি। এই সুযোগে সিংহভাগ সাধারণ রোহিঙ্গার সঙ্গে সে সময়ে কিছু অস্ত্রবাজও ঢুকে পড়ে। এর প্রমাণ পাওয়া যায়, প্রথম বছর যেতে না যেতেই এসব ক্যাম্পে সশস্ত্র তৎপরতা শুরু করতে দেখা যায় অনেককেই। বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের কাছে পরিষ্কার, এসব রোহিঙ্গা মূলত ডাকাতি এবং মানব ও মানবপাচার কারবারের জন্যই এমন সশস্ত্র পেশা বেছে নিয়েছে। তবে ক্যাম্প ছেড়ে এসব রোহিঙ্গা বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ডেও মাঝে মাঝে ডাকাতি করায় তারা এখন দেশের নিরাপত্তার জন্যও হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে। ফলে শুরু থেকেই এদের দমন করতে তৎপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে তাদের পাহারার ফাঁক গলিয়ে নানাভাবে উখিয়া-টেকনাফের পাহাড়ি এলাকাগুলোতে এখনও তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে সশস্ত্র রোহিঙ্গারা। ফলে তাদের অস্ত্রগুলোর উৎস কি সেটা যাচাই এবং এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। তাছাড়া রোহিঙ্গা শিবিরে উত্তেজনা এবং সংঘর্ষ জিইয়ে রেখে পরিবেশ ঘোলাটে করতে মিয়ানমারের কোনও গোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের কাছে গোপনে অস্ত্র সরবরাহ করছে কিনা সেটাও যাচাই জরুরি।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভারত ও মিয়ানমারে সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত এখনও অরক্ষিত। এসব জায়গা দিয়েই ওই দুটি দেশ থেকে রোহিঙ্গার জন্য অস্ত্র আসে। তারপর বিভিন্ন কৌশলে সেগুলো পৌঁছে যায় ক্যাম্পে। তবে এসব অস্ত্রের প্রধান উৎস মিয়ানমার। এছাড়া কিছু স্থানীয় দুর্বৃত্তের সহায়তা নিয়েও পাহাড়ি এলাকায় অবৈধ অস্ত্রের কারখানা বানিয়ে তারা সংগ্রহ করছে আগ্নেয়াস্ত্র ছাড়াও নানা ধরনের দেশীয় অস্ত্র।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, সর্বশেষ (১২ অক্টোবর) ভোরে টেকনাফের শামলাপুরের জলসীমানায় ঢুকে জেলেদের অপহরণের চেষ্টাকালে মিয়ানমারের ডাকাতসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছে ৪টি অস্ত্র পাওয়া যায়। এছাড়া চলতি মাসের ১-১২ অক্টোবর পর্যন্ত কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের ক্যাম্পসহ পাহাড়ি এলাকা থেকে পিস্তলসহ ২১টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র এবং অর্ধশতাধিক গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ সময় রোহিঙ্গাসহ ৪০ জন ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুই থানায় ৭টি মামলা করা হয়েছে। কিন্তু এ বছরের গেলো ৯ মাসে এসব এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছিল ৯০টি। এই পরিসংখ্যান হিসাব করলে বোঝা যায় ক্যাম্পে বর্তমানে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার কতটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
রোহিঙ্গা শিবির যেন অস্ত্রের ভান্ডার শিরোনামে সময় টিভি এবং রোহঙ্গা ক্যাম্প যেন অস্ত্রের ভান্ডার শিরোনামে যমুনা টিভি দুটো নিউজ প্রচার করেছিল।রোহিঙ্গা শিবিরে বাড়ছে অপরাধ দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া জরুরি।
***
এফ এন এস ২৪ (১৯ জানুয়ারি ২০২৩) সম্পাদকীয়
রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে মানবিকতার এক অনন্য নজির স্থাপন করেছে বাংলাদেশ। কিন্তু দিন দিন রোহিঙ্গাদের আশ্রয় শিবিরগুলো আশেপাশে থাকা স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িঁয়েছে। কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরে ক্রমেই বাড়ছে সংঘাত, ডাকাতি, ধর্ষণ, অপহরণসহ হত্যাকান্ডের মত ঘটনা। রোহিঙ্গারা স্থানীয় বাসিন্দাসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের ওপরও হামলা করছে বলে জানা যায়। সংবাদমাধ্যমের থেকে জানা যায়, বিগত যে কোনো সময়ের চেয়ে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মামলার হার বেড়েছে। কক্সবাজারের বিভিন্ন আদালতে ২ হাজারের মতো মামলা চলমান। ৩২ রোহিঙ্গা শিবিরে গত পাঁচ বছরে ১৩৫ হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পারিবারিক সহিংসতা ছাড়াও মাদক, অস্ত্র, ছিনতাই বেশি হয়। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানের মুখে ২০১৭ সালে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গদের একটা অংশ ২০১৮ সালের শুরু থেকে অপরাধপ্রবণ হয়ে ওঠে। এর পর থেকে গত পাঁচ বছরের অধিক সময়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একে একে ১৩৫টির মতো খুনের ঘটনা ঘটে। এছাড়াও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘাত চাঁদাবাজি, মানব পাঁচার, সোনা চোরাচালানসহ ১৪ ধরনের অপরাধের অভিযোগে ৫ হাজার ২২৯টি। ২০১৮ সালে দেশব্যাপী চালানো মাদকবিরোদী অভিযানে কক্সবাজারে বিভিন্ন বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন ২৭৯ জন। এর মধ্যে রোহিঙ্গা ১০৯ জন। বর্তমানে ক্যাম্পে ছোটবড় মিলিয়ে শতাধিক সন্ত্রাসী গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। এই গ্রুপগুলোতে একেকটির সদস্য সংখ্যা রয়েছে ৫০ থেকে ৫০০ পর্যন্ত। ক্যাম্পে সক্রিয় রয়েছে আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মি, রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন, ইসলামী মাহজ, জমিওয়তুল মুজাহিদীনসহ আরও কয়েকটি সংগঠন। সংগঠন গুলোর বিরুদ্ধে টার্গেট কিলিংসহ অন্যান্য অনেক অপরাধের অভিযোগ পাওয়া যায়। পান থেকে চুন খসলেই হঠাৎ করেই স্থানীয়দের ওপর আক্রমন চালানো হয়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেও কোনো কাজ হয় না তাই দিন দিন তাদের আগ্রাশন বেড়ে যাচ্ছে। রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড এভাবে চলতে থাকলে আশেপাশে থাকা স্থানীয় বাসিন্দাদের টিকে থাকাটাই অসম্ভব হয়ে পড়বে। তাই আইন নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাগুলোকে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। ক্যাম্পের চিহ্নত অপরাধীদের গ্রেফতারের পাশাপাশি চেকপোস্ট ও টহল জোরদার করা জরুরি। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে যৌথভাবে কাজ করতে হবে। সরকারকে রোহিঙ্গা শরনার্থীদের এমন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। অন্যথায় পুরো দেশকে এমন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের প্রভাবে পড়তে হবে। যথাযথ আইন প্রয়োগের মাধ্যমে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও বিভিন্ন অপকর্ম নির্মূল হবে এমনটাই কাম্য থাকবে।
****
বিশেষ মন্তব্যঃ
সোহানী আপু ফেসবুকে তাঁর একটা মন্তব্যে বলেছিলেন; সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৭ সালে ( সময়টা বিশেষভাবে উল্লেখ্য- কেননা এইসব কথা ভাববার মত জ্ঞান বা দুরদর্শীতা থাকতে হয়)ঃ
চ্ছা বুঝলাম আপনি অসম্ভব একজন মানব দরদী মানুষ এবং কঠিন ইসলামী ঝান্ডা উড়াচ্ছেন তাই তো সত্য মিথ্যা যত ছবি ফেইবুকে পেয়েছেন তা শেয়ার করে ইমন্যাস্টি ইন্টান্যাশনালের কঠিন দায়িত্ব পালন করেছেন..... ওকে এবার একটু জিড়ায়ে নেন। আচ্ছা বলেন দেখি মায়ানমার সরকার ৭/৮ লাখ রোহিঙ্গাদের সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে পিটায়ে দেশ থেকে তাড়ালে এবং আমরা কঠিন দরদী ভাই-বোনরা মানবতা গেল, ইসলাম গেল বলে ওদেরকে আদর করে জায়গা দিলাম।
এখন ১ম প্রশ্ন- ওরা কি আদৌ দেশে ফিরে যেতে পারবে? যদি ফিরে না যায় তাহলে আমাদের পরিকল্পনা?
২য় প্রশ্ন- যে সন্ত্রাসী আক্ষা দিয়ে ওদেরকে তাড়ালো, তাদের মধ্যে কতজন সন্ত্রাসী বা ভবিষ্যতে এ কাজে পা বাড়াবে না তার গ্যারিন্ট কি?
৩য় প্রশ্ন- আম্রিকা ভারত, চীন, ই ইউ যাদের হাতে বিশ্ব মানবতা রক্ষার পতাকা তারা কিছুই বলছে না। কেন???? উল্টো সুচিকে প্রশংসা করছে সন্ত্রাস দমনের জন্য . . . . . . . ভাই-বোনরা একটু হিসেব কষেন, ওই সব সত্য মিথ্যা ছবি ফেইবুকে শেয়ার করার আগে নিজের লাভ ক্ষতি ভাবেন। নিশ্চয় নিজের পায়ে কুড়াল মেরে অন্যের ক্ষেত পাহাড়া দিবো না...
------------****--------------
শুনতে খুব অমানবিক হলেও জলদস্যুর উপদেশটা খারাপ নয়ঃ
~মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- প্রথম থেকেই আমার মতামত ছিলো- পাঁচ ফুট মোটা ২০ ফুট উঁচা দিয়াল দিয়ে রোগিঙ্গা ক্যাম্প ঘিরে দিতে হবে। ওর ভিতরে যারা ঢুকবে তারা সেখানেই থাকবে, সেখানেই খাবে, সেখানই হাগবে, সেখানেই চিকিৎসা হবে, সেখানেই মারা যাবে, সেখানেই কবর হবে। দেয়ালের উপরে ইলেকট্রিক কাটা তারের বেড়া থাকবে। সেটা কেউ পার করার চেষ্টা করলেই গুলি করা হবে।
মতামতটা শুনতে খারাপ লাগলেও সেটাই করা উচিত ছিলো। এখনো সময় শেষ হয়ে যায়নি। তবে সমস্যা হচ্ছে যাদের এই দিকে নজর দেয়া উচিত তারা চেয়ারের দিকে নজর দিয়ে রেখেছে, অন্য কোনো দিকে নজর দেয়ার সময় তাদের নেই।
------------***--------------
ব্লগের অন্যতম ঋদ্ধ ও দুরদর্শী ব্লগার আহমেদ জী এস-ভাই এবিষয়ে দু'দুটো পোষ্ট দিয়েছিলেন। পড়ে দেখতে পারেন- বুঝবেন দেশ নিয়ে আমাদের ব্লগারেরা এখনো কত ভাবেন। সেই সাথে মিলিয়ে নিতে পারেন বর্তমান অবস্থার সাথে( পোষ্ট দুটো আমার পোস্টের সম্পুরক হিসেবে যুক্ত করলাম)ঃ

মহাবেকুব জাতক কথন - তিন । ডেভিল'স অল্টারনেটিভ।

মহাবেকুব জাতক কথন - দুই..... খেসারত
_____________________




সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ১০:০৫
৩৬টি মন্তব্য ৩৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আজ গ্রহানু 'বেন্নু' থেকে সেম্পল আসছে পৃথিবীতে

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৫০



***** আপডেট: প্যারাসুট দেখা যাচ্ছ.
***** আপডেট: প্যারাসুট ভুমিতে নেমেছে। মনে হয়, কিছু সময় আগেই ইহা নেমেছে।

নাসার স্পেসক্রাফট, OSIRIS-REx আজ নিউইয়র্ক সময় ১১:৫৫ মিনিটের সময়, গ্রহানু 'বেন্নু'র পৃষ্ঠ থেকে সংগৃহিত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক্যাচালীয় ধাঁধা =p~

লিখেছেন বিষাদ সময়, ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৩১





বিঃদ্রঃ- ইহা একটি ফান পোস্ট কোন ব্যাক্তিকে সামান্যতম আঘাত দেয়াও এ পোস্টের উদ্দেশ্য নয়।

অনেক দিন ধরে ব্লগে বেশ সুন্দর পরিবেশ । ক্যাচালের স্বর্নযুগ কোথায় যেন হারিয়ে গেছে =p~... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেয়ের স্কুলে প্রথম বারের মতো প্রবাসী বাবা

লিখেছেন মোবারক, ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ভোর ৪:৫৬


কন্যার সাথে সেলফি, চিলপাড়া ব্রিজ , চৌদ্দগ্রাম , কুমিল্লা ।

মেয়ের স্কুলে প্রথম বারের মতো প্রবাসী বাবা। মুনতাহিনা জাহান - আমার মেয়ে - তার জন্মের পরথেকে বাবাকে তেমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

অপেক্ষা

লিখেছেন চন্দ্ররথা রাজশ্রী, ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:২৪



মুখোশে মুখোশে আকাশ টা ছেঁয়ে গেছে,
বৃষ্টির আশায় থাকা ক্ষেতে আগুন ধরিয়ে একটু শান্তি পেলাম,
নিজ হাতে কিছুটা শান্তি পুড়িয়ে শান্ত হলাম।

বুকে প্রেম নিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে আমি যতটা দুর্বল,
তার থেকে বেশি অসহায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

যাপিত জীবনঃ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।

লিখেছেন জাদিদ, ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৯

দেশের প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা নীরবে হারিয়ে যাচ্ছেন আর রাজত্ব করে বেড়াচ্ছে ১৬ই ডিসেম্বরের ধান্দাবাজ মুক্তিযোদ্ধারা। ফলে যে পবিত্র আদর্শ ও চেতনাকে পুঁজি করে কিছু মানুষ দেশের জন্য যুদ্ধ করেছে সেই চেতনা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×