somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সাকার ফিস আশির্বাদ না অভিশাপ!!!

০১ লা অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


অদ্ভুত উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ- কবি শামসুর রহমান মনে হয় এই লাইনে একটু ভুল করেছিলেন। মরুভুমি নাই; উট আসবে কোত্থেকে। তাঁর লেখা উচিৎ ছিল অদ্ভুত ছাগলের পিঠে চলেছে স্বদেশ। এই দেশের 'ব্লাক গোট' বিশ্বসেরা! সারা দেশ ভর্তি গোট আর গোট 'মুর্খ জ্ঞানী' সবার মাথায় 'গোটের মগজে' (আমারটা সহ কিন্তু) ভর্তি!
এক ব্যাটায় তিনশো ফিটে গিয়া একটা ভিডিও ছাড়ল; ভাইরে ভাই আর কইয়েন না ভয়াবহ, ভয়ঙ্কর ব্যাপার। তিনশো ফুটের রাস্তার পাশের নালায় আইজক্যা আমি মাছ মারবার গিয়া ভয়ঙ্কর এক পরিস্থিতির মুখোমুখি হইলাম।
আমার মত মুর্খ জ্ঞানী 'ছাগলের মগজ ভর্তি' সব বাঙ্গালীরা বিরাট টেনশনে তখন! টেনশনের ঠ্যালায় প্যান্টের জিপার ছিড়ে যাবার অবস্থা!!
ইউটিউবার বলছে; ছিপ ফালাই আর সাকার মাছ! ছিপ ফালাই আর সাকার মাছ !!পুরা চার দিকের নালা নদী খাল ভর্তি সাকার মাছ!!! এই দেখেন তিনডারে ধইর‍্যা আনছি!!!!
মালে(ইউটিউবারে) ঘুরায় ঘুরায় দ্যাখায় আর আমাদের ইউরিনের ব্লাডার ফাটার অবস্থা!!!
আর ইউটিউবারের যেন দেশ জাতি নিয়ে ব্যাপক টেনশনে ঘাম ছুটছে;~এই মাছ এমন চিজ যে জিন্দেগিতে মরে না- এই দেখেন ভিডিও। শুকায় খড়ি হয়া গেলেও এক ফুটা পানি মুখে মধ্যে হান্দায় দিলেন্তো ফের জ্যাতা হয়া গেল। এই মাছ সারা দ্যাশ তামা তামা কইরা দিব বস।
খালি দেখেন কি হয়!!খাল বিল নদী নালা সবখানে মাছ,ডিম-পোনা-দানা যা আছে সব খায়া সাফ কইরা ফালাব। দ্যাশ শ্যাষ!
***
ইদিকে আমি এই ভিডিও দেখে শালার দেশ আর দেশের সরকার রাজনীতি বিজ্ঞানীদের চৌদ্দগুস্টী উদ্ধারে নামলাম। এখন কি হবে মাথার চুল ছিঁড়ে কি লাভ। সব শেষ - মাইরি কি হবে আর। এই দেশ ছেড়ে ভাগা ছাড়া উপায় নাই আর। আগেই তো সব গেছে, এইটাই বাকি ছিল।
***
দিকে প্রানী্সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সদরদপ্তরে ঘন ঘন মিটিং চলছে। বড় বড় তাবড় তাবড় বিজ্ঞ গ্যানীরা বসে টেনশনে, মগজে আরো ভিটামিন 'ডি' সরবরাহের জন মন'কে মন কাঠাল পাতা চিবাইতেছেন; কি হইবে কি হইবে? তাদের সাথে সাথে সারা দেশ টেনশনে তোলপার!
সবধরনের মিডিয়া ফেসবুক আর ইউটিউবার আগুন লাগিয়ে দিল। শাল্লা চিলে যা কান নিয়ে গেছে খেয়াল আছে তোদের- দৌড়া সবাই কানের দিকে।
আহা এই দুঃসময়ে কবি শামসুর রহমানকে খুব মনে পড়ে। তিনি ফের খানিকটা ভুল লিখেছেন। চিল তো এখন এদেশের আকাশ থেকে হারিয়েই গেছে। এখন লিখবেন 'কান নিয়ে গেছে মিডিয়া'
***
এই নিয়ে সংসদে পর্যন্ত শুরু হল হুলস্থুল! বলা হচ্ছে ভারি কোডিয়াম সিসে সহ ভয়ঙ্কর বিষযুক্ত অখাদ্য এ মাছের চিপ্স আর বার্গার পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর কানে গেল এ কথা। তিনিও আঁতকে উঠেছিলেন সম্ভবত(তিনি টেনশনে না পড়লে বাকি কেউ চিন্তিত হবার মত কারণ খুঁজে পান না)। অধ্যদেশ জারি হল;
রাষ্ট্রপতির নির্দেশ অনুসারে, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মৃণাল কান্তি দে ১১ জানুয়ারী ক্যাটফিশ নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেন, একটি হ্যান্ডআউটে বলা হল;
বিজ্ঞপ্তি অনুসারে;
কেউ সাকারমাউথ ক্যাটফিশ আমদানি, সংস্কৃতি, পরিবহন, বিক্রয়, সরবরাহ এবং সংরক্ষণ করতে পারবে না।
এর আগে, মন্ত্রক ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২-এ মাছের সুরক্ষা এবং সংরক্ষণ আইন ১৯৫০ এর ধারা ১৮ সংশোধন করার জন্য একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল, যার লক্ষ্য ছিল চোষা মাছ নিষিদ্ধ করা।
এ বিষয়ে জনগণের কোনো আপত্তি বা পরামর্শ থাকলে দুই মাসের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে তাদের মতামত জমা দিতে বলা হয়েছে।
দক্ষিণ আমেরিকার স্থানীয়, মাছটি আক্রমণাত্মক হওয়ার জন্য সুপরিচিত। প্রজাতিটি জলাশয়ের স্থানীয় মাছের জন্য হুমকিস্বরূপ, কারণ এটি তাঁর আবাসন ও খাবারের জন্য অন্য মাছের সাথে লড়াই করে। যার ফলে দেশীয় মাছের বংশবৃদ্ধি হুমকির সম্মুখীন হবার সম্ভাবনা আছে। সে জন্য এ মাছকে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে।


কিন্তু বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাধবে কে??? কে ? কে? - এই অমরবাণী যিনি দিয়েছেন তিনিই নাম পদবী কোষ্ঠী গুষ্ঠী সহ হারিয়েছেন তাই ঘন্টা বাধার লোক আর না পাওয়াই স্বাভাবিক।
****
বুড়িগঙ্গায় সাকার ফিস।

ভাইরে ভাই গত ত্রিশ বছর ধরে শুনতে শুনতে কান পচে গেল যে, বুড়িগঙ্গার পানি পুরাই বরবাদ। ওই পানি এতই দুষিত আর সে পানিতে অক্সিজেনের পরিমান এত কম যে মাছ ব্যাং চ্যাং তো দুরের কথা শ্যাওলাও নাকি জন্মাইতে পারে না। পৃথিবীতে নাকি এমন দুষনের কবলে আর কোন নদী পড়ে নাই। যারা বরিশালে লঞ্চে করে যান তারা বুড়ী গঙ্গার পানির দুষনের অবস্থা কিছুটা টের পান। লঞ্চ যতক্ষন ঘাটে থাকে ততক্ষন দুর্গন্ধে নাক আটকে বসে থাকতে হয়!

কিন্তু আজকে শুনি অন্য এক গল্প; (৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩-বাংলাদেশ প্রতিদিন)

রাজধানীর প্রাণ বুড়িগঙ্গার বাঁকে বাঁকে এখন কিলবিল করছে রাক্ষুসে সাকার মাছ। দূষণের কারণে যে নদীর পানিতে অন্য প্রাণী বেঁচে থাকার মতো অক্সিজেন নেই, সেখানেও জাল ফেললে উঠে আসছে ১০-১৫ কেজি সাকার। পানিতে নামলে মাছটির কাঁটায় ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে শরীর। ছোট মাছ ও বড় মাছের ডিম-লার্ভা খেয়ে জলাশয়কে মৎস্যশূন্য করে ফেলছে অ্যাকুরিয়ামের শোভাবর্ধক এই ব্রাজিলিয়ান মাছটি। একই সঙ্গে দ্রুত বংশবিস্তার করে অন্য মাছের খাবারে ভাগ বসাচ্ছে। খাওয়ার প্রচলন না থাকায় বাজারে বিক্রিও হচ্ছে না, জেলেরাও এগুলো ফের জলাশয়ে ফেলে দিচ্ছে।
ইতোমধ্যে সব বিভাগের নদ-নদী, খাল-বিল ও পুকুরে মাছটির দেখা মিলেছে, যা হুমকিতে ফেলেছে দেশের মৎস্য খাতকে। একদিকে দীর্ঘ গবেষণায় বিপন্ন ও বিলুপ্তপ্রায় মাছগুলোকে ফিরিয়ে আনছেন দেশের মৎস্য গবেষকরা, অন্যদিকে দেশের জলাশয়ে ছড়িয়ে পড়ছে দেশি মাছের শত্রু সাকার। বুড়িগঙ্গায় ১৫ বছরের বেশি মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেছেন আবুল হাশেম। এখন ভ্যানে করে ফল ফেরি করেন। তিনি বলেন, তিন-চার বছর ধরে বুড়িগঙ্গায় সাকার ছাড়া অন্য কোনো মাছ পাওয়া যায় না। সব মাছ খেয়ে ফেলেছে ( এখানে বাকি মাছ আসল কোত্থেকে???)। জাল ফেললেই ১০-১৫ কেজি মাছ ওঠে ( কেন বুড়িগঙ্গার এই ভয়ঙ্কর দুষিত পানিতে জাল ফেলা হয় এই প্রশ্নের উত্তর কে দিবে? এখানকার মাছ অবশ্যই কাবার উপযোগী নয়।) বাজারে বিক্রি করা যায় না। কেউ কেউ মাছটি খায়, তবে কিনে নেয় না ( দেখেন এই মাছও মানুষ খাওয়া শুরু জরেছে- পিসি টাকা পিছ বিক্রি শুরু হইলে গ্যারান্টি এক বছরে বুড়ি গঙ্গায় মাছ সাফ হয়ে যাবে)। তাই এই নদীর জেলেরা সবাই এখন অন্য কাজ করে।
*** যেই নদীতে মাছ নাই- যেখানকার মাছ খেলে অবশ্যই অপকার হবে সেখানে কেন জাল ফেলা হবে - যারা মাছ মারতে গিয়েছে তাঁর সৎ উদ্দেশ্যে যায় নাই????
এর পরেরটুকু পড়ে দেখেন; কিভাবে ভয় দেখানো হয়েছে এবং সাকার মাছ নিয়ে আমরা কত সুদুরপ্রসারি চিন্তাভাবনা করে ফেলেছি;
গবেষকরা বলছেন, মাছটি প্রচুর খাবার খায় ও দ্রুত বংশবিস্তার করে। অন্য মাছের ডিম, লার্ভা খেয়ে ফেলে। এ মাছের পাখনা খুব ধারালো হওয়ায় এর আঘাতে সহজেই অন্য মাছের দেহে ক্ষত হয় এবং পরে পচন ধরে মারা যায়। এটি এখন দেশি মাছের জন্য হুমকি। মাছটি অত্যন্ত দূষিত পানিতেও অনায়াসে বেঁচে থাকতে এবং প্রজনন ঘটাতে সক্ষম। এমনকি পানি ছাড়াও মাছটি ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। মাছটির বৃদ্ধি ঠেকাতে না পারলে দেশি মাছ থাকবে না।
মাছটি পেলে মাটিকে পুঁতে ফেলতে বলা হয়। এর পর মৎস্য অধিদফতর এ মাছ দেশের জন্য ক্ষতিকর বলে একটি প্রচারপত্র তৈরি করে। এর বাইরে আর তেমন কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি।
এখনো রাজধানীর অ্যাকুরিয়ামগুলোতে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে সাকার মাছ। জলাশয়ে ছড়িয়ে পড়া সাকার মাছ কমাতে কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি।
দেশের নদী-বিল তো বটেই, ডোবা-নালাতেও হরহামেশাই দেখা যাচ্ছে সাকার মাউথ ক্যাটফিশ ( আর কোথায় পাওয়া গেছে এর কোন উল্লেখ নেই)।
মাছটির পুষ্টিগুণ ও খাওয়ার উপযোগিতা নিয়ে এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেননি গবেষকরা।
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) গবেষকরা বুড়িগঙ্গাসহ ঢাকার আশপাশের নদী ও জলাশয় থেকে মাছের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষায় মানবদেহের জন্য অতিমাত্রায় ক্ষতিকর ভারী ধাতু পেয়েছেন। বিস্তারিত গবেষণা ছাড়া তারা মাছটিকে খাওয়ার অযোগ্য হিসেবে মত দিয়েছেন।
প্রতিষ্ঠানটির মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও কেন্দ্র প্রধান ড. অনুরাধা ভদ্র বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমরা বুড়িগঙ্গাসহ ঢাকার আশপাশের চারটি উৎস্য থেকে মাছটির নমুনা সংগ্রহের পর পরীক্ষা করে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর ক্যাডমিয়ামের বিপজ্জনক উপস্থিতি পেয়েছি। এটা খাওয়ার উপযোগী নয়। এটা পানির গুণাগুণের জন্য হতে পারে। পরবর্তীতে সারা দেশ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠিয়েছি। এখনো রিপোর্ট পাইনি। তবে মাছটি ছড়িয়ে পড়েছে এটা নিশ্চিত। শুধু উন্মুক্ত জলাশয় নয়, আমাদের বিএফআরআইর গবেষণা পুকুরেও মাছটি পাওয়া গেছে। পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। সাকার মাছ নিয়ে নিজ উদ্যোগে গবেষণা করছেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সহকারী অধ্যাপক মো. মাসুদ রানা। তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বাংলাদেশের আট বিভাগের প্রায় সব বিল, নদ-নদী এমনকি চাষের পুকুরেও ব্যাপকভাবে সাকার মাছ পাওয়া যাচ্ছে
~ এই ভদ্রলোকের একটা ইন্টারভিউ নিতে হবে।

সরকার গেজেট করে মাছটি নিষিদ্ধ করেছে। কেউ মাছটি পেলে মাটিতে পুঁতে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু শুধু মাটিতে পুঁতে এই মাছ শেষ করা যাবে না। এখন পর্যন্ত একজন মানুষও মাছটি মাটিতে পুঁতেছে বলে আমি মনে করি না। কারণ তাতে তার লাভ কী?

তবে এরপরে খানিকটা ভাল কথা আছে;
মাছটির ব্যবহার না বাড়ালে জলাশয় থেকে কমবে না। ভালো পানি থেকে মাছটির নমুনা সংগ্রহের পর পরীক্ষা করে তাতে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর মাত্রায় ভারী ধাতুর উপস্থিতি পাইনি। অর্থাৎ মাছটি খাওয়া যাবে। এই মাছের শুঁটকিতে ২৫-২৮ ভাগ আমিষ আছে। খুবই উন্নতমানের ফিশফিড তৈরি করা সম্ভব। মেক্সিকোয় সাকার মাছ প্রক্রিয়াজাত করে খায়, শুঁটকি করে ইউরোপ-আমেরিকায় রপ্তানি করে। সেখানে গিয়ে কুকুর-বিড়ালের খাবার হয়। আমরাও এটা করতে পারি। আর দূষিত পানির সাকার মাছ প্রণোদনা দিয়ে জেলেদের দিয়ে ধরিয়ে ধ্বংস করতে হবে। কখন, কোন স্থানে মাছগুলো ডিম পাড়ে সেটা গবেষণা করে বের করে প্রজননস্থল ধ্বংস করতে হবে।
এরও বিভিন্ন উপায় আছে। এ ছাড়া এগুলো দিয়ে উচ্চ ক্ষমতার জৈব সার তৈরি করা সম্ভব। সেটা করতে গেলে সবজিতে ভারী ধাতু যাবে কিনা সেটা গবেষণা করতে হবে। এ ছাড়া এই মাছ বায়োডিজেল তৈরিসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে।
**********************
খন কথা হচ্ছে আসলেই কি এই মাছটা পরিবেশের প্রতি হুমকি স্বরূপ?? এ মাছটা যত এত দ্রুত বর্ধনশীল, যে কোন পরিবেশে বেঁচে থাকার উপযোগী হয়, অন্য সব মাছ মাছের আবাস ডিম পোনা শেওলা ধ্বংস করে ফেলে। মৃত অবস্থা থেকেও ফিরে আসতে পারে তবে তো পুরো দক্ষিন আমেরিকায় ডোবা নালা নদীতে কিলবিল করার কথা। এদের অত্যাচারে তাদের অন্যসব মাছ হারিয়ে যাবার কথা। আসলেই কি তেমনটা হয়েছে। নাকি এই মাছটা নিজেরাই বিপন্ন প্রজাটি। টিকে থাকার জন্য মহাবিশ্বের সবচেয়ে হার্শ এনভায়রমেন্টকে বেছে নিয়েছে?
এমাছটার নাম দিয়েছি আমরা চোষকমুখী মাছ। এটা এদেশে মুত একুরিয়ামের মাছ হিসেবে এসেছে। একুরিয়ামের শেওলা ও ময়লা পরিস্কারে এর জুড়ি নেই। ঠিক তেমনি একদিন হয়তো বুড়িগঙ্গার সব ময়লা একদিন এরাই পরিষ্কার করে দিবে।
***
এবার এই ভিডিওটা একটু দেখে আসুন;
সেরা শ্যাওলা খাদক ( ৫ঃ ৩০ সেকেন্ড থেকে দেখবেন)
[sb*****সেরা শ্যাওলা খাদক*****
**চোষা মাছ
লিখেছেন: লেখক জোসি মেসেটার (সংক্ষিপ্তকরন)
প্রকাশের তারিখে প্রকাশিত: এপ্রিল ১৩, ২০২৩
সাকারফিশ, যা বৈজ্ঞানিকভাবে Myxocyprinus asiaticus নামে পরিচিত, একটি অস্বাভাবিক সাইপ্রিনিড প্রজাতি যা পূর্ব এশিয়ার হ্রদ, পুকুর এবং স্রোতে পাওয়া যায়। এটি গ্রাস কার্পের মতো সাধারণ কার্প এবং বারবেলের সাথে দূরবর্তীভাবে সম্পর্কিত।




চোষা বা চোষক মাছ কি? ( যদিও আমাদের এখানকার চোষক মাছে বেশীরভাগ ব্রাজিলিয়ান প্রজাতির তবুও- সব চোষক মাছ বৈশিষ্ঠগতভাবে প্রায় একই)
তারা কোথায় থাকে?
চুষা প্রধানত হ্রদ, নদী ও পুকু্রের অগভীর জলে পাওয়া যায়। তারা ধীর বা শান্ত জলের আবাসস্থল পছন্দ করে যেখানে তারা তাদের আঠালো ক্ষমতা আরও ভালভাবে ব্যবহার করতে পারে। ধীরগতির জলের জন্য এই পছন্দ সত্ত্বেও, এই মাছগুলি দ্রুত প্রবাহিত নদী এবং স্রোতে বেঁচে থাকতে পারে যদি খাদ্যের উত্স যথেষ্ট পরিমাণে থাকে। এটি তাদের স্থানীয় অঞ্চলে তাদের পরিসরকে বেশ বিস্তৃত করে তোলে।
অনন্য শারীরিক বৈশিষ্ট্য
চোষক মাছের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হল এর দেহের শেষাংশে সাকশন কাপ আকৃতির মুখ। এই অঙ্গটিতে ছোট ছোট দাঁতের বেশ কয়েকটি সারি রয়েছে, যা জলের নীচের পাথরসহ বিভিন্ন পৃষ্ঠের সাথে লেগে থাকতে দেয়।
এই অঙ্গ দ্বারা উত্পাদিত আনুগত্য শক্তি যথেষ্ট শক্তিশালী যে মাছ দীর্ঘ সময়ের জন্য এটিকে আঁকড়ে থাকতে পারে। এটি এটিকে খাদ্যের উত্সগুলি অ্যাক্সেস করতে দেয় এবং এটি কাছাকাছি লুকিয়ে থাকা বিপজ্জনক শিকারীদের থেকে বাঁচতে সহায়তা করে।
এই অনন্য অভিযোজন ছাড়াও, এই প্রজাতিটির নাকের কাছে দুটি লম্বা বারবেল পাওয়া যায় যা এর পরিবেশে খাদ্য উত্স এবং অন্যান্য বস্তু সনাক্ত করতে সহায়তা করে। অতিরিক্তভাবে, সাকার ফিশের পুরু, বর্মের মতো আঁশ রয়েছে যা একাধিক স্তর দিয়ে তৈরি। তারা পাখি বা বড় জলজ প্রাণীর মতো সম্ভাব্য হুমকির বিরুদ্ধে চমৎকার সুরক্ষা প্রদান করে।

চোষা মাছ কি খায়?
সাকারফিশ সর্বভুক এবং প্রাথমিকভাবে পোকামাকড়, শামুক, কৃমি, ক্রাস্টেসিয়ান এবং ছোট মাছের মতো ছোট জলজ অমেরুদণ্ডী প্রাণীকে খাওয়ায়। তারা শেত্তলাগুলিকে শিলা বা অন্যান্য স্তরের পৃষ্ঠ থেকে স্ক্র্যাপ করে বা চুষে খায়।
কখনও কখনও তারা পাওয়া গেলে বিভিন্ন উদ্ভিদের উপকরণও খেতে পারে। সামগ্রিকভাবে, তারা সুবিধাবাদী স্কেভেঞ্জার এবং এমনকি প্রয়োজনে মৃত মাছ বা ক্যারিয়ানও খাবে।

কিভাবে তারা তাদের শিকার ধরে?
চোষকরা তাদের শিকার ধরতে বিভিন্ন শিকারের কৌশল ব্যবহার করে। এর মধ্যে রয়েছে ভ্যাকুয়াম ফিডিং, অ্যাম্বুশ ফিডিং এবং বটম ফিডিং। সাকশন ফিডিং তাদের শিকারের প্রাথমিক পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে সাকারফিশ তার মুখ প্রশস্ত করে একটি নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি করে। চোষকের মাধ্যমে এমন চাপ সৃষ্টি করে যা কাছাকাছি শিকারকে আকর্ষণ করে যেমন পোকামাকড়, কৃমি বা ছোট ক্রাস্টেসিয়ান।
অতিরিক্তভাবে, তারা তাদের শিকারকে চমকে দেওয়ার জন্য অ্যামবুশ কৌশল ব্যবহার করে দ্রুত তাদের পেক্টোরাল পাখনা উন্মোচন করে এবং যখন তারা কাছাকাছি সম্ভাব্য শিকার দেখতে পায় তখন দ্রুত গতিতে এগিয়ে যায়।
অবশেষে, চুষক মাছগুলিও জলের নীচের খাদ্য, যা জলপথের নীচে পাওয়া যেতে পারে এমন শেওলা বা অন্যান্য বর্জ্য খাবারের সন্ধান করার সময় স্তরের পৃষ্ঠের সাথে লেগে থাকার জন্য তাদের অনন্য চোষক মুখ ব্যবহার করে।

জীবনচক্র এবং প্রজনন আচরণ
নিষিক্তকরণের পর, সাকারফিশ ডিম হিসাবে তাদের জীবনচক্র শুরু করে, যা সাধারণত লার্ভা হতে কয়েক দিন সময় নেয়। জলের তাপমাত্রা এবং অন্যান্য অবস্থা সহ পরিবেশগত কারণগুলি হ্যাচিং প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে। লার্ভা সাধারণত জুপ্ল্যাঙ্কটনকে খাওয়ায় যতক্ষণ না তারা পরিপক্কতা অর্জন করে, যা সাধারণত প্রজাতির বৃদ্ধির হারের উপর নির্ভর করে প্রায় এক বা দুই বছর সময় নেয়।
প্রাপ্তবয়স্ক হলে,সাকার গভীর জলে চলে যায়। তারা আবাসস্থলের বসবাসকারী অন্যান্য ছোট প্রাণীর মধ্যে শেওলা, ক্রাস্টেসিয়ান এবং জলজ পোকামাকড় খায়।
যখন আবার প্রজননের সময় হয়, তখন পরিপক্ক প্রাপ্তবয়স্ক মা মাছেরা তাদের ডিম ছাড়ার জন্য অগভীর জলের দিকে সাঁতার কাটে, যেখানে গোষ্ঠীর পুরুষ প্রজাতিগুলি ইতিমধ্যেই স্প্যানিং গ্রাউন্ডে পৌঁছানোর আগে নিষিক্ত করেছে। এই প্রক্রিয়াটি আবার শুরু হয় যখন ডিম ফুটে এবং লার্ভাতে বিকশিত হয়, যা অবশেষে প্রাপ্তবয়স্ক হয়, ফের চক্রটি সম্পূর্ণ করে!

চোষক মাছের প্রাকৃতিক শত্রু
সাকারফিশের প্রাকৃতিক শত্রু বৈচিত্র্যময় এবং এর মধ্যে রয়েছে শিকারী মাছ, পাখি, কচ্ছপ এবং অন্যান্য জলজ প্রাণী। এই প্রজাতির সবচেয়ে সাধারণ শিকারীদের মধ্যে বড় মাছ, যেমন উত্তর পাইক এবং বাদামী ট্রাউট ও বক জাতীয় পাখি।

শিকারী এড়াতে অভিযোজিত কৌশল
শিকার হওয়া এড়াতে, সাকারফিশ প্রতিকূল পরিবেশে বেঁচে থাকার জন্য বিভিন্ন অভিযোজিত কৌশল ব্যবহার করে বিবর্তিত হয়েছে। উপরে উল্লিখিত হিসাবে, তাদের একটি ডিস্ক-আকৃতির আঠালো মুখ রয়েছে যা তাদের শিলা এবং স্তরের পৃষ্ঠগুলিতে আঁকড়ে থাকতে দেয়
এটি তাদের শিকারীদের থেকে লুকিয়ে রাখতে এবং সহজ খাবারের সন্ধানে নীচের জলে লুকিয়ে থাকা শিকারীদের নজরে না পড়ে আরও সহজে খাবারের সন্ধান করতে সহায়তা করে। অতিরিক্তভাবে, এই স্থিতিস্থাপক মাছগুলির শ্রবণশক্তি প্রখর বোধ রয়েছে যা তাদের কাছাকাছি যে কোনও সম্ভাব্য বিপদ সম্পর্কে সতর্ক করতে পারে, তাদের প্রয়োজন হলে দ্রুত পালাতে সময় দেয়।
উপরন্তু, তাদের সমতল আকৃতি এবং নিস্তেজ রঙ শিলা এবং অন্যান্য পৃষ্ঠের বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে চমৎকার ছদ্মবেশ প্রদান করে, তাদের চোখ ধাঁধানো থেকে নিরাপদ রাখে!


~ চাইনিজ চোষক মাছ ( ক্যাটফিস প্রজাতির) এই প্রজাতির মাছকে তারা বিপন্ন প্রজাতি ঘোষনা করে সংরক্ষনের উদ্যোগ নিয়েছে।

রাষ্ট্রকতৃক সংরক্ষণ
বিভিন্ন কারণের কারণে সাকারফিশ বিপন্ন, সবচেয়ে বেশি মানুষের কার্যকলাপের সাথে যুক্ত। ফলে সময়ের সাথে সাথে তাদের সংখ্যা কমেছে। তাই, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অফ নেচার (IUCN) এটিকে "নিয়ন্ত্রিত হুমকির সম্মুখীন" হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করেছে।
উদাহরণস্বরূপ, ঐতিহ্যগত খাদ্য ও ওষুধের উদ্দেশ্যে অতিরিক্ত শোষণ, ভূমি পুনরুদ্ধার প্রকল্পের কারণে আবাসস্থল ধ্বংস এবং অবক্ষয়, এবং কৃষি প্রবাহ থেকে জল দূষণ সবই তাদের সংখ্যা হ্রাসের জন্য প্রধান অবদানকারী কারণ।
তাদের বেঁচে থাকার হুমকি
আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, অতিরিক্ত মাছ ধরা খাল বিল ভরাট করে ফসলি জমি করার ফলে তাদের আবাসস্থলের জন্য অন্যতম প্রধান হুমকি।উপরন্তু, তাদের অনন্য আঠালো শরির চোষক মুখের জন্য প্রায়শই অন্যান্য প্রজাতির উদ্দেশ্যে জাল ফেললে তারা ধরা পড়ে।
অন্যান্য হুমকির মধ্যে রয়েছে নগরায়ণ বা ভূমি পুনরুদ্ধার প্রকল্প থেকে আবাসস্থল ধ্বংস, কৃষিকাজের পানির দূষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে খরা বা বর্ধিত তাপমাত্রা।


~ চোষক মাছ( কার্প প্রজাতি) চায়না এই প্রজাতিটিকেও বিপন্ন প্রজাতি ঘোষনা করে সংরক্ষনের উদ্যোগ নিয়েছে।

সংরক্ষণ কর্মসূচি এবং প্রচেষ্টা
সৌভাগ্যবশত, পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশ এই প্রজাতিটিকে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য সংরক্ষণ প্রচেষ্টা বাস্তবায়ন করেছে। চীনে, যেখানে চোষক প্রজাতির এই মাছ সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বাস করে, এই জলজ প্রাণীদের জন্য সুরক্ষিত এলাকা প্রদানের জন্য নদীর ধারে অনেক সংরক্ষিত এলাকা তৈরি করেছে।
তদুপরি, স্থানীয় সরকারগুলি নির্দিষ্ট এলাকায় বছরের নির্দিষ্ট সময়ে মাছ ধরা ও ফসল কাটা নিষিদ্ধ করে আইন প্রণয়ন করেছে।
সময়ের সাথে সাথে এই প্রজাতিকে রক্ষা করার গুরুত্ব সম্পর্কে স্থানীয় জনগণকে অবহিত করার জন্য শিক্ষামূলক প্রচারাভিযান চালু করা হয়েছে।
তাদের অভাবনীয় চোষক ক্ষমতা ও অসাধারণ শারীরিক দক্ষতা সহ প্রকৃতির এই আশ্চর্যজনক মাছগুলি আরো অনেক গবেষণার দাবি রাখে!


~ শরিরের মরা চামড়া, ঘা, এলার্জী সহ অন্যান্য চর্ম রোগের উপশমের জন্য এই সাদা কার্প জাতিয় সাকার ফিস সারা বিশ্বে জনপ্রিয়।

ব্রাজিলিয়ান সাকার মাছের ব্যাপারে উইকি যে ব্যাপারটা বলছে, এটা অক্সিজেন বিহীন ও ও অপরিশোধিত জলে বাস করতে পারে( পি এইচ ৬.৫)। যে পানিতে অন্য কোন মাছ বা জলজ উদ্ভিদ বাস করতে পারে না বা জন্মাতে পারেনা সেখানে এই সাকার মাছ জন্মাতে পারে বা বাস করতে পারে। এরা পানি ছাড়া ২৪ ঘন্টা বেঁচে থাকতে পারে।( আমাদের দেশীয় অনেক প্রজাতির মাছ পানি ছাড়া এর থেকেও অনেক সময় বেঁচে থাকতে পারে বলে আমি জানি) এই মাছ শুধু শ্যাওলা খেয়ে জীবন ধারন করতে পারে। এদের আঠালো শরির আর ছোষকের জন্য সহজেই জালে ধরা পড়ে। তাই জাল ফেললেই ঝাঁকে ঝাঁকে এই মাছ ওঠে।
***
বাঙ্গালী সবসময় একটা পিনিক নিয়ে থাকতে পছন্দ করে। সেই পিনিকটা আতঙ্কের! কিছু মানুষ আতঙ্ক সৃষ্টি করতে মজা পায় আর কিছু মানুষ আতঙ্কিত হয়ে মজা পায়।
বহুবছর আগে এমন পিনিক হয়েছিল আফ্রিকান মাগুর নিয়ে।
কুমিরকে ভারতীয়রা বলে( হিন্দী ভাষায়) মাগুর সেই থেকে মাগুর নামেই আমরা ডরাই ওদিকে মাগুর নামে যাকে আমরা চিনি তারে ইংরেজীতে ডাকে ক্যাট বলে; খাইছে বেড়াছেড়া অবস্থা! এই মাছ যদি ফের হয় আফ্রিকান তাহলেতো কথাই নেই। কামরুক কামাখ্যা, আফ্রিকা আর দক্ষিন আম্রিকার আমাজন নিয়ে আমাদের এমনিতেই অনেক আতঙ্ক আছে তাঁর উপ্রে যদি সেই দেশের কোন অশরিরী আত্মা বা ভয়ঙ্কর প্রাণী এদেশে ঢুকে পড়ে তাহলেতো কথাই নেই। এই আফিকান মাগুর মানে হিন্দীভাষীদের কুমির আর ইংরেজির কয়াত ফিসযখন বাংলাদেশে আসল তখনব্যাপক এক আতঙ্ক শুরু হইল দেশে! ভাইরে ভাই ভাই কি যে এক পিনিক!! বড় ভাইদের মনে আছে নিশ্চয়ই!!


~ আফ্রিকান মাগুর!! পুরা বাঙ্গালীরে ২০ বছর বান্দর নাচ নাচাইছে!!!
~ এরপর পিনিক শুরু হইল পিরানহা মাছ নিয়ে! আমাজনের আশে পাশে বলে মানুষ আর নাই সব হাড্ডি গুড্ডি ভাসতেছে! পিরানহার ভয়াবহ আক্রমনে দেশ ছেড়ে মানুষ পালাচ্ছে -এতো মাছ নয় যেন এলিয়েন! ততদিন ইউটিউব ফেসবুকের দৌরাত্ম্য শুরু হয়ে গেছে! কি সব ভয়াবহ এনিমেটেড ভিডিও ক্লিপ আর ছবি- দেখলে রক্ত হিম হয়ে যায়। সেই মাছ নাকি বাংলাদেশে নদী নালায় ছেয়ে গেছে। সরকারের মাইরে বাপ হচ্ছে মিডিয়াতে- দিশেহারা প্রাণী সম্পদ মন্ত্রনালয়! 'গোট ব্রেন' নিয়ে প্রানী বিজ্ঞানীরা গপাগপ কাঠালপাতা চিবোচ্ছে! সারা দেশের নদী নালা খাল বিল ডোবা আর পুকুর থেকে কিভাবে একযোগে এই মাছ খুঁজে বের করে নিধন করবে সেই কথা ভেবেই হাত পা ঠান্ডা হবার উপক্রম। টন টন কাঠাল পাতায়ও গা গরম হচ্ছে না!!


~ পিরানহার ভয়ঙ্কর ছবি যেটা সবার মাথায় ঘুরছিল!

পত্রিকা আর অনলাইন মিডিয়া গরম হচ্ছে আর ইউটুবাররদের এই বিষয়ক কন্টেন্টের ভিউজ বেড়েই যাচ্ছে! ফেসবুকে তুলোধুনো হচ্ছে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রনালয়!
মায়েরা বাচ্চাদের নদী আর পুকুরে গোসল করতে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন।
অবশেষে শেষমেষ এই পিনিক শেষ হল; জানা গেল এই মাছ এখন রুপচাদা বলে বলে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন বাজারে! আজ পর্যন্ত পিরহানার কামড়ে একজন মানুষও এদেশে আহত হয়নি!!!!


~ এই সেই নিরীহ পিরানহা যেটা এখনো কিছু স্থানে রূপচাদা বলে বিক্রি হচ্ছে!
***
সবচেয়ে মজার বিষয় কি জানেন এই এই মুহুর্তে বাংলায় ইংরেজিতে ইউটিউব সহ অন্য মিডিয়াতে ভয়ঙ্কর সব সংবার সাকার ফিস নিয়ে সবগুলোর মোটামুটি বাংলাদেশের নাম জড়িয়ে আছে। বাঙ্গালীরাই আবিস্কার করল প্রথম যে সাকার ফিস ড্যঞ্জারাসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসস!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

*** একটু আউলা ঝাউলা আছে! ! এডিটিং চলবে... আপনাদের পরামর্শ থাকলে দেন! আমার মাথায়ও 'গোট ব্রেনে' ভরপুর!!! আমি এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ নই- কেউ ভাল জানলে বকা না দিয়ে বুঝিয়ে বলবেন।
***
এর আগে ব্লগার অপলকের সাকার মাছ নিয়ে একটা পোষ্ট ছিল ব্লগে কেউ চাইলে চোখ বুলিয়ে নিতে পারেন;
সাকার ফিস/Devil fish/রিটা মাছ/ঘাঘট মাছ/গাগরা মাছ/আঁইড় মাছ
***
সাকার ফিস নিয়ে একাত্তুর টেলিভিশনের একটা প্রতিবেদন। একসময় মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়ানো সাকার ফিস থেকে কিভাবে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে মেক্সিকো;


প্রথম এডিটিংঃ দুপুর ৩ঃ০৩
দ্বিতীয় এডিটিংঃ সন্ধ্যে ০৭ঃ০৭
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৭
২৮টি মন্তব্য ২৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সমসাময়িক চিন্তা ও পাশের দেশের অবস্থা!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৩৩

পাশের দেশের মি শুভেন্দু বাবু যেভাবে চিন্তা করেন, তাতে তাদের দৈনত্যাই প্রকাশ পায়! অথচ বহু বছর আগেই তাদের জ্ঞানী ব্যক্তিরা আমাদের সার্টিফিকেট দিয়ে দিয়েছেন। যাই হোক, এই সবকিছুই থেমে যাবে,... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনধিকার চর্চা নয়, শান্তিরক্ষি ভারতে প্রয়োজন

লিখেছেন মোহাম্মদ সজল রহমান, ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৫৫

বাংলাদেশে একজন রাষ্ট্রদ্রোহী মামলায় অভিযুক্ত এবং ইসকন সংগঠন থেকে বহিঃস্কৃত ধর্ম প্রচারক বিতর্কিত চিন্ময় কৃষ্ণ দাস, তার মুক্তির জন্য প্রতিবেশী দেশ ভারতের এক শ্রেণীর জনগণ যেভাবে ক্ষেপে উঠেছে, তাতে মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমরা উকিলরা কেউ চিন্ময়ের পক্ষে দাঁড়াবো না , না এবং না

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৪২




সাবাস বাংলাদেশের উকিল । ...বাকিটুকু পড়ুন

আগরতলায় হাইকমিশনে হামলা কাকতালীয় না কি পরিকল্পিত?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৩২

গতকাল (২ ডিসেম্বর) ভোরে আগরতলার হিন্দু সংগ্রাম সমিতির বিক্ষোভকারীদের দ্বারা বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের প্রাঙ্গণে হিংসাত্মক বিক্ষোভের পর ন্যাক্কারজনকভাবে আক্রমণ করে। বিভিন্ন তথ্যে চূড়ান্তভাবে প্রমাণিত যে বিক্ষোভকারীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের সাথে যুদ্ধ করে ভারত লাভবান হবে বলে মনে করি না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:১০



আমাদের দেশে অনেক মুসলিম থাকে আর ভারতে থাকে অনেক হিন্দু। ভারতীয় উপমহাদেশে হিন্দু-মুসলিম যুদ্ধে মুসলিমদের সাফল্য হতাশা জনক নয়। সেজন্য মুসলিমরা ভারতীয় উপমহাদেশ সাড়ে সাতশত বছর শাসন করেছে।মুসলিমরা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×