আমি সাধারণ একজন ব্লগার। দেহ বা টাকা দিয়ে কাউকে জয় করতে পারবো না আর কখনও চেষ্টা করিও না। শুধ মাটির তৈরি একটি মন আর কথা ভাষায় চেষ্টা করি পৃথিবীটা জয় করতে।
আমরা একটি ছোট দেশে বাস করি। তাও একটি গরীব রাষ্ট্র। যে দেশে এক দিনে তিন বেলা ভাত জুটে না, সে দেশে বিলাশিতার কোন অভাব নেই।
এর মধ্যে আমাদের শিক্ষার অভাব। যা সহজে মহাজ্ঞানী ব্যক্তির ছোখে পড়ে।
এক দিকে অভাব অনটনের কারণে দেশের বেশি ভাগ ছাত্র-ছাত্রী স্কুল কলেজ থেকে দুরে সরে যাচ্ছে। হাতে গণা যা কয়েকজন পড়া লেখা করে। তাদেরকে নিয়ে আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ চিন্তা ধারা। আর তার মধ্যে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীল হলে অসৎ উপায় অবল্ম্ভন করে। অল্প সংখ্যা শিক্ষার্থী ছাড়া বাকী সকলে অসৎ পন্তী পদে।
এই হলো আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা। সরকার বদলের সাথে সাথে সকল শিক্ষামন্ত্রী করে শিক্ষা আইন সংশোধন। বাস্তব ক্ষেত্রে সঠিক শিক্ষা পদ্ধতি ব্যবহার করে না বলে আজ এমন। এতে আমাদের দেখা যায় প্রকৃত শিক্ষার অভাব রয়েছে। যার কারণে আমরা সামন্য টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে থাকি আমাদের মহা মূল্যবান শিক্ষাকে।
দেখা যাক এবার ছাত্র-ছাত্রীদের অবস্থা।
আমাদের সমাজে দেখা যায় কিছু ছাত্র-ছাত্রী আছে যা শ্রেণী ক্ষকে পাঠদানের সময় মনোযোগ না দিয়ে বসে থাকে। শিক্ষকের দেওয়া পড়া বাসায় না শিখে ক্লাশে আসা। বাসায় পিতা-মাতা বললে তা অমান্য করে অন্য কাজে সময় কাটায়। তারা শিক্ষা অর্জনের জন্য টেবিলে সময় ব্যায় করে না, তারা সেলফোন, টেলিভিশন, সিডি-ভিসিডি, অসময় খেলাধুলা, অনিশ্চিত অসম্ভাব প্রেম ভালবাসা ইত্যাদি অকাজে সময় ব্যয় করে থাকে।
তাই তারা প্রতি দিন ক্লাশের পড়া দিতে পারে না। এক সময় ক্লাশে উপস্থিত থাকে না।ধীরে ধীরে তারা হয়ে যায় পড়ার প্রতি অমনোযোগি। এক সময় বাড়ি থেকে স্কুলে এসে ক্লাশ না করে ঘুরে বেড়ায় নানান স্থানে।
অতপরঃ তারা পরীক্ষা আসলে পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে থাকে। যদি কোন ভাল শিক্ষক তাদেরকে পরীক্ষার অংশ গ্রহন করতে নিষেদ করে। তখন তাদের পিতা-মাতার নানার ধরনের ভয় দেখিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহন নিতে বার্ধ্য করে। এতে দেখা যায় পরীক্ষায় পাসের জন্য শিক্ষার্থীগুলো অল্প সময় পড়া না শেষ করতে পারলে তারা নকল করে থাকে। এতে সহযোগিতা করে অসৎ শিক্ষক, অভিভাবকগণ সহ সকলে।
এই ভাবে আমাদের দেশে হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রী প্রতি বছর পাশ করে বাহির হয়ে আসছে। তা কি দেশের উন্নতি হচ্ছে।?
মাঝে মাঝে পত্রিকায় দেখা যায় এই বছর পাসের বা জিপির হার রেকড করেছে। যা এই সরকারে সাফল্য। এই সব, সরকারে সময় বলে থাকে। যদি তাই হয় তাহলে আমি বলবো শিক্ষার সাফল্য আসে নাই, নকলের সাফল্য এসেছে।
যদি নকল করা পাশের হার দেখে আমাদের শিক্ষামন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী খুশি হয়। তাহলে তারাও নকল করে পাশ করেছে।
আসলে আমরা মুখের কথায় রাজা থাকি, আর কাজের বেলা প্রজা থাকি।
যার কারণে এই ভাবে নকল করে ছাত্র-ছাত্রীরা। সহযোগিতা করে অসৎ শিক্ষক সমাজ। তারা পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকের কাছ থেকে টকার বিনিময়ে এই কষ্টের অর্জিত শিক্ষা বিক্রি করে দেয়। চিন্তা করে না শিক্ষা আসলে কি? আমার কাছে এই দেশ জাতি কি আশা বুক ভেধে আছে। আর আমি তাদের চোখে ধুলো দিয়ে টাকা উপার্জন করছি।
এই ভাবে যদি আমাদের শিক্ষা ব্যব্স্থা কলাকৌশল চলতে থাকে তাহলে একদিন দেখা যাবে সার্টিফিকেট আছে। মাথায় কোন শিক্ষা বা জ্ঞান নেই। থাকবে না তাদের চরিত্র গুনা গুন, মুখের আচরণ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





