তবে যারা আরেকটু বর্হিমুখি হতে চান তারা সিতাকুন্ড পাহাড, ঝর্না, মন্দির, ইকোপার্ক যেতে পারেন। গাছ পাকা হলুদ কলা পাবেন।
বোয়ালখালিতেও ইকোপার্ক আছে।
আছে চকরিয়াতেও, ডুলহাজারা সাফারি পার্ক। কক্সবাজার যেতে পড়ে। জীব বৈচিত্রে অসাধারণ! অনেক বড় কালেকশন এখানে। পশুরা মুক্ত ঘুরছে, আপনি গাড়িতে বসে দেখছেন। ইদানিংকার যত বেওয়ারস হরিন সাপ পাখি, সবার নাকি ওখানেই জায়গা হয়েছে। তাই টইটম্বুর অবস্থা!
বান্দরবানের পাহাড, কটেজ, শৈলপ্রপাত শংখ নদী আরও কত দেখার মত জায়গা। হাসিব ভাই দেশ থেকে ''রাস্তা'' নাটকের পুরা সেট আনলেন, বান্দরবান বেশ ভালই দেখানো হয়েছে।
রাঙ্গামটি গেলে যাবেন শুভলং ঝর্ণা। লেকের মাঝে পুল সহ হোটেল আছে, নাম বোধহয় পেদাতিংতিং। রাঙ্গামটির পথে আছে বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র। পার্মিশন লাগে অবশ্য।
কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বাধে যেতেও পার্মিশন লাগে, তবে লেকে ঘুরা যায়। এমন কি কাপ্তাই থেকে রাঙ্গামটি যেতে পারেন নৌ-পথে। আর কর্ণফুলী পেপার মিল কিন্তু পাহাডের মাঝে, বার ঘুনিয়ায়, কাপ্তাইর পথে।
চকরিয়া দিয়ে বয়ে যাওয়া মাতামুহুরীর উজানে নৌকায় গেলে (এইসময় না, পাহাডি ঢল নেমেছে নিশ্চয়!) মনোরম দৃশ্য, পৌছে যাবেন আলিকদম। পাহাড ঘেরা নদীপথ, মন পাগল করা। আমি ঐ পাহাডে গিয়েছি কবার। চলতে চলতে দেখবেন পাহাড় থেকে গড়িয়ে পড়ছে ঝর্না, এত সুন্দর, মনে হয় লাফিয়ে পড়ি! রাস্তাও আছে, চাঁদের গাড়ি আছে, আছে রোমাঞ্চ। চাঁদের গাড়ি দুই ধরনের। বড়টা লোকাল, মনুষের জন্য গাড়ি আপাদমস্তক ঢাকা পড়ে। ছোট গুলো আরাম দায়ক, নাম শর্ট-বডি। লামা-আলিকদমে বৃষ্টির পর পাহাড়ি ঢল অনিন্দসুন্দর। দুই পাহাডের মাঝের পথ হটাৎ সয়লাব! খুব বিপদ জনকও বটে। লামা-আলিকদম বান্দরবান জেলার মধ্যে, কিন্তু চকরিয়া দিয়ে রাস্তা। কক্সবাজার যেতে হাতের বামে লামা-আলিকদম।
ডানে গেলে আবার দেখা পাবেন মাতামুহুরীর। সাগরের পথে চলছে। ঐ দিকে কুতুবদিয়া আর মহেশখালি যাবার রাস্তা আছে। কিন্তু কক্সবাজারের মত বালুকাবেলা নাই, নাই কোন পরিকল্পিত ঝউবন বা হোটেল। তাই সাগরের টানে টুরিষ্টরা ছুটে যায় না ও পথে। গেলে দেখা মিলবে জেলে পাড়া আর মাছের কারবার। খেটে খাওয়া মানুষের সংশ্পর্শ।
মালুমঘাট ক্রিশ্চিয়ান হসপিটাল, ডুলহাজারায়, পাহাডের মাঝে যেন। চকরিয়ার একটু পরে।
তারপর রামু। রাবার বাগানের মাঝের পথ চলে গেছে নাইক্ষংছড়ির দিকে। এলোমেলো ছায়াঢাকা পাহাডি পথে ঝম ঝম চলছে চাঁদের গাড়ি। আব্বার পোষ্টিং যখন রামুতে ছিল, কতবার চলে গেছি নাইক্ষংছড়ির দিকে। বাইকের চাবিটা হাতানোই যা কঠিন! তেলের দাম ১৭-১৮ টাকা মাত্র। ৯৯-২০০১ এর কথা বলছি। চিটাগাং কেন্টপাবলিক কলেজে পড়ি তখন।
রামুতে উপজাতি প্রচুর, তাই অনেক মন্দিরের দেখা মেলে। নদীর পার ঘেষে গেলে পাহাডি পথে পাহাড় চুড়ায় মন্দির সহ একটা আশ্রম আছে, আর্মি ক্যাম্প আছে। ঐ রাস্তায় যান চলাচল তেমন একটা ছিল না তখন। রাতের আধারে বাইকের হেডলাইটের আলোয় বন্যপ্রাণীর চোখ জ্বল-জ্বল করতে দেখেছি। দেখেছি রাস্তা পেরোতে গিয়ে চমকে যাওয়া শেয়াল, বেজি, বনবেডালের দৌড়। যেতে যেতে টেকনাফ রোড। মরিচ্যা নমে জায়গার পর ডানে ইনানি বিচের পথ। রাস্তা খুব খারাপ ছিল তখন। আর এখন নাকি রমরমা ব্যপার। ইনানি বিচের সৌন্দর্য তার পাথরে। প্রথমে বালুবেলা, তারপর পাথর, শেষে আবার বালুময় শৈকত।
উখিয়ার পর টেকনাফ। মাথিনের কুপ। রাজকুমারী মাথিন তার প্রমের জন্য আত্মহত্যা করে এখানে ঝপিয়ে পড়ে। এরপর সেন্টমার্টন, ছেড়াদ্বীপ।
কক্সবাজার আর মহেশখালির কথা আমি আর বলার দরকার মনে করলাম না।
----------------------------------------------------------------------------------
এর বাইরে আরো দেখার মত অনেক জায়গা আছে। আশা করি সবাই চেনা জায়গার নির্দেশনা দিবেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুলাই, ২০০৮ ভোর ৪:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




