গরুর মনের অবস্থা চিন্তা করে খুব খারাপ লাগল । কুরবানির সময় দেখি যখন পশুগুলোকে এক এক করে জবাই করা হয় তখন অপেক্ষারত আরেকটি পশুকে আড়ালে রাখা হয় । আবার
অনেক গরু, ছাগলকে দেখা যায় চোখের পানি ফেলতে । তারা আমাদের মত বুদ্ধিমান নয় কিন্ত নিজের আসন্ন মৃত্যুঘন্টা তো ঠিকই শুনতে পায় । আর আমরা এই নগরবাসীরা ক্রেতা আকর্ষনের জন্য পশুদের কথা চিন্তাই করি না । এতটা অমানবিক (নাকি পাশবিক)আমরাই ।
এদিকে বাসায় ফিরে পশু অধিকার নিয়ে ইন্টারনেটে ঘাটাঘাটি করে আমার চক্ষু চড়কগাছ । পশুর অধিকার দেখি মানবাধিকারের চেয়ে কোন অংশে কম নয় । মানুষ যেসব বেসিক অধিকার পাওয়ার দাবিদার পশুরাও তার মোটামুটি সবই পাওযার দাবি রাখে । পশুকে খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না,তাদেরকে সমাজের একজন সদস্য হিসেবে বিবেচনা করতে হবে,কারও সম্পদ হিসেবে নয়, এমনকি আমরা যে বান্দরের খেলা দেখি সেটিও করা যাবে না কারন তাদেরকে বিনোদনের জন্য ব্যবহার পশু অধিকারের লংঘন । এদিকে পশু অধিকার আন্দোলন নাকি ২৫ বছর আগে গে অধিকার আন্দোলন এর পর্যায়ে আছে বলে অনেকে মনে করছেন ।
পশু অধিকারের ব্যপারে দ্বিমত পোষন করার সুযোগ থাকতে পারে । পশু অধিকারের বিষয়টি বোধহয় আমাদের দেশে উচ্চমার্গীয় ব্যপার হয়ে যাচ্ছে ।এদেশে নারীরা বোধহয় এখনও পশু অধিকার পাননি । নারীদেরকে আজও অধিকাংশ পুরুয় নিজেদের সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করে । আমার বউ চাকরি করবে নাকি করবে না, পর্দা করবে না করবে না এখনও বেশিরভাগ ছেলেরা এভাবেই চিন্তা করে । এদেশে মোবাইল চুরির দায়ে চোখ পর্যন্ত তুলে নেয়া
হয়। শিশু অধিকার কি জিনিস তাও আমরা জানি না আর পশু তো দূর অস্ত । তারা কেমন অধিকার ভোগ করছে তা তো ছবিই বলে দিচ্ছে ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




