কুরআন অবমাননার অভিযোগ তুলে গনপিটুনি দিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা হত্যাই শুধু করেনি, আগুন দিয়ে লাশ পুড়ে উল্লাস করেছে। যেন তারা জান্নাত নিশ্চিতকরণের অপার সুযোগ পেয়ে গেছে। পুলিশ, UNO, চেয়ারম্যানের সামনে হত্যার ঘটনা ঘটেছে ( যদিও পুলিশ এখন বলছে তারা ভিডিও দেখে হত্যাকারীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে)। কিন্তু রাত পোহাতে শুরু করার সাথে সাথে সূর্য যেমন অন্ধকারকে দূরীভূত করে দেয় তেমনি সত্যও উন্মেচিত হতে থাকে। হত্যাকারীদের জান্নাত পাওয়াটাও ফিকে হয়ে আসে কারণ নিহত ব্যক্তিও তাদের চেয়ে কোন অংশেই কম ধর্মপ্রাণ ছিলেন না। একজন সহজ সরল মানুষ ছিলেন। এবং একজন মুসলিম। উন্মাদ ও পশুবৃত্তি কখনও জিহাদ কিংবা প্রতিবাদের ভাষা হতে পারে না।
এমন উন্মাদ, মুর্খ, বিবেক হীন, উগ্র, জ্ঞান বিমুখ, সত্য মিথ্যার ফারাক না জানা, অসহিষ্ণু, নির্দয়, ধর্ম না জানা মুসলিম থাকাটাও ইসলামের জন্য অধিক ক্ষতিকর। প্ল্যাকার্ড, স্লোগান, দেয়ার আগে নিজেকে বারবার প্রশ্ন করুন, আপনি এই প্ল্যাকার্ড, স্লোগান অন্তরে ধারন করে কিনা। কাউকে ঘৃনা করার আগে দ্বিতীয় বার ভাবুন, সত্যি আপনি ঘৃণা করেন কিনা? নাকি স্লোতের সাথে খড়কুটোর মত আপনি, উদ্দেশ্যে না জানা একজন। ভাবুন, পড়ুন, কারণ ইসলামের প্রথম স্লোগানই ছিল, পড়। পড়, তোমার প্রভুর নামে।
ভালো করে খেয়াল করলে দেখবেন, হ্যাশট্যাগ কারীদেে কেউই খেয়ালি করছে না যে, মহানবী মুহাম্মদ(সাঃ) এর নামটি তারা ছোট অক্ষরে লিখছে যা অগ্রহন যোগ্য কারণ যেকোন নামের প্রথম অক্ষর অবশ্যই বড় হরফ দিয়ে শুরু করতে হয়৷ এমন বেখেয়ালি নবী প্রেমী জনগোষ্ঠী দিয়ে কি হবে, তা একমাত্র আল্লাহেই ভালো জানে। যারা ফেসবুকে ব্যস্ত শুধু এক নাম্বার ট্রেন্ড বানানো তে, (অথচ স্লোগান হবার কথা ছিল এক নাম্বার টেকনোলজি বানানোর, যাতে পশ্চাৎ মুখিতা কমে) তারা আর যাই হোক, কখনও Leader. হতে পারবেনা (জ্ঞান বিমুখ সম্প্রদায় কখনও নেতা হতে পারে না)।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:০৫