ভেবেছিলাম আত্নহত্যা করব,
সে জন্য কতই না ব্যাতি ব্যস্ততা!
অনেক দেখে শুনে, খোঁজা-খুঁজির পরে;
কিনে আনলাম মজবুত তিন গজ দঁড়ি!
ঝুলিয়ে দিলাম সিলিঙে,
মনের সঙ্গে অনেক অনেক যুদ্ধ করে!
তবুও পারলাম না অজানা ভয়ে!
গা ছম ছম করে ওঠে।
কষ্টের যাতাকলে পড়ে, গুমড়ে কেঁদে ওঠে;
ভেঙে যাওয়া মনের আকুতিগুলো ঝরে পড়ে,
মনটা হঠাৎ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে;
নাহ্ এবার সতি্যই মরতে হবে!
এবার আর দঁড়ি নয়, দঁাড়িয়ে গেলাম;
ব্যালকনির রেলিঙে!
বাতাসে ভাসছে অদ্ভুৎ কানাকানি!
আমি চলে গেলে কার কিই বা ক্ষতি!
তারপরও পারলাম না নিম্নমুখে পতিত হতে!
সবুজ ঘাসগুলো আমার জন্য অপেক্ষা করে।
মনের অজান্তে চোখের পানি ঝরে পড়ে!
আমি কেন এত ভীতু; মৃতু্য কতই না কাছে;
তবুও পারি না বাঁধতে সেতু!
যান্ত্রিক জীবনে গতিশীল পথে পথে,
নিজেকে খঁুজে ফিরি জীবনের বাঁকে বাঁকে!
নিজেকে দেখি না, অন্ধ আমি।
তামাশা করে ভিনদেশী পাখি!
আমার নিসঙ্গতায়, আমার বাকরুদ্ধতায়,
পথের প্রান্তে দঁাড়িয়ে থাকায়,
ব্যস্ত মানুষগুলো ধাক্কা দিয়ে যায়,
কত শত বিরক্তি ঝরে পড়ে যায়।
চোখে-মুখে আজ হতাশার ছায়ায়-
লাগছে না ভালো, এমন দীনতায়।
তবুও পাতা ঝরে যায়, শীতের বারতায়!