somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দাড়ি সমাচার

১২ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মুখভর্তি দাড়ি নিয়ে তোলা ছবিটা ফেসবুকে প্রফাইল পিকচারে আপলোড করার পর আমার কাছের মানুষদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করেছিলাম! আমি ঠিক আছি কি না! হতাশায় আছি কি না! সব ঠিক আছে তো! মোটেও ভালো দেখাচ্ছে না আমাকে। আবার কারও কারও অভিমত, রাতারাতি শরৎ বাবুর অমর রচনার দেবদাস খেতাব অর্জন করে ফেলেছি। কারও অভিমত আমি কি সিরিয়াস কোনও কবি হয়ে গেলাম কি না! আবার কেউ কেউ ভয় পেয়ে আল্লাহকে ডাক দিয়েছে। আমার ভূতনীর অবশ্য কোনও বিকার নেই; যদিও তা থাকার কথাও নয়! সবচেয়ে বিস্ময়কর ঘটনা, আমার মা যার কি না ফেসবুকে কোনও এ্যাকাউণ্ট নেই, এমনকি ফেসবুকে আমার দর্শন পাবার কোন সম্ভানাও নেই, ফোনে সে আমাকে প্রশ্ন করে বসল আমার দাড়ি এখন কত বড় হয়েছে!

যাই হোক, সেই ফেসবুকেই যখন ড্যাশিং কোন পিকচার আপলোড দিলাম তখন এই আমি ছ্যাকা খাওয়া দেবদাস থেকে উঠতি এক নায়কে পরিনত হলাম। তখন মানুষের মতামত, নায়ক নায়ক ভাব! নায়িকার অভাব! চরম লাগছে আমাকে! নিজেকে পদার্থের সব রুপেই লাগছে যেমন কঠিন,তরল, বায়বীয়। ঝাক্কাছ! আরও অনেক অনেক অদ্ভুৎ অদ্ভুৎ শব্দ যার বু্যৎপত্তিগত কোন অর্থও হয় না। ব্যাপারটা ভাষাকে ভাষা দান করা। এখানেও আমার ভূতনীর কোন বিকার নেই, কেনই বা থাকবে!

আমরা সবাই বাহ্যিক দিক দেখতে এতটাই ব্যস্ত, মানুষের মানবিক দিকগুলো অবলোকন করার সক্ষমতা একদমই শূন্য। যারা প্রথমে আমাকে হতাশাগ্রস্থ, মানসিক বিকারগ্রস্থ, প্রেমে ব্যর্থ আরও অনেক হতাশার শব্দের ফুলঝুড়ি আওড়েছেন তাদের কথা মেনে নিলাম। তাদের প্রশংসিত করলাম। তাদের ভেতর সত্যিই মানবিক বোধ আছে, মেনে নিলাম। কিন্তু পরক্ষনেই আবিষ্কার করলাম আমাকে নিয়ে তাদের উচ্ছাসতা যখন আমাকে দেখতে ভালো লাগছে বলে। প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে, মানসিক অবস্থা বোঝার মত সক্ষমতা তবে কি সত্যিই হারিয়ে যাচ্ছে? সেভ করার সময় দাড়ির সাথে সাথে কি মনের কষ্টও ফেলে দেয়া সম্ভব? এত সহজ? মানুষের মন বুঝতে না পারলে, মানবিক বিষয় নিয়ে কথা বলাই উচিত না! যেমন আমার ভূতনী অনেক সময় বুঝেও কিছু বোঝে না, অবুঝের মত মন্তব্যও করে না। মোদ্দা কথা পাশ দিয়েও হাটে না।

কারও প্রতি অনুরাগ যখন মনে ক্ষনে ক্ষনে জন্ম নেয়; সেই অনুরাগকে কি ক্ষনে ক্ষনে বেড়ে ওঠা দাড়ির মত কেটে ফেলে দেয়া যায়? এত সহজ? আবেগে হাসি বা আবেগে ভাসি! কোন সমস্যা নেই। খেয়ে থাকি আর না খেয়ে থাকি। ঘুমিয়ে থাকি আর নির্ঘুম থাকি! আমার দাড়ির বেড়ে ওঠাকে আমি কোনদিন থামাতে পারব না। ঠিক তেমনি মনের মধ্যে বেড়ে ওঠা অনুরাগ, দুঃখ, কষ্ট, হতাশাকে বেড়ে ওঠা দাড়ির মত কেটে ফেলেও দিতে পারব না। তাই দাড়ি থাকা বা না থাকার সাথে মানবিক অবস্থানের কোনও যোগসুত্রিতা থাকার কোন সম্ভাবনাই থাকে না। বরাবরের মত এবারও ভূ্তনির নিরস মনকে স্পর্শ করার সম্তাবনা

কাকতালীয়।
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দেশ এগিয়ে যাচ্ছে; ভাবতে ভালই লাগে

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৩


বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল নেতিবাচক। একই বছরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ১ শতাংশ। ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশি নির্মমতা

লিখেছেন এমজেডএফ, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১১



সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভের ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও তেমন সফল... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ ০১

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:০৭

সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩



সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×