আমরা মেনে নিলাম যে সরকার কোনো ভাবে বিরোধীদলের সাথে আপোষ করছে না বিধায় বিরোধী দল এমন নাশকতার পথ অবলম্বন করছে! এখন প্রশ্ন আপনি কাকে সমর্থন করবেন? আপোষহীনকে? নাকি নাশকতাকারীকে! আমরা ধরে নিলাম আপোষহীন কারীর জন্যই এমন অবস্থা! আপোষহীনের বিরুদ্ধে নাশকতাকরী আর সুশীল সমাজ মিলে তাকে আপোষ করতে বাধ্য করলেন! দেশে সাধারন নির্বাচন হলো! একটা দল ভোটে জয়যুক্ত হলো আরেক দল পরাজিত হলো। জয়ী দল গনতন্ত্রের জয় ঘোষনা করলো আর পরাজিত দল কারচুপির অভিযোগ করলো এবং তারা নতুন সরকারকে নানান ভাবে বেকায়দায় ফেলতে নানান সময়ে নানান ভাবে হরতাল অবরোধ দিয়ে জনজীবনকে বিষিয়ে দিল এবং তারা সেই নাশকতার আশ্রয় নিল! জনজীবন বিপর্যস্ত হলো! প্রানহানিকে থামিয়ে রাখা সম্ভব হলো না! বাংলাদেশের এমন চিত্র গত আড়াই দশক ধরেই আমরা দেখছি। আশা করি আমরা আপোষহীন দলকে বর্জন করার আগে নাশকতাকারীকে বর্জন করব। সেটা সরকারী দল হতে পারে বা বিরোধী দল হতে পারে। সুশীল সমাজের কাছে আবেদন এই পার্থক্যটুকু সাধারন জনতাকে সহজভাবে বুঝিয়ে দেবেন নাশকতাকারীর কোথাও কোনও ঠাই নাই। এই নোংরা রাজনীতির মারপ্যাচে আর কতশত প্রান অপঘাতে মারা পড়বে। আপনাদের মনে কি বিন্দুমাত্র অনুশোচনা বোধ হয় না? আমি আজ বাসে যারা ককটেল বোমায় মারা গেলেন তাদের প্রতি সমবেদনা জানানোর সাহসও আমার নেই। জানি না কাল হয়তো আমারও মরনকে আলিঙ্গন করতে হবে এমনি কোন অপঘাতে। কোন সমাধান কি নেই?
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৮