আমি অপেক্ষায় আছি, আমি অপেক্ষায় ছিলাম;
বছরের প্রথম দিন থেকে; কালবৈশাখীর ঝড়ে;
দেখেছি তোমায় খোলা এলোকেশে!
দেখেছি তোমাকে বাদলধারাতে,
শঙ্খশাড়িতে, খোপায় কদমফুলেতে!
আমি বৃষ্টি হয়ে, টপ টপ ফোটায় অবিরত ঝরেছি,
ছুঁয়েছি তোমায়, পরম ভালোবাসার আবেশে!
আমি শ্রাবনের আকাশে;
থোকা থোকা মেঘ হয়ে; বিষন্নে থেকেছি;
কত আশা করেছি, তুমি আসবে বলে!
আমি হেমন্তে গ্রাম বাংলার মাঠে-ঘাটে;
অন্নপূর্নার উৎসব মুখরে, নবান্নে চেনা বাংলাদেশে;
আমন ধানের মিষ্টি সুবাসে;
খুজেছি তোমায়, তুমি আসো নি!
এক হাড়ি খেজুর রস নিয়ে,
পিঠাপুলির মহাসমারোহে,
হাড়-কাপানো ঠাণ্ডা বাতাসে; অপেক্ষায় থেকেছি;
বিনিদ্র রজনী; তুমি আসো নি!
আমি বসন্ত উৎসবে, বাসন্তী শাড়ি হয়ে;
খোপায় গাজড়া ফুলের সুবাস নিয়ে;
তোমার আদ্যপান্তে জড়িয়ে থাকতে চেয়েছি!
ভালোবাসার অন্তমালায়, গেয়েছে কোকিল প্রেমময়ী গান!
তুমি শোনো নি!
কবিতার পুরোটাই ছিল কল্প রাজ্যের অদ্ভুৎ ভাবনা থেকে;
বাস্তবতা বিবর্জিত হয়ে!
বিবর্তনের ধারায় পুরোটাই পরিত্যাজ্য!
আজ তুমি গ্রাম-বাংলা চেনো না, চেনো না তুমি সবুজ প্রকৃতি;
তোমার ফেসবুকে ঝরে নোটিফিকেশনের ধ্বনি!
উড়ে যাওয়া বক পক্ষী তোমায় করে না আকর্ষন!
ভালো লাগে না অন্ন-পূর্না, নবান্ন উৎসব!
তুমি ডুবে থাকো ভাইবার, হোয়াটস এ্যাপে;
তোমার ভালো লাগা এ্যাভেনজার, এফএফ সেভেন বসে সিনেপ্লেক্সে!
তুমি আর আামর নও, কখনও আমার ছিলে না!
বলেছিলে বাড়ি ফিরে ডাকবে আমায়;
অতঃপর তোমার বাড়ি ফেরা আর হয় না!