“আন্টি,
আপনার A+ve রক্ত দরকার ছিল। আমি মিথ্যে বলেছিলাম যে, আমার রক্ত A+ve না, B+ve.
রক্ত কোন ভাবে যোগাড় হওয়ার পরও আপনি মারা গেলেন...
আমার খুব কান্না পায়, আন্টি.. মনে হয়, শরীরের সমস্ত রক্ত আপনার কবরে ঢেলে দিয়ে আসি...
রক্ত দিতে ভয় লাগে বলে মিথ্যা কথা বলেছিলাম সেদিন...
Sorry , আন্টি; কবর খুব অন্ধকার, তাইনা?”
নাম না জানা এই ভাইয়ের আজীবনের অনুতাপের দহনে পোড়া status টা সম্পর্কে জানতে পারলাম বন্ধু Hizbu মারফত Rakib Kishore ভাইয়ের মাধ্যমে... :/
নিদারুণ ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও সামান্য সূচ ফোটার ভয় প্রায়ই হারিয়ে দেয় আমাদের অনেকের ভেতরের মানবিকতাকে... ফল স্বরূপ অনেককেই ভুগতে হয় এই ভাইটির মতন আজীবনের মনঃকষ্টে... :/
নিজেকে একটু মুমূর্ষু মানুষটির জায়গায় কিছুক্ষণের জন্য হলেও চিন্তা করে কি ভয়টাকে জয় করতে পারবেন না?
আজকে WORLD’s BLOOD DONOR DAY.. তাই এমন দিনেই চাইলাম, সামান্য হলেও সচেতনতাটা ছড়িয়ে দিতে সবার মাঝে... নিজের শরীরের রক্তকণিকাগুলো এমনিতেই ৪ মাস পর পর ধ্বংস হয়ে গিয়ে নতুন কণিকাকে স্থান ছেড়ে দেয়, তাই আপনার শরীরে রক্ত জমিয়ে রেখে তার সুফল পাওয়া কতটা possible? বরং প্রতি চার মাসে যদি একটিবার রক্ত দিয়ে আরেকজন মানুষের মুখে হাসি আনতে পারেন- তার চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কী হতে পারে?

নিজের প্রথম রক্ত দান করার অভিজ্ঞতা থেকেই বলতে পারি- ১০ কিংবা ১৫ মিনিটের সামান্য কষ্ট কিংবা অসুবিধে সহ্য করার পর আরেকজন মানুষকে সেবা করার, মানুষ হয়ে আরেক মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারার যে বিরল সুযোগ কিংবা অভিজ্ঞতা আপনি লাভ করবেন, তার দাম লক্ষ- কোটি টাকা খরচ করেও পূরণ করবার নয়। বিশ্বাস হচ্ছে না? নিজেই পরখ করে দেখুননা অন্তত একটিবার!
আর, as an ACTIONEER, আমি মনে-প্রাণে বিশ্বাস করি- even a smile is a charity

তাই, আবার জিজ্ঞেস করছি, বলুন, পারবেন না, নিজেকে একটু মুমূর্ষু মানুষটির জায়গায় কিছুক্ষণের জন্য হলেও চিন্তা করে ভয়টাকে জয় করতে? পারবেন না নিজের শরীরের কয়েক ফোঁটা রক্তের বিনিময়ে আরেকজন মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে??
ভাবুন না! একবার নয়, বারবার ভাবুন!


সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জুন, ২০১১ রাত ১১:৩৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




