আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেয়ে
কখনো সমুদ্র ছোঁব না
মরুর আকাশে রৌদ হবো, কভু
ছায়া হবো না...
মানুষ নিয়ে যতো যাই লিখিনা কেনো আমি জানি "আমি জিনিসটা" কতোটা ঠুনকো। নিজেকেই ভালো চিনি না, আবার মানুষ নিয়ে লেখালেখি! তবে অন্য যাইকিছু অর্থহীন হোকনা কেনো ভেতরের বিশাল আগ্নেগিরির প্রকোপটা মোটেই অর্থহীন নয়। পেছনের স্মৃতিরা যখন হুটহাট দ্বিধাহীন প্রতারণা শুরু করে দেয় তখন- যেখানে সেখানে, যখন তখন আমি আনমনা হয়ে যাই। পৃথীবির সব রঙ, সব শব্দ, সব বর্ণ তখন মেঘের সাথে মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। আমি নৈশব্দিক জীবনের পথে ভেসে যেতে থাকি, অবিরাম। কিছু করতে না পারার যাতনায় প্রচন্ড রাগে ভেতরটা আমার দুমড়ে চুমড়ে পলকা কাগজ হয়ে যায়। আমি বিবাগী হই, আমি এলোমেলো হই, আমি দিশাহীন হই, আমি নির্বাসনের উপায় খুঁজি।
নিজের চলতি জীবনের কথা যদি বলি তো সেই পুরনো কাসুন্দিই। নিজের জন্য করুনা হয়। বুড়ো হযে যাচ্ছি দিনকে দিন, অথচ সেই বুড়ো জীবনটাকে কতো সঙ্গোপনে ঘষা মাজা করে যাচ্ছি। এটা একটা জেদ। এ ছাড়তে পারবো না। নতুন ভার্সিটি লাইফ কেমন কাটবে সে নিয়ে ভাবার চেয়ে সেখানে টিকে থাকার মাল মেটেরিয়াল জোগাড়ে মনোনিবেশ করার চেষ্টায় আছি। জানি, জীবনে কারো কারো কাছে আজীবন ঋণী থেকে যাচ্ছি। ঋণ শোধ করতে পারবোনা হয়তো কোনোদিন। মানুষ হিসাবে তেমনতো টেকসই নই। চিন্তাচেতনাগুলোও আমার ধোঁয়াটে। যাদের খুব কাছের ভাবি তাদের কেউ কেউ খুব কম্প্লিকেটেড। সামনে ঘুমন্ত পাখিকে মৃত ভেবে এরা খুব দু:খী হয়, পেছনে জলজ্যান্ত মানুষ মরে শশ্মানে গেলেও এরা টের পায় না।
"বেদের মেয়ে জোসনা"র জন্য আমার হুটহাট খুব বেহায়া হতে ইচ্ছে করে। বেতাল নির্লজ্বের মতো লাকি আখন্দদের দলে যোগ দিয়ে আকাশ পাতাল কাঁপাতে ইচ্ছে করে। অযথাই।
তুমি পৃথিবীতে মোরে
করেছো, অনেক বেশি ঋণী
তোমার নি:স্ব প্রেম বড় সুন্দর
জীবন, দিয়েছে কতোখানি...।
জানিনা কবে আবার লিখবো। জানিনা যখন আবার লিখতে ইচ্ছে করবে তখন কি লিখবো। জানিনা সামহোয়্যার ইন পরের বছর বেঁচে থাকবে কিনা। জানিনা নিজে টিকে থাকবো কিনা। বিদায় শব্দটা এতোযে কঠিন সেটাও জানা ছিলোনা। শুভ হোক সবার অনাগত দিন।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ২:২৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



