আজকাল এই প্রতিযোগিতামূলক দুনিয়া তে আমরা সবাই একটি ভাল চাকরি খুঁজতে খুঁজতে হয়রান হই। কত রেফারেন্স এর জন্য এর ওর কাছে ঘুরি। আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে আমি শেয়ার করছি আপনাদের সাথে।
ইঞ্জিনিয়ারিং -এ গ্রাজুয়েশন শেষ করার পর এম.বি.এ তে ভর্তি হই। এম.বি.এ চলাকালীন সময়েই অনেকের কাছে CV দেই, কিন্তু কিছুতেই কিছু হয়না। ভাইভা -তে ও ডাক আসেনা... আত্মবিশ্বাস ধীরে ধীরে তলানিতে যেতে থাকে। এর মাঝেই খুব সাহস করে একদিন দেশে-বিদেশে নামকরা একটি প্রতিষ্ঠানে apply করি। কি মনে করে তারা ইন্টারভিউর ঠিক আগের দিন আমাকে জানালো যে, আমাকে তারা ইন্টারভিউর জন্য সিলেক্ট করেছে।
পরদিন আমি যথাসময়ে গেলাম সেই প্রতিষ্ঠান-এ। যদিও তারা multinational organization, তবু বাংলাদেশ বলে কথা। তাই তারা ইন্টারভিউ শুরু করল যথাসময়ের ঠিক ১ ঘন্টা পর। ইন্টারভিউ বোর্ড-এ ৪ জন ছিলেন। তারা শুরুতেই বললেন আমার ব্যাকগ্রাউন্ড কি, আমি কেন এই পেশা তে আসতে চাই ইত্যাদি। প্রশ্নের বেড়াজালে জর্জরিত করে ফেলা হল আমাকে
ইন্টারভিউ বোর্ড থেকে বের হয়ে আমার যা মনে হল, তারা কিছু বিষয় খুব গুরুত্ব সহকারে নেন। কিন্তু সবচেয়ে বেশি যে বিষয় গুলো তে তারা গুরুত্ব দেন সেগুলো হচ্ছে--
১। যিনি প্রশ্ন করবেন, সেই প্রশ্নদাতার চোখ এ চোখ রেখে উত্তর দিতে হবে।
২। প্রশ্নদাতা অনেকভাবে প্রশ্ন করে উত্তেজিত করতে পারেন, কিন্তু যতটুকু সম্ভব নমনীয়তা বজায় রেখে উত্তর দিতে হবে।
৩। প্রশ্নদাতা ঠিক যতটুকু উত্তর চান তার বেশি দেয়া চলবেনা
৪। খুব সাদামাটা কিন্তু টেকনিক্যালি অনেক কঠিন একটা প্রশ্ন হচ্ছে, প্রশ্নদাতা জিজ্ঞেস করতে পারেন, “আপনি যদি এই পোস্ট এর চাইতে অন্য কোথাও আরও ভাল সুযোগ পান, তাহলে কি আপনি এই চাকরি ছেড়ে চলে যাবেন?” এই প্রশ্নের উত্তর হতে হবে, “ আমি এই পোস্ট এই চাকরি করতে চাই। কারণ, এই চাকরি তে আমার যে কমিটমেন্ট তার যেন কোন হেরফের না হয়, তার প্রতি আমি সচেষ্ট।
আল্লাহ-এর অশেষ রহমতে, চাকরি টা হয়ে গিয়েছে আমার। আমি খুব খুশি যে, কারো লিঙ্ক বা কারো রেফারেন্স-এর হেল্প নিতে হয়নি।
সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১০:২০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



