বাংলাদেশে এখন তাহলে বাস্তবতা দাঁড়িয়েছে এই যে কয়েকজন ব্যক্তি যাই বলুক, তার প্রতিবাদ করা যাবে না। কয়েকটি ‘উন্নয়ন প্রকল্প’ আছে, যা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা-পর্যালোচনা করা যাবে না। পদ্মা সেতু এগুলোর মাঝে ‘অতি পবিত্র’ প্রসঙ্গে পরিণত হয়েছে, যেটা নিয়ে কেউই কথা বলেন না। কিন্তু পদ্মা সেতু নিয়েও বহু রকম আলোচনা, তর্ক, বিকল্প ভাবনা সমাজে হওয়াটা দরকার ছিল। সেগুলোর মীমাংসার শেষেই একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এত বিরাট আকারের একটা প্রকল্প নেয়া হয়।
পদ্মা সেতু নিয়েই আলোচনা হোক। নিচের কোনো একটা বা একাধিক প্রশ্ন যদি কেউ উত্থাপন করেন, তাহলে তাকে কি পানিতে ফেলে দেয়ার, কিংবা চুবানোর প্রস্তাব করাটা ন্যায্য হবে? বা তাকে পদ্মা সেতুতে উঠতে না দেয়ার কথা বলা যাবে, রীতিমত আলোচনা সভার আয়োজন করে? উত্থাপিত প্রশ্নগুলোর কোন কোনটা ভুল হতে পারে, কিংবা সবগুলোই ভুল হতে পারে। কিন্তু সুস্থ হয়ে ভেবে দেখুন তো, সবগুলোই কি গুরুত্ব দিয়ে আলোচনার দাবি রাখে না? যতদূর বুঝি, পৃথিবীর যে কোনো সুস্থ দেশে এইসব আলোচনাকে গণমাধ্যমে অনেক বেশি বেশি করে সামনে আনা হতো। নানান সময়ে গণমাধ্যমে পদ্মা সেতু নিয়ে যে ‘ইতিবাচক’ আলোচনাগুলোই দেখেছি, তার সূত্রেই নানান মহল থেকে এই প্রশ্নগুলো আসতে পারতো, এমনকি প্রশ্নগুলোর কোন কোনটি পরস্পর বিরোধীও
চুবানোর সংস্কৃতি ও চুপচাপ গণমাধ্যম
view this link