somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রিসার্চ এ্যান্ড এনালাইসিস উইং ‘র’,‘ক্রুসেডার হান্ড্রেড’, বিশ্বজিত হত্যা,শীর্ষ সন্ত্রাসী বিকাশ কুমার বিশ্বাস কারাগামুক্তি একটি পযা’লোচনা

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিশ্বজিত হত্যা, কঠোর গোপনীয়তায় কারাগার থেকে ছাড়া পেলেন রাজধানীর শীর্ষ সন্ত্রাসী বিকাশ কুমার বিশ্বাস (৪৬)। গতকাল শুক্রবার সকাল সোয়া আটটার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর-২ কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান। এই খবরটি পড়ার পর মাথার মধ্যে কি যেন একটা ঘুরছিলো ধরতে পারছিলাম না হঠাৎ করে মনে পরে গেল একটু মিলিয়ে দেখুন তো সব এক সাথে মিলে যাচ্ছে কিনা?
বাংলাদেশের বেশ কিছু রাজনীতিবিদ, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এবং বুদ্ধীজীবীদের পৃথিবী থেকে মুছে দেয়ার উদ্দেশ্যে কঠোর গোপনীয়তার মধ্য দিয়ে বাছাই করা ক্ষমতাশীন আওয়ামী লীগের ১০০জন সশস্ত্র ক্যাডার ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ এ্যান্ড এনালাইসিস উইং ‘র’ এর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ভারতের দেরাদুনে সুদীর্ঘ ৬ মাস ব্যাপী কমান্ডো ট্রেনিং নিয়ে ২০১০ সালের জুন থেকে শুরু করে গুপ্ত হত্যা, অপহরণ ইত্যাদিসহ বিভিন্ন অপকর্ম শুরু করেছে। “ক্রুসেডার-হান্ড্রেড” কোডমেনের এই দলটি ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে ভারতের প্রবেশ করে এবং ২০১০ সালের মধ্য জুন পর্যন্ত অবস্থান করে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কিছু তরুন কমান্ডোদের প্রশিক্ষণ দেয়ার নাম করে ভারতীয় সেনাবাহিনীর চৌকস কমান্ডো প্রশিক্ষকরা এইসকল তরুণদের দূর্ধর্ষ প্রশিক্ষণ প্রদান করে। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ এ্যান্ড এনালাইসিস উইং ‘র’ এর মূল পরিকল্পনায় এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব:) তারেক আহমেদ সিদ্দিকীর প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় “ক্রুসেড হান্ড্রেড” এর পুরো প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়।
সেনাবাহিনীতে দায়িত্ব পালনকাল থেকেই মেজর জেনারেল (অব.) তারেক আহমেদ সিদ্দিকী ভারতীয় ‘র’ এবং ব্রিটিশ এমআই সিক্স এর সাথে দীর্ঘকাল ধরে বিশেষ সম্পর্ক স্থাপন করেন। শেখ হাসিনার সাথে তার পারিবারিক ঘনিষ্ঠতারসূত্রেই তিনি ‘র’ এবং এমআই সিক্স এর সাথে সর্ম্পক তৈরী করেন। ২০০৯ সালের জানুয়ারীতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে প্রধানমন্ত্রীর সামরিক উপদেষ্টা হওয়ায় এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোটবোন শেখ রেহানার ভাসুর হওয়ার সুবাদে মেজর জেনারেল (অব.) তারেক আহমেদ সিদ্দিকী সরকারে অপরিহার্য ব্যক্তিত্বে পরিণত হন। “ক্রুসেডার হান্ড্রেস” টীমের পুরো ব্যাচের সদস্যদের তিনি নিজে এবং তার অনুগত কিছু সহকর্মী ও অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাদের দিয়ে সরকার দলীয় ক্যাডারদের মধ্য থেকে বাছাই করেন। ‘ক্রুসেডার হান্ড্রেড’ গ্রুপের সদস্যরা ভারত থেকে প্রশিক্ষণ শেষে ফিরে এলে তাদের হাতে বাংলাদেশের বিরোধী দলীয় বেশ কিছু রাজনীতিবিদ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের একটি হিট লিস্ট সরবরাহ করা হয়। তথ্যমতে, ‘ক্রুসেডার হান্ড্রেড’ গ্যাং এর হাতে সরবরাহকৃত তালিকায় ৮৩ ব্যক্তির নাম রয়েছে যাদের নাম পৃথিবী থেকে মুছে ফেলার জন্য পরিকল্পনা করা হয়েছে।
প্রশিক্ষিত এ গুপ্তঘাতক দলের সদস্যরা রাজধানীর গুলশান ও বারিধারা এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে অবস্থান করছে। বারিধারা ভিত্তিক গুপ্তঘাতকেরা মেজর জেনারেল (অব) তারেক আহমেদ সিদ্দিকীর সরাসরি তত্ত্বাবধানে রয়েছে এবং গুপ্তঘাতকদের আবাসস্থলসমূহ অত্যাধুনিক সার্ভেইল্যান্স যন্ত্রপাতি সজ্জিত ও এসকল আবাসস্থলে জনসাধারণের অনুপ্রবেশ পুরোপুরি নিষিদ্ধ। অতি সম্প্রতি গুম হওয়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির নেতা এম. ইলিয়াস আলীর নামও “ক্রুসেডার হান্ড্রেড” ফোর্স-এর তালিকায় রয়েছে। হিট লিস্টে রয়েছে এমন কিছু নেতাদের নাম আমার নিউ দিল্লিস্থ সোর্স প্রকাশ করেছে যাদের মধ্যে রয়েছেন রাজনীতিবিদ আমানুল্লাহ আমান, মির্জা আব্বাস, সাদেক হোসেন খোকা, ব্রিগেডিয়ার হান্নান শাহ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, এম. ইলিয়াস আলী, হাবিবুন নবী সোহেল, আব্দুল্লাহ আল নোমান, কাজী জাফর আহমদ, মীর কাসেম আলী, ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক, শফিউল আলম প্রধান, আ. স. ম. আব্দুর রব, মুফতি ফজলুল হক আমিনী এবং মওলানা ফজলুল করীম, শফিক রেহমান, মেহনাজ রশীদ, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, ক্যাপ্টেন তারেক রহমান এবং তাজুল ইসলাম ফারুক (কিছু নাম গার্ডিয়ানের ২৮ তারিখের রিপোর্ট থেকে সংযোজিত)। আওয়ামী লীগ এবং “র” সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে এদেরকে ২০১৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে নিশ্চিহ্ন করবে কেননা আগামীতে আবার ক্ষমতায় আসতে এ মিশনকে ক্ষমতাশীন দল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সাব্যস্ত করেছে।
ক্রুসেডার হান্ড্রেড গ্যাংটির ক্ষুদ্র ও মাঝারী পাল্লার সাইলেন্সারযুক্ত অত্যাধুনিক অস্ত্র, বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, গ্যাস বোমা সমৃদ্ধ এবং অপারেশনের জন্য রয়েছে যানবাহন। বাংলাদেশী যে কোন গোয়েন্দা সংস্থার চোখ এড়াতে এ দলের কিছু সদস্য স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহার করছে। এ গ্যাং এর প্রতিটি সদস্য বিশাল অঙ্কের অর্থসহ বিবিধ অতিরিক্ত সুযোগ-সুবিধা যথা সদস্যদের পরিবার-পরিজনদের জন্য ঢকা শহরে এ্যাপাটমেন্ট ও ক্ষুদ্র ব্যবসার সুযোগ পেয়ে থাকে। দিনের বেলায় এরা প্রকাশ্যে মুখ দেখাতে পারে না এবং প্রায় পুরোদিন এদেরকে ঢাকা শহরের আস্তানায় অবস্থান করতে হয়। আর জরুরী প্রয়োজনে বাইরে রাস্তায় বের হতে হলে তাদেরকে জনসাধারণের কাছ থেকে তাদের মুখ লুকানোর জন্য বাধ্যতামূলকভাবে কালো রঙ্গের হেলমেট পরিধান করতে হয়। পর্যায়ক্রমে এ টিমের সকল সদস্যকে ৭ থেক ১০ দিনের বিনোদনের জন্য গোপনে ভারতে প্রেরণ করা হয় এবং ভ্রমনের কোন প্রকার দলিলপত্র প্রদর্শন ছাড়াই বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত নির্বঘ্নে পারাপারের জন্য তারা অনুমতিপ্রাপ্ত।
আশাকরি ধৈর্যধরে এতক্ষণ প্রতিবেদনটি পড়েছেন এবং নিজের চোখকেও বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে হয়তো আপনার। কিন্তু আপনাদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই ২০১০ সালের ১১ এপ্রিল তারিখে ভারতের টাইমস অব ইন্ডিয়া পত্রিকার “NSG boost to Hasina inner cordon : Handpicked commandos to train at Manesar” প্রতিবেদনটি। প্রতিবেদনে শেখ হাসিনার নিরাপত্তার জন্য ভারতীয় প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষীদের মতো একটি চৌকস কমান্ডো বাহিনী শেখ হাসিনাকে উপহার দেয়ার কথা বলা হয়েছে। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয় একদল তরুনকে ইতোমধ্যেই ভারতের হরিয়ানা প্রদেশের মানেশ্বরে অবস্থিত ন্যাশন্যাল সিকিউরিটি গার্ড (এনএসজি) এ প্রশিক্ষণ শুরু করেছে।
এবার একটু টাইমলাইনটা মিলিয়ে দেখুন। শ্রীলংকা গার্ডিয়ান পত্রিকায় যে তারিখে ট্রেনিং শুরুর কথা বলা হয়েছে কয়েকমাস পরে টাইম অব ইন্ডিয়া পত্রিকার রিটোর্টেও তেমনি স্বীকার করা হয়েছে যে ইতোমধ্যেই ট্রেনিং শুরু হয়ে গেছে। শুধু প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য ভিন্ন বলা হচ্ছে। এর কারণও আগেই বলা হয়েছে, গুম অপহরণের জন্য প্রশিক্ষণ দেয়ার ক্ষেত্রে সঠিক উদ্দেশ্য প্রকাশ করা অসম্ভব কেননা তাতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর মধ্যকার দু’য়েকজন মানবিকবোধ সম্পন্ন অফিসার বেঁকে বসতে পারেন এবং তথ্য ফাঁস হলে বিশ্বব্যাপী ভারত ও আওয়ামী লীগ বেকায়দায় পড়ে যেতে পারে। তাই কৌশলে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার স্বার্থে বিশেষ বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেয়ার কথা বলে আওয়ামী লীগের গুন্ডাদের কমান্ডো প্রশিক্ষণ দিয়ে বাংলাদেশে গুমের রাজত্ব কায়েম করা হয়েছ।
আসলে এটা মনে রাখতে হবে ফ্রাংকেন্সটাইন রা তাদের প্রভুকেও ক্ষমা করেনা

সুত্রঃ Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৩
৮টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=বেনারসী রঙে সাজিয়ে দিলাম চায়ের আসর=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫২



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনে কি পড়ে সেই স্মৃতিময় সময়, সেই লাজুক লাজুক দিন,
যেদিন তুমি আমি ভেবেছিলাম এ আমাদের সুদিন,
আহা খয়েরী চা রঙা টিপ কপালে, বউ সাজানো ক্ষণ,
এমন রঙবাহারী আসর,সাজিয়েছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিজ্ঞানময় গ্রন্থ!

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪২

একটু আগে জনৈক ব্লগারের একটি পোস্টে কমেন্ট করেছিলাম, কমেন্ট করার পর দেখি বেশ বড় একটি কমেন্ট হয়ে গেছে, তাই ভাবলাম জনস্বার্থে কমেন্ট'টি পোস্ট আকারে শেয়ার করি :-P । তাছাড়া বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

অস্ট্রেলিয়ার গল্প ২০২৪-৪

লিখেছেন শায়মা, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৫


চলে যাবার দিন ঘনিয়ে আসছিলো। ফুরিয়ে আসছিলো ছুটি। ছোট থেকেই দুদিনের জন্য কোথাও গেলেও ফিরে আসার সময় মানে বিদায় বেলা আমার কাছে বড়ই বেদনাদায়ক। সেদিন চ্যাটসউডের স্ট্রিট ফুড... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?

লিখেছেন শেরজা তপন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২


ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসের নায়িকাকে একদিন দেখতে গেলাম

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৫

যে মেয়েকে নিয়ে ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসটি লিখেছিলাম, তার নাম ভুলে গেছি। এ গল্প শেষ করার আগে তার নাম মনে পড়বে কিনা জানি না। গল্পের খাতিরে ওর নাম ‘অ’ ধরে নিচ্ছি।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

×