somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আন্তর্জাতিক ভাষা দিবসে আমার অক্ষম ক্ষোভ প্রকাশ

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



রফিক ও সালাম_এ দুটি নাম যেমন বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের সঙ্গে গেঁথে আছে, কাকতালীয়ভাবে তেমনি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের সঙ্গেও রফিক-সালামের নাম মিশে আছে ওতপ্রোতভাবে। রফিকুল ইসলাম ও আবদুস সালাম কানাডার ভ্যানকুভার থেকে এ দিবসটির বীজ বপন করেছিলেন। রফিকুল ইসলাম ভাষা আন্দোলনের পরের বছর কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করেন। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে পড়াশোনা শেষ করে এনজিওতে কাজ করেন। ১৯৯৫ সালে তিনি সপরিবারে কানাডায় অভিবাসী হন। তাঁর স্ত্রী বুলি ইসলামও এ প্রক্রিয়ার নেপথ্যের নিষ্ঠাবান কর্মী।



রফিকুল ইসলাম

প্রায় সাত বছর আগে কানাডার ভ্যানকুবার শহরে বসবাসরত দুই বাঙ্গালী রফিকুল ইসলাম এবং আবদুস সালাম একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণার আবেদন জানিয়েছিলেন জাতিসংঘের মহাসচিব কফি আনানের কাছে। তারপর থেকেই এই দিনটি সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে।কিন্তু এতো কিছুর পরেও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মূল উদ্যোক্তা রফিক এবং সালাম সবার কাছে অচেনাই রয়ে গেলেন। তাদের ত্যাগ তিতিক্ষা আর পরিশ্রম অজ্ঞাতই থেকে গেল। কেউ জানলো না কি নিঃসীম উৎকন্ঠা আর আশায় পার করেছিলেন তারা ১৯৯৯ সালের নভেম্বর মাসের শেষ ক’টি বিনিদ্র রজনী। কেউ জানলো না, কিভাবে সমর্থন যুগে চলেছিলেন তাদের স্ত্রী, পরিবার, এবং কাছের বন্ধু বান্ধবেরা। কত অজ্ঞাতকূলশীলেরাই বাংলা একাডেমি পদক, একুশে পদক পেয়ে যান এই অভাগার দেশে আর রফিক সালামেরা উপেক্ষিতই থেকে যান... আমার প্রশ্ন হল কোথায় সেই দুই মহান বাঙ্গালী? কানাডার ভ্যাঙ্কুভারের কেউ কি আছেন যিনি ওনাদের বর্তমান অবস্থা সন্মন্ধ্যে কিছু বলবেন। আজ এই আন্তর্জাতিক ভাষা দিবসে সেই মহান মানুষ দুটোকে আমার বিনম্র সালাম।

অনেক চেষ্টা করেও আবদুস সালামের কোন বর্ননা পেলাম না। কারো কাছে থাকলে দয়া করে দেবেন। যোগ করে দেব। একটু ভেবে দেখুন কত বড় একটা অর্জন কত নিরবে তারা করে গেছেন দেশের জন্য। আর আজকে রাজাকারের ফাসির দাবির যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল তার কিছুই না হয়ে আমরা ব্যাস্ত হয়ে পড়েছি এর সুবিধা নেবার জন্য। হায় অভাগারা কবে তোরা শিক্ষা নিবি এই সব মহান মানূষ গুলোর কাছ থেকে।

গফরগাওয়ে শুরু, স্যালুট গফরগাঁও থিয়েটার

১৯৯৭ সাল 'গফরগাঁও থিয়েটার' নামে একটি সংগঠন সর্বপ্রথম একুশের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবি তোলে।

১৯৯৯ সালের একুশের এক সংকলনে তারা তাদের এ দাবি পুনর্ব্যক্ত করে। তারা শ্লোগান তোলে-
• " বিশ্বমাতৃভাষা দিবস চাই! "
• " একুশের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চাই! "

দাবির পক্ষে তারা শোভাযাত্রা বের করে। শহরের দেয়ালে দেয়ালে, ট্রেনে ও বাসে পোস্টার সেঁটে দেয়। উল্লেখ্য ভাষা শহীদ জব্বার ছিলেন এই গফরগাঁওয়ের সোনার ছেলে।

যে ভাবে আমরা পেলাম আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস পূর্ন বর্ননা

২১ ফেব্রুয়ারিকে 'আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস'-এ মর্যাদাসীন করার ভাবনা মাথায় আসার পর থেকেই কানাডার ভাঙ্কুভারে প্রবাসী রফিকুল ইসলাম ও আবদুস সালাম আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মহলে যোগাযোগ শুরু করেন। ৫২'র রফিক-সালামদের অবদানের সম্মানার্থে ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণার দাবি জানিয়ে তারা আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংগঠনের কাছে আবেদন-নিবেদনে নৈতিক সমর্থন পেতে থাকেন। সবাই তাদের দাবির যৌক্তিকতা-ন্যায্যতা স্বীকার করে। সমর্থনও জানায়। কিন্তু এ ধরনের দাবি প্রতিষ্ঠায় তাদের সীমাবদ্ধতার কথাও উল্লেখ করে। এক পর্যায়ে রফিক-সালাম ১৯৯৮ সালের জানুয়ারিতে জাতিসংঘের মহাসচিব কফি আনানকে একটি চিঠি লেখেন। কিন্তু জবাব মিলছিল না। তারা বুঝতে পারেন_ ব্যক্তিগত বা এককভাবে এগিয়ে তারা সুবিধা করতে পারবেন না। তাই পরে তারা প্রতিষ্ঠা করেন 'ইন্টারন্যাশনাল মাদার ল্যাংগুয়েজ লাভারস অব দ্য ওয়ার্ল্ড' নামে একটি বহু ভাষাভাষী সংগঠন। এ সংগঠন থেকে আবার চিঠি লেখেন কফি আনানের কাছে। এ চিঠির জবাবের আশায় এক বছর অপেক্ষার পর জাতিসংঘ থেকে একটি দিকনির্দেশনা আসে। দিকনির্দেশনা অনুযায়ী তারা ধরনা দেন প্যারিসে ইউনেস্কোর সদর দফতরে। সেখান থেকে ১৯৯৯ সালের এপ্রিলে তাদের জানানো হয়, তোমাদের বিষয়টি খুব ইন্টারেস্টিং। ইউনেস্কো এ ধরনের প্রস্তাব পেলে তা বেশ গুরুত্ব দেয়। তবে এরকম প্রস্তাব পাঠানোর নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। ইউনেস্কো সম্মেলনে এ ধরনের প্রস্তাব কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে এলে চলবে না। তা আসতে হবে কোনো সদস্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে।

এ পরিস্থিতিতে রফিক-সালাম বিষয়টি সবিস্তারে ব্যাখ্যা দিয়ে যোগাযোগ করেন বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে। বিষয়টি অক্টোবরে প্যারিসে অনুষ্ঠেয় ইউনেস্কো সম্মেলনে উত্থাপন করতে তারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ কামনা করেন। এএসএইচকে সাদেক তখন শিক্ষামন্ত্রী। আর শিক্ষাসচিব কাজী রকিব উদ্দিন। মন্ত্রীকে বিষয়টি সবিস্তারে অবহিত করেন সচিব। হাতে সময় খুবই কম। আনুষ্ঠানিকভাবে ইউনেস্কো সদর দফতরে এ প্রস্তাব পাঠানোর শেষ তারিখ ছিল ১০ সেপ্টেম্বর। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানান শিক্ষামন্ত্রী সাদেক। প্রধানমন্ত্রী বিষয়টির গুরুত্ব ও তাৎপর্য উপলব্ধি করেন। সময় নষ্ট না করে তিনি দ্রুততার সঙ্গে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলেন শিক্ষামন্ত্রীকে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ পেয়ে শিক্ষামন্ত্রী তার মন্ত্রণালয়ের দক্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি টিম গঠন করেন। টিমটি এ নিয়ে দিন-রাত খাটাখাটুনি শুরু করে। ফাইলপত্র চূড়ান্ত করে শিক্ষামন্ত্রণালয় থেকে পদ্ধতি অনুযায়ী প্রস্তাবটি পাঠানো হয় ইউনেস্কোতে। ১৯৯৯'র ২৬ অক্টোবর-১৭ নভেম্বর ইউনেস্কোর ৩০তম সাধারণ সম্মেলনে ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণার ওই প্রস্তাবটিতে ছিল ভাষা ও বর্ণনার চমৎকার মুন্সিয়ানা। প্যারিসে ইউনেস্কো সদর দফতরে প্রস্তাবটি পেঁৗছে ৯ সেপ্টেম্বর। অর্থাৎ শেষ সময়ের মাত্র একদিন আগে।

ইউনেস্কো সচিবালয়ে এ প্রস্তাব নিয়ে কিছুটা সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষ করে বাজেটের সীমাবদ্ধতায় প্রস্তাবটি বাতিল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা উঁকি দেয়। ইউনেস্কোর মহাপরিচালক বাংলাদেশের প্রস্তাবটির সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য এক্সিকিউটিভ বোর্ডে পাঠানোর সুপারিশ করেন। এক্সিকিউটিভে পাঠানো মানে ঝুলে যাওয়া। অতীতের ঘটনা বিশ্লেষণে স্পষ্ট হয়ে যায়, বোর্ডে গেলে প্রস্তাবটি সহসা আলোর মুখ দেখবে না। এছাড়া মহাপরিচালকের ওই সুপারিশের মন্তব্যও আমাদের তেমন অনুকূলে ছিল না। বাজেটের সীমাবদ্ধতা ছাড়াও তার 'যদি', 'কিন্তু' মিশ্রিত কিছু মন্তব্য বাংলাদেশের প্রস্তাবটির গুরুত্ব দুর্বল করে দেয়। সর্বোপরি রীতিমতো অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে প্রস্তাবটি। এমন হতাশাজনক পরিস্থিতিতে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মর্যাদা লাভের আশা ছেড়ে দেওয়ার অবস্থা হয়। ওই অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োপযোগী কূটনৈতিক পদক্ষেপ পরিস্থিতি পাল্টে দেয়। তার পদক্ষেপে শেষ আশা জাগিয়ে তোলে ইউনেস্কোর অধিবেশনে যোগদানকারী বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল। শিক্ষামন্ত্রী এএসএইচকে সাদেক, ফ্রান্সে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী ও ইউনেস্কো মহাপরিচালকের বিশেষ উপদেষ্টা তোজাম্মেল হক (টনি হক) ওই সময় বেশ কূটনৈতিক প্রজ্ঞার পরিচয় দেন।

টনি হক ও মোয়াজ্জেম আলী একটি বিশেষ বৈঠক করেন ইউনেস্কোর ডেপুটি মহাসচিব কলিন পাওয়ারের সঙ্গে। তারা তাকে বোঝাতে সক্ষম হন আমাদের প্রস্তাবের আন্তর্জাতিক মানমর্যাদার বিষয়টি। ওই প্রস্তাবের সারসংক্ষেপে বলা হয়েছিল_ পৃথিবীর বুক থেকে দ্রুত বিলীয়মান মাতৃভাষাগুলোকে রক্ষা এবং তা টিকিয়ে রাখতে বৃহত্তর সচেতনতা গড়ে তোলার কথা। এক্ষেত্রে ইউনেস্কোর পদক্ষেপ গ্রহণের বাস্তবতা-সম্ভাব্যতাও তুলে ধরা হয় সারসংক্ষেপে। এছাড়া সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে এ প্রস্তাবের স্বপক্ষে আয়ত্তে আনতে দূতিয়ালির বিরল স্বাক্ষর রাখেন টনি হক ও মোয়াজ্জেম আলী।

তাদের দূতিয়ালির ফলাফল মেলে সম্মেলনে। ২৮টি সদস্য রাষ্ট্র সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রস্তাবকে লিখিতভাবে সমর্থন জানায়। মজার ব্যাপার হচ্ছে_ এই ২৮ রাষ্ট্রের মধ্যে ছিল পাকিস্তানও। এরপরও টান টান প্রতীক্ষা। ইউনেস্কোর টেকনিক্যাল কমিটি কমিশন-২-এ বাংলাদেশের প্রস্তাবটি উত্থাপিত হয় ১২ নভেম্বর। যথারীতি শুরু হয় প্রস্তাবের ওপর আলোচ্যসূচি কার্যক্রম। কমিশনের সভাপতি স্লোভাকিয়ার লুডোভিট মোলনার একের পর এক প্রস্তাব উত্থাপন করতে থাকেন। উত্থাপনের পর কোনোটি নিয়ে বিতর্ক চলে। কোনোটিতে আসে সংশোধনী। কোনোটি গৃহীত বা বাতিল। স্থানীয় সময় বিকাল ৩টায় উত্থাপিত হয় ২১-কে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা দেওয়ার প্রস্তাব। বাংলাদেশের জন্য এটি এক ঐতিহাসিক মাহেন্দ্রক্ষণ। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫০০ প্রতিনিধি। সভাপতি পরপর দু'বার প্রশ্ন করে জানতে চান_ প্রস্তাবের ওপর কারও কোনো আপত্তি বা মন্তব্য আছে কি না? সম্মেলনে পিনপতন নীরবতা। না, কারও কণ্ঠে কোনো আপত্তি নেই_ মন্তব্যও নেই। সভাপতি তিনবার হাতুড়ি পেটালেন। দরাজকণ্ঠে ঘোষণা দিলেন_ প্রস্তাবটি গৃহীত হলো। তুমুল হাততালি। সম্মেলনস্থল মুখরিত। সারা দুনিয়ার সংবাদ মাধ্যমে এটি সেদিনের ব্রেকিং নিউজ। বাংলাদেশে উৎসবের বন্যা। উচ্ছ্বাস-আনন্দের ছটা।

কমিশন-২-এ পাস হওয়া প্রস্তাবটি সাধারণ সম্মেলনের রুটিন বিষয় হিসেবে গৃহীত হয় ১৭ নভেম্বর। ৪ জানুয়ারি ২০০০ ইস্যু হয় ইউনেস্কোর মহাপরিচালক কাইচিরো মাটসুরার এ মর্মে ঐতিহাসিক চিঠি। চিঠিতে ইউনেস্কোর সব সদস্য রাষ্ট্রকে তখন থেকেই প্রতি বছর ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের আহ্বান জানান তিনি। ইউনেস্কো ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার স্বীকৃতি দিয়ে শুধু বাংলা ভাষার জন্য আমাদের সংগ্রামের স্বীকৃতিই দেয়নি, অমর একুশের শহীদদের আত্মদানের মর্যাদাও দিয়েছে। জাতি হিসেবে পৃথিবীর বুকে আমাদের করেছে মহিমান্বিত । এ মর্যাদার স্বীকৃতি দিতে গিয়ে প্রসঙ্গক্রমে এসেছে ২১'র সিঁড়ি বেয়ে '৭১র স্বাধীনতার কথাও। বিশ্বের প্রায় দু'শ দেশে এখন প্রতি বছর ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপিত হচ্ছে। বাংলায় কথা বলছে বিশ্বের প্রায় ১৮ কোটি মানুষ। বিশ্ব আরও বেশি করে জানছে ঢাকার বুকে ১৯৫২'র ভাষা আন্দোলনের অনন্য ইতিহাস। সেই সঙ্গে জানছে এ ইতিহাসের নায়কদের কথা। বাংলার-বাঙালির কথা। বাংলাদেশের কথা।

পূর্ববর্তী আলোচনার কিছু চুম্বক অংশ

২১ ফ্রেবুয়ারির আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতিপ্রাপ্তির কৃতিত্বেও প্রধান দাবীদার কানাডার এশটি বহুজাতিক বহুভাষিক মাতৃভাষা প্রেমিক গোষ্ঠী। তারা ১৯৯৮ সালের ২৯ মার্চ জাতিসংঘের তৎকালীন মহাসচিব কফি আনানের কাছে 'আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস' নামে একটি দিবস ঘোষণার প্রস্তাব জানিয়ে বলে:

The bengalis have played a very important role in protecting their mother language from serious crisis related to its existence. In today's world there are many nations and/or communities still facing serious crisis and threat against their Mother Languages.

এতে সাক্ষর করেন সাত জাতি ও সাত ভাষার দশজন সদস্য:

1. অ্যালবার্ট ভিনজন ও কারমেন ক্রিস্টোবাল [ফিলিপিনো]
2. জ্যাসন মোরিন ও সুসান হজিন্স [ইংরেজ]
3. ড. কেলভিন চাও [ক্যান্টনিজ]
4. নাজনীন ইসলাম [কা-চি]
5. রেনাটে মার্টিনস [জার্মান]
6. করুণা জোসি [হিন্দি] এবং
7. রফিকুল ইসলাম ও আব্দুস সালাম [বাংলা]

জাতিসংঘ মহাসচিবের সচিবালয় থেকে বলা হয় এ ব্যাপারেও যোগাযোগ করতে হবে প্যারিসে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংগঠন ইউনেস্কোর সঙ্গে। কানাডা থেকে প্যারিসে ইউনেস্কোর সদর দপ্তরে ফোন করেন রফিক। ইতোমধ্যে পার হয়ে যায় এক বছর।

১৯৯৯ সালের ৩ মার্চ ইউনেস্কো সদর দপ্তরের ভাষা বিভাগ থেকে আন্না মারিয়া মেজলোক-এর একটি চিঠি পান রফিকুল। এতে বলা হয়,
Regarding your request to declare the 21 February as International Mother Language Day, the idea is indeed very interesting.

একই বছরের ৮ এপ্রিল আরো একটি চিঠিতে মারিয়া লেখেন,

Of course, as I also mentioned to you, the eventual adoption of the document depends on the interest of the Board Members.

অর্থ্যাৎ বিষয়টি ইউনেস্কোর পরিচালনা পরিষদের কোনো সদস্য রাষ্ট্র কর্তৃক প্রস্তাব আকারে উত্থাপন করতে হবে। ঘটনা জানিয়ে রফিক চিঠি লিখলেন বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রস্তাবনা তেরি করে প্রধানমন্ত্রী সমীপে পাঠানো হয়। হাতে সময় আছে মাত্র ২ দিন। এ পরিস্হিতিতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শিক্ষামন্ত্রী এ এস এইচ কে সাদেক এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে সরাসরি প্রস্তাবটি পাঠিয়ে দেন ইউনেস্কোর সদর দপ্তরে।

সেপ্টেম্বর ৯, ১৯৯৯। Bangladesh National Commission for UNESCO [BNCU] এর পক্ষ থেকে অধ্যাপক কফিলউদ্দীনের স্বাক্ষরিত ১৭ লাইনের প্রস্তাব ও যৌক্তিকতা পৌঁছে গেল প্যারিস। প্রস্তাবের শেষ লাইনে লেখা হল, বাংলাদেশ-

Proposes that 21 February be proclaimed International Mother Language Day throughout the world to commemorate the martyrs who sacrificed their lives on this very date in 1952.

এরপর চলে কুটনৈতিক তৎপরতা। নির্দিষ্ট দিনে অধিবেশনে যোগ দিতে আসেন ইউনেস্কোর ১৮৮ টি সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা। প্রস্তাবের ওপর গোপন ভোটাভুটি গৃহীত হয়। ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কোর ৩০তম সাধারণ সম্মেলনে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়। সর্বসম্মতিক্রমে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে অভিষিক্ত হয় একুশে ফেব্রুয়ারি।

মূল অধিবেশনে প্রস্তাবক হিসেবে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত হয় সৌদি আরব। প্রস্তাব সমর্থন করে-

• আইভরি কোস্ট, ইতালি, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, ওমান, কমোরোস, গাম্বিয়া, ডোমিনিকান রিপাবলিক, পাকিস্তান, পাপুয়া নিউগিনি, ফিলিপিন, বাহামাস, বেনিন, বেলারুশ, ভারত, ভানুয়াতু, মাইক্রোনেশিয়া, মিশর, রুশ ফেডারেশন, লিথুয়ানিয়া, শ্রীলঙ্কা, সিরিয়া এবং হণ্ডুরাস।

1. ইউনেস্কোর সাধারণ অধিবেশনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস সংক্রান্ত প্রস্তাবনা (নিম্নে বিস্তারিত)
2. আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘ মহাসচিবের বাণী (নিম্নে বিস্তারিত)

২০০০ খ্রীস্টাব্দে এই দিবস পালন প্রবর্তিত হয়।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘ মহাসচিবের বাণী

UNITED NATIONS NATIONS UNIES

THE SECRETARY-GENERAL

MESSAGE ON
INTERNATIONAL MOTHER LANGUAGE DAY
21 FEBRUARY, 2000

I am delighted to convey my greetings, on the occasion of the launch of the first International Mother Language day. This day will help to raise awareness among all peoples of the distina and enduring values of their languages. In an age of globalization and international cooperation where a few languages have become global languages, it is imperative that we uphold the diversity of local languages.

Along with nation and community, language is all essential component of identity and means by which we find our place in the world. The very essence of belonging in an increasingly rootless world is to hear a language of one own, to understand and be understood with ease. While differing languages have in the past separated peoples and groups, it is my hope that all people can unite in celebrating the full diversity of languages.

The United Nations and UNESCO have long worked to promote the dissemination of mother tongues and to advanced multi-lingual education and linguistic diversity, given the danger that many of the 6000 languages spoken today may disappear in the next 20 years, it is critical that the international community redouble its efforts to protect this common heritage of mankind.

Above all, the lesson of our age is that languages are not mutually exclusive, but that human beings and humanity are enriched by communicating in more than one language. Languages no less than the people to whom they belong can and must coexist in one new century, and it is my hope that International Mother Language Day will contribute to this noble aim.

Cofi Annan

ইউনেস্কোর সাধারণ অধিবেশনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস সংক্রান্ত এ প্রস্তাবনায় বলা হয়-

306/DR.35 [submitted by Bangladesh and Saudi Arabia; supported by Oman, Benin, Sri Lanka, Egypt, the Russian Federation, Bahamas, Dominican Republic, Belarus, the Philippines, Cote d’lvoire, India, Honduras, Gambia, the Federated States of Micronesia, Vanuatu, Indonesia, Papua New Guinea, Comoros, Pakistan, Islamic Republic of Iran, Lithuania, Italy and the Syrian Arab Republic] relating to paragraph 05204, the Commission recommends that the General Conference proclaim `International Mother Language Day’ to be observed on 21 February.

30C/DR.page 2

Keeping in mind also that all moves to promote the dissemination of mother tongues will serve not only to encourage linguistic diversity and multilingual education but also to development of fuller awareness of linguistic and cultural traditions throughout the world and to inspire solidarity based on understanding, tolerance and dialogue.

Considering consequently that one of the most effective ways to promote and develop mother tongue is the establishment of an `International Mother Language Day’ with a view to organising various activities in the Member States and an Exhibition at UNESCO Headquarters on that same day.

Recognizing the unprecented sacrifice made by Bangladesh for the cause of mother language on 21 February 1952.

Noting that this idea has not yet been adopted at the International level, propose that 21 February `International Mother Language Day’ throughout the world to commemorate the martyrs who sacrificed their lives on this very date in 1952.

১৯৯৯ সালে ২১শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণার পর বিগত প্রায় এক যুগে এশিয়া -আফ্রিকা-অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন দেশে বহু ভাষা মরে গেছে, বহু ভাষা চিরতরে লুপ্ত হয়ে গেছে। লন্ডনের স্কুল অব অরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজের অধ্যাপক পিটার কে অস্টিনের মতে পৃথিবীজুড়ে বিদ্যমান সাত হাজার ভাষার মধ্যে প্রায় চার হাজার ভাষাই এখন বিপন্ন। বিগত দুই বছরে তিন শ’য়ের বেশি ভাষা চিরতরে হারিয়ে গেছে এবং এ ঘটনা ঘটেছে ২১শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণার পরে। একুশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে বিপন্ন হাজার তিনেক ভাষা চিরতরে হারিয়ে যাবে বলে ভাষাবিজ্ঞানীরা মনে করেন। ইংরেজি, স্প্যানিশ, হিন্দি বা সোয়াহিলির মতো রাজনৈতিক অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী ভাষাগুলোর দিকে ঝুঁকে পড়বে দুর্বল ভাষাভাষী জনগোষ্ঠী। জেরু, খোমানি, ওরো উইন, কুসুন্ডা, আইনু, গুউগু যিমিধিইর, কেট, বো–এসব ভাষা খুব শিগগিরই হারিয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করেছিলেন পিটার কে অস্টিন। ইতোমধ্যে ২০১০ সালের ২রা ফেব্রুয়ারি পৃথিবীর প্রাচীন ভাষাগুলোর একটি বো ভাষায় কথাবলা বোয়া সিনিয়র নামের এক মাত্র মানুষটির মৃত্যু হয়েছে। আন্দামানের পোর্ট ব্লোয়ারে বোয়ার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে হারিয়ে গেল বো ভাষা। আগামী ৪০-৫০ বছরের মধ্যে এমনি হারিয়ে যাবে শত শত ভাষা।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এক্ষেত্রেই পালন করতে পারতো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। পৃথিবীর বিপন্ন ভাষাগুলো সংরক্ষণে ইউনেস্কো নিতে পারতো কার্যকর উদ্যোগ। কিন্তু বাস্তবে কিছুই দেখা যাচ্ছে না। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস কী, কী এর তাৎপর্য–এসব বিষয় বিশ্বজনসংখ্যার কয়জনই বা জানে, কতটা রাষ্ট্রে দিবসটি পালিত হয়, তা-ই বা কে বলতে পারে? এ ব্যাপারে বাংলাদেশ যে তেমন কোনো উদ্যোগ নিয়েছে, এমন সংবাদ আমাদের জানা নেই। এমনকি প্রায় এক যুগ অতিক্রান্ত হলেও এখন পর্যন্ত স্থায়ীভাবে গড়ে উঠলো না আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট।

আমার এ লেখা বিভিন্ন পত্রিকা ও ইন্টারনেট ঘেটে। আমি আমার পক্ষ থেকে ও আমার সন্মানিত পাঠকদের পক্ষ থেকে জনাব আব্দুস সালাম ও জানাব রফিকুল ইসলামের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সন্মান প্রদানের দাবী জানাচ্ছি। আশা করি সামু কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিবে।

পরিশিষ্টঃ উপরের অংশ ২০১৩ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারী লিখছিলাম, আজ ৮ ই ফেব্রুয়ারী ২০২০ সালে কিছু সংযোজন করলাম প্রিয় ব্লগার এমজেডেফ ভাইর পরামর্শে এবং তথ্যে। তার প্রতি কৃতজ্ঞতা।



প্রয়াত রফিকুল ইসলাম এবং তার বন্ধু কানাডার বৃটিশ কলম্বিয়া ফেরি করপোরেশনের সাবেক চিফ ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সালাম দুজনকেই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের বৈশ্বিক স্বীকৃতি অর্জনে অবদান রাখায় ২০১৬ সালে স্বাধীনতা পদক দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।

রফিকুল ইসলাম ১৯৫৩ সালের ১১ এপ্রিল কুমিল্লা শহরের উজির দিঘির পাড় রাজবাড়ি কম্পাউন্ড এলাকায় জন্ম গ্রহণ করেন তাঁর পিতার নাম আবদুল গনি, মাতার নাম করিমুননেসা, ১০ ভাইবোনের মধ্যে তিনি অষ্টম। উজির দিঘির পাড় হরেকৃষ্ণ প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুমিল্লা হাইস্কুল ও ভিক্টোরিয়া কলেজে তিনি লেখাপড়া করেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তার ডিগ্রি অর্জন করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে মুজিব বাহিনীর সদস্য হিসেবে অংশ নেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় তাঁর ছোট ভাই সাইফুল ইসলাম সাফু সম্মুখ যুদ্ধে শহীদ হন। কানাডা যাওয়ার আগে তিনি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা প্রশিকাতে ৭ বছর চাকরি করেন এরপর ১৯৯৫ সালে কানাডা যান। তিনি দীর্ঘদিন দুরারোগ্য ক্যান্সারে ভুগছিলেন। ২০১৩ সালের ২০ নভেম্বর কানাডার ভ্যাঙ্কুভার জেনারেল হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬০ বছর। স্ত্রী বুলা ইসলাম, দুই পুত্র জ্যোতি ইসলাম ও জয়ন্ত ইসলাম কানাডা প্রবাসী। মৃত্যুর পরদিন তাঁকে ভ্যাঙ্কুভারে রিচমন্ড মসজিদে নামাজে জানাজ শেষে সিলওয়াক এলাকায় দাফন করা হয়।

কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৩:০৩
১৭টি মন্তব্য ১৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×