এক মুয়াজ্জিন গোসল করতে গিয়েছে, জ্বীন সেই সুযোগে তার ফোন ব্যাবহার করে আমাকে কল করেছে। রাতেও নাকি চেস্টা করেছে কিন্তু আমি আবার ফোন অফ রেখে ঘুমাই। তো যাই হোক, জ্বীন আমাকে বলছে যে কিছু গরীব মানুষকে খাওয়াতে হবে। তার জন্য ১২,৫৫১ টাকা খরচ পড়বে।
এই টাকা নিয়ে আমাকে বগুড়ায় পবিত্র মাজারে যেতে হবে। জ্বীন এক ছেলের উপর ভর করে আমার কাছে আসবে। আমাকে ঐ ছেলের হাতে ঐ টাকা দিয়ে দিতে হবে, আর ঐ ছেলে আমাকে কিছু অত্যন্ত দামী ধন-সম্পদ হ্যান্ডওভার করবে। আমাকে বলছে ঈদের আগে আসতে পারবো কিনা। আমি বললাম এখনতো টিকেট পাওয়া ঝামেলা, ঈদের একদিন পর যাবো। বললো "আলহামদুলিল্লাহ"।
এরপর বললো ২ মিনিট পর আবার কল ব্যাক করো, "তোমার দাদুভাই" কথা বলবে। কল ব্যাক করলাম। আমার জ্বীন দাদুভাই যা বললো তা হচ্ছে সে কয়কাফ্ নগরীতে থাকে। জ্বীনের বাদশাহ্। আমাকে ধন-সম্পদ বুঝিয়ে দিতে পারলে ওনারা চিন্তা মুক্ত হয়ে যাবেন। শর্ত হলো এই কথা আর কাউকে বলা যাবেনা। আরেকটা শর্ত হলো ঐ নাম্বারে ১০০ টাকা ফ্লেক্সি করে পাঠাতে হবে আজই।
আমি বললাম ঠিক আছে এশার নামাজের সময় পাঠাবো। দাদুভাই বললেন উনি তারাবির নামাজ শেষে আবার আমার সাথে কথা বলবেন। ফোন রেখে মনে হলো পুরা আরব্য রজনীর গল্প শুনে ফেললাম
তো যাইহোক, এরপর র্যাব এর বগুড়া অফিসে ফোন করলাম। র্যাবের এক ভদ্রলোকের সাথে কথা হলো। উনি বললেন আপনি যদি বগুড়া আসতে পারেন তাহলে আমরা আপনার সাথে অভিযানে যেতে রাজি আছি। কিছু টাকা দিতে হবে জ্বীনের হাতে, এরপর ওনারা এরেস্ট করবেন হাতেনাতে প্রমান সহ। এরপর মামলা হবে, আমাকে তখনও আরেকবার বগুড়া যেতে হবে সাক্ষ্য দিতে। অনেক ঝামেলা। এটা ঢাকায় হলে সম্ভব হতো আমার পক্ষে।
জ্বীনের নাম্বারটাও র্যাব কে এসএমএস করে দিলাম। অনুরোধ করলাম যেন ওনারা ফোন করে ভয়ভীতি দেখান। জ্বীন দাদুভাই এরপর ফোন করলে চেস্টা করবো টাকা নিতে ঢাকায় আসতে রাজী করানোর জন্য। ঢাকার র্যাব-৩ এও কথা বলেছি। ওনারা বললেন ঢাকায় আনতে পারলে বাকীটা ওনাদের দায়িত্ব
জ্বীনের সাথে আমার প্রথম কথার কাহিনী জানতে নীচের লিঙ্ক ভিজিট করুন।
Click This Link

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


