আজ দুপুর ৩টায় ইবনে সিনা হাসপাতালের সম্মুখে ছাত্রলীগের স্থানীয় ক্যাডারগণ সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে মানববন্ধন করেন। এসময় তারা ইবনে সিনা হাসপাতালসহ ধানমন্ডি ৯/এ এর ইবনে সিনা ডায়াগনোস্টিক এন্ড ইমেজিং সেন্টারে ভাঙচুর করেন। এসময় স্থানীয় এক ছাত্রলীগ নেতা বলেন ধানমন্ডি এলাকা থেকে ইবনে সিনা ট্রাস্টের সকল প্রতিষ্ঠান উঠিয়ে দিতে হবে না হয় তারা ঈদের পর জোরদার আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। উল্লেখ্য যে, গত কিছুদিন পূর্বে ইবনে সিনা হাসপাতালে ভুল চিকিতসায় শিশু মৃতু্ বরণ করেন। এ ব্যাপারে হাইকোর্ট থেকে স্বত:প্রনোদিত হয়ে রুল জারি করেন। বর্তমানে চিকিতসক ও ২ নার্সসহ রিমান্ডে রয়েছেন। এছাড়া ইবনে সিনা হাসপাতালের তিনজন প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে মামলার এজাহারে নাম না থাকা সত্বেও গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদের ম্যাজিস্ট্রেট জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
ব্যাপরাটি বিচারাধীন থাকা সত্বেও সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে ছাত্রলীগের কর্মীবৃন্দদের এহেন ন্যাক্কর জনক কাজের জন্য জোর ঘৃণা জানাচ্ছি। ইবনে সিনা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের তুলনায় ২৫% কম খরচেও আমাদের মতো গরীবের জন্য অনেকটা আশারা আলো ছিলেন। প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে বেকার সমস্যা বৃদ্ধি করে দেশের বোঝা বানিয়ে কোন লাভ নেই। ভুল চিকিতসায় শিশু মারা গেলে এর বিচার আমরাও চাই। কিন্তু প্রকৃত সত্য উতঘাটন হওয়ার আগে আমরা তৃতীয় কোন শক্তির উত্থান চাই না।
একটা সময় বাংলাদেশের অধিকাংশ লোক চিকিতসার জন্য ভারতে যেতেন। বর্তমানে বাংলাদেশের চিকিতসক এবং হাসপাতাল অনেক উন্নত হওয়ায় ভারতে গিয়ে চিকিতসা করানো এখন অনেক কমে গেছে। এতে দেশের মানুষের টাকা অনেকটা সাশ্রয় হচ্ছে। কিন্তু পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত অর্থনৈতিক দিক দিয়ে লোকসান হচ্ছেন। তাই পার্শ্ববর্তী এ দেশটি আবার আমাদের খাতটিকে ধ্বংস করার জন্য উঠে পড়ে লেগে গেছে।
ইবনে সিনা ছাড়াও কিছুদিন পূর্বে ল্যাব এইড, স্কয়ার হাসপাতাল এবং ইউনাইটেড হাসপাতালে রোগী মৃতু্বরণ করেন। অনেকই হয়তো বলবেন এবং আমিও স্বীকার করি আমাদের দেশের চিকিতসকরা অর্থের লোভে অনেক অপেশাদারি কাজও করে থাকেন। এসব চিকিতসকদের খুঁজে বের করে শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিত। কিন্তু সকল চিকিতসক এক নয় এটাও মনে রাখা উচিত। কাউকে না কাউকে বিশ্বাস করতেই হয় এটাই নিয়ম।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




