ফেসবুকে বন্ধুর শেয়ার করা লিংক থেকে ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ র সংসদে দেয়া বক্তৃতা দেখলাম। দেখলাম এরপর বয়ে যাওয়া আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ও। সাহসী, বুদ্ধিদীপ্ত, যুক্তিপূর্ন কথার ভূয়সী প্রশংসা দেখলাম, আবার অতীত ঘেঁটে তার চরিত্র উদঘাটনের চেষ্টাও দেখলাম। আমার কোনটাতে আপত্তি নাই। অন্য সাংসদদের তুলনায় এই বক্তব্য অবশ্যই আকর্ষনীয় ছিল। আবার দূর্নীতি করে টাকা কামানো বা অস্ত্রবাজি করা যে একজন সাংসদের গ্রহনযোগ্যতা কমিয়ে দিতে পারে, সেটাও ঠিক। যদিও আমার মতে, নারীঘটিত কেলেন্কারী বা বিলাসবহুল জীবন কারুর দেশপ্রেমকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য যথেষ্ট নয়।
আমার দুঃখ হয় এটা দেখে যে রাজনীতিবিদদের কাছে আমাদের প্রত্যাশা কত কমে গেছে। ভেবে দেখুনতো আপনার আশেপাশে কিংবা এই ব্লগে এমন কতজন আছেন যারা ব্যরিস্টার আন্দালিব এর মত যুক্তিপূর্নভাবে সরকারের সমালোচনা করতে পারবেন। এর জন্য কি লাগে, আমি এই সরকারের কর্মকান্ড পছন্দ করিনা, আমি শিক্ষিত, সুন্দর করে কথা বলতে পারি, এই তো। পক্ষের যুক্তিগুলো গুছিয়ে বলার যোগ্যতা। ব্লগের নাস্তিক-আস্তিক বিতর্কে দেখি অনেক সুন্দর সুন্দর যুক্তি দেয়া হ্য় দু'পক্ষে। আমাদের তো এসব নিয়েও উচ্ছসিত হওয়া উচিত। একজন রাজনীতিবিদ তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের সমালোচনা করতে গিয়ে কয়েকটা চটকদার কথা বলেছে, যার সত্য-মিথ্যা ও আমরা যাচাই করিনি। কিংবা এই কথার কতটুকু আসলে দেশের স্বার্থে আর কতটুকু প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার উদ্দেশ্যে বলা সেটাও কেউ বিবেচনা করিনি। শুধু কথার জন্য আমরা উচ্ছসিত হয়ে যাচ্ছি, দেশের রাজনীতিতে এক নতুন দিগন্তের উন্মোচন দেখতে পাচ্ছি, এ কেবল আমাদের রাজনীতির দীনতাকেই প্রকাশ করে।
বিরোধী দলীয় নেতা সরকারের সমালোচনা করবেন এটাই তো স্বাভাবিক। যেসব অভিযোগের কথা উনি বলেছেন, তার একটাও নতুন শুনছি না। সরকারবিরোধী অন্যরাও এই কথাগুলো বলেন, হয়তো এমন গুছিয়ে বলতে পারেন না। আমাদের নতুন প্রজন্মের সাংসদ শিক্ষিত, ব্যরিস্টার, বাবরের চাইতে ভাল ইংরেজী বলেন। কিন্তু এতেই উচ্ছসিত হয়ে বলব, আমাদের দিনবদলের রাজনীতিবিদ পেয়ে গেছি, কেন যেন এতটা আশাবাদী হতে পারিনা, হয়তো আমিই সংশয়বাদী...