তেল-গ্যাস বিতর্কের বন্যায় যদিও ব্লগোস্ফিয়ার ভেসে যাচ্ছে, তারপরেও জোয়ারে আরো দুই ফোঁটা পানি যোগ করা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারলাম না । আমার দুইটা প্রশ্ন চুক্তির বিরুদ্ধে সক্রিয় আন্দোলনকারীদের কাছেঃ
১। আন্দোলনটা কি হচ্ছে কনোকোফিলিপ্স এর সাথে চুক্তি অন্যায্য বলে? অনেক জায়গায় দেখি বলা হয়, বাংলাদেশ কোনভাবেই ২০% এর বেশি গ্যাস পাবেনা পিএসসি ২০০৮ অনুযায়ী। রেফারেন্স দেয়া হয় ১৫.৫.৪ অনুচ্ছেদের। কিন্তু ঐটা আর আশেপাশের অনুচ্ছেদ (১৫.৫.১, ১৫.৫.৬, ১৪.১৩) পড়ে যা বুঝলাম, এই ২০% কথা আসছে শুধুমাত্র এলএনজি করে রপ্তানীর ক্ষেত্রে। এটা নিয়ে আমার মনগড়া ব্যাখ্যা দেখতে পারেন Click This Linkএখানে । পিএসসি প্রনয়নকারীদের পক্ষ থেকে প্রফেসর তামিমের ব্যাখ্যাও তাই বলে।
এখন আসলেই যদি এমন হয় যে ঐ ১৫.৫.৪ ই অন্যান্য অনুচ্ছেদকে ওভাররুল করে, তাহলে সেটা পিএসসির একটা আইনি দুর্বলতা, ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত। সেটা হয়ে থাকলে দক্ষ আইন বিশেষজ্ঞদের দিয়ে সংশোধন করা উচিত, বিদেশী কোম্পানী আমাদের ভুলের সুবিধা নেয়ার আগেই। কিন্তু আইনি কোন ত্রুটি না থাকলে এবং ২০% এর শর্ত আসলেই শুধু এলএনজি রপ্তানীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হলে পিএসসি কিভাবে অন্যায্য হয় একটু বুঝিয়ে বলবেন কি? এটা মাথায় রাখতে হবে বিদেশী কোম্পানী কোন নিশ্চিত লসের প্রজেক্টে বিনিয়োগ করতে আসবে না।
২। আর যদি ভবিষ্যতের জন্য গ্যাস মজুদ রাখা, বাপেক্সের সক্ষমতা বাড়ানো অথবা চুক্তি সম্পর্কে জানতে চাওয়া আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য হয়, আমার পূর্ন সমর্থন আছে আন্দোলনের প্রতি। ভিন্নমত থাকতেই পারে। আর সব মতের যুক্তিপূর্ন আলোচনাই হয়তো সবচেয়ে ভাল অপশনটা বের করে আনতে পারবে।
আমি যেটা বুঝতে পারি, ২ নং কারনে মতভেদের অবকাশ থাকবে। এটা নিয়ে সভা-সমিতি, সেমিনার হতে পারে, গনআন্দোলনের অবকাশ খুব একটা মনে হয় নাই। তবে ১ নং সম্পর্কে যা বলা হচ্ছে সেটা যদি সত্য হয় তাহলে সবাই এটার বিরুদ্ধে থাকবে। এজন্য এটা আসলেই সত্য কিনা, এবং পিএসসি তে কি আছে সেটা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া কি আন্দোলন শুরুর প্রথম পদক্ষেপ হওয়া উচিত ছিল না? তাহলেই তো আর আমার মত সংশয়বাদীদের দ্বিধা-দ্বন্দের মধ্যে থাকতে হয় না।
হাতে সময় থাকলে আমার এই Click This Linkপোস্টটা পড়ে আসার অনুরোধ রইল।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জুলাই, ২০১১ সকাল ৭:৪৬